![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প লেখার নেশা আমার আশৈশব। মাধ্যমগুলো বদলে গেছে সময়ে সময়ে - কখনও গল্প, কখনও উপন্যাস, কখনও নাটক, কখনও চলচ্চিত্র কিংবা কখনও টিভি নাটক। যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন, একই কাজ করেছি - গল্প বলেছি। আমি আজন্ম গল্পকার - এক সাদামাটা গল্পকার। মুঠোফোন : ০১৯১২৫৭৭১৮৭. বৈদ্যুতিক চিঠি : [email protected]ফেসবুক : http://www.facebook.com/shajahanshamim.scriptwriterদৃষ্টি আকর্ষণ : আমার নিজের লেখা সাহিত্যকর্ম যেমন উপন্যাস ও নাটক - যা এই ব্লগে পোস্ট করেছি, তার সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া এসবের কিছুই কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।
উনার নাম মহি শেখ। জাতে আসামী। কাজেও আসামী।
উনি ব্যবসায়ী ছিলেন। আসামের জঙ্গলে কাঠ কাটতেন। প্রচুর কাঠ। তারপর বড় বড় কাঠের গুঁড়ি একত্রিত করে ভেলার মতো বানাতেন। ভাসিয়ে দিতেন বহ্মপুত্রের জলে। সেই ভেলায় চরে চলে আসতেন ভৈরব। যতদিন কাঠ বিক্রি না হত, তত দিন ভৈরবই থাকতেন। কাঠ বিক্রি শেষ হলে ফিরে যেতেন আসামে। এভাবে দেখা যেত বছরের ৬ মাস ভৈরবে এবং ৬ মাস আসামে কাটাতেন।
লোকটি যে বুদ্ধিমান ছিলেন, তার প্রমাণও পাওয়া যায়। তার ছিল দুটি পরিবার। একটি ভৈরবে, অন্যটি আসামে। ছয় মাস এইখানে মজা মারতেন, ছয় মাস ওই খানে মজা মারতেন।
আমার চাচার মুখে শুনেছি, আমার পরদাদার ভৈরবের স্ত্রী কখনই বিশ্বাস করেন নি, আসামে তার স্বামীর আরেকটি স্ত্রী আছে। বরং কেউ এ কথা বললে তিনি ভীষণ কান্নাকাটি করতেন। তবে আসাম থেকে কেউ এলে এ কথা রং চড়িয়ে বলে বেড়াত।
আমার এক সহকর্মীর ঘটনা বলি। তার বাবা মারা গেল। লোকটা ছিল রোড এন্ড হাইওয়েজের কন্ট্রাক্টর। বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কাজ করতেন। মারা যাওয়ার পর সহকর্মীকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য গেলাম। গিয়ে দেখি আরেক নাটক। কান্নাকাটি নয়, চলছে রাগারাগি। কারণ, খুলনা থেকে লোকটির আরেকটি পরিবার এসে হাজির। ওই পরিবারের লোকজন জানত না, তার আরেকটি পরিবার আছে। এই পরিবারও জানত না, তার আরেকটি পরিবার আছে। সামাজিকভাবে উভয় পরিবারের জন্য এটা ছিল ভীষণ লজ্জার। ফলে কান্নার রোল থেমে গেল। বরং আমি তাদের চেহারায় ক্ষোভ আর লজ্জার চিহ্ন দেখতে পেলাম। তবে আমার সহকর্মীর পরিবারের সবার মনে সন্দেহ ছিল ওই মহিলা ও তার সন্তানরা ভুয়া এবং তারা সম্পত্তির লোভে প্রতারণা করতে এসেছে। কিন্তু পরবর্তীতে জানা গেল, ওই মহিলার কোন সম্পত্তির প্রয়োজন নাই। কেননা, তার নিজের নামে খুলনায় বাড়ি গাড়ি আছে। তার স্বামী তাকে সব বন্দোবস্ত করে দিয়েই মরেছে।
আমার জানা মতে, এখনকার সভ্য দুনিয়ায় একমাত্র মুসলমানরাই বহু বিবাহ করে থাকে। চারটি বিয়ে করা সুন্নত বলা হয়ে থাকে। আমাদের রসুল ১৩টি বিয়ে করেছিলেন। রসুলকে অনুসরণ করা সুন্নত। সে হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের ১৩ টি বিয়ে করা উচিত। কিন্তু আমাদের জন্য সীমাবদ্ধ সেটি ৪ টিতে। কেন ৪ টি তার কোন উত্তর আমি কোন হুজুরের কাছে পাইনি।
তবে এই জঘন্য প্রথাটি মুসলমানদের ভয়াবহ ক্ষতি করছে সেটা নিশ্চিত। সেই স্ত্রীটির কথা ভাবুন, যার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছে। তার কাছে তার স্বামীর আরেকটি বিয়ের কি মানে দাঁড়ায় ? তার কাছে এর অর্থ হয় এ রকম -----
০১) তার স্বামী তাকে ভালোবাসে না। তাকে ভালোবাসলে তাকে ছেড়ে অন্য নারীর পেছনে পড়ত না।
০২) তার স্বামীকে সে বিছানায় মজা দিতে পারে না। যদি পারত, তবে তার স্বামী তাকে ছেড়ে অন্য নারীর কাছে যেত না।
০৩) তার নিজের প্রতি একটা ঘৃণা জন্মায়। নিজেকে ছোবড়ার মতো ফেলে দেয়া জিনিস মনে হয়।
০৪) যেই নারীটিকে তার স্বামী বিয়ে করে সেই নারীর প্রতি তার সুতীব্র ঈর্ষা জন্মে। তার স্বামীর ভণ্ডামির ফলে এক সময় ধারণা হয়, তার স্বামী ভাল, ওই ছিনাল মাগী তার স্বামীর মাথাটা খেয়েছে।
সতীনের সাথে সতীনে সম্পর্ক ভালো এক রকম কখনও দেখিনি। বরং তাদের মধ্যে চিরস্থায়ী শত্রুতা । এই শত্রুতার জন্য দায়ী একটি পুরুষের মজা মারার নোংরা লোভ। কিন্তু তার ফল ভোগ করতে হয় নারীকে। তাদের চিরন্তন এই শত্রুতা তাদের সন্তানদের মধ্যে গড়ায়। সৎ ভাই বোন মানে জন্ম থেকেই শত্রু । তারা জন্ম নেয়ার আগেই তাদের চিরশত্রু জন্ম নিয়ে বসে আছে।
যখন তাদের বাবা মারা যায়, সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয় খাবলাখাবলি। কে কাকে ঠকাবে, সেই প্রতিযোগিতা শুরু। এই খাবলাখাবলিতে তাদের মায়েরা ইন্ধন দেয়। মারামারি, ঝগড়া, খুনাখুনি, মামলা মোকদ্দমা ইত্যাদিতে সেই পরিবারের যা কিছু সম্পত্তি থাকে, তা শেষ হয়ে যায়। লাভ হয় কিছু টাউট বাটপারের। তারা পেছন থেকে ইন্ধন দিয়ে ইচ্ছামতো লুটেপুটে খায়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে যত মামলা আছে, তার বেশির ভাগই জমিজমা বাটোয়ারা ও উত্তরাধিকার সংক্রান্ত । বহু বিবাহ আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অশিক্ষা, কুশিক্ষা, দারিদ্র ও জনসংখ্যার ভয়াবহ বিস্ফোরণের অন্যতম কারণ এই বহু বিবাহ। বহু বিবাহ পরিবারের শান্তি নষ্ট করে, চিরস্থায়ী শত্রুতা তৈরি করে, সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মামলা মোকদ্দমার সংখ্যা বাড়ায়। এবং সম্পত্তি যদি সহি বণ্টনও হয়, সেই সম্পত্তি সব ভাই বোনদের মধ্যে ভাগাভাগি করে এত কম হয় যে, সেটা আর কোন কাজে লাগানো যায় না। ফলে বাবার অগাধ সম্পত্তি থাকলেও পরবর্তী প্রজন্ম তার থেকে সুফল পায় না।
সোজা কথা, ইসলামের নাম দিয়ে এই ডাবল মজা, ট্রিপল মজা বন্ধ হোক। আইন করে চিরতরে নিষিদ্ধ করে দেয়া হোক। যারা এই কাজ করবে, তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। কোন সভ্য মানুষ একই সাথে একের অধিক স্ত্রী রাখতে পারে না। এটি একটি জঘন্য বর্বর প্রথা। আমাদের মতো দরিদ্র দেশে যেখানে অর্থের অভাবে লাখ লাখ মানুষ জীবনে কোন সাধ আহলাদ পূরণ করতে পারে না, শিক্ষার আলো পৌঁছে না লক্ষ কোটি মানুষের ঘরে, লক্ষ কোটি বেকার দুর্বিষহ জীবন কাটায়, সেখানে বহু বিবাহ শুধু অমানবিক নয়, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এবং জাতির প্রতি চরম দায়িত্বহীনতা।
একজন খাঁটি মুসলমান যদি এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে পারে, তবে কেন এক স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে পারবে না ?
০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যেই লোক এক স্ত্রীর কাছে কাজে গোপন করে আরেকটি বিয়ে করে সে কি আসামী নয়। প্রথম আসামী আসামের লোক বলে। পরের আসামী প্রতারণামূলকভাবে বিয়ে করার জন্য।
বড় ধর্মগুলোর মধ্যে একমাত্র মূসলমানদের মধ্যেই বহু বিবাহ আছে বলে আমি জানি।
২| ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৪১
অগ্নির বলেছেন: আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ শামীম ভাই, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যার ওপর আলোকপাতের জন্য।
"কেন ৪টি তার কোন উত্তর আমি কোন হুজুরের কাছে পাইনি। " ------
পাবেন না। কারণ এর গোড়ায় গেলে বের হয়ে আসবে এক ভয়াবহ সত্য। ইসলামের নামে যে আইনগুলো প্রচারিত হয় তা আসলে কোরানবিরোধী। কোন হুজুর কোনদিনও এসব বিষয় নিয়ে দলিলপত্র নিয়ে আলোচনায় বসবেনা। বরং এই কথা বলতে গেলে আপনি খুন হয়ে যাবেন।
০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: খুন হতে আপাতত চাই না।
৩| ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৪৭
অগ্নির বলেছেন: @ক্যামেরাম্যান ভাইয়া, লোকটির কারবারের জন্যই তাকে আসামী বলা হচ্ছে। এই আসামী মানে অপরাধী।
৪| ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৫৪
হাসতে হাসতে পরে গেলাম বলেছেন: (চারটি বিয়ে করা সুন্নত বলা হয়ে থাকে। আমাদের রসুল ১৩টি বিয়ে করেছিলেন। রসুলকে অনুসরণ করা সুন্নত। সে হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের ১৩টি বিয়ে করা উচিত। কিন্তু আমাদের জন্য সীমাবদ্ধ সেটি ৪টিতে। কেন ৪টি তার কোন উত্তর আমি কোন হুজুরের কাছে পাইনি। )
এই অংশে ধর্মকে হেয় করার উদ্দেশ্যে লেখা। চার বিয়ে সুন্নত এটা কোন হাদিসে প্রমানিত? সবৃ জন গৃহীত কোন অলেম বলেছেন?
আপনার কথা মতো তো বালির উপর দিয়ে হাটাও সুন্নতের মধৈ পরে।
ধর্ম একটা বিশ্বাসের বিষয়, এটা তর্কের উধ্বে। যুক্তি দিয়ে ধর্ম প্রমান রা যায় না। কারন পৃথিবীর সব যুক্তি এখনো সম্পূর্ন প্রকাশিত হয়ে পরিপূর্ন হয়ে যায় নাই।
সুতরাং অসম্পূর্ন যুক্তির সম্ভার দিয়ে সব কিছু প্রমান সম্ভব না।
সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু প্রমান হচ্ছে। সুতরাং অপেক্ষা করতে হবে।
কোপার্নিকাস বলেছিলেন সূর্য ঘোরে তাই তাকে মেরেফেলা হয়ে ছিল (সবাই মনে করত তিনি ভূল বলেছিলেন)। কিন্তু এখন সবাই জানে সেটাই সত্যি ছিল, তাকে মেরেফেলাটা ভূল ছিল।
সময়ের সাথে সাথে আপনিও পরিবর্তন হচ্ছেন। সুতরাং অপেক্ষা করেন, জানার চেষ্টা করেন।
একটু বলবেন কি কোন হুজুরের কাছে গিয়েছিলেন জানতে?
তবে সব সময় সর্বজনগ্রাহী সত্যিকারের বড় কোনো আলেমের কাছে জানতে যাবেন। রাস্তার যেন তেনো কারে কাছে জানতে গেলে আপনার মতই বালস্য ব্যাক্ষ্যা দিবে।
০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:০৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধর্মকে হেয় করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার উদ্দেশ্য অসঙ্গতিটি ধরিয়ে দেয়া। পৃথিবীর সব ধর্ম ও মতবাদের কোন না কোন অসঙ্গতি আছে এবং শেষ পর্যন্ত কোথাও কোথাও অসঙ্গতি হয়ে যায়। কোনটা প্রচলিত রেওয়াজের কারণে, কোনটা অনুসরণ করতে করতে।
৪ টি বিয়ে করা যে সুন্নত এ কথা ব্যাপকভাবে প্রচারিত, এটা গোপন কোন ব্যাপার না।
৫| ০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১১:২৭
রাজনীতি বলেছেন: আগামীকাল কি এই লেখাটা আপনার ন্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ হবে? ধন্যবাদ।
০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:১২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: না।
৬| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:১৪
হাসতে হাসতে পরে গেলাম বলেছেন: প্রচলিক কথা আর বাস্তব সঠিক কথা এক নয়।
"স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেসত" এটা ও বহুল প্রচলিত ভ্রান্ত একটা কথা।
আমি শিওর এই দুটি প্রচলিত কথার ধর্ম সম্মত না ভ্রান্ত ধারন এটা সম্পর্কে আপনার ভালই জানা আছে। আপনার মত এত সচেতন লোক এই সহজ বিষয়ের সত্য জানেনা এটা অবাক হাবার মতই ব্যাপার।
সুতরাং জেনেও না জানার ভাব নিচ্ছেন, শুধু ধর্মকে হেয় করার জন্য এটা দিবালোকের মত সত্য।
সবচে বড় কথা হলো, একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে কিচু শর্ত দেয়া হয়েছে, যেমন ১মে স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি হতে হবে স্বাধীন ও শর্ত বিহীন।
যে কর্ম শর্ত সাপেক্ষে থাকে সেটা কি শর্ত পূরন করে করাটা সঠিক পদ্বতি না ভূল পদ্বতি?
আপনি না জেনেই এই বিষয়টা নিয়ে লিখতে এসেছেন। বিষয়টা নিয়ে আগে একটু লেখাপড়া করুন তারপর বলতে আসুন। ইসলাম সম্পর্কে পূর্ন না জেনে সমালোচনা করতে আসবেন না। তথাকথিত প্রগতিশীল সাজার চেষ্ট না করাই ভাল। এই ধরনের কথা বার্তা বিভ্রান্তি ছড়ায়।
এই দেশে তো মানুষকে ফাসি দেয়া হয়। তার মানে কি এই দেশের কোনো মানুষের নিরাপত্তা নেই? কথা হলে ফাসিটা সবাইকে দেয়া হয় না কিছু শর্ত সাপেক্ষৈ দেয়া হয়ে থাকে। অর্থাত যারা ঐসকল শর্তের আওতায় পরে শুধু মাত্র তাদেরকেই দেয়া হয়।
নোকিয়া মোবাইলতো এক বছরের গ্যারন্টি দেয়া হয়। তবে সেটা শর্ত সাপেক্ষে। শর্ত মানলে আপনি নষ্ট মোবাইলের পরিবর্তে নতুন একটা মোবাইল পেতে পারেন। তার মানে এই না যে আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেললেই নতুন একটা পাবেন।
আশাকরি "শর্তসাপেক্ষে" কথাটা মানে আপনি ভালমতই বুঝেন। সেই ক্ষেত্রে আপনি শর্ত গুলো না খেয়াল করে বিষয়টার ভাল মন্দ নিয়ে আলোচনা করতে আসাটা কি মূর্খের মধ্যে পরে না?
একটা কথার ১ম লাইনটা পড়েই লাফঝাফ না করাটাই ভাল। সম্পূর্ন টা পড়ে এর মন্দ নিয়ে আলোচনা করতে আসুন।
একাধিক বিয়ের শর্ত যদি জেনে আলোচনা করতে আসেন, তা হলে বলতে হয়; যে স্ত্রী স্বাধীন ভাবে স্বামীকে বিয়ৈর অনুমতি দেয়, সেক্ষেত্রে সেই বিয়ে নিয়ে অন্য কেউ প্রশ্ন তোলাটা 'মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশী' হয়ে গেলো না?
আপনার স্ত্রী যদি আপনাকে গভীর রাত করে বাড়ী ফেরার অনুমতি দেয়া (অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ডাক্তার /সাংবাদিক ভায়েরা সারা রাত অফিসে কাজ করেন) সে ক্ষেত্রে অন্য কেউ প্রশ্নতোলাটা কি ঠিক?
=======================
একটু কঠিন ভাবে বললাম, মনে কষ্ট নিবেন না। আপনার মত অনেকেই এই ভূলটা করে থাকে। সবার উদ্দেশ্যেই কতা গুলো বলা।
০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৪১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনাকেও কঠিনভাবে একটা প্রশ্ন করি। আপনার বাবা যদি আপনার মাকে রেখে আরেকটি বিয়ে করে, আপনার কেমন লাগবে ? আপনি কি সহজভাবে মেনে নেবেন ?
যাক গে, অন্য প্রসঙ্গে আসি। এটিএন বাংলায় মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। উনি বলেছেন, যদি কোন মুসলমান মনে করে সে একাধিক স্ত্রীকে সমান মর্যাদা দিতে পারবে, তবে সে একাধিক বিয়ে করতে পারে। তবে সেটা হবে সর্বোচ্চ ৪টি। মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে কি আপনি যথেষ্ঠ আলেম মনে করেন ?
এখন আপনার প্রতি আরও কয়েকটা কঠিন প্রশ্ন।
০১) আপনার পরিচিত সকল মহিলাকে জিজ্ঞেস করুন, তারা তাদের স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে সম্মতি দেবেন কি না। আপনার মা, বোন, স্ত্রী কেউ সম্মতি দেবেন না। আমি এ পর্যন্ত কোন মহিলার কাছে হ্যাবোধক উত্তর পাইনি। সেক্ষেত্রে কোন মহিলার সম্মতি নেয়ার ব্যপারটি আসলে জবরদস্তি। তাই নয় কি ?
০২) বহু বিবাহের কী কী সুফল আছে ? দয়া করে বলবেন কি ?
০৩) আপনার বোনের স্বামী যদি দ্বিতীয় বিয়ে করে তবে আপনি কি সহজে মেনে নেবেন ?
০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৪৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনাকে কিছু কঠিন প্রশ্ন করার জন্য আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি আপনাকে আঘাত করার জন্য এসব প্রশ্ন করিনি। আসলে বিষয়টি আমি বুঝতে চাই।
৭| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ২:৫৭
হীরক রাজা বলেছেন: @হাসতে হাসতে পরে গেলাম...............বানান ভুল আছে।
পরে
ব্যাক্ষ্যা
৮| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫
ফারুক৫৫ বলেছেন: "উনি বলেছেন, যদি কোন মুসলমান মনে করে সে একাধিক স্ত্রীকে সমান মর্যাদা দিতে পারবে, তবে সে একাধিক বিয়ে করতে পারে।"
আপনার কি ধারনা সমান মর্যাদা দেয়া সম্ভব? কোরানে আল্লাহ বলেছেন , তোমরা সমান মর্যাদা দিতে পারবেনা। এখন আপনি সমান মর্যাদা দিতে পারবেন না , কিন্তু একাধিক বিয়ে করবেন , ইসলামের নির্দেশ উপেক্ষা করে। এখানে ইসলামের দোষ কোথায়? দোষ যদি কেউ করে , তো তিনিই , যিনি একাধিক বিয়ে করছেন ইসলামের নির্দেশ উপেক্ষা করে , তা সে আপনার বাবা চাচা বা দাদাই হোন।
সকল বড় প্রচলিত ধর্মেই বহুবিবাহ সিদ্ধ। একমাত্র ইসলামেই নিয়ন্ত্রিত।
০৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি ধর্মের বিপক্ষে কিছু বলতে চাই না। আমি বহু বিবাহকে জঘন্য একটি প্রথা বলে মনে করি। সরাসরি মনে করি, এটা একটা জঘন্য নারী নির্যাতন। একজন নারীকে মানসিকভাবে দিনের পর দিন নির্যাতন। তাকে সমাজে হেয় করা। তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা।
আর বহু বিবাহের পিছনে প্রায়ই সময়ই একটি কারণ খুঁজে পাওয়া যায় -- সেটা হল পুরুষটির অবাধ যৌনক্ষুধা নিবারণ-- আর কিছু না। তার এই অবাধ যৌনক্ষুধার কাছে বলি হয় তার সংসার, তার স্ত্রী ও তার সন্তান।
৯| ০৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫০
ফারুক৫৫ বলেছেন: ইসলামকে নিয়ে অহেতুক নাড়াচাড়া করবেন না , করতে চাইলে ভালোমত জেনে নিয়ে করুন।
০৮ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এটা কি পরামর্শ না হুমকি ?
১০| ০৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:১১
হাসতে হাসতে পরে গেলাম বলেছেন: আইনগত অধিকার যার উপর যার তটুকু আছে, তার উপর আমি বা আপনি কি অধিকার ফলাতে পারি?
সেটা নিয়ে কি অন্য কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে?
আমার মায়ের উপর বাবার অধিকার বেশী না আমার? বা বোনের উপর আমার অধিকার বেশী না তার স্বামীর?
সুতরাং যে স্থানে মা কিংম্বা বোন খুশিমনে তার স্বামীকে ২য় বিয়ের সম্মতি দিতে পারে সেখানে আমার বলার কি আসে যায়? সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার আইন গত অধিকার কি ৩য় কারো আছে?
ধরা যাক আপনার বোনের স্বামী ডাক্তার যার বিভিন্ন সময় রাতের ডিওটি দিতে হয়।
আপনার বোন যদি তার স্বামীকে রাতে অফিস করার অনুমতি না দেয়, তখন আপনি কি সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন কেন সে তার স্বামীকে অধিক আয়ে জন্য বা ক্যারিয়ারের উন্নতির বাধা হয়ে রাতে অফিস করা থকে বিরত রাখে?
তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে এমন কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক না যাতে সে বিষয়ে দুই পক্ষের সম্মতি আছে?
আপনি কি বাবা মার অমতে প্রেমের/ নিজ পছন্দে বিয়েতে বিশ্বাসী?
চুড়াস্ত পর্যায়ে চেষ্টার পর বাবা-মা না চাইলেও উক্ত ছেলে-মেয়ের কি বিয়ে করা উচিৎ?
উত্তর যদি হ্যা হয় তাহলে একটু ব্যক্ষা করবেন কি কেন সেটা সাপোর্ট করেন?
বহু বিবাহের অপছন্দের বিষয়টা আপনার একন্ত ইচ্ছার বিষয়, যেটা প্রোয়োগ করতে গেলে অপর দুটি মানুষের ভেতরের অধিকর খর্ব হয়।
এখন কি করা উচিৎ? আপনার অপছন্দ বলবৎ করতে গিয়ে দুজনের উভয় সম্মতির ইচ্ছা বাদ দিতে হবে? তাদের নিজেদের অধিকার বাদ দিতে হবে?
তাহলে তো বলা যায়, আমি যে মেয়েটাকে ভালবাসি তাকে অন্য কোথাও বিয়ে না দিয়ে আমার সাথে দেয়া উচিৎ। যদিও সে আমাকে পছন্দ করে না। আমার পছন্দটাই বড় হওয়া উচিৎ?
হোক না সেটা যৌন ক্ষুধা, তাতে কি সেটাও তো একটা চাহিদা। তৃতীয় কারে অপছন্দের কারনে তিনি কেন বাদ দিবে? যেখানে উনি কাউকে না ঠকিয়ে সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিকে খুশি রেখে সেটা করতে পারলে?
১০ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: খুশিমনে তার স্বামীকে ২য় বিয়ের সম্মতি - এই কথা শুনে ব্যাপক মজা পাইলাম। নিজের স্বামীকে খুশি মনে কোন মেয়ে দ্বিতীয় বিয়ের সম্মতি দেয় এই কথা জানা হল। ধন্যবাদ এই নতুন তথ্যের জন্য।
অপ্রাসঙ্গিক এতগুলো উদাহরণ না দিলেও চলত।
১১| ১০ ই মে, ২০০৯ ভোর ৫:৪১
ফারুক৫৫ বলেছেন: আপনার মাথায় হুমকির কথা আসলো কেনো? এমন কি কিছু ছিল আমার মন্তব্যে , যা থেকে মনে হতে পারে এটা হুমকি। নাকি আপনি নিজের দিকে হুমকি আকর্শন করতে চান?
১০ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমার লেখায় একটা শব্দ ইসলামবিরোধী নেই। তাহলে ইসলামকে নিয়ে অহেতুক নাড়াচাড়া করবেন না , করতে চাইলে ভালোমত জেনে নিয়ে করুন - এই উপদেশ কি আমার জন্য প্রযোজ্য হতে পারে ? আপনি ইসলাম সম্পর্কে জানার কথা বলেছেন। ঠিক আছে, কিছু বইয়ের তালিকা দেন, পড়াশোনা করি। তারপর আবারও কথা হবে।
১২| ১২ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৪৩
ফারুক৫৫ বলেছেন: ইসলাম সম্পর্কে জানতে হলে , কোরান মানে সহকারে পড়ুন। আর কিছুর দরকার নেই।
১২ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এইটা কী বললেন, আমি তো জানি ইসলাম যে কোন বিষয় সম্পর্কে চারটি দলিলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। সে চারটি দলিলগুলো হচ্ছে -
০১) কোরআন
০২) হাদীস
০৩) ইজমা
০৪) কিয়াস
আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমার কাছে কোরআনের দু'টি অনুবাদ গ্রন্থ আছে। গিরিশচন্দ্র সেনের কেবল বাংলা অনুবাদও আছে।
হাদীসের মধ্যে বোখারী শরীফ আছে। মেশকাত শরীফ আছে। সুতরাং শুধু কোরআন পড়া দরকার, আর কিছুর দরকার নাই - কথাটা আমার মনে খটকা তৈরি করল।
একটা কথা পরিষ্কার বলে দেই, আমি ধর্মের বিরুদ্ধে বলি নাই। আমি বলেছি বহু বিবাহের বিরুদ্ধে। বহু বিবাহ একটি জঘন্য প্রথা সেটা বলেছি। সেটা আমাদের আর্থ সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে ভয়াবহ অনিশ্চয়তা ও সংঘাত তৈরি করে, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি মাত্র।
দুর্ভাগ্যক্রমে সেটা অনেকের বিপক্ষে গেছে।
১৩| ১৩ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৪৬
ফারুক৫৫ বলেছেন: কোরান আল্লাহর বাণী, বাকি গুলো মনুষ্যরচিত। সুতরাং ইসলাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে কোরানের বিকল্প নেই। মনুষ্যরচিত কিতাবের অনুসরনের ফলেই মুসলমানদের মধ্যে এত ভাগ এবং এই বিভক্তিকে কোরানে কঠোরভাবে নিষেধ করা হইয়াছে।
১৪ ই মে, ২০০৯ সকাল ১০:১৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: হাদিসকে উড়িয়ে দিচ্ছেন নাকি ? আর ইজমা কিয়াস ?
১৪| ১৪ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৪৫
ফারুক৫৫ বলেছেন: অবশ্যই।
১৫| ১৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:০৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: লেখাটা দারুণ হয়েছে।+
অনেকেই অন্যভাবে ধরেছে, কিন্তু আমি বুঝেছি আপনার পোস্টটা নষ্টামীর বিরুদ্ধে, ধর্মের বিপক্ষে না।
ধর্মের ব্যাপারে হলে,
তবে, এসব ব্যাপার ব্যাখ্যার একটা দিক আছে। আলাদা পোস্ট দিলে ক্যাচাল হবে, তাই দিছি না। কারণ, ওখানে চরমপন্থী(২ পক্ষই)দের হাতে গালি খেয়ে বারোটা বাজবে। আশা করি, আপনার পোস্টে দিলে এমন ক্যাচাল বাঁধবে না।(আবার হয়ত দিতেও পারি।)
ইসলাম ধর্মে কাউকে বহু বিবাহে জোর করা হয় নি। এটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে একেবারেই উপায় থাকেনা। মানে, ধরেন, একটা জলোচ্ছ্বাসে একটা গ্রামের অনেক ক্ষতি হল। কয়টা ছেলে মারা যাবে আর কয়টা মেয়ে মারা যাবে?
হাসবেন না,কিন্তু ছেলেরাই মরবে বেশি, কারণ নদীতে অনেক ছেলে তখন মাছ ধরছিল।ওরা আগে মরবে। অনেক মেয়ে বিধবা হবে।
বিধবা সেই মেয়েকে যদি এখন বিয়ে দেয়া হয়, অথচ অবিবাহিত ছেলে না পাওয়া যায়, কোন মেয়ে যদি রাজী হয়(হতে পারে তারা২ বোন বা ভাল সম্পর্ক বা মানবতা) তখন সেই বিধবা মেয়েটাকে কেউ বিয়ে করতে চাইলে সেই সিস্টেমটা থাকা উচিত।
আমার পরিচিত কোন মেয়ে তার স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে দিতে রাজীও হবে না। আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, এরপরেও কিছু কিছু পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে যায়। সেই এলাকার বিধবা মেয়েদের কে খাওয়াবে আপনিই বলেন। এজন্যই যে বহুবিবাহ করবে, তার যথেষ্ট সম্পদ থাকতে হবে, অর্থাৎ দুই বউকে পালার ক্ষমতা থাকার কথা বলা হয়েছে। এই কারণেই।
এখন বলতে পারেন, সেই গ্রামে অবিবাহিত মেয়েদেরকে অন্য গ্রামের ছেলেদের সাথে বিয়ে দিলেই হয়। তাহলেও একটা সমস্যা থাকে। মেয়েটার বাবা যদি ওই দুর্যোগে মারা যায়, বৃদ্ধা মা কে শশুর বাড়ি মেয়াটা অনেকে পছন্দ নাও করতে পারে। এর চেয়ে এক গ্রামে থাকাটাও ভাল না?সেক্ষেত্রেও অনুমতি পেলে ওই এলাকার কেউ বহু বিবাহ করতে পারে।
আবার ধরেন যুদ্ধে হাজার সৈনিক মারা গেল। সেখানে কী হবে? মেয়েরা কোথায় যাবে?
সবচেয়ে বড়ো কথা, অন্যান্য ক্ষেত্রে কী হয়?
সবাই বিয়ে করে একটাই, আবার কী না পরকীয়া করে। মেয়েদের প্রতারিত করে।আমরা জানিনা, বলি ওরা ভাল। বহু বিবাহের সিস্টেম নাই।
কিন্তু, ঘটনা ওই একই হচ্ছে।
কিন্তু, যদি এদের বিয়ে হত তাহলে????? তাহলে ওই মেয়েটাও অন্তত, স্বামীর মৃত্যুর পরে অন্তত সম্পত্তির অংশ দাবী করতে পারত। একটা দাবী থাকত।
এসব কারণেই আসলে ইসলামে বহুবিবাহের সিস্টেম রাখা হয়েছে। মেয়েটার অধিকারের জন্যই। যদি বা সে প্রতারিত হয়, তাও যেন ঐ ছেলের মরার পরেও ঐ ছেলের উপর তার দাবী থাকে। কাবিন নামা দেখিয়ে যেন প্রমাণ করা যায়।
আশা করি ব্যাপারটা বুঝেছেন।
এই সিস্টেম নষ্টামীর জন্য রাখা হয়নি, বিশেষ পরিস্থিতির জন্য রাখা হয়েছে।
এখন, কেউ যদি নষ্টামীর জন্য দুই বিয়ে করে, বিছানায় ফ্যান্টাসীর জন্য করে তাহলে তাকে একোটা গদাম লাত্থি দেয়া ছাড়া করার কিছু নাই।
ছুরি দিয়ে ফলও কাঁটে, মানুষও মারে। দোষটা ছুরির না, যে চালায় তার। ভুল ঈমানে না, ভুল আমলনামায়।
১৭ ই মে, ২০০৯ দুপুর ২:৫১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বিশেষ পরিস্থিতির দোহায় দিয়া লাভ নাই। আমাদের সমাজে যারা বহু বিবাহ করে তারা বিশেষ পরিস্থিতিতে পড়ে করে না। তারা মজা লুটতেই করে। ইসলামের এই ফাঁকটা তারা ব্যবহার করে।
আর পরকীয়া সম্পর্কে যা বলেছেন, সেটা এই লেখায় অপ্রাসঙ্গিক। তবে পরকীয়া ব্যাপারটা পুরোপুরিই অবৈধ - ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন উভয় ক্ষেত্রেই।
১৬| ১৭ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৫
রেজওয়ান শুভ বলেছেন: যারা যারা এই পোস্টের বিরোধীতা করছেন তাদের উদ্দেশ্যে ..............
যে যে কারন দেখিয়ে একজন মুসলিম পুরুষ একাধিক বিয়ে করেন এবংএকসাথে একাধিক বউ নিয়ে বসবাস করেন সেই একই কারনে কি একজন মুসলিম নারী একাধিক বিয়ে করতে পারবেন অথবা একসাথে একাধিক স্বামী নিয়ে বসবাস করতে পারবেন ???
একজন পুরুষ অক্ষম হতেই পারেন .. আপনারা কয়জন নারীকে দেখেছেন স্বামীর অক্ষমতার দোহাই দিয়ে একাধিক পুরুষের সাথে একসাথে সংসার করতে ???
কোন একজন সাহাবার কথা শুনসি উনি একসাথে ১১ জন স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করতেন । সাহাবা কতো মজা পাইতেন সেই কথা পরে , ওই ১১ জন মহিলার উপর দিয়ে কি যেত তা কি আপনারা একবার ও চিন্তা করেছেন ?? কেন তারা এই গুলি সহ্য করত ?? "স্বামী" তাদের ভাত-কাপড় দেয় এই কারনে ?? নাকি "স্বামী"র কথা না শুনলে আল্লাহ গুনাহ দিবে এই কারনে ?? ওরা কি রক্ষিতার চেয়ে বাল জীবন যাপন করেছে ?? ইসলামের কোথায় লেখা আছে তোমরা তোমাদের বিয়ে করা বউরে "রক্ষিতা" হিসেবে Treat করো ??
বেহুদা কথা বইলা লাভ নাই .... পশ্চিমারা Bloody Muslim বইলা যে গালিটার প্রচলন করসে তার পুরা দোষ কি ওদের ?? আমরা যারা ধর্মীয় কায়দায় ব্যাভিচার শুরু করসি বা সমর্থন দিসি , দোষ কি তাদের উপর একটু ও বর্তায় না ??
১৮ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বহু বিবাহ মানে একজন নারীকে অপমান করা। একজন নারীর প্রতি অবজ্ঞা করা। একজন নারীকে ভোগের সামগ্রী করে তোলা।
কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে ভালোবাসলে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে না। একই কথা পরকীয়া প্রেমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
১৭| ১৭ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৫৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিশেষ পরিস্থিতির দোহায় দিয়া লাভ নাই। আমাদের সমাজে যারা বহু বিবাহ করে তারা বিশেষ পরিস্থিতিতে পড়ে করে না। তারা মজা লুটতেই করে
ধর্ম শুধু আমাদের ব্লগারদের জন্যই ? বিশেষ পরিস্থিতির মানুষের জন্য কী ধর্ম না? সবখানে সবার কথাই ভাবতে হবে। এই সিস্টম না থাকলে সবাই বলত অমুক পরিস্থিতিতে ধর্মে সিস্টেম নাই।
যারা মজা লুটতে বিয়ে করে, দোষটা তাদেরই। ধর্মের না।
পরকীয়ার কথাটা আনলাম এ কারণে যে ধর্মের সিস্টেম দেখিয়ে কিছু বদমাঈশ বহু বিবাহ করে। কিন্তু, ধর্মে এই সিস্টেম না থাকলেও ওরা একই কাজ করত। ফলাফল একই হত। ধর্মে সিস্টেমটা থাকার কারণেই বরং, বিশেষ পরিস্থিতিতে একটা সুরাহা পাওয়া যায়।
@রেজওয়ান শুভ
কোন সাহাবা ভাই? রবীন্দ্রনাথের সময়ও মেয়েদের ছোট থাকতে বিয়ে দেয়া হত। উনাকে এখন বাংলাদেশের আইনে বিচার করলে হবে? সে সময়ে অন্য কারণ থাকলেও থাকতে পারে। ঠিক না?
কে কী করেছে, সেটা সেই সময়ের ব্যাপার। আমাদের জন্য কী সিস্টেম রাখা হল, কেন রাখা হল, যুক্তি তর্ক চলবে সেগুলো নিয়ে।
পশ্চিমা রা আমাদের কী বলবে? যাদের মনের মধ্যে ফাজলেমি, তাদের বহু বিবাহের সিস্টেম না থাকলেও পরকীয়া করে। যে বদমাঈশ, তাকে কিছু দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যায় না। এখন, কেউ যদি গোপনে বিয়ে করেও ফেলে(অবশ্যই সেটা খারাপ), তাহলে বিয়ে করার সিস্টেম আছে বলেই তারা কাবিন করবে। সেটা দেখিয়ে সেই লোকের মরার পরেও তার সম্পত্তিতে তার স্ত্রী একটা অংশ দাবী করতে পারে। ঠিক না?
যে খারাপ, সে খারাপই। কোন কিছুর দোহাই দিয়ে ওকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না। ধর্ম জাস্ট এটুকু ডিফাইন করে যে সে ভাল না খারাপ। এটা সাধারণ চিন্তাতেও পারা যায়। তবুও ধর্ম একটা আদর্শ আর কী ! কারণ, আপনার আর লাদেনের আর বুশের সাধারণ চিন্তা ত এক হবে না।
১৮ ই মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৯
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যদি ক্ষেপে না যাওয়া গ্যারন্টি দেন তো বলি।
সামান্য অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলি।
পরকীয়া প্রেম জঘন্য ব্যাপার। কিন্তু এটার কোন আইনগত ভিত্তি থাকে না বলে পরবর্তী প্রজন্ম এর জন্য ভুগে না। কোন পরকীয়া প্রেমিকা তার প্রেমিকের সম্পত্তির ভাগীদার হয় না। ফলে তাদের সন্তানদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে কোন্দল করতে হয় না। আমি কিন্তু একবারও বলিনি, পরকীয়া প্রেম ভালো।
কিন্তু বহু বিবাহের ফলে একাধিক মায়ের সন্তানরা তাদের বাবার সম্পত্তি ভাগাভাগি করতে গিয়ে দাঙ্গা, হাঙ্গামা, মামলা, মোকদ্দমা ইত্যাদিতে জড়িয়ে পড়ে। যদি তারা ভদ্রভাবেও সম্পত্তি ভাগ করে নেয়, তাহলে সেই সম্পত্তির পরিমাণ এত কমে যায় যে, সেই সম্পত্তি তাদের কোন কাজে আসে না। ফলে পরবর্তী প্রজন্মকে অভাবের মুখোমুখি হতে হয়।
বহু বিবাহের নির্মম কুফলের শিকার হয় পরবর্তী প্রজন্ম। আমি এই বিষয়টাকে ভয়াবহ মনে করি।
১৮| ২০ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:১৪
নীল_১৭ বলেছেন:
আমি পোষ্টটার বিরোধিতা করছিনা বরং সমর্থনই করছি
যারা স্ত্রীর অমতে , নিজের খুশির জন্য আবার বিয়ে করে তারা ঘৃণার পাত্র । অতি অবশ্যই এটি একটি জঘন্য কাজ । আর ধর্মের দোহাই দিয়ে করাটাতো মারাত্নক অপরাধ ।
ইসলাম ধর্মে মানুষের সব সমস্যার সমাধানই দেয়া আছে । বহুবিবাহও সেরকম একটি সমাধান মাত্র । তবে সেটা শুধুমাত্র বিশেষ পরিস্থিতির জন্য । স্ত্রীর অমতে বা অগোচরে অথবা জোর করে তার সম্মতি(!) আদায় করে বা তাকে ভয় দেখিয়ে আবার বিয়ে করাটা অপরাধ বইকি । এখানে ইসলামেরতো কোন দোষ আমি দেখিনা ।
আপনি ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলেন নাই সেটা আমিও বুঝতে পারছি , কিন্তু অনেকের বোধহয় সেরকমই মনে হয়েছে ।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি আপনার সাথে একমত । আমি সাধারনভাবে বহুবিবাহের পুরোপুরি বিপক্ষে ।
১৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:১৯
ম্যাক্স পেইন বলেছেন: একদম ঠিক কথা,
হক কথার এক কথা
২০| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২২
নকীবুল বারী বলেছেন: বহুবিবাহ জঘন্য.......পোষ্টে +++++
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০০৯ রাত ১০:৪১
ক্যামেরাম্যান বলেছেন: "জাতে আসামী। কাজেও আসামী।" - পরের আসামীর মাজেজা কি ?
"এখনকার সভ্য দুনিয়ায় একমাত্র মুসলমানরাই বহু বিবাহ করে থাকে। " - আপনার জানাটা ঠিক না। সাউথ আফ্রিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ৪টা বিয়ে করছেন। সেখানে বহুবিবাব প্রচলিত বিষয়। আর খোদ আমেরিকাতেও বহু বিবাহ প্রচলিত, যদিও আইনগতভাবে সিদ্ধ নয়।
Click This Link
লেখার পরবর্তী অংশ বা মূল অংশের সাথে একমত।