![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্বের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অনেক অঞ্চলকে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু মন্দার মাঝেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদেরে পেছনে ফেলে সামনে ছুটছে। কারণ বাংলাদেশিদের ক্রয়ক্ষমতা রযেমন বেড়েছে, তেমনি তাদের জীবনের মানে দৃষ্টিগ্রাহ্য উন্নয়ন শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।
ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর সিনিয়র লেকচারার রিজওয়ান শরীফ, বলেন, “বিশ বছর আগে ঢাকায় একটি মানসম্মত শার্ট কেনা এতোটা সহজ ছিল না। মাত্র অল্প কয়েকটি নামিদামি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে এসব পাওয়া যেতো কালেভদ্রে।”
অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ভোক্তাদের ভোগ। ২০১২ সালে প্রবৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক পাঁচ কমে গেলেও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয়দের একটি হিসেবে রয়ে গেছে। পরিসংখ্যান মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের অনেক নিম্ন-আয়ের মানুষ তাদের উপার্জন দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে রীতিমতো হিমশিম খায়।
রিজওয়ান শরীফ, বলেন, “এখন, অসংখ্য ফ্যাশন হাউজের উপস্থিতির কারণে, আপনি রাজধানী সব জায়গায় ভালো মানের পোশাক সামগ্রী পেতে পারেন। এটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ার কারণে৷মানসম্মত শার্টের ব্যাপক লভ্যতা হলো একটি বিকাশমান অর্থনীতিরঅনেকগুলো ইতিবাচক চিহ্নের মধ্যে একটি।”
তিনি আরো বলেন “অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে, আপনি বেশিরভাগ মানুষের হাতে সর্বাধুনিক মোবাইল হ্যান্ডসেট, ট্যাবলেট ও অন্যান্য সরঞ্জাম দেখতে পাবেন৷” তার মতে, বাজারের অবস্থা “বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত দেশের মতই৷”
খিলগাঁওয়ের প্রবীণ ব্যবসায়ী জামাল মির্জা বলেন, “গলির মোড়ে মোড়ে আজ ফলের দোকান দেখা যায়। দুই দশক আগেও এটা কল্পনা করা যেতো না। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। “
পরিসংখ্যানও বলছে, প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার অনেক প্রতিবেশীকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জাতিসংঘের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে কেবল শ্রীলংকার পেছনে থাকলেও ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ইরানের অর্থনীতির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের এই প্রবৃদ্ধি আগামী দুই বছর অব্যাহত থাকবে বলে এই গবেষণায় প্রত্যাশা করা হয়েছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়, প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে এলেও এটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারি বিশ্বের সাতটি শহরে উন্মোচিত জাতিসংঘের বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থান ও সম্ভাবনা (ডবলিউইএসপি) ২০১৩ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে
ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ৫ শতাংশে উন্নীত হবে, এবং ২০১৪ সালে তা ৫.৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের ভিত্তি ছিল বেসরকারি বিনোয়োগ ও ভোগের ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি এবং বিদেশ থেকে পাঠানো শ্রমিকদের রেমিটেন্সের নিয়মিত প্রবাহ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ নামক একটি স্বতন্ত্র থিংক ট্যাংকের গবেষণা পরিচালক জাইদ বখতের মতে, কৃষি উৎপাদনে ঘাটতি, জ্বালানির খরচ সমন্বয় এবং উচ্চ আয়ের ভোক্তাদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে।
কিন্তু সার্বিকভাবে, সব ধরনের আয়ের মানুষের অর্থনৈতিক চিত্র উজ্জ্বল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, “অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পূর্ণভাবে গরীবদের অনুকূলে কারণ এটি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়িয়ে দারিদ্র্য হ্রাস করছে৷
লিংক দেখতে ক্লিক করুন
©somewhere in net ltd.