নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসে বাকরখানি

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১


বাকরখানি ময়দা দিয়ে তৈরি করা রুটি জাতীয় একটি বিশেষ খাবার । এটি বাংলাদেশের পুরান ঢাকাবাসীদের সকালের নাস্তার মেনুতে বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। ময়দার খামির থেকে রুটি বানিয়ে সেটা আবার মচমচে বা খাস্তা করে ভেজে বাকরখানি তৈরি করা হয়।

আপনি যেমন চাইবেন তেমনি পাবেন,ছোট বা বড় বিভিন্ন আকারের বাকরখানি পাওয়া যায় পুরান ঢাকায়। বাকরখানি তে সাধারণত ময়দার সাথে স্বাদবর্ধক আর কিছু দেওয়া হয়না। তবে চিনি দেওয়া বাকরখানিও একেবারে বিরল নয়।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাকরখানি রসালো এবং বেশ সুমিষ্ট। ঢাকার একসময়ের প্রসিদ্ধ রুটির মধ্যে অন্যতম ছিল এই বাকরখানি।এখনও পুরনো ঢাকার কোনো কোনো অঞ্চলে তৈরি হয় বাকরখানি। আর এই বাকরখানি শুখা' বা শুকনো নামে পরিচিত।বাকরখানির উৎপত্তি স্থান হল আফগানিস্তানে।আফগানিস্তান এবং রাশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় এর প্রচলন এখনো বিদ্যমান।ঢাকায় সর্বপ্রথম বাকরখানির দোকান গড়ে উঠেছিল লালবাগ।

বাংলাদেশে বাকরখানির প্রচলন নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন অভিমত ।তবে বাকরখানি রুটির নামের পেছনে আছে এক করুণ ইতিহাস। বিশেষজ্ঞদের মতে জমিদার আগা বাকের তথা আগা বাকির খাঁর নামানুসারে এই রুটির নাম দেয়া হয়েছে ।নবাব মুর্শিদ কুলী খাঁর দত্তক ছেলে ছিলেন জনাব আগা বাকের। প্রখর মেধার অধিকারী আগা বাকের যুদ্ধবিদ্যাতেও পারদর্শী ছিলেন। রাজধানী মুর্শিদাবাদের নর্তকী খনি বেগম এবং আগা বাকের দুইজন দুইজনার প্রেমে পড়েন। কিন্ত উজিরপুত্র নগর কোতোয়াল জয়নাল খান ছিল পথের কাঁটা, সে খনি বেগমকে প্রেম নিবেদন করলে তিনি জয়নাল খানকে প্রত্যাখান করেন। প্রত্যাখ্যাত হয়ে জয়নাল খনি বেগমের ক্ষতির চেষ্টা করে এবং খবর পেয়ে বাকের সেখানে যান এবং তলোয়ারবাজিতে জয়নালকে হারিয়ে দেন। অন্যদিকে জয়নালের দুই বন্ধু উজিরকে মিথ্যা খবর দেয় যে, বাকের জয়নালকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে। উজির ছেলের হত্যার বিচার চায়। নবাব মুর্শিদ কুলী খাঁ পুত্র বাকেরকে বাঘের খাঁচায় নিক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। অবশেষে বাকেরের হাতে মারা যায় বাঘ। ইতিমধ্যে জয়নালের মৃত্যুর মিথ্যা খবর ফাঁস হয়ে গেছে এবং সে জোর করে খনি বেগমকে ধরে নিয়ে যায় দক্ষিণ বঙ্গে। আর খনি বেগমকে উদ্ধার করতে যান বাকের । পিছু নেন উজির জাহান্দার খান। ছেলে জয়নাল খান বাকেরকে হত্যার চেস্টা করলে উজির নিজের ছেলেকে হত্যা করেন তলোয়ারের আঘাতে। সেই অবস্থাতে জয়নাল খনি বেগমকে তলোয়ারের আঘাতে হত্যা করে। বাকেরগজ্ঞে সমাধিস্থ করা হয় খনি বেগমকে। আর বাকের সবকিছু ত্যাগ করে রয়ে গেলেন প্রিয়তমার সমাধির কাছে দক্ষিণ বঙ্গে। বাকের খাঁর নামানুসারেই বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ তথা পটুয়াখালি-বরিশাল অঞ্চলের নাম হয় বাকেরগঞ্জ। ঐতিহ্য্যবাহী বাকরখানি রুটির নামের পেছনেও রয়েছে বাকের এবং খনির এই প্রেমের ইতিহাস।

অবশ্য নামকরণের ব্যাপারে অন্য আরেকটি তথ্য বা মতামত রয়েছে। সে অনুযায়ী মির্জা আগা বাকের ঢাকায় বাকরখানি রুটি প্রচলন করেন। তিনি বৃহত্তর বরিশালের জায়গীরদার ছিলেন। তার প্রেয়সী ছিল আরামবাগের নর্তকী খনি বেগম। তাদের মধ্যে গভীর প্রেম ছিল বলে কথিত আছে। পরবর্তীতে আগা বাকের ২য় মুর্শিদ কুলি খাঁর কন্যাকে বিয়ে করেন। কিন্তু খনি বেগমের স্মৃতি তিনি ভুলে যাননি । তার আবিস্কৃত এবং প্রিয় খাদ্য বিশেষভাবে তৈরি রুটির নাম তার প্রেমকাহিনীর উপর ভিত্তি করেই নামকরণ করা হয়েছিল বাকের-খনি রুটি । পরবর্তীতে এই নাম কিছুটা অপভ্রংশ হয়ে বাকরখানি নাম ধারণ করে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে বাখরখানির সৃষ্টি আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়। অনেকে আবার ধারণা করেন যে সিলেট জেলায়ও নাকি সর্বপ্রথম বাকরখানি তৈরী হয়েছিল।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাকরখানি আমার খুব প্রিয় খাবার। কিন্তু ঢাকার বাইরে থাকার কারণে খাওয়া হয় না। মফঃস্বলে বাকরখানি তৈরি হয় না।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বাহিরের দেশের কথা বলতে পারিনা,তবে এখন আমাদের দেশের অনেক অঞ্চলেই বাকরখানি তৈরি করা হয় ।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ! কি অসাধারন প্রেমোপাখ্যান

+++

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা ।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


অমর প্রেম, বাকরখানিতে লেপটে আছে!!!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আহ দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: তাতো বটেই ।

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাকেরখানি ভালো লাগে না, কাহিনীটাই বড়

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: তাতো হবেই ওস্তাদ,ঐতিহাসিক প্রেমকাহিনী বলে কথা ।

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: স্কুলের টিপেনর সময় খাওয়া হতো, সেই ৮৫ এ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমি খেতাম ৯৩তে ।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মুগ্ধকর লিখনী। শুভেচ্ছা ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: শুভকামনা জানাই আপনাকে ।

৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৭

সোহানী বলেছেন: বাকরখানি দিয়ে মিষ্টি বা জিলেপি কি খেয়েছেন!!!!!!!!!!! অসাধারন। পুরোন ঢাকায় এক সময় থাকার কারনে প্রায়ই খাওয়া হতো।

তবে এর পিছনের ইতিহাস জানা ছিল না। জেনে ভালো লাগছে...............

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু,আমি জিলাপি দিয়ে খাইনি তবে মিষ্টির সিরা দিয়ে খেয়েছি দারুন টেষ্ট ।আর মাঝে মধ্যে বা ঈদের সময় দুধ,চিনি দিয়ে
সেমাইয়ের মত রান্না করে খেয়েছি,খুব ভালো লাগে ।

৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: মাঝে মাঝে একটা আধটা খাই। মা পুরান ঢাকায় গেলে নিয়ে আসে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: খেতে কিন্তু বেশ লাগে ।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৮

ইলি বলেছেন: ২০০৪ সালে একবার সখ করে কিনে ছিলাম কিন্তু খেতেগিয়ে স্বাদ লাগেনি। তারপর আর কখনো কিনিনি বা খাইনি। ইতিহাস টা জানা ছিলোনা জানলাম। ধন্যবাদ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৪

হাসান রাজু বলেছেন: এটা সিলেটি বাকরখানি -


খেতে হালকা মিষ্টি । দেখতে পরটার মত। নরম, খুব সুন্দর একটা ফ্লেবার আসে, এটাই মনে হয় এর প্রধান বিশেষত্ব।

*** ঢাকার বাকরখানি দোকান গুলোর ৯০ ভাগ কারিগর হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার। এবং হবিগঞ্জ জেলার কোথাও বাকরখানির দোকান পাবেন না, বাকরখানি ও না।
*** বাকরখানি তৈরির একদম শেষ পর্যায়ে যখন বেক করার জন্য বিশেষ উনুনে দেয়া হয় তার আগে রুটির একপাশে পানি দিয়ে একটু ভিজিয়ে নিতে হয়। বেশির ভাগ কারিগর একই পানিতে বার বার হাত দিয়ে পানি নিতে নিতে এক সময় ওই পানি ময়লা করে ফেলে। এটা দেখলে খাওয়ার রুচি আর থাকে না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

(লাইলাবানু) বলেছেন: খুব ভালো লাগল বাখরখানির পিছনে প্রেমের ইতিহাসটা জেনে ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.