নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজীব

মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন....

রাজীব

যারে ঘর দিলা সংসার দিলা রে, তারে বৈরাগী মন কেন দিলা রে....

রাজীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

করিমন, নাসিমন, ভটভটি নেই কোন উন্নতি....... রিপোস্ট

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬

অনেকদিন আগের একটি লেখা রিপোস্ট করলাম। কারন আজকের দিনের ব্যাটারী রিক্সার ব্যাপারেও এই একই কথা বলা যায়।

করিমন, নাসিমন, ভটভটি নেই কোন উন্নতি.......
০৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:২৮


করিমন, নাসিমন, ভটভটি কোনটির ছাদ (উপরে ছাউনি) আছে কোনটির নেই। কোনটি মানুষ পরিবহন করে কোনটি মালামাল বহন করে। কিন্তু যে কয়টি ক্ষেত্রে সবগুলোর মিল রয়েছে সেগুলো হচ্ছে-

কমন গুনাগুন:
১) সবগুলোই অবৈধ পরিবহন
২) শ্যালো ইন্জিনের সাথে চাকা ও বডি যুক্ত করে এগুলো তৈরী করা হয়।
৩) সবগুলোই সম্পূর্ন দেশী পদ্ধতিতে ও দেশী প্রকৌশলীদের (মেকানিকস) তত্বাবধানে দেশেই তৈরী করা হয়

কমন কয়েকটি সমস্যাঃ
১) এগুলোর ব্রেক সিস্টেম ভালো না।
২) কন্ট্রোলিং সিস্টেম ভালো না।
৩) সাসপেনসন সিস্টেম ভালো মত তৈরী করা হয়নি।
৪) ব্যক লাইট, ইন্ডিকেটর লাইট ইত্যাদি নেই

কিছু সুবিধা:
১) টাকা খরচ করে সরকারের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নিতে হয় না!!
২) বছর বছর ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস আপডেট করতে হয় না !!
৩) চাকা বড় সাইজের হওয়ায় আমাদের দেশের ভাঙ্গা রাস্তায় এগুলো সহজে চলতে পারে।
৪) কম খরচে মালামাল ও মানুষ পরিবহন করতে পারে।

এরকম আরও অনেক অসুবিধা রয়েছে যা এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না (কেউ কয়েকটি যোগ করলে ভালো হয়।
এসমস্ত যানবাহনকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয় না। কারন ভেহিকেলের প্রপার গুনাগুনের অভাবে এগুলো সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারন হয়। তাছাড়া এসব যানবাহন চালানো ও এতে চড়া দুটোই নিরাপদতো নয়ই বরং অন্যের নিরাপত্তার প্রতিও হুমকী বটে। বিশেষ করে একই রাস্তা দিয়ে যখন ৮০ কিঃমিঃ বেগে বাস ও ৩০ কিঃমিঃ বেগে করিমন বা নাসিমন চলে তখন অসুবিধা হয়। তাছাড়া এগুলোর হেড লাউট মাঝখানে (অনেকটা মটর সাইকেলের মত) হওয়ায় রাতে এগুলোকে আলাদা করে চেনা দায় (অন্ধকারে একটি হেড লাইট দেখে মটর সাইকেল বলে মনে হয়)। ফলে বিভিন্ন একসিডেন্ট ঘটে। কখনো এরা একসিডেন্টের শিকার হয় কখনো এদের বাচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একসিডেন্ট হয় (পথচারী বা পথের পাশের দোকান যার শিকার হয়)

প্রশাসনের ভুমিকাঃ
প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে এগুলো চলাচল করলেও প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব। যেন তারা জানেই না যে ব্যাপারটি অবৈধ। প্রশাসন নীরব হলেও পুলিশ কিন্তু নীরব নয়। তারা নিয়োমিত এদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে থাকেন।


কি করা যেতে পারেঃ

আমাদের দেশে অনেকর ভালো প্রকৌশলী রয়েছেন । দেশে এখন জাহাজ পর্যন্ত তৈরী হচ্ছে। আমাদের দেশের প্রকৌশলীগন যদি এসব যানবাহনের ডিজাইন একটু সংশোধন করে অসুবিধাগুলো (ব্রেকিং সিস্টম ও কন্ট্রোল সিস্টেম ইত্যাদি) দুর করার ব্যবস্থা করেন তাহলে এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় বাহনে পরিনত হতে পারে। এখন এগুলো গ্রাম গন্জের ওয়ার্কশপে তৈরী হয়। ডিজাইন উন্নত করার পর এসব মানসম্পন্ন যানবাহন তৈরী করার জন্য ভালো ভালো কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে।

এটি হতে পারে আমাদের দেশে গাড়ি তৈরীর প্রথম ধাপ। যেহেতু গ্রামের ভাংগা রাস্তার জন্য বাহন গুলো উপযোগী সেহেতু সমস্যাগুলো দুর করে ডিজাইন উন্নত করা হলে তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য দেশে এটি রপ্তানীও হতে পারে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমি জুলাই মাসে ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম। সেখানে এ্কাধিক ব্যাটারী চালকের সাথে কথা বলেছি। সেখানে সিটি কর্পোরেশন থেকে ব্যাটারীওয়ালাদেরকে নম্বর প্লেট দেয়া হয়।

জট কমানোর জন্য নাকি কোন কোন দিন জোর নম্বরদেকে চালোতে বলে। আবার কোন কোন দিন বেজোর নম্বার। সেখানে আছে নানান রকম ২ নম্বরী কারবার।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

আহরণ বলেছেন: ভটভটি উন্নতির কাজ চলছে................. ভাইয়া?

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

প্রামানিক বলেছেন: যন্ত্রের আধুনিকতা না থাকলেও ভটভটির কারণেই এদেশের পরিবহন ব্যাবস্থা অনেক সহজ হয়েছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.