নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুহাম্মাদ (সাঃ) এর অলৌকিক ঘটনাসমূহ

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০


নবী মুহাম্মদ (সাঃ)এর অলৌকিকতা হল কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনা যা ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী তার দ্বারা তার জীবদ্দশায় সংঘটিত হয়েছে। সেই অতিপ্রাকৃত ঘটনাগুলো কুরআনের মধ্যে অথবা বেশিরভাগক্ষেত্রেই হাদিসে ঐতিহ্যগতভাবে লিখিত মুহাম্মদের কর্মকাণ্ড এবং আদর্শ উল্লেখ করা হয়েছে। মুহাম্মদ এর অলৌকিকতা যেমন,প্রকৃতির উপর খাদ্য গুণ, জল উদ্ভাস, লুকানো জ্ঞান, ভাববাণী, নিরাময়, শাস্তি, এবং ক্ষমতা হিসাবে একটি বিস্তৃত পরিসর নিয়ে রয়েছে। ইতিহাসবিদ ডেনিস গ্রিলের মতে, কুরআন স্পষ্টতই মুহাম্মদের অলৌকিকতাগুলো ঢালাওভাবে বর্ণনা করে না, বরং চূড়ান্তভাবে সেই কোরআনকেই মুহাম্মদের প্রধান অলৌকিকতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।অভিযোগ আছে যে, কুরআন নিজেই মুহাম্মদের অলৌকিকত্বকে অস্বীকার করে। যা খৃস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সাধারণ যুক্তি।তবে কুরআন এবং প্রায় হাদিসেই বিভিন্ন অলৌকিক ক্ষমতার কথা পেশ করা হয় এবং হাদীস মুহাম্মদের অলৌকিকতার বিবরণী জানার জন্য অপরিহার্য।
অলৌকিক ক্ষমতার তালিকা
১ । কুরআন মুহাম্মদের পাওয়া সর্বশ্রেষ্ঠ অলৌকিক বস্তু যা মুসলমানদের দ্বারা বিবেচিত।এবং সব সময়ের জন্য একটি অলৌকিক ঘটনা ।
২ । চাঁদ দ্বিখন্ডিত করণ ।
যদিও ২০১০ সালে নাসা চন্দ্রবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী ব্র্যাড বেইলি বলেন যে অতীতে কখনও চাঁদ দুই খণ্ডে খণ্ডিত হয়ে আবার সংযুক্ত হওয়ার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমান বর্তমানে নেই।
৩ । ইসরা ও মি'রাজ রাত্রি ভ্রমন।
৪ । আলী ইবনে সাহল রাবন আল-তাবারি বলেন, মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাফল্য এবং তার শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয় তার অলৌকিকতাসমূহের একটি ছিল।একইভাবে অনেক আধুনিক মুসলিম ঐতিহাসিকদের মতে মুহাম্মদ এরসর্বশ্রেষ্ঠ অলৌকিক যেমন ধর্মীয়, সামাজিক, ধর্মান্তরিত, রাজনৈতিক, সামরিক ও সাহিত্য গোলকের হিসাবে, ক্ষমতা বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে একটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তার পার্থিব শিক্ষাদীক্ষা, বিশ্বাস ও বিশ্বের বিজয়ীকে প্রভাবিত করে যার মধ্যে আরব যাযাবরেরা ছিল ।
৫ । বেশ কয়েকবার তিনি অলৌকিকভাবে খাদ্য ও পানি সরবরাহ করেন।
৬। তিনি একটি খেজুর গাছে ঠেস দিয়ে দাঁড়ানো থেকে উঠে দাঁড়ালে গাছটি কাঁদছিল।
৭।তিনি তার নির্দেশে দুই গাছকে সরতে বলায় তা সরে গিয়েছিল।
৮।তার দ্বারা কৃত ভবিষ্যদ্বানী।
৯।মদীনায় মক্কা থেকে হিজরত।
১০।তিনি তাবুক যুদ্ধের সময় তার হাজার হাজার সৈন্যদের তৃষ্ণা নিবারণে এবং ওযু করতে বিপুল পরিমাণ পানির ব্যবস্থা করন।
১১। তিনি তার অনুগামীদের হুদাইবিয়ার সন্ধিপত্র করার সময় পানি পান এবং ওযূর পানি ব্যবহার করতে গিয়ে পানি সংকটে তার সাথের পানি বেড়ে ভরে উঠেছিল।
১২। বদর যুদ্ধের সময় তিনি শত্রুদের দিকে এক মুঠো মাটি ছুড়ে দেন, ফলে তারা অন্ধ হয়ে যায়, এই অলৌকিক ঘটনা কুরআনে উল্লেখ করা হয়, সূরা আল আনফাল, আয়াত ১৭ (৮:১৭)।

মুহাম্মাদের উপর অনেক জীবনীকার জীবনীগ্রন্থ লিখেছেন। তার জীবনীগ্রন্থকে সাধারণভাবে "সিরাত" গ্রন্থ বলে। মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর থেকে অনেক মুসলিম এবং অমুসলিম তার জীবনীগ্রন্থ লিখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইবনে ইসহাক রচিত মুহাম্মাদের সর্বাধিক প্রাচীনতম নির্ভরযোগ্য জীবনী সংকলন সিরাতে ইবনে ইসহাক যা অনেকের মতে বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত এবং তা হতে সম্পাদিত সিরাতে ইবনে হিশাম, আল তাবারি রচিত "সিরাতে রাসুলাল্লাহ", ইবনে কাসির রচিত "আল-সিরাত আল-নববিয়াত", মার্টিন লিংসের "মুহাম্মদ : হিজ লাইফ বেজড অন দ্য আর্লিয়েস্ট সোর্সেস", ক্যারেন আর্মস্ট্রং রচিত "মুহাম্মদ : এ বায়োগ্রাফি অব দ্য প্রফেট" এবং "মুহাম্মদ এ প্রফেট অব আওয়ার টাইম", মার্মাডিউক পিকথাল রচিত "আল আমিন এ বায়োগ্রাফি অব প্রফেট মুহাম্মদ", সাম্প্রতিককালে রচিত আর্-রাহিকুল মাখতুম, বাংলা ভাষায় গোলাম মোস্তফা রচিত বিশ্বনবী, এয়াকুব আলী চৌধুরীর নুরনবী, মওলানা আকরম খাঁ রচিত মুস্তাফা চরিত প্রভৃতি।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য তথ্যসূত্র হল হাদিস সংকলন, মুহাম্মাদের মৌখিক ও কার্যগত শিক্ষা ও ঐতিহ্য। মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি বহু প্রজন্মব্যাপী হাদিস সংকলন করেছেন, এদের মধ্যে অন্যতম হলেন মুহাম্মাদ আল বুখারী, মুহাম্মাদ ইবনে ইসা আত-তিরমিজি প্রভৃতি।কিছু পাশ্চাত্য শিক্ষাবিদও হাদিস সংকলনকে সম্পূর্ণ নির্ভুল ঐতিহাসিক তথ্যসূত্র বলে মনে করেন।আবার ম্যাডেল্যাঙের মতো পণ্ডিতগণ পরবর্তী যুগে সংগৃহীত হাদিসের বিবৃতিকে প্রত্যাখ্যান না করলেও সেগুলো ঐতিহাসিক পরিস্থিতি সাপেক্ষে এবং প্রসঙ্গ ও ব্যক্তির সাথে সামঞ্জস্যতার ভিত্তিতে বিচার করে থাকেন।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ঔ সময় মুহাম্মদ (সা:) মুজিযা দেখানো দরকার ছিল। কারণ আরবেরা ছিল গোয়ার ও মুর্খ টাইপের। তারা যে মুহাম্মদের প্রদর্শিত দ্বীন সহজে গ্রহন করেনি সেটা বিভিন্ন যুদ্ধ বিগ্রহ, তার প্রতি অত্যাচার, হিজরত, হুদাইবিয়া সন্ধি ইত্যাদি থেকে বুঝা যায়।

আরবদের গোয়ার্তমি এখন কিছু লাগব হইছে।
তাদের জীবন ধারায় ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হ্ইছে। আগে তারে হেরেমে আসক্তি ছিল। কিন্তু এখন ব্যারেল ব্যারেল পেট্রলিয়াম বিক্রিত টাকায় তারা য়ূরোপমুখী হয়েছে। সেখানকার অভিজাত হোটেলগুলো তাদের প্রধান ঠিকানা।

...........................................................................

অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন।
তবে, মোহাম্মদ (সা:) এর উপর আমার ‘লাল সালাম’।

তিনি বর্বর আরবদের এক করতে পেরেছিলেন।
তিনি নতুন একটি কিতাব আত্ম প্রকাশ করে ছিলেন।
তিনি তার প্রদর্শিত ব্যবস্থায় রাষ্ট্র কায়েম করে ছিলেন।
তিনি প্রচলিত ধর্ম প্রথার বিপরীতে সম্পূর্ণ নতুন একটি ধর্মের প্রচলন করেছেন।
তার দেখানো বিধি ব্যবস্থা বিশ্বের জন সংখ্যার একটি বড় অংশ পালন করে থাকে।
তিনি রাজনৈতিক, সামরিক, প্রশাসনিক কর্মকান্ডে দক্ষতা দেখিয়েছেন, আরো কত কি।

অনেকে অনেক কিছু ভাবতে পারেন।
যারা ব্যতিক্রম ভাবেন তাদের কথা দুই চারদিন পর মানুষ ভুলে যায়।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: আরেকটু বিস্তারিত লিখলে ভাল হয়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আচ্ছা দেখি পরে লিখবো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.