![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার রঙিন পৃথিবীর রঙগুলো সবার সাথে মিলেমিশে একাকার করার জন্যই ব্লগে আসা।
বিবাহ নিয়া একটা প্রবন্ধ কি উপন্যাস লিখিতেছি বুঝতে পারছি না তবে এই শুক্র, শনি এবং বৃহস্পতিবার রাত্র যে আমি পরিবারের সকল সদস্যকে বেশ চিন্তায় রাখিয়াছি তাহা সত্য। বাসায় গিয়া এমন অবস্থার সৃষ্টি হইয়াছে যে, ছোটফা (ছোট + আপা) বলল “ কিরে আমি করি তার পরীক্ষার চিন্তা আর সে করে কিনা তার বিবাহ চিন্তা!”আমি আসলে কিছু বলিনাই কেমন করে যেন পরিস্থিতিটা সৃষ্টি হল। মোটে পাচখানা বউ দেখা হইল। কেউ হয়ত বেশি বড়লোক (১০০০ শতাংশরও বেশি সমতল ভুমির মালিক) হওয়ার কারণে আমি বারণ করিতেছি কিংবা কোন কারণে পণ্ড হইতেছে। শেষ পর্যন্ত তবলীগের যজবা ওায়ালা হুজুরের মেয়ে, তার দুইখানি মেয়ে তার মধ্যে বড়জনের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে দ্বিতীয় জন মুমিনুন্নেসাতে পড়ে এবং সুন্দরী। তো কথা বললেন আমার বড় দুলাভাই , তিনি আমার বড় আপনজন। তিনি উৎসাহের সহিত আরেকজনকে সঙ্গে লইয়া কথা বলিতে গেলেন সেই যজবাওয়ালা হুজুর শহীদ সাহেবের সাথে। পেশায় হবু শ্বশুর ইঙ্গিনিয়ার। দুলাভাইের সাথে যাওয়া এক লোক বেশি কিছু না বলে দুলাভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন শহীদ সাহেবের। যদিও নিকট আত্মীয়দেরকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে দেখা যায় না, মাঝখানে থাকে ঘটক সে বাড়িয়ে তিলকে তাল/তরমুজ বানিয়ে ফেলে, সে সম্মতি/অসম্মতির বড় ধাক্কাটাকে ছোট করে। আঙ্কেলের বিয়ের সময় ঘটক বলেছিল,”মাইয়্যার বাড়িতে টিনের বড় ঘর, টিনের রান্ধাঘর, টিনের গুয়াইলঘর, টিনের পুসকুনি(পুকুর), সবকিছুই টিনেরইয়ঝযাইহোক দুলাভাই বিয়ের কথাটি বলার পর শহীদ সাহেবের মুখের কোন পরিবর্তন হল না, না হাসি , না অখুসি। বললেন” আপনি বরঞ্চ একটা বায়োডাটা দেন এবং হবু শ্বশুর দুলাভাইয়ের সাথে যাওয়া লোকটিকে আমার
পরিচয় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দিতে লাগলেন, কারণ সে যে আমাকে আগে থেকেই চিনে এবং ভাল ভবেই চিনে। আমার বুঝতেছিলাম হবু শ্বশুর তোমায় আমি চিনি তুমি রাজি না হয়ে পার না। শেষমেশ বড়ভাইরা যেখানে চাকুরীর জন্য বায়োডাটা দিতে ব্যস্ত আমি সেখানে কন্ন্যার বাপের জন্য বায়োডাটা প্রস্তুত করিতেছি। শহীদ সাহেব আফ্রিকা সফরে যাবেন পাচ মাসের জন্য মাত্র ছয় দিন বাকি এর মধ্যে যদি কিছু একটা হয়ে যায়।
না, এর মধ্যে কিছু আর হবে না। দুলাভাই ভবিষ্যৎ নিয়া বিস্তর জ্ঞান প্রদান করিলেন, বুঝালেন তোমার কোনমতেই এখন বিবাহ করা চলিবে না। আরও সমস্যা হইল আমার মামাতো বোন মিসু পড়ে মুমিনুন্নেসাতে। আম্মার কাছে তার ভাষ্য “ এই মেয়ে চাইরানিপাড়ার, চুলে কালার করে, কারও সাথে মিল নাই, আমি এর সাথে কথা বলি না, আমাকে তুই করে ডাকে, চেহারা মোটামোটি কিন্তু ছুলামুখি”
বোধ হইল স্রষ্টা মেয়েরা কেন এত কথা বলে?
মামীর কাছে শুনেছি মিসু আমাকে পরামর্শ দিয়েছে একটা প্রেম করতে আর চার বছর সেটা চালিয়ে যেতে শেষে কিছু একটা করতে। ইচ্ছা করছিল একটা প্রশ্ন করি “তো প্রেমটা করব কার সঙ্গে? তুই কি রাজি আছিস নাকি?”
কিন্তু না ইহাও সম্ভব না।
NB: ইচ্ছা করিয়া সাধু চলিত একত্রে লিখেছি, আমি তো এইখানে পরীক্ষা প্রদান করিতেছি না, তাই না।
©somewhere in net ltd.