নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুহাঃ ইজাজ আল ওয়াসী

মুহাঃ ইজাজ আল ওয়াসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্যালেস্টাইন এর ঈদ ও কিছু কথা

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০৩

আজ এই পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনের শেষভাগে এসে, ফিলিস্তিনের ঐ মজলুম ভাইবোনদের কথা দু'এক মিনিট ভাবার সময় আমাদের আছে কী???

মধ্যপ্রাচ্যের প্রাণকেন্দ্রে ইসরাইল নামের রাষ্ট্রটির জন্মই হয়েছে মূলতঃ সন্ত্রাসের মাধ্যমে। দরিদ্র মজলুম ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমি ফিলিস্তিনকে সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমা শক্তি প্রথম মহাযুদ্ধেকালীন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে বিশ্বসন্ত্রাসী যায়নবাদীদের হাতে তুলে দেয়ার পদক্ষেপ নেয় ১৯১৭ সালে। যায়নবাদীরা হলো ইহুদি বর্ণবাদের উগ্র সন্ত্রাসী যারা নিজেদের ছাড়া অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীকে মানুষই মনে করে না। আল কুরআনে নিন্দিত ও অভিশপ্ত এই ইহুদি বর্ণবাদীরাই।

এরা বনি ইসরাইলের হাজার হাজার নবীকে হত্যা করেছে। প্রাচীন ফিলিস্তিন বা কেনানই ছিল হাজার হাজার নবী-রাসূলের জন্মস্থান ও কর্মস্থল। কিন্তু এই সন্ত্রাসী ইহুদিরা কুরআনে বর্ণিত এই পবিত্র ভূমিকে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছিল। সব নবী-রাসূলেরই স্মৃতিবিজড়িত এই পবিত্র ভূখণ্ডে এখনো হজরত ইবরাহিমের নামে আল-খলিল শহর, হজরত মুসা আলাইহিস সালামের মাজার, ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মস্থান, হজরত দাউদ ও সুলায়মানের স্মৃতিচিহ্নগুলো এবং সর্বোপরি মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসা বিদ্যমান।

কিন্তু যায়নবাদের খপ্পরে পতিত ইংরেজ ও ইয়াঙ্কি সাম্রাজ্যবাদীরা মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের প্রতীক উসমানী(অটোম্যান) সাম্রাজ্যকে ভেঙে খানখান করার পাশাপাশি ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের বসতি স্থাপনের ব্যবস্থা করে দেয়, যেখানে যায়নবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো তাদের জঘন্য অমানবিক তৎপরতা শুরু করে। দখলদার ব্রিটিশদের ছত্রছায়ায় এরা ফিলিস্তিনি আরবদের জোরজবরদস্তি ও সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাপদাদার ভিটে থেকে উচ্ছেদ করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত পশ্চিমা পরাশক্তির মদদে ১৯৪৮ সালে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো অসহায় মজলুম ফিলিস্তিনিদের রক্তের ওপর ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম দেয়। এর পর থেকে তারা পরাশক্তিগুলোর মদদে ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দিয়ে একের পর এক ভূখণ্ড দখল করতে থাকে এবং পশ্চিমা শক্তির তাঁবেদার বাদশাহদের কাপুরুষোচিত নীরবতা ও চক্রান্তের ভেতর দিয়ে জর্ডান, সিরিয়া, মিসর ও লেবাননের ভূখণ্ডও গ্রাস করে বর্তমান ইসরাইল রাষ্ট্রের ভুয়া মানচিত্র দাঁড় করায়। এর পরেও এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি থেমে থাকেনি, বরং সমগ্র মুসলিম জাহানে ওদের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য নিষ্ঠুরতম যুদ্ধ, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র চাপাতে থাকে এবং তাকে নগ্নভাবে মদদ জোগায় পশ্চিমা পরাশক্তিবর্গ। ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীরা বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়শিবিরগুলোতেও নির্মম গণহত্যা চালায়। ইসরাইলি যায়নবাদী সন্ত্রাসীদের অঢেল অর্থ, অস্ত্র ও জনশক্তি সরবরাহকারী হচ্ছে পশ্চিমা শক্তিগুলো।

অবশেষে বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ১৯৭৯ সালে ইরানের বুকে ইমাম খোমেনি রহ:-এর নেতৃত্বে ইসলামি বিপ্লবের বিজয় ও ইসলামি প্রজাতন্ত্রী সরকার কায়েম এবং ইসরাইল ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর ভাড়াটে শাহ সরকারের উচ্ছেদ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক যায়নবাদী চক্র ও ইসরাইলের হিসাব-নিকাশ পণ্ড হয়ে যায়। এত কালের ফিলিস্তিনিদের মুক্তি আন্দোলন ইমাম খোমেনির ডাকে ইসলামি আন্দোলনের রূপ নিতে থাকে ও ইন্তিফাদার জন্ম লাভ শুরু হয়। এতে ক্রমেই ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের জয়যাত্রায় ভাটা পড়ে । তাই নিরুপায় যায়নবাদীরা তাদের সরাসরি সন্ত্রাসের কৌশল বদলিয়ে আত্মরক্ষা এবং মুসলিম দেশগুলোতে পারস্পরিক সন্ত্রাসী যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়ার হীন ষড়যন্ত্র শুরু করে ।

যায়নবাদীদের গভীর ষড়যন্ত্র এবং সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ও কাপুরুষ রাজতন্ত্রীদের সার্বিক মদদে আলকায়েদা, আইএস, বোকো হারাম, আল-নুসরাহ, তাকফিরি ইত্যাদি নানা নামে ও ইসলামের লেবাসে বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী ফিতনা শুরু হয়েছে। ইসলামের লেবাসে এরা মুসলিম বিশ্বের নিরীহ জনগণের সাথে যা করছে, তা যায়নবাদীরা প্রকাশ্যে করার আর সাহস রাখে না। ইসরাইলি মন্ত্রীরা প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিয়েছে ওইসব সন্ত্রাসী হামলা ইসরাইলের জন্য হুমকি নয়। তা হবেইবা কেন? মূলত ওদেরই কালো হাত সেখানে জড়িত। পশ্চিমা দেশগুলো থেকে সরলমনা মুসলিম তরুণ-তরুণীদের সস্তায় বেহেশত পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কথিত জিহাদ নামক সন্ত্রাসী ও আত্মঘাতী যুদ্ধে পাঠানোর সুযোগ-সুবিধা কারা সৃষ্টি করে দিচ্ছে?

হঠাৎই একটি ইসলামি খিলাফত রাষ্ট্র ঘোষণার মত সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো বিশ্বকে চমকে দেয়া আইএসের যোদ্ধাদের ভূমিকা ছিল ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতি নীরব সমর্থন । সারাবিশ্ব ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও আইএস যোদ্ধারা ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদের ওপর ইহুদি দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো কথা কখনোই বলেনি।

তাই সময় এসেছে প্রকৃত তাওহিদপন্থী জনসাধারণের এ ব্যাপারে সচেতন হয়ে আত্মসংশোধন ও সমাজ সংস্কারে মনোনিবেশ করার, পাশাপাশি যায়নবাদী, সাম্রাজ্যবাদী ও পথভ্রষ্ট সরকারগুলোর অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

" এরা বনি ইসরাইলের হাজার হাজার নবীকে হত্যা করেছে। "

-ফিলিস্টিনীদের ভাবনা আপানর কাছাকাছি, এজন্য তারা রাস্ট্র করতে পারেনি আজও; শুধু ইট পাথর মারছে ও আতসবাজি করে বেড়াচ্ছে।

জাহার হাজার নবী কি বাতাসে ভাসছিলেন?

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:

" হজরত মুসা আলাইহিস সালামের মাজার, "

-হযরত মুসার মাজার কোথায়?

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

ফিলিস্তিনীরা দেশ পায়নি আপনাদের মত কম-শিক্ষিত আরবদের ভুলের জন্য।

এখন পেতে পারতো, যদি মারামারি ছাড়ে, আরবরা দেশ চায়না, ওরা রক্ড় চায়; দেশ চাইলে অনেক আগেই দেশ হয়ে যেতো।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৯

হাইপারসনিক বলেছেন: কে কোন ইতিহাসের ছাত্র ছিল তা আমি জানি না,তবে সেখানে সত্যের প্রভাব খাটে...

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৮

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: ছাগলামি পোষ্টে মন্তব্য করতেও রুচিতে বাঁধে.....কারো লেখা কপি পেষ্ট করে বা অরিজিন্যাল লেখকের লেখা চুরি করে নিজের নামে চালালে, সে ব্যাটা ওই ইহুদীদের চেয়েও বড় চোর......... X(( X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.