নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডা. অমিতাভ অরণ্য

ডা. অমিতাভ অরণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

যশোর রোডঃ কি রহস্য লুকিয়ে আছে এই গাছগুলোর ভেতর?

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২২




যশোর রোড; শুধুমাত্র একটি রাস্তা নয়। একটি আবেগের নাম, একটি ভালোবাসার নাম, একটি ঐতিহ্যের নাম! আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে মিশে আছে যশোর রোডের নাম। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচার জন্য এই যশোর রোড পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো লক্ষ লক্ষ মানূষ! খাদ্যহীন, পানীয়বিহীন শতশত মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলো সেই অভযাত্রায়! লক্ষ বাংগালীর অশ্রুজলে সিক্ত এই যশোর রোড!

বিখ্যার মার্কিন কবি এলেন্স গিন্সবার্গ সেপ্টেম্বর মাসে এসেছিলেন কোলকাতায়! উঠেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে। তখন পুরোদমে যুদ্ধ চলছে। এই যশোর রোড ধরেই এলেন্স গিন্সবার্গ বনগাঁ পেরিয়ে বাংলাদেশের যশোর সীমান্তে পৌঁছেন। যশোর সীমান্ত ও এর আশপাশের শিবিরগুলোতে বসবাসকারী শরণার্থীদের দুর্দশা দেখে তিনি লিখেছিলেন সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড।
আমেরিকায় ফিরে তাঁর বন্ধু বব ডিলান ও সে সময়ের অন্যান্য বিখ্যাত গায়কদের সহায়তায় এই গান গেয়ে ফান্ড রাইজিং কনসার্ট করেছিলেন।

এভাবেই একাত্তরে যশোর রোডের মাধ্যমে বাংলাদেশী শরণার্থীদের জন্য অর্থ সংগ্রহে ভূমিকা রাখেন গিন্সবার্গ।

এই রাস্তার রিয়েছে এক সুপ্রাচীন ইতিহাস!
১৮৪০ সালে নড়াইলের জমিদার কালী পোদ্দার তাঁর মার গঙ্গাস্নানের জন্য যশোরের বকচর থেকে কলকাতার কালীঘাট পর্যন্ত এই রাস্তা নির্মাণ শুরু করেন। দুই লক্ষ আটান্ন হাজার টাকা খরচ করে কয়েক হাজার শ্রমিকের প্রচেষ্টায় ১৮৪২ সালে সম্পূর্ণ হয় নির্মাণ কাজ।

এরপর কালীবাবু রাস্তায় ছায়ার জন্য দু’ধারে প্রচুর বৃক্ষ রোপণ করেন।
দীর্ঘদিন ওই রাস্তাকালীবাবু’র রাস্তা নামে পরিচিত ছিল। যা কালক্রমে যশোর রোড নামে পরিচিতি লাভ করে। এই রাস্তা আরেকবার ইতিহাসে জায়গা করে নেয় মুক্তযুদ্ধের সময়! লাখ লাখ শরণার্থী এই সড়ক ধরে ভারতে গেছেন।

দুপাশের শতবর্ষী বিশাল সব রেইনট্রি বা ( মহা শিষু ) গাছ এই সড়ককে ভিন্ন এক মহিমা দিয়েছে। রাস্তার দুই পাশে ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী শতবর্ষী এসব বৃক্ষরাজি।
সীমান্তের ওপারে এই সড়কটি পরিচিত যশোর রোড নামে। ।

বর্তমানে
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই রাস্তাটি ৪ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সময়ের প্রবাহে এটাই বাস্তবতা! কিন্তু এই কাজ করার জন্য কেটে ফেলা হবে আড়াই হাজার শতবর্ষী গাছ! যা ধরে রেখেছে আমাদের ইতিহাসকে! প্রয়োজনীয় অর্থের সাহায্যে একটি রাস্তা কয়েক মাসেই তৈরি করা সম্ভব কিন্তু এই গাছগুলো কি কোনভাবে ফিরিয়ে আনা যাবে? যশোর রোডের ভারতের অংশটুকুতে রাস্তা চওড়া করা হয়েছে গাছের কোন ক্ষতি না করে! তারা গাছগুলিকে মাঝে রেখেই রাস্তা সম্প্রসারিত করেছে! সেখানে তারা গাছগুলিকে রোড ডিভাইডার হিএসেবে ব্যবহার করেছে! তারা পারলে আমরা কেনো পারবো না

আরো বিস্তারিত ছবিসহ ডকুমেন্টারিটি দেখে ইউটিউবে কমেন্ট করে আমাদের উৎসাহিত করুন!



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ডকুমেন্টারিটা দেখলাম.........আসুন এই হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলি।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বর্তমান রাস্তার পাশ দিয়ে আরেকটা রাস্তা করে, সেটাকে "ওয়ান ওয়ে" করলেই সমাধান; বর্তমানটা হবে "ওয়ানওয়ে"; গাছ থাকবে গাছে যায়গায়।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন তথ্য ঐতিহাসিক তথ্য ভিত্তিক পোষ্ট

ভাল লাগল
আমার আকুতি টুকু জানিয়েছি কাব্যে

প্লিজ মেরোনা! বাঁচতে দাও! (ট্রিবিউট টু যশোর রোড রেইন ট্রি)

সময় পেলে ঢু মারতে পারেন।
যে কোন মূল্যে বাঁচাতে হবে ইতিহাসকে! ঐতিহ্যকে। স্মৃতিকে।

++++++++

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৩

বিষক্ষয় বলেছেন: যশোর রোড is part of grand trunk road built mainly by Mughals and Sher shah Suri. Used to be taught in school history classes. The road existed long before kolkata was built (kolkata was built east india company).
The Grand Trunk Road is one of Asia's oldest and longest major roads. For more than two millennia, it has linked South Asia with Central Asia. It runs from Chittagong, Bangladesh west to Howrah, West Bengal in India, then across Northern India through Delhi, passing from Amritsar to Lahore in Pakistan, further up to Kabul in Afghanistan.
The route spanning the Grand Trunk (GT) road existed during the reign of Chandragupta Maurya, extending from the mouth of the Ganges to the north-western frontier of the Empire. The predecessor of the modern road was rebuilt by Sher Shah Suri, who renovated and extended the ancient Mauryan route in the 16th century. The road was considerably upgraded in the British period between 1833 and 1860.
References:
https://ipfs.io/ipfs/QmXoypizjW3WknFiJnKLwHCnL72vedxjQkDDP1mXWo6uco/wiki/Grand_Trunk_Road.html
http://topyaps.com/facts-about-grand-trunk-road
http://archive.thedailystar.net/forum/2009/september/jessore.htm
https://vikramjits.wordpress.com/2013/08/18/the-grand-trunk-road/
http://tgtp.co.uk/what-is-the-grand-trunk-road/

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০০

জোকস বলেছেন: এক মাতাল মদ্যপান করে রাতে বাসায় ফিরছিলেন। হঠাত একটা গাছের সংগে ধাক্কা খেল, মাতাল তখন বলে উঠল-
ওরে শালার গাছ তুমি দিনে থাকো রাস্তার পাশে আর রাতে থাকো রাস্তার মাঝে! :P


এরা আসলে এক ধরনের মাতাল। লোভার তারনায় এরা ভাল মন্দ ভুলে গেছে। জোরালো আন্দলনের মাধমে এদের মগজ পরিস্কার করা দরকার। X((

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন! এই গাছ গুলি কাটা এত সহজ হবে না!

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আদালতের রায়ে ভাল লাগছে।গাছ গুলো বেঁচে থাকুক যুগ যুগ।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি চমৎকার।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.