নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর ইতিহাসে যত ভয়াবহ এবং প্রাণঘাতী ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িয়েছে

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৭


ইবোলা ভাইরাস
ইবোলা ভাইরাস এর পূর্বনাম হচ্ছে ইবোলাভাইরাস গণের পাঁচটি ভাইরাসের মধ্যে অন্যতম একটি। এই ভাইরাস ইবোলা ভাইরাস ডিজিজ বা ইবোলা হিমোরেজিক ডিজিজ করে এবং ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারী সৃষ্টি করে।যা প্রায় ২৮,৬১৬ জনকে আক্রান্ত করেছিল এবং ১১,৩১০ জনের নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছিল।ইবোলা ভাইরাস এবং এর গণ উভয়কেই জায়ার নামে অভিহিত করা হয় যেখানে এটি প্রথম দেখা দেয়। জায়ারের বর্তমান নাম গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র । প্রথমে এই ভাইরাসকে মারবুর্গ ভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতি হিসেবে অনুমান করা হয়েছিল।২০১০ সালে সন্দেহ দূর করার জন্য নাম পরিবর্তন করে ইবোলা ভাইরাস রাখা হয়েছিল।বাদুড় বিশেষত ফল বাদুড়কে এই ভাইরাসের বাহক হিসেবে মনে করা হয়।এবং প্রাথমিকভাবে মানুষ থেকে মানুষে বা প্রাণী থেকে মানুষে শরীর নির্গত তরলের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুহার অনেক বেশি প্রায় ৮৩-৯০%।

ইবোলা ভাইরাসের কারনে যে রোগ হয় তার নাম ইবোলা হিমোরেজিক ফিভার। এই রোগ সাধারণত শুরু হয় জ্বর, মাথাব্যথা , বমি এবং ডায়রিয়া দিয়ে। পরবর্তীতে পাকস্থলী ও অন্ত্রে রক্তপাত হয়। অণুচক্রিকার পরিমাণ অনেক কমে যাওয়ায় রক্তপাতের প্রধান কারণ। এই রোগে মৃত্যুহার প্রায় শতভাগের কাছাকাছি। এই ভাইরাসের এত শক্তিশালী হয়ে উঠার পেছনে কিছু কারণ হলো,ভাইরাস কোষের গ্লাইকোপ্রোটিন রক্তনালীর এন্ডোথেলিয়াল কোষকে ধ্বংস করে ফলে রক্তপাত হয়, তাছাড়াও এর আরো দুটি প্রোটিন আছে যা ইন্টারফেরনের কাজ কে বাধা দেয়। লিম্ফোসাইটকে ধ্বংস করে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না।এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো টিকা আবিষ্কার হয়নি।

করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস ১৯৬০ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দিকাশিতে আক্রন্ত রোগীদের মধ্যে এরকম দুই ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাস দুটি ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ই’ এবং ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ওসি৪৩’ নামে নামকরণ করা হয়। তারপর থেকে বিভন্ন সময় ভাইরাসটির আরো বেশ কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে ‘এসএআরএস-সিওভি’, ২০০৪ সালে ‘এইচসিওভি এনএল৬৩’, ২০০৫ সালে ‘এইচকেইউ১’, ২০১২ সালে ‘এমইআরএস-সিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয়।২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রামণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ২০১৯ এনসিওভি নামকরণ করে। ২০২০ সালের ৩০শে জানুয়ারি পর্যন্ত চীনের সাথে সাথে ১২টি দেশে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় যাতে ১৭০ জনের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।নিশ্চিতভাবে বিভিন্ন দেশে আরো ৮,২৪৬ রোগী এই ভাইরাসে আক্রন্ত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। উহানে দেখা দেয়া ভাইরাস প্রজাতিটি এসএআরএস-সিওভি প্রজাতির সাথে ৭০% জিনগত মিল পাওয়া যায়। অনেকেই অনুমান করছেন নতুন এই প্রজাতিটি সাপ থেকে এসেছে যদিও অনেক গবেষক এ মতের বিরোধীতা করেন।

সার্স ও মার্স
সার্স অর্থাৎ সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে। বিজ্ঞানীরা বলছেন খাটাশ জাতীয় বিড়াল থেকে এই ভাইরাসটি এসেছে। তবে এটি বাদুড়ের দেহেও পাওয়া গেছে। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে দুবার এর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। আট হাজারের বেশি আক্রান্তের মধ্যে প্রায় ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এরকম আরেকটি ভাইরাস হচ্ছে মার্স। এটি সার্সের একই গোত্রীয় একটি ভাইরাস। ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয় এবং সেখানে আক্রান্তদের ৩৫ শতাংশ মারা গেছেন। এই রোগের নাম দেয়া হয় মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সংক্ষেপে মার্স। করোনা ভাইরাস গোত্রীয় বলে ভাইরাসটির নাম মার্স করোনাভাইরাস। সৌদি আরব ছাড়াও এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন দেশে।

জিকা ভাইরাস
জিকা ভাইরাস হচ্ছে ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবারের ফ্ল্যাভিভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত। এই পরিবারের অন্যান্য ভাইরাসের মত এটি আবরণযুক্ত এবং আইকসাহেড্রাল আকৃতির একসূত্রক RNA ভাইরাস।এই ভাইরাসটি প্রথম ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় রেসাস ম্যাকাক বানরের দেহে পাওয়া যায়।পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে উগান্ডা এবং তানজানিয়াতে মানবদেহে প্রথমবারের মত শনাক্ত করা হয়।
এই ভাইরাস মানব শরীরে প্রাথমিকভাবে জিকা জ্বর, অথবা জিকা রোগ করতে পারে। ১৯৫০ সাল থেকে এই ভাইরাস আফ্রিকা থেকে এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত নিরক্ষরেখা বরাবর অঞ্চলগুলোতে রোগ ছড়ায়। এটি ২০০৭ সালে ইয়াপ দ্বীপপুঞ্জে রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটায়। আর তাতে কমপক্ষে ৪৯ জন মানুষ আক্রান্ত হয় তবে কেউ মারা যায়নি। ২০১৪ সালে এটি প্রশান্ত মহাসাগর এর ফরাসি পলিনেশিয়া অঞ্চলে
ও পরবর্তীকালে ইস্টার আইল্যান্ডে এবং ২০১৫ সালে মধ্য আমেরিকা, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়ায়।

জিকা ভাইরাসটি ডেঙ্গু ভাইরাস, পীতজ্বর ভাইরাস, জাপানিজ এনসেফালাইটিস এবং ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস এর সাথে সম্পর্কিত। এই ভাইরাস যে রোগ সৃষ্টি করে তার সাথে ডেঙ্গু জ্বর এর কিছুটা মিল আছে।এই রোগের জন্য বিশ্রাম নেয়া হলো প্রধান চিকিৎসা এখনো এর কোনো ওষুধ বা টীকা আবিষ্কৃত হয়নি।যে সকল নারীরা জিকা জ্বরে আক্রান্ত তাদের গর্ভের সন্তান মাইক্রোসেফালি বা ছোট আকৃতির মাথা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে।তাছাড়া বড়দের ক্ষেত্রে এটি গিলেন বারে সিনড্রোম করতে পারে।

মূলত ২ ধরনের এডিস মশা দিয়ে এই ভাইরাস ছড়ায়। গ্রীষ্মমণ্ডল এবং এর নিকটবর্তী অঞ্চলে Aedes aegypti মশার মাধ্যমে ছড়ায় কারণ শীতপ্রধান অঞ্চলে এরা টিকে থাকতে পারেনা। Aedes albopictus মশাও এই রোগ ছড়াতে পারে। এরা শীতপ্রধান অঞ্চলে টিকে থাকতে পারে। শুধু স্ত্রী মশা দিনের বেলা কামড়ায়। এরা একবারে একের অধিক ব্যক্তিকে কামড়াতে পছন্দ করে। একবার রক্ত খাওয়া শেষে ডিম পাড়ার পূর্বে তিন দিনের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।এদের ডিমগুলো পানিতে এক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।অল্প পরিমাণ জমে থাকা পানিও ডিম পরিস্ফুটনের জন্য যথেষ্ট।জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে কামড়ালে উক্ত মশাও ভাইরাসে আক্রান্ত হবে।জিকা ভাইরাস শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়াচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি আমেরিকাতে এরকম ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

এই রোগের কোন ওষুধ বা টীকা নেই। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে যেন পানিশূন্যতা না হয়। ব্যথা এবং জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে।তবে অ্যাসপিরিন ও অন্যান্য NSAID যেমন আইবুপ্রফেন, ন্যাপ্রক্সেন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এতে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ে।তাছাড়া ভাইরাসে আক্রান্ত বাচ্চাদেরকে জ্বর ও ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন খাওয়ালে রাই সিনড্রোম (Reye syndrome) হতে পারে এবং বাচ্চা মারা যেতে পারে। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম এক সপ্তাহ রোগীর রক্তে ভাইরাস থাকতে পারে তাই এই সময় রোগীকে যেন মশা না কামড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে,কারণ ওই ব্যক্তিকে কামড়ালে ভাইরাস মশার শরীরে প্রবেশ করবে এবং সেই মশা কোন সুস্থ্য ব্যক্তিকে কামড়ালে সে ব্যক্তিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। এডিস মশা সাধারণত বালতি, ফুলের টব, গাড়ীর টায়ার প্রভৃতিতে জমে থাকা পানিতে জন্মায় তাই সেগুলোতে যেন পানি না জমে থাকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া পুরা শরীর ঢেকে থাকে এমন কাপড় পরিধান করতে হবে, মশারির নিচে ঘুমাতে হবে। তাছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌনমিলন করা থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হচ্ছে

এইডস
এইডস বা অর্জিত প্রতিরক্ষার অভাবজনিত রোগলক্ষণসমষ্টি হচ্ছে এইচ.আই.ভি. HIV; পূর্ণরূপ: human immunodeficiency virus তথা মানব দেহে প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট একটি রোগলক্ষণসমষ্টি,যা মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বা প্রতিরক্ষা তথা অনাক্রম্যতা হ্রাস করে বা নষ্ট করে দেয়। এর ফলে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটাতে পারে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অর্থোমিক্সোভিরিডি ফ্যামিলির একটি ভাইরাস, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জন্য দায়ী। বিভিন্ন সময়ে এটা লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে। ১৯১৮ সাল থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে বিশ্বব্যাপি প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ভয়াবহ এই মহামারীকে তখন নাম দেয়া হয় স্প্যানিশ ফ্লু । তারপর বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে যা বিশ্বব্যাপি মানব মৃত্যুর কারণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। একই ভাইরাসের বিভিন্ন রূপ মানুষ, পাখি, শূকর প্রভৃতি জীব প্রজাতীকে নিজের পোষক রূপে ব্যবহার করতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সব চাইতে ভয়াবহ ক্ষমতা হচ্ছে নিজের পোষক পরিবর্তনের ক্ষমতা। নতুন পোষক প্রজাতীতে ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ব্যবস্থা না থাকায় সেটি দ্রুত শরীরে স্থান করে নেয়, প্রজাতীর অনান্য সদস্যদের আক্রান্ত করে এবং পোষকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে নিজেকে প্রতি|ষ্ঠিত করে।


পোলিওভাইরাস
১৮৪০ সালে জার্মান অর্থোপেডিক সার্জন জ্যাকব হেইন সর্বপ্রথম পোলিওমাইলিটিজ আবিষ্কার করেন। এর প্রধান উপাদান পোলিওভাইরাস জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত করেন কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার।হাজার হাজার বছর পূর্বে কয়েকটি নির্ধারিত এলাকায়
পোলিও বিরাজমান ছিল যা প্রাচীন চিত্রকর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। ঊনবিংশ শতকের শেষার্ধ্বে ইউরোপ ও পরবর্তীকালে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে পোলিও মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। বিংশ শতকে এসে এই রোগটিকে শিশুদের প্রধান ভয়ানক রোগের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯১০ সালের মধ্যে বিশ্বে নাটকীয়ভাবে পোলিও আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং মহামারী নিয়মিতভাবে সংঘটিত হতো। বিশেষ করে শহরে গ্রীষ্মকালে এই রোগ দেখা দিতো বেশি। এই রোগে হাজারো শিশু ও কিশোরদেরকে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হতো। ফলে পোলিও টিকা আবিষ্কারের দিকে সকলেই ঝুকতে থাকেন। ১৯৫০-এর দশকে পোলিও টিকা আবিষ্কার হলে আক্রান্তের সংখ্যা হাজারে একজন এসে দাঁড়ায়।

পোলিও টিকা খাওয়ানোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রধানত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ কার্যক্রমের সাথে জড়িত।সংস্থাটি টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করায় বিশ্বের প্রায় সকল দেশ থেকে পোলিও নির্মূল করতে সক্ষমতা দেখিয়েছে। ১৯৮৮ সালে যেখানে বিশ্বব্যাপী প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ রোগী ছিল সেখানে ২০০৭ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ১,৬৫২। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাশাপাশি রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, ইউনিসেফ টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করে বিশ্ব থেকে এ রোগ নির্মুলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে সিরিয়ায় এই ধরনের রোগীর সন্ধান পাওয়ায় তাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

ডেঙ্গু ভাইরাস
ডেঙ্গু ভাইরাস বা ডেঙ্গি ভাইরাস হলো ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবার এবং ফ্ল্যাভিভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত মশা বাহিত এক সূত্রক আরএনএ RNA ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এই ভাইরাসের পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া গিয়েছে। যাদের প্রত্যেকেই পূর্ণরূপে রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। এডিস ইজিপ্টি মশা A. aegypti এই ভাইরাসের বাহক। একই মশা ইয়েলো ফিভার ভাইরাস, জিকা ভাইরাস, চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও বাহক।
তথ্যসূত্র; ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ডেংগু কি আমাদের জাতীয় ভাইরাস?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সরি ওস্তাদ ডে: মেলেরিয়া,গুটি বসন্ত, আরো কিছু মিশিং ওগুলো অ্যাড করে দিবো।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: জ্ঞানগর্ভ আলোচনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বিশ্বাস সব রোগের ওষুধ বের হবে। হয়েছে।
মানুষের চেয়ে ক্ষমতাবান কেউ না। ভাইরাস তো অতি সামান্য। তুচ্ছ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: তাতো বটে গুরু ভাই।
গুরুভাই আপনার আল্লার দোহায় লাগে কালকে সারাদিন গুরে গুরে ভোট কেন্দ্রগুলোর খবরাখবর জানান আমাদের।সাথে সকল বিচিত্র ফোটোগুলো শেয়ার করুন ।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সময়োপযোগী পোষ্ট।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

একাল-সেকাল বলেছেন:
পোলিওভাইরাস ছবিটায় সৃতিকাতর করে দিলেন।
১৯৮৫ সালে পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের অধীনে পরিচালিত টিকাদান কর্মসূচিতে সরকারী ক্যাম্পেইনের পোস্টারে দেখতাম/।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.