![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার রঙিন পৃথিবীর রঙগুলো সবার সাথে মিলেমিশে একাকার করার জন্যই ব্লগে আসা।
আমার ভাবের দেশে আমি স্রষ্টার কাছ থেকে যে উপহারগুলো পেয়েছি তার মধ্যে অন্যতম হল ঈশাখা লেক।
রাত ১০ টার পর থেকে শিমুল বা মেহগনি গাছের নিচে বসলে আশপাশের শাহজালাল, জামাল হোসেন , ইশাখার সাদা টিউবলাইট গুলির আলো পানিতে প্রতিফলিত হয়ে বিচিত্রভাবে চোখে আসে, চাঁদটা থাকে মাথার উপর, তারাগুলো ছড়িয়ে থাকে আকাশ জুড়ে। কৃত্রিম আলো কতটা সুন্দর হতে পারে তা এইখানে না বসলে কোন ভাবেই বুঝানো সম্ভব না। মনে হয় এইখানে বসে থকার মুহূর্তে সময়টা যদি থমকে যেত, রাতটা আর শেষ না হত।
লেকের পানিতে বাতাসের তৈরি করা মৃদু ঢেউ গুলো পানিতে পরে প্রতিফলিত টিউবলাইটের আলোর উপর যে কম্পন সৃষ্টি করে, এই কম্পনগুলো আমার সিমাবদ্ধতা ধরে টান দেয়। মানুষ মাত্রই সীমাবদ্ধতা, লক্ষ কোটি সীমাবদ্ধতা, কিন্তু এই কম্পন গুলো দেখে মনে হয় আমি মুক্ত, চির মুক্ত, কোন কালেই আমার কোন সীমাবদ্ধতা ছিল, না থাকবেও না।
আমি হয়ত দৈহিক দিক দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করব , দেহ ত্যাগ করব কিন্তু দল বেধে বের হওয়া প্রত্যেকটি ছাত্রের দলে আমি আছি, প্রত্যেকের সাথে মিশে আছি, প্রত্যেকের প্রতিটা হাসির মধ্যে আমি জড়িয়ে আছি।
আমি জড়িয়ে আছি প্রতিটা ছাত্রে যে গভীর রাতে লেকের পাড়ে একা একা বসে থাকে, পানিতে টিউবের আলো দেখে, গান শুনে-
“ ইচ্ছা হলে ভালবাসিস না হয় থকিস… “
“শোয়া উড়িল উড়িল জীবের জীবন…”
“ও বন্ধু লাল গোলাপি কই রইলারে…”
অথবা “ আমাকে আমার মত থাকতে দাও…”
………………
লেকটা যে জীবন্ত, ভাষাহীন ভাব প্রকাশের মাধ্যমে এটি এর পাড়ে বসে থাকা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তা কোন ভাবেই ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। যদি বুঝার ইচ্ছা হয় তবে চলে এস, উপলব্ধি করতে পারবে।
(কথা দিলাম)
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
এমাজ আরেফিন বলেছেন: bangladesh agricultural university lake