নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পলাশী

আলুভর্তা

আমি বাইরে কেমন এবং ভেতরে কেমন এটা আমরা প্রায় ভুলে যাই ...

আলুভর্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার সৃষ্টিকর্তা তো অন্ধ না............

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:১৩

আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাই হাসানুল বান্না ।ও আইন বিভাগের ছাত্র।ভাইটির দেশের বাড়ি নরসিংদী,টিউশনি করেই নিজের লেখাপড়ার খরচ চালায়।বাসা থেকে টাকা আনেনা বললেই চলে।আসলে সত্যি কথা বলতে বাসা থেকে ওকে যে মাসে মাসে কিছু টাকা পয়সা দেবে সেই সামর্থ্য নেই ।বয়সে ছোট হলেও কেন জানি আমাদের দুজনের সম্পর্কটা বেশ মধুর,গতানুগতিক বড় ভাই ছোট ভাই সম্পর্ক নয়।গত এক মাস ধরে একটা টিউশনি জন্য ও যে আমাকে কতবারি ফোন দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।আমার কাছে যাও দুই একটা টিউশনি এসেছিল তাও আবার সায়িন্সের।তাই কেন জানি ছোট ভাইটির জন্য মনে মনে বেশ খারাপ লাগছিল।তবে হতাশ হচ্ছিলাম না এই ভেবে যে,আমার আল্লাহ্‌ তো অন্ধ না।কিন্তু আজ যখন আমাকে প্রানরসায়ন বিভাগের আব্দুল মালেক ভাই ফোন করে জানালো,মামুন আমার ভাগ্নেকে ক্লাস টেনের ইংরেজি পড়াবে এমন কোন ছেলে পাও কিনা দেখ ত।আইন বিভাগের ছাত্ররা আবার ইংরেজিতে খুব ভালো হয়,আমি তাই মালেক ভাইয়ের সাথে কথা শেষ করে সাথে সাথেই হাসানুল বান্নাকে ফোন দিলাম টিউশনির সুখবর!দেবার জন্য।কিন্তু একি!ইথারের মধ্যে দিয়ে যা শুনতে পেলাম তাতে কেন জানি মনে হল বান্নার টিউশনির আগ্রহ নাই।তাহলে কি বান্না কোন টিউশনি পেয়ে গেছে,ওর আর্থিক সমস্যার কি কোন সমাধান হয়েছে?বেশি কিছু বলার আগেই বলল,ভাই “আমি ঢাকা আসছি,ঢাকায় পৌঁছে আপনাকে ফোন দিব”।



পরদিন দুপুর গড়িয়ে বিকেল চলে এল,বান্নার ফোন আমি আর পেলাম না।যে মানুষটির একটা টিউশনি এত দরকার আর আজ যখন একটা টিউশনি পেলাম তখন কেন জানি কোন আগ্রহই দেখাচ্ছে না। আচ্ছা কোন খারাপ কিছু হয়নি তো ?এই দুশ্চিন্তা নিয়ে আমিই ফোন দিলাম।তবে ফোন দিয়ে অনেকক্ষন কথা বলে আসলে জানতে পারলাম তা হল, জাপানের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বান্না একটা স্কলারশিপ পেয়েছে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যেই সেখানে চলে যাবে।আর আর্থিক সমস্যারও আপাতত কিছুটা সমাধান হয়েছে। তাই এখন ও চাচ্ছেনা কোন টিউশনি করতে।শুনে মনটা বেশ ভালো হয়ে গেল।ভাবছিলাম টিউশনিটা তাহলে কাকে দেয়া যায়।মোবাইলটা নাড়াচাড়া করতেই আলামিন ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল।ওদিকে আবার আব্দুল মালেক ভাই বার দুয়েক ফোন দিয়েছে কাউকে পেয়েছি কিনা সে খবর জানার জন্য। আলামিন ভাইকে ফোন দিয়ে কিছু কুশালাদি জিজ্ঞাসা করে যেইনা টিউশনির কথা বলেছি ,অমনি আলামিন ভাই বিনয়ের সুরে বলল,”মামুন আমি যে কত সমস্যায় আছি তুই যদি তা জানতি।আমার যে একটি টিউশনি কত দরকার ছিল।কি বলে যে আমি তোর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা”।

আলামিন ভাই ধন্যবাদটা আমাকে দিও না,পারলে এই গোনাহগার ছোট ভাইটার জন্য তুমি একটু তুমি দুয়া করিও।ধন্যবাদ,কৃতজ্ঞতা দাও সেই মহামহিম আল্লাহকে যিনি তোমার-আমার সৃষ্টিকর্তা। যিনি সারা পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা।একমাত্র তিনিই সবচেয়ে ভালো জানেন-তার সৃষ্টি কে কেমন আছে?যিনি একটি মাকড়শার রিজিকদাতা আবার একটি হাতিরও রিজিকতা।তিনি যে আমাদের “রব”



জানো আলামিন ভাই,এই টিউশনি আসলে তোমার করানোর কথা ছিলনা টিউশনিটা আসলে করানোর কথা ছিল বান্নার।কিন্তু আল্লাহ এই টিউশনির মাঝে তোমার জন্য রিজিক বরাদ্দ রেখেছেন।আল্লাহ্‌ যে আমাদের “রিজিকদাতা’আজ যেন তা আমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।।আল্লাহু আকবার।।হে আল্লাহ্‌ তুমি আমাদের দ্বীনের সঠিক জ্ঞান বুঝার তাউফিক দাও...আমিন।।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৩৩

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:০০

আলুভর্তা বলেছেন: আল্লাহর জন্য কলম ধরতে চাই,আর এজন্য দরকার একটু উৎসাহ।অনেকে কৃপণতা করে উৎসাহ দিতে,আপনার মত সবাই যদি মন ভরে উৎসাহ দিত।।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২২

অভয় ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটা পড়ে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১০

আলুভর্তা বলেছেন: আপনার মত সবাই যদি মন ভরে উৎসাহ দিত।।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২৩

সবুজ সংকেত বলেছেন: সুন্দর হয়েছে! তবে আল্লাহর শানে শিরোনামটা একটু বেখাপ্পা মনে হয়েছে!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

আলুভর্তা বলেছেন: কি দিলএ ভালো হ্য়

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

জামাল কুরাইশ বলেছেন: সামন্য ঘটনার ভেতর অসামান্য অবতারনায় আপনি আরো সিদ্ধহস্ত হউন, এই কামনা করি।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

আলুভর্তা বলেছেন: দুআ চাই

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: সুন্দর , আমিন

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫

ইমরান হক সজীব বলেছেন: খুব স্বাভাবিক ব্যাপার । কোন অতিপ্রাকৃত ঘটনা নাই এখানে ।

সবাই তাদের নিজ নিজ বিশ্বাসের প্রতি হাস্যকর সব ব্যাপার স্যাপার উপলব্ধি করে । সবি মোহগ্রস্ততা । বিজ্ঞানীদের কাছে মনের ভাইরাস হিসেবে খ্যাত, যা পরিবার, বংশ, সমাজ ক্রমে পরবর্তী প্রজন্মে প্রবাহিত হয়।

দুনিয়ায় প্রতিদিন সম্পূর্ণ নিরপরাধ অসংখ শিশু না খেয়ে, রোগে শোকে মারা যাচ্ছে । সবজান্তার আবার পরীক্ষা করে ভালো না খারাপ জানার জন্য এভাবে নিরাপরাধ শিশু মেরে ফেলা যেকোন যুক্তিপ্রান, বুদ্ধিদীপ্ত, মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষের কাছে এটা নিষ্ঠুর ছেলে খেলা ছাড়া কিছু না ।

কিছু বলেন আর না বলেন দয়া করে আমাকে ধর্মগ্রন্থ ভালো করে মন দিয়ে পড়ার পরামর্শ দিবেন না । শতাধিকবার আমি এই গ্রন্থগুলো মন দিয়ে পড়েছি, পূর্বে পালনও করেছি ।
এতে মানবতার অন্তর্নিহিত ক্ষতির পরিমান এত বেশি যে সামান্য কিছু যা ভালো দিক তাও গ্রহন করা সম্ভব না । মানুষকে চিন্তা শুন্য, যুক্তিশুন্য, নির্বোধ, বোকা, অপরিণামদর্শী আবেগ প্রবন, বিকৃতমনস্ক, মোহগ্রস্ত করে ছাড়ে এই গ্রন্থ । এই মোহগ্রস্থতাই পরিপূর্ণ ভাবে নিবিষ্ট হলে মানুষের চাইতে সেইসব বিকৃত মনস্ক কথা বার্তাই কারো কাছে দামি মনে হয়, এর জন্য সে মানুষকে জবাই করতে বা নিজে আত্মঘাতী হতে বাধে না ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯

আলুভর্তা বলেছেন: ধর্মগ্রন্থ পড়ার উদ্দেশ্য একটাই আর তা হোল নিজের হেদায়েতের জন্য পড়া।আপনি এই উদ্দেশ্য নিয়ে কখনো পড়েছেন একবার ভাবুন।পড়তে বলবনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.