![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসাদুজ্জামান লিটন, সাংবাদিকতা ভালোবাসি আর ভালোবাসা থেকে একটু শিখছি ও করার জন্য চেষ্টা করছি।
২৮ ঘণ্টা উত্তরা শহর ছিল প্রাণহীন
রাজধানী ঢাকা উত্তরা শহরের বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল কেন্দ্রে আগুন লাগার কারণে উত্তরা সহ উত্তরখান,দক্ষিনখান এলাকা গুলি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে । এলাকাবাসী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চরম দুর্ভোগে নাকা বন্দী
গত ১১ই এপ্রিল ২০১৭ইং সাল রোজ মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক সময় কিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটের দিকে ১১নং সেক্টরে উত্তরার মূল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পাওয়ার জেনারেশন গ্রিডে সর্ট-সার্কিটের কারণে আগুন লাগে । ফলে উত্তরা গ্রিডের বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায় এবং উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিনখান এলাকা গুলির বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায় ।যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে নিশ্চিত করেন বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের বিদ্যুৎ বিভ্রাট সংক্রান্ত অভিযোগের উত্তরা কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বে থাকা মোঃ তুফান ।
শহরে বা গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি এলাকায় অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ থাকার ফলে প্রতিটি মানুষই বিদ্যুৎ নির্ভর হয়ে পড়েছে ।বিদ্যুৎ হীন জীবন ভাবাই যায় না ।আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রিক হওয়ার এক মাত্র কারণ হচ্ছে আমাদের নিত্য দিন ব্যবহার্য প্রতিটি জিনিশ পত্রই বিদ্যুৎ শক্তিতে চালিত ।কোন কারণে যদি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের ব্যবহার্য প্রতিটি জিনিশ হয়ে যায় প্রাণহীন সাথে আমরা পড়ে যাই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে যা অপূরণীয় ।বিদ্যুৎ কেন্দ্রিক নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব কিছুতেই বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম ।
শহর বা গ্রাম প্রতিটি ঘরেই বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহার্য ফ্রিজ ,টিভি, সিডি, ভিসিডি ,মোবাইল কম্পিউটার ,ফ্যান, লাইট, এয়ার-কন্ডিশনার,পানির পাম্প সহ বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রনিক্স জাতীয় জিনিশ পত্র দেখা যায় যার প্রতিটি জিনিশ পত্রই বিদ্যুৎ ছাড়া মূল্য হীন অকেজো জড় পদার্থ ।
চৈত্রের প্রচণ্ড খরতাপে এমনিতেই অনিষ্ট জনজীবন তার মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকার ফলে জনজীবনে সৃষ্টি হয়েছে চরম দুর্ভোগ।এলাকার প্রতিটি বাসিন্দাই হয়ে আছে নাকা বন্দী ।বিদ্যুৎ না থাকায় আলোর অভাবে পড়তে পারছে না শিক্ষার্থীরা ।গরমে প্রশান্তি দেওয়ার বৈদ্যুতিক ফ্যানের পাখা বা ইয়ার কন্ডিশনার কাজ করে না বিদ্যুৎ ছাড়া ।ফলে বিদ্যুতের কারণে সৃষ্টি হওয়া জন-দুর্ভোগে এলাকার প্রায়ই ঘরে ঘরে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পরিবারের কেউনা কেউ । এর ভিতরে সবচাইতে বেশি প্রভাব বিস্তার করছে শিশু ও বৃদ্ধ বয়স্ক অসুস্থ ব্যক্তিদের উপর, এছাড়া ঝুঁকির মধ্যে আছে হিট-স্ট্রোকের রুগীরা ।
২৮ ঘণ্টার পার হবার পরও সমস্যার সমাধান হয় নাই উত্তরা ১১নং সেক্টরে মূল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পাওয়ার জেনারেশন গ্রিডের ।এদিকে পচতে শুরু করেছে ঘরে ও বাইরে মজুদ রাখা মাছ,মাংস,তরিতরকারি ইদ্যাদী পচনশীল দ্রব্যাদি ।গত কাল থেকেই ৩০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ স্থায়ী হয় আবার চলে যায় ।বিদ্যুৎ আসা যাওয়া বিভ্রাটের মধ্য দিয়েই প্রতিটি যন্ত্রণাদায়ক ও কষ্টের মূহুর্ত্গুলি পার করছে উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিনখান এলাকার বাসিন্দারা । এই বিষয়ে জোরালো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা ।
উত্তরা ১১ নং সেক্টরের মূল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পাওয়ার জেনারেশন গ্রিডের সমস্যা সমাধান হতে আগামীকাল সকাল হবে অর্থাৎ ১৩ই এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার ।সমস্যা সমাধানের পর ক্রমান্বয়ে ধাপে ধাপে প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারহ করা হবে বলে জরিয়েছেন বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বে থাকা ইমরান রহমান ।
পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে উত্তরা ১১ নং সেক্টরের মূল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পাওয়ার জেনারেশন গ্রিডের সমস্যা সমাধান হয় এবং এলাকা বাসির জনমনে সস্থী ফিরে আসে ।
মোঃআসাদুজ্জামান লিটন
উত্তরা,দক্ষিনখান,ঢাকা ।
১৩/০৪/২০১৭ ইং
©somewhere in net ltd.