![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবিঃ প্যানারমিক তোলার চেষ্টা করেছি। ভাল হয়নি। তবু দিয়ে দিলাম।
ছবিঃ দরজা দিয়ে ঢোকার পর প্রথম তোলা ছবি।
আল আকসায় ঢোকার কয়েকটি গলি। প্রতিটি গলিতে দুটি করে দরজা আছে। ঢোকার মুখেই প্রথম দরজায় একটি সেনা চৌকি। চার পাঁচ জন ইসরায়েলি সেনা সেখানে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে। মাথায় কিপ্পো দেখে বুঝে নিলাম এরা ইহুদি। আমাদের পথ আটকে দিল দুজন সৈন্য। পাসপোর্ট চাইতেই এগিয়ে দিলাম। শুরু হল জিজ্ঞাসাবাদ।
নাম কি?
বাবার নাম?
মায়ের নাম?
কোথায় থাকি?
কেন এসেছি?
আর কোথায় কোথায় যাব?
আকসায় কেন ঢুকতে চাই?
আমি কি মুসলিম?
একটি সুরা বলে শোনাও।
"বাংলাদেশ তো ইসরায়েলের অস্তিত্বই মানতে চায় না। তুমি তাহলে কেন এলে? ইসরায়েল তার শত্রুদেরও আতিথেয়তা দিতে জানে। ইসরায়েলে তোমাদের স্বাগতম।" - হাসতে হাসতে একজন সেনা বলল। তার দেখা এই প্রথম বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে কেউ এই এলাকায় এসেছে বলে জানালো। একজন ইসরায়েলি সেনার মুখে এমন কথা শুনে খানিকটা বিব্রতই হলাম।
পাসপোর্ট নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল অন্য একজন। নামের মাঝে আহমেদ দেখে সৈন্যটি আল আকসার সীমানা প্রাচীরের ভেতরের দিকে আরেক দল নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দিল। জেনে খুবই অবাক হলাম যে এই সেনারা মুসলিম। এদের হাতেও রয়েছে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। পরে জেনেছি সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক না হলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে আরব খ্রিস্টান, বেদুইন এমন কি মুসলিম ফিলিস্তিনিরাও যোগ দিতে পারে। আল আকসার প্রাচীরের ভেতরে দ্বিতীয় এবং শেষ স্তরের নিরাপত্তার দায়িত্ব এদের হাতেই। ইসরায়েলি সেনাদের মতো একইভাবে এরাও শুরু করল জেরা। বেশ কয়েকটি সুরা শুনিয়ে অবশেষে এদের বিশ্বাস করাতে সক্ষম হলাম যে আমি মুসলিম।
ছবিঃ আল আকসায় ঢুকার মুখে ইসরায়েলি সেনা। নিরাপত্তার প্রথম স্তর। জুমার নামাজের একটু আগে তোলা ছবি।
আমার ভ্রমণ সঙ্গী আমার মামাতো ভাই অমুসলিম। নিয়ম ভেঙ্গে সে ঢুকবেই। নামে আহমেদ আছে দেখেও আমাকে যেভাবে জেরা করেছে, তাকে জানি কি করে। তার নাম মুসলমানদের মতো না। তবে অনেকের চাইতে সে আরো বেশি সুরা আয়াত পারে। আলাদা ভাবে তারও জেরা চলছে। অমুসলিম টাইপ নামের কারণে তার ওপর জিজ্ঞাসাবাদের ঝড় বয়ে গেল। মুসলিম প্রমাণের জন্যে কুরান হাদিসের জ্ঞানের ভাণ্ডার ঢেলে দিল সে। তাকেও একসময় ছেড়ে দিল মুসলিম ভেবে।
আল আকসা মসজিদের সীমানার ভেতরে পা রাখলাম আমরা। বুঝাতে পারব না এই অনুভূতি কি। জেরুজালেমে ডিসেম্বরের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা। কেঁপেও চলেছি সমানে। কিন্তু তা সেই ঠাণ্ডার কারণে নয়। উত্তেজনায়। আবেগে। এই কি সেই ভূমি, যার জন্য লাখো-হাজারো মুসলমান বুঝে অথবা না বুঝে, দেখে অথবা না দেখে, শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রাণ উৎসর্গ করেছে? আত্মঘাতী হামলায় বিশ্ব জুড়ে হত্যা করেছে শত শত হাজার হাজার পশ্চিমা নারী পুরুষ শিশু? এক নয়, দুই নয়, হাজারো যুদ্ধ হয়েছে এই সীমানা প্রাচীরের ভেতরের অংশ টুকু নিয়ে। সেই ক্রুসেডের সময় ধর্মান্ধ ইউরোপিয়ানদের হাতে হাজারো ইহুদি ও মুসলিমদের রক্ত ঝরেছে এখানটাতেই। ১৯০০ শতকে কয়েকবার ধর্মীয় দাঙ্গায় ইহুদি মুসলিম দুই ধর্মের অনুসারীরাই একে অপরকে হত্যা করেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী মানবতার বদলে কেবল নিজেদের নিষ্ঠুরতাই ঢেলে দিয়েছে এখানে। আমি জানি না, এখান থেকে জগত সংসারের মানবতা, প্রেম, ভালবাসা, শান্তি কখনো উৎসারিত হয়েছিল কিনা। এখানকার প্রতিটি পাথর, বালুকণা কেবল ভয়বহ নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের কথাই বলবে। হাজারো বছর ধরে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভের আশায় উপাসনা এবং হত্যাযজ্ঞ দুটোই যেখানে বারবার ঘটেছে, এমন একটি স্থানে দাঁড়িয়ে ক্ষণিকের জন্যে নির্বাক হয়ে তাকিয়েছিলাম দিগন্তের দিকে। মনে হাজারো প্রশ্ন উঁকি দিতে শুরু করলো।
যে গেট দিয়ে আমরা ঢুকেছিলাম তার দিকে তাকিয়ে দেখি সৌদি বাদশা ফয়সালের নামে এই গেটের নামকরণ। বাদশা ফয়সাল গেট। একটি অভিন্ন আরব রাষ্ট্রের স্বপ্ন দ্রষ্টা ছিলেন তিনি। ফিলিস্তিনি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, আরব ইতিহাসের একজন বিখ্যাত সৌদি রাজা ছিলেন বাদশা ফায়সাল। ইসরায়েলিরা যদি এতোটাই মুসলিম বিদ্বেষী হবে, তাহলে এইসব রাস্তা-ঘাট আর দরজার নাম ঐতিহাসিক মুসলিম শাসকদের নামে কেন? আর কেনই বা তারা মুসলমানদের এতো ধর্মীয় স্বাধীনতা দিচ্ছে? আল আকসা মসজিদ শুধুই মুসলমানদের জন্যে সংরক্ষিত রাখা, এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ইসলামিক ওয়াকফ (কল্যাণ সংস্থা) এর হাতে তুলে দেয়া, এই মসজিদ পাহারা রাখা, সমগ্র ইসরায়েলে প্রকাশ্যে আজান দিতে দেওয়া, দোকানে দোকানে কুরান তেলওয়াত বাজাতে দেওয়া তো মুসলিম বিদ্বেষের পরিচয় বহন করে না।
ছবিঃ বাদশা ফায়সাল গেট। এই গেট দিয়েই ভেতরে ঢুকেছিলাম।
সামনে তাকিয়ে দেখি স্বর্ণ মণ্ডিত ডোম মসজিদের সেই বিখ্যাত মিনার। যেন উপাসনা, যুদ্ধ-বিগ্রহ, হত্যাযজ্ঞের কালের সাক্ষী হয়ে ওপর থেকে তাকিয়ে থাকা নিরুত্তর নির্বাক ঈশ্বরের সাথে অনবরত বোঝাপড়া চলছে এই মিনারের। অনেকে এটাকেই আল আকসা ভেবে ভুল করেন। কি অপূর্ব। নীল রঙের মোজাইকের পাথরে পবিত্র কোরানের বানী সম্বলিত আরবি ক্যালিওগ্রাফির কারুকার্য খোদাই করা দেয়াল। আঙ্গিনার এখানে সেখানে ছোট ছোট মিম্বর ঘেরা নামাজের স্থান। দেখেই বোঝা যায় কত প্রাচীন এসব ইবাদতখানা। বোরখা পরা নারীরা সেখানে বসে ধর্মের বয়ান শুনছেন। মিম্বরে একজন নারী ইমাম কিতাব হাতে আরবিতে কি যেন বলে যাচ্ছেন। পঞ্চম উমাইয়া খলিফা মালিক ইবনে মারোয়ানের নির্দেশে ৬৮৭ সালে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ৬৯১ সালে। এরপর ১০১৬ সালে এটি ভেঙ্গে পড়লে ১০৯১ সালে আবার পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১৯২৭ সালের ভূমিকম্পে স্থাপনাটি মারাত্বক রকম ক্ষতিগ্রস্থ হলেও জর্ডান সরকারের নেতৃত্বে আরব দেশগুলোর আর্থিক সহযোগিতায় ১৯৫৫ সালে এটিকে মেরামত করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় এর এর মেরামত কাজ চলে। ১৯৯৩ সালে জর্ডানের বাদশাহ হুসেইন ৮০ কেজি স্বর্ণ দান করেন এর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য। ইসরায়েলি শাসনাধীনে থাকলেও বর্তমানে এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জর্ডান সরকারের উপর ন্যাস্ত।
ছবিঃ ডোমের অন্য পাশ থেকে তোলা।
ছবিঃ ভেতর থেকে মিনারের ছবি। অপূর্ব সব ইসলামিক নকশা
কাছাকাছি এসে সেই বিখ্যাত মসজিদের দেয়ালে হাত রাখলাম। পৃথিবীর নানা দেশ থেকে মুসলমানরা এখানে ছুটে আসেন আল্লাহর সান্নিধ্য পাবার আসায়। এই ডোমের আরবি নাম কুব্বাত আল শাকরা। ইংরেজিতে The Dome of Rocks. ১৯৬৭ সালের আরব ইসরায়েল যুদ্ধের সময় এক রকম বিনা বাধায়, শুধু মাত্র ছত্রি সেনা ব্যাবহার করে ইসরায়েলিরা এই প্রাচীন শহর জর্ডানের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো যেন গোলার আঘাতে ধ্বংস হয়ে না যায়, সেই জন্য কোন সাঁজোয়া যান বা কামান ব্যবহার করেনি তারা। ৬৭ সালের যুদ্ধ জয়ের দিন ইসরায়েলি সেনারা এই মসজিদের গম্বুজে ইসরায়েলি পতাকা উড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিখ্যাত সমরবিদ, পরে রাজনীতিবিদ জেনারেল মোশে দায়ানের নির্দেশে তা নামিয়ে ফেলা হয় এবং আল আকসা মসজিদের দেখ-ভালের দায়িত্ব মুসলমানদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
ডোম মসজিদের ভেতরে সাধারণত মুসলিম নারীরা নামাজ পড়েন। নামাজের সময় ছাড়া এর দরজাগুলো সকলের জন্যে উন্মুক্ত থাকে। জুতা খুলে আমরা ভেতরে ঢুকলাম। বিদেশি দেখলে এখানেও যখন তখন নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। ছোকরা টাইপ অল্প বয়সি একটি ছেলে দুর থেকে অনুসরণ করছিল আমাদের। একসময় সেও এসে জানতে চাইলো আমরা মুসলমান কিনা।
মিনারাতের ভেতরটাও একই রকম নকশা সমৃদ্ধ। স্থাপত্য শিল্পকলায় মুসলমানেরা যে একসময় অনেক বিকশিত হয়েছিল এসব নকশা তারই সাক্ষী। ভেতরে বিশাল একটি বাদামি রঙের পাথর। চারপাশ থেকে বড় বড় লাইট দিয়ে আলো ফেলা হচ্ছে সেই পাথরে। উঁচু কাঠের বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা। স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে এই পাথরের ওপরেই নাকি ইব্রাহীম তার ছেলে ইসমাইলকে খোদার নামে উৎসর্গ করার জন্যে গলায় ছুরি চালাতে গিয়েছিলেন। এমন অন্ধ ভক্তির জন্য খুশি হয়ে খোদা ইসমাইলকে সরিয়ে ছুরির নিচে একটি জ্যান্ত ভেড়া চালান করে দেন। ইসমাইলের বদলে কাটা পড়ে ওই ভেড়ার গলা। (একজন মানুষ, সুস্থ স্বাভাবিক হলে শুধু স্বপ্ন দেখে নিজ সন্তানকে কেন জবাই করতে বসে যাবে, আর ইমান পরীক্ষার জন্যে আল্লাহকে এই পরীক্ষাই বা কেন নিতে হবে, এটা নিয়ে আলেম সমাজের কাছে আমার প্রশ্ন রইলো) সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মহানবী মুহাম্মাদের সময় কাল থেকে শুরু হয় মুসলমানদের কোরবানির ঈদের প্রথা। সেই সুদূর মদিনা থেকে, বোরাক নামক ঘোড়ার পিঠে চড়ে বেহেস্তে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে যাবার প্রাক্বালে ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মাদ এই পাথরের উপরেই নফল নামাজ পড়েছিলেন। এই ঘটনাটি শব-ই-মেরাজ নামে পরিচিত। কাঠের বেষ্টনীর এক পাশ দিয়ে নিচে যাওয়ার সিঁড়ি দেখতে পেলাম। পাথরের নিচে গুহা মতো। সেখানে এক দল নারী ইবাদতে মশগুল। পুরুষদের জন্যে আলাদা জায়গা করে দেওয়া আছে। সবাই কিছু না কিছু করছেন। হয় নামাজ পড়ছেন। না হয় কোরান তেলাওয়াত।
ছবিঃ এই সেই পাথর। ইসমাইলকে তার বাবা ইব্রাহীম এটার ওপরেই জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এই পাথরের ওপরে করেই মুহাম্মাদ জিবরাইল ফেরেশতার সাথে মেরাজে যান।
ছবিঃ পাথরের নিচে গুহায় ইবাদতে মশগুল ধর্ম প্রাণ মুসলমানেরা।
ছবিঃ আল আকসার দরজায় আবার জিজ্ঞাসাবাদ। এবার মুসলিম নিরাপত্তা কর্মীরা করছে। ছবিতে ওটা পেছন থেকে আমি।
ছবিঃ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে কালের সাক্ষী।
ডোম থেকে বেরিয়ে এবার চললাম পবিত্র মসজিদুল আকসার দিকে। এদিকে সেদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ইতিহাসের টুকরা টুকরা সাক্ষী। প্রাচীন ভাঙ্গা দরজা পড়ে আছে এক খানে। ধূসর মাটিতে ঘাসের চিহ্ন মাত্র নেই। তবুও সারি সারি গাছ। নাম জানি না। দুরে প্রাচীরের ওপারে জলপাই পাহাড়ে দেখা যায় অগণিত ইহুদী কবর। জানা গেল সেখানে দুই এক জন প্রসিদ্ধ পয়গম্বর, সাহাবির কবরও আছে। ১৯৬৭ সালের আরব ইসরায়েল যুদ্ধের সময় এই জলপাই পাহাড়ে জর্ডানি সেনাদের সাথে ইসরায়েলি ছত্রি সেনাদের হাতাহাতি যুদ্ধ হয়েছিল। মুল আকসার ভেতরে ঢুকার সময় আসরের আজান শুরু হল। এখানে অজু করার জায়গা গুলো অটোমান শাসন আমলে তৈরি। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী, মহামহিম সম্রাট সুলতান সুলাইমানের তৈরি করে দেওয়া। অজু সেরে জামাতে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদে। মামাতো ভাই বাইরে বসে অপেক্ষায় ছিল। দু হাত তুলে দোয়া করলাম বাংলাদেশের সব মুসলমানের জন্যে।
হে সৃষ্টিকর্তা, হে সর্বশক্তিমান, তুমি আমার বাংলাদেশে শান্তি এনে দাও। তোমার এই পবিত্র ভূমিতে সব ধর্মের মানুষকে তুমি যেমন একসঙ্গে রেখেছ, আমার জন্মভূমিতেও তুমি সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে শান্তিতে থাকার শক্তি দাও। আমাদের উপযুক্ত শিক্ষা অর্জনের সুযোগ দাও, যাতে করে আমরা সত্য মিথ্যার তফাত বুঝতে পারি। আমাদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে দাও। আমাদের একজন সত্যবাদী, নিবেদিতপ্রাণ নেতা দান কর, যিনি সবাইকে আলোর পথ দেখাবেন। না দেখে না বুঝে আমরা এই যে ইসরায়েল আর ইহুদিদের ঘৃণা করছি, এই ঘৃণার বিষবাষ্প থেকে আমাদের মুক্তি দাও। হে রব, তুমি আরব ইসরায়েল সমস্যার সমাধান করে দাও। (চলবে)
পুনশ্চঃ আগের লেখা গুলো পড়তে আমার প্রোফাইলে ক্লিক করুন। বাংলাদেশী পাসপোর্টে কি করে ইসরায়েলের ভিসা পেতে হবে হবে সেটা আমার প্রথম পর্বে লিখেছি। আর হ্যাঁ, আমি বাংলাদেশী পাসপোর্টেই ইসরায়েল গিয়েছি।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
আমপারা বলেছেন: হা হা হা। চা বিস্কুট সবই দিলাম। আমি আর ছবি পোস্ট করছি। একটু অপেক্ষা করুন।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অমুসলিম টাইপ নামের কারণে তার ওপর জিজ্ঞাসাবাদের ঝড় বয়ে গেল। মুসলিম প্রমাণের জন্যে কুরান হাদিসের জ্ঞানের ভাণ্ডার ঢেলে দিল সে।.......মজা পাইলাম খুব
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৪
আমপারা বলেছেন: এবার অনেক গুলো ছবি দিলাম। অনেক সময় নেয় আপলোড হতে
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এক নি:শ্বাসে পড়লাম। পড়ে অনেক কিছু জানলাম।
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আল আকসা মসজিদ শুধুই মুসলমানদের জন্যে সংরক্ষিত রাখা, এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ইসলামিক ওয়াকফ (কল্যাণ সংস্থা) এর হাতে তুলে দেয়া, এই মসজিদ পাহারা রাখা, সমগ্র ইসরায়েলে প্রকাশ্যে আজান দিতে দেওয়া, দোকানে দোকানে কুরান তেলওয়াত বাজাতে দেওয়া তো মুসলিম বিদ্বেষের পরিচয় বহন করে না। ......বলেন কি!! ওরা কি এতোটা উদার!?!?
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক কারণে পৃথিবীতে হানাহানি লেগেই আছে। কিন্তু এটা তো অস্বীকার করা যাবে না যে মানুষ নামের মধ্যেই মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ লুকিয়ে আছে। ইহুদী মাত্রেই খারাপ, এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। মুসলিম মাত্রেই ভালো, এ কথাও বিশ্বাস করি না।
আল আকসা মসজিদে নামাজ পড়ার সুযোগ পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আমপারা।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারন একটি পোস্ট। যাই , আগের পর্বগুলি পড়ে আসি----
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন: "ইসরায়েলিরা যদি এতোটাই মুসলিম বিদ্বেষী হবে, তাহলে এইসব রাস্তা-ঘাট আর দরজার নাম ঐতিহাসিক মুসলিম শাসকদের নামে কেন? আর কেনই বা তারা মুসলমানদের এতো ধর্মীয় স্বাধীনতা দিচ্ছে? আল আকসা মসজিদ শুধুই মুসলমানদের জন্যে সংরক্ষিত রাখা, এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ইসলামিক ওয়াকফ (কল্যাণ সংস্থা) এর হাতে তুলে দেয়া, এই মসজিদ পাহারা রাখা, সমগ্র ইসরায়েলে প্রকাশ্যে আজান দিতে দেওয়া, দোকানে দোকানে কুরান তেলওয়াত বাজাতে দেওয়া তো মুসলিম বিদ্বেষের পরিচয় বহন করে না"------- গরু মাইরা জুতা দানতো সকলেই পারে। আপনার বাড়ি দখল কইরা জায়নামাজের জায়গাটুকুতে নামাজ পড়ার অবাধ স্বাধীনতা দিলে বিরাট উদারতা হইয়া যায় জানা ছিল না !
ইবরাহীম আলাইস্সালাম সম্পর্কে যিনি এমন প্রশ্ন করতে পারেন আমার দৃঢ় বিশ্বাস তার নতুন করে মুসলমান হওয়া দরকার। যাই হোক , ভ্রমণ কাহিনী থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি। সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক কিছু জানা যাবে না সেটাতো ইহুদিদের প্রতি আপনার মহব্বত দেইখা বোঝাই যাচ্ছে। ইহুদিদের সম্পর্কে আরো অনেক প্রশংসা শোনা যাবে বোধহয় পরবর্তী পর্বে। আমার ধারণা ইহুদিরা আপনাদের গালে চুম্মা দিয়েই বরণ করেছে !
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১২
আমপারা বলেছেন: আমি যা দেখেছি, তাই লিখেছি। আপনি কি আশা করেন আমি মিথ্যা কিছু লিখবো? আমি রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তবে সেখানে আমি সবাইকে অনেক স্বাধীন চলতে দেখেছি।
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩
জয় বাড়ৈ বলেছেন: ভিসার কাজটা আরেকটু বিস্তারিত বললে ভালো হতো। একজন Christian হিসেবে আমার জীবনের সবথেকে বড় স্বপ্ন আমাদের প্রধান তীর্থস্থান ভ্রমন করা। আমি একজন ছাএ। খুব সহজে বিনা ঝামেলায় কিভাবে ভিসা পাব বললে উপকৃত হতাম। শুনেছিলাম ইসরায়েলের কোন মন্এনালয়ে আবেদন করলে নাকি পাওয়া যায়।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
আমপারা বলেছেন: আমার আগের পোস্ট গুলো দেখুন। এই সিরিজের প্রথম লেখায় আছে ভিসার ব্যাপার
৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪২
চিন্তক মাস্টারদা বলেছেন: ইচ্ছে করে সাইকেলটা নিয়ে এখনই চলে আসি!
কিন্তু!
অসাধারণ লিখলেন, অসংখ্য ধন্যবাদ।
১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম.
পড়লাম। আপনার আবেগ অনুভূতি গুলোকে ধারন করার চেষ্টা করলাম।
আপনার সম-সাময়িক দৃষ্টি যে সত্য অনুভব করেছে তা মিথ্যা বলবো না কখনো।
তবে মহাকালে বণি ইসরাইলীদের আল্লাহ নিজে শত হাজার বছর পরীক্ষা করে যে রায় দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে যাবার মতো হঠকারীতা করত্ওে রাজী নই।
দুর্জনের মিষ্টি কথায় সাময়িক বিভ্রম আসল্ওে মহাকালের পরীক্ষীত সত্যের উপরে সত্য নেই।
একজন মুসলিম হিসাবে এ আমার নুন্যতম বিশ্বাস!
শত শত নবীর হত্যাকারী, শত হাজার বার ্ওয়াদা ভঙ্গকারী বণি ইসরাইলীদের নিয়ে তাই কোন মুসলমান আল্লাহর আয়াতের বিরুদ্ধে গিয়ে দাড়াতে পারে না। যদি দাড়ায় সে মুসলমান থাকে কিনা তা গবেষনার বিষয়
আর ধর্ম কথা বাদ দিন।
একজন দখলদারকে কোন জ্ঞানে মহত বানানো যায় তাতো বুঝে আসঝে না। ফিলিস্তিনিদের আবাস ভূমি ঘরবাড়ী জবর দখল করে সিত্য তার সীমানা বাড়িয়ে তাদের নিয়ত হত্যা করে যে ঘৃনিত ইতিহাস তাদের- তাদরে পক্ষে সাফাই গাইলেন?
বিস্ময়কর নয়!!!!
ভ্রমন কাহিনী হিসাবে ভাল লাগল।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
আমপারা বলেছেন: কে যে দখলদার, সেই বিচার করবে ইতিহাস। আমি যা দেখেছি, যা বুঝেছি, তাই লিখলাম। আর লিখা আসছে।
১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
আশফাক ওশান বলেছেন: অসাধারন ভাই।একবার না একবার যাবোই সেখানে।
১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ইতিহাস না জেনে ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণে স্থানীয় অধিবাসীর ভ্রম আচরণ হেতু বিড়ম্বনা না হলেও ইতিহাস মিথ্যে হবার নয়!
১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ইতিহাস না জেনে ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণ স্থানীয় অধিবাসীর ভ্রম আচরণ হেতু বিড়ম্বনা না হলেও ইতিহাস মিথ্যে হবার নয়!
১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৬
জগতারন বলেছেন:
এই ব্লগ লেখক ও পাঠক-পাঠীকাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিঃ
*আমার ভ্রমণ সঙ্গী আমার মামাতো ভাই অমুসলিম।
-সে কি আপনার আপন মামাতো ভাই?/ আপন হলে কেমন যেন ধর্ম ত্যাগি দোয়াছলা-দোয়াছলা মনে হচ্ছে(!)
*স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে এই পাথরের ওপরেই নাকি ইব্রাহীম তার ছেলে ইসমাইলকে খোদার নামে উৎসর্গ করার জন্যে গলায় ছুরি চালাতে গিয়েছিলেন।
-হযরত ইব্রাহিম (আঃ) লিখা আবশ্যক।
*(একজন মানুষ, সুস্থ স্বাভাবিক হলে শুধু স্বপ্ন দেখে নিজ সন্তানকে কেন জবাই করতে বসে যাবে, আর ইমান পরীক্ষার জন্যে আল্লাহকে এই পরীক্ষাই বা কেন নিতে হবে, এটা নিয়ে আলেম সমাজের কাছে আমার প্রশ্ন রইলো)
-এ ঘটনা আসমানী কেতাব ক্বোর'আনে উল্লেখ্য। ক্বোর'আনের সাথে কারো চিন্ত বা অভিমতের মতানৈক্য থাকলে , তার মুসলমান দাবী করার কিছু থাকেনা।
*সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মহানবী মুহাম্মাদের সময় কাল থেকে শুরু হয় মুসলমানদের কোরবানির ঈদের প্রথা।
- খাটী মুসলমান শেষ নবী(সাঃ)' মনে মনে তার সনে দুরূদ পাঠ আবশ্যক। তা (সাঃ) বা (দঃ) এইভাবে প্রকাশ করতে হয়।
*সেই সুদূর মদিনা থেকে, বোরাক নামক ঘোড়ার পিঠে চড়ে বেহেস্তে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে যাবার প্রাক্বালে ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মাদ (!) এই পাথরের উপরেই নফল নামাজ পড়েছিলেন।
- হাই লাইট শব্দের পরে (সাঃ) বা (দঃ) যোগ করা আবশ্যক
*দু হাত তুলে দোয়া করলাম বাংলাদেশের সব মুসলমানের জন্যে।
হে সৃষ্টিকর্তা, (!) হে সর্বশক্তিমান,(!) তুমি আমার বাংলাদেশে শান্তি এনে দাও।
- আল্লাহ (সোবাঃ)
*যে গেট দিয়ে আমরা ঢুকেছিলাম তার দিকে তাকিয়ে দেখি সৌদি বাদশা ফয়সালের নামে এই গেটের নামকরণ। বাদশা ফয়সাল গেট।
-আপনাদের বাড়ীটি আমি জোর করে দখল করে যে ঘরে আপনার বাবা-মা থাকতো, সেই ঘরের নাম বাবা-মা'র নামে নাম রাখলে কেমন লাগবে আপনার?
* না দেখে না বুঝে আমরা এই যে ইসরায়েল আর ইহুদিদের ঘৃণা করছি, এই ঘৃণার বিষবাষ্প থেকে আমাদের মুক্তি দাও। হে রব, তুমি আরব ইসরায়েল সমস্যার সমাধান করে দাও।
-'আমাদের' শব্দের মধ্যে কি আমি আছি? মাফ করবেন, আমি এখানে থাকতে চাই না। আমি ব্যাক্তি প্রচেষ্টায় ইসলামের ইতিহাস, ইসলাম ধর্মের ইতিহাস পড়ে যা জেনেছিঃ অভিশপ্ত ইহুদীদের ইতিহাস পড়ে যা জেনেছি; ১) আদিকাল থেকেই ইহুদীরা মোনাফেক জাতি, এদের যারাই বিশ্বাস করেছে তাদেরকেই তারা ঠকিয়েছে। ২) ইহুদীরা বক্র স্বভাবের মানুষ ও জাতি এদের বিশ্বাস করা যায় না। ৩) ইহুদীরা সভ্যতার আদিকাল থেকে জ্ঞানের পৃষ্টপোশক ও সভ্য পথের দিশারীদের হত্যা করেছে। এরা হযরত ঈসা (আঃ)'কে হত্যা করেছে, এরা হজরত মুহাম্মদ (সঃ)'কে হত্যা করার চেষ্টাকরেছে এবং তার সাথে একাধিকবার মোনাফেকি করেছে। ৪) ইহুদীরা ইতিহাসের পাতায় পাতায় মোনাফেকী কাজ-কারবারের জন্য প্রায়চীত্বের জন্য অভিশাপে জর্জরিত ছিল এবং এখনো আছে। নিবীরভাবে খোজ নিলেই জানা যায়; বর্তমান সময় প্রত্যাকটি ইহুদী অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জরিত। তাই আপনার মোনাজাত আপনার জন্যই করেন আমার জন্য করা লাগবে আপনার। অর্থাৎ নিজের চরকায় তেল মারেন 'গে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৪৭
আমপারা বলেছেন: বিষাক্ত ঘৃণার ছোবলে আপনি নীল হয়ে গিয়েছেন। "বর্তমান সময়ের প্রত্যেকটি ইহুদী অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত"। - এই কথার মর্ম কি? ফেইসবুক, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, স্যটেলাইট, পরমাণু প্রযুক্তি, মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম, আধুনিক ব্যাংকিং, চিকিৎসা বিজ্ঞান, আইন, চলচিত্র ইত্যাদি হেন ক্ষেত্র নেই যেখানে ইহুদীদের অবদান নেই। পৌরনিক কল্প কাহিনী চিন্তা চেতনা থেকে বেরিয়ে আসুন। আধুনিক হউন। বাংলাদেশের সংসদ ভবন যিনি নকসা করে দিয়েছেন সেই লুই কান ছিলেন এস্তনিয়ায় জন্ম নেয়া একজন ইহুদী। তিনি শুধু বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন নকশা করেননি, তিনি একাধিক সিনাগগও নকশা করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল জ্যাকব, যিনি নিয়াজিকে আত্মসমর্পণে রাজি করিয়ে ঢাকার রমনা পার্কে এনে বসিয়েছেন, ৯০ হাজার পাকিস্তানি সৈন্যকে আত্মসমর্পণ করিয়ে, একটি যুদ্ধ থামিয়ে দিয়ে আপনার হাতে স্বাধীনতার পতাকা তুলে দিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সেই অন্যতম সমর নেতা, - তিনিও ইহুদী এবং ভারত ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক। আপনার নিজের ব্যাক্তি জীবনে তাদের এসব অবদান অস্বীকার করতে চাইলেও কাজ হবে না।
তার চাইতে এক কাজ করেন। যেহেতু ফেইসবুক এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মালিক মার্ক জুকারবার্গ একজন ইহুদী, আপনি এটার ব্যাবহার বন্ধ করে দেন। নইলে বেহেস্তে যেতে পারবেন না। আর যেসব ওষুধ ইহুদীদের আবিষ্কার, সেসব খেয়ে রোগ সারানোর বদলে রোগে ভুগে মরে যান। সরাসরি বেহেস্তে চলে যাবেন। ওহ আরেকটা ব্যাপার। যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন ইহুদী অনেক বড় অবদান রেখেছেন, আবার সংসদ ভবনটাও এই বদ জাতির একজন দ্বারা নকশা করা, আপনি বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে গিয়ে আপনার আপন পেয়ারের দোস্ত, কলিজার টুকরা সৌদি আরবের মরুভূমিতে উট চরাতে চলে যান। মহানবী বলেছেন, "আল গিনা গিনান নাফসি"(সহি বুখারি)। অর্থাৎ মনের ঐশ্বর্যই বড় ঐশ্বর্য। আপনি সৌদি মরুভূমিতেই ভাল থাকবেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাকে বেহেস্তে নিয়ে ৭০ হাজার হুরপরী দিয়ে আপ্যায়ন করুন। আমিন - সুম্মা আমিন।
১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২
নতুন নকিব বলেছেন: প্রিয় আমপারা এবং ব্লগারবৃন্দ,
সামুতে আছি প্রায় ৮ বছরের বেশি সময়। ছিলাম অন্য আইডিতে। আইডির বানান ভুল ছিল। মনে করেছিলাম ঠিক করে নিব। চেষ্টা করেছি। হয় নি। নামটাই ভুল! তাই আর লেখাও হয়নি। লিখি নি। পোষ্ট নয়। কমেন্ট নয়। কিছুই না।
নতুন এই আইডিটা খুলেছিলাম কিছু দিন পূর্বে। তাও সেই আগের মতই। অলস হলে যা হয়। অন্যেরটা পড়ি। নিজে লেখি না। নিজেকে লুকিয়ে রাখার মধ্যেও বোধ করি একটা কিছু আছে। একটা মজা লুকিয়ে থাকে এখানেও। পাগলের সুখ মনে মনে। আসলে লেখক-পাঠকরাও এক জাতের পাগলই তো। তো এই পাগলামি থেকেই সামুতে। সামুর সাথে। আমাকে সামুর কেউ না চিনলেও এই পরিবারের অনেক- অনেককেই আমি চিনি। তারা আমার কাছের মানুষ। তারা না জানলেও তাদের নিয়ে বছরের পর বছর সময় কাটিয়েছি। এ পন্ডিত-পরিশ্রমীদের তালিকা অনেক লম্বা। সকলকে আজ অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা।
আজ আপনার ব্লগে কমেন্টের মাধ্যমে সামুতে কলম ধরলাম।
প্রথমেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসরাইল ভ্রমনের জন্য ধন্যবাদ। সাথে সাথে শুভ কামনা সুন্দর একটি পোস্টের জন্য। ভ্রমন কাহিনী হিসেবে আপনার লেখাটি চমকপ্রদ; কিন্তু যেহেতু আপনি এমন একটি ধর্মীয় ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমন করেছেন যেটির সাথে একাধারে মুসলমান, ইয়াহুদি এবং নাছারা (খৃষ্টান) জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য-ধর্মীয় অনুভূতি জড়িত। মূলত ফিলিস্তিন তথা জেরুজালেমের ইতিহাস জানতে হলে যেমন আপনাকে কুরআন স্টাডি করতে হবে একই রকম অভিশপ্ত ইয়াহুদি জাতির প্রাক এবং বর্তমান ইতিহাস জানার জন্য কুরআন অধ্যয়নের বিকল্প নেই।
কুরআন এদের দুশ্চরিত্রের সার্টিফিকেট দেয়।
কুরআন এদেরকে সার্টিফিকেট দেয়- এরা হত্যাকারী, আল্লাহ পাক প্রেরিত অসংখ্য নবীদের হত্যাকারী।
কুরআন স্বাক্ষী দেয় এদের মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের।
কুরআনের স্পষ্ট ঘোষনা, এদের অব্যহত দুষ্কর্মের ফলে এরা পরিনত হয়েছে অপরাধী, হত্যাকারী, দুশ্চরিত্রের অধিকারী পৃথিবীর নিকৃষ্টতম জাতিতে। মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলেই কুরআনের অবিকৃতি এবং নির্ভরযোগ্যতায় বিশ্বাসী সন্দেহ নেই। তাই যেহেতু আপনি আমার মুসলিম ভাই। দয়া করে ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র মুসলিমদের ওপর জুলুমের স্টীম রোলার চালানো জালিম, জবরদখলকারী, হত্যাকারী, ধর্ষনকারী, ঠান্ডা মাথায় সাম্প্রতিক বিশ্বের নিষ্ঠুরতম হত্যাযজ্ঞ সংঘটনকারী একটি অসভ্য জাতির প্রশংসা করার পূর্বে একটু আপনার নিজের ঈমানের কাছে প্রশ্ন করে নিন। এক হাদিসে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যখন কোন ফাসিক (দুষ্কর্মকারী) -এর প্রশংসা করা হয় তখন আল্লাহ পাক ক্রোধান্বিত হন আর আরশে আজীম কেঁপে ওঠে।
সুতরাং দয়া করে দেখুন, বুঝুন, জানুন, অনুধাবন করুন এরপরে লিখুন।
দয়া করে আমাদের প্রিয় নবী সাইয়্যিদুল আমবিয়া ওয়াল মুরছালিন মুহাম্মাদ নামটি লিখতে এবং বলতে সর্বাবস্থায় সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথাটি যোগ করতে ভুলে যাবেন না। তাতে করে আপনি পৃথিবীর সবচে' বড় কৃপনের খেতাব থেকে যেমন মুক্তি পাবেন তেমনি পাঠকারী হিসেবে আপনার দশটি গোনাহ মাফ, আল্লাহ তাআলার দশটি রহমাত লাভ এবং আপনার মর্যাদার দশটি ধাপও বাড়িয়ে নিতে পারেন।
প্রিয় ভাই, বড়দের সম্মান করা ছোটদের স্নেহ করার শিক্ষাই আমরা কুরআন হাদিস থেকে পাই। আর যেহেতু আল্লাহ জাল্লা জালালুহু কর্তৃক তাঁর প্রিয় খলিল নির্বাচিত হয়ে মুসলিম জাতির পিতা হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন মহান নবী হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম। এত বড় ব্যক্তি, এত বড় নবী, এত বড় আল্লাহর বন্ধু-খলীল! তার নামের পরে এবং একইভাবে যখনই অন্য কোন নবী-রাসূলের নামের আলোচনা আসবে তখন একটু কষ্ট করে 'আলাইহিস সালাম' কথাটি যোগ করে দেন তাহলে কতই না মধুর লাগে।
লাইনে লাইনে ধরে আপনার লেখার মূল্যায়ন করার মত সময় এবং ইচ্ছে কোনটাই আমার নেই। আপনার মত বিচক্ষন ব্যক্তি অাশা করি এতটুকু ইশারাতেই বাকি কথাগুলো বুঝে নিতে সক্ষম হবেন।
আবারও বলছি, আপনাকে ছোট করা কিংবা হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে নয় সত্যিকারার্থে এ ক'ট লাইন যদি আপনার অন্তহীন দুনিয়া-আখিরাতের জীবনে চলার পথে সামান্য কাজে আসে তাহলেই ধন্য হই।
অবশেষে সামু কর্তৃপক্ষকে মোবারকবাদ জানাই শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বাংলা ভাষার এই প্রিয় প্লাটফরমটিকে নিয়ে দুর্বার এগিয়ে যাওয়ার জন্য। নতুন পুরাতন ব্লগার ভাই-বোনদের জন্য শুভ কামনা, প্রানঢালা ভালোবাসা। সকলের সুন্দর সময় কাটুক। শীতের কুয়াশা কেটে রৌদ্র করোজ্জ্বল প্রভাতের মত আলোকদ্বীপ্ত সাফল্যে ভরে উঠুক সকলের ভাগ্যাকাশ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সমৃদ্ধির পথে, মানবতা-মুক্তির দিকে, বিশ্ব থেকে বিদায় নিক সকল জুলুম। পৃথিবী হয়ে উঠুক শান্তিময় আগামীর আরেক আবাস।
১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪
মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: কিছু কিছু মানুষের কাজ হলো সব কিছুতে নেগেটিভ গন্ধো খুজা ।
ভাই আপনি লিখে যান
১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৬
নতুন নকিব বলেছেন: প্রিয় মোজাহিদ ভাই,
অামাদের হৃদয়ে অবিরত রক্ত ক্ষরনের অন্তহীন কান্না শুনতে পান কি? আপনারা নেগেটিভ পজিটিভ খোজেন- অামরা রক্তের দাগ মুছি-
এক.
দুর্ভাগা ফিলিস্তিনি হাজারো-লাখো মুসলিম নারী-শিশু-যুবা-বৃদ্ধার রক্তে রঞ্জিত যাদের হাত, বুলড্রোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে যায় বিতাড়িত নির্যাতিত মুসলিমদের বাড়ি-ঘর- আর আচমকা মূহুর্তেই আবার সেখানে গড়ে ওঠে রাতের আঁধারে- দিনের আলোয়- শঠতায়- বিশ্বাসঘাতকতায়-জবরদস্তিতে যাদের সুরম্য আবাস, প্রতি দিনের প্রতিটি নতুন প্রভাত বাড়িয়ে দেয় যাদের রক্তের নিদারুন পিয়াস, লোহিত সাগর সমান রক্তনেশায় যে জাতি দিশেহারা-অজ্ঞান, রক্ত চাই-রক্ত চাই-রক্ত চাই; প্রতি মূহুর্তে যাদের এই বিকট শব্দের কাছে অসহায় পৃথিবী- নতজানু জাতিসংঘ- নির্বাক বিশ্ব বিবেক-
দুই.
হায়! আমার একটা ছেলে ছিল, আকাশের এক টুকরো চাঁদ এক বিকেলের নরম আলোয় নেমে এসেছিল আমার কোলে- দেখতে দেখতে পাঁচটি বছর পার হয়ে গেল- আমার চাঁদ আমাকে ডাকে- আমার কোলে ওঠে- বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার বায়না ধরে- সেদিনও ধরেছিল- প্রশান্ত স্নিগ্ধ গোঁধুলিবেলা- তাকে নিয়ে হাটছি বাড়ির সামনের রাস্তাটায়- আচমকা বিকট শব্দ- চমকে তাকাই- আমার চাঁদ রক্তাক্ত- আমার সোনা মানিক গড়াগড়ি খাচ্ছে- আমার বাপ-দাদার ভিটেমাটি দখলকারী পৃথিবীর নিকৃষ্টতম হায়েনা ইয়াহুদি দস্যুটার ছুড়ে মারা তাজা গুলিটা আমার সোনামনির বুকটা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছে- আরেকটা গুলি ওর ডান চোখের ভেতরে ঢুকে মাথার পেছন দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে- গুলিবিদ্ধ আমার সোনা- আমার পাঁচ বছরের স্মৃতি- পাঁচ বছরের ভালোবাসা- পাঁচটি বছরের একটি মিষ্টি জীবন- পাঁচ বছরের একটি নিষ্পাপ ছন্দ- আহ্! একটু পরেই আমার বাবুর অস্ফুট কন্ঠটাও থেমে যাবে- হৃদস্পন্দন স্তব্দ-স্তিমিত- ঠোটের কোনে মৃদু হাসিতে বাবু আমাকে বিদায় জানাল- নাকি আমিই আমার সোনার টুকরােকে চির দিনের মত দূরে সরিয়ে দিলাম- হায়! পৃথিবীতে আমাকে ডাকার মত আর কেউ যে রইল না!
ভালো থাকবেন নিরন্তর।
১৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯
গ্রাম বাংলা এবং গ্রামীণ জীবন বলেছেন: ভাই এই অল্প সময় এই ইয়াহুদিদরে সমস্ত বিষয় বুঝে গেলেন আর যারা ফিলিস্তিন এর মুসলিম তারা কি আপনার থেকে কম চিন্তে পেরেছেন যে জাতি দখলদার এবং সারা দুনিয়া জুরে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আপনি একজন মুসলিম তাই অবশ্যই মুহাম্মদ (সাঃ) কে ভালবাসেন তাই নবী কারীম (সাঃ) এর নাম লিখতে একটু দুরুদ লিখলে আমরা পড়ে ও শান্তি পাই । আর আপরার ভ্রমণ গল্প ভাল লাগল ধন্যবাদ আপনা কে ভাই, পবিত্র ভূমি ভ্রমণ করার জন্য অনেক বিরম্বনা সইতে হইছে
২০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন: প্রিয় অামপারা,
আমার বলা কথাগুলো হয়তো আপনাকে কষ্ট দিয়েছে। যেহেতু কোন রিপ্লাই দিলেন না। আসলে নিতান্ত আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা নিয়েই আপনার ব্লগে কথা বলেছি। প্রিয় ভাই, আপনার অনেক ঝুঁকি, অনেক কষ্ট, অনেক ত্যাগের ফলে আমাদের প্রিয় প্রথম কিবলা সম্পর্কে বেশ কিছু আপডেট তথ্য অবগত হতে পেরেছি। ঝুাকিপূর্ন এ ভ্রমনের কষ্ট স্বীকার করার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ। সাথে সাথে শুভ কামনা- যেখানেই থাকেন ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, সুস্থ থাকুন।
প্রিয় বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের সময়োপযোগী এবং অসাধারন উত্তরে অভিনন্দন।
ভাই জগতারন, চমকপ্রদ মন্তব্যের জন্য প্রীতি ও শুভেচ্ছা। যদি আরেকটু সতর্কতার সাথে মন্তব্য করা হয় তাহলে কী এমন ক্ষতি? মামাতো, ফুফাতো, খালাতো ভাইয়ের অন্য ধর্মে থাকাতে আশ্চর্য হচ্ছেন কেন? ইসলামের প্রারম্ভিক কালটা একটু ভেবে দেখুন তো! আমরা আমাদের অন্তরটাকে আরেকটু প্রশস্ত করতে চেষ্টায় অসুবিধা কি?
মন্তব্যে লেখকের সুচিন্তিত উত্তর এবং পরবর্তী পোস্টের প্রতীক্ষায়-
২১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১
হাসান রাজু বলেছেন: এই কয়টা বছরে জেনেছি, বুঝেছি। যে কোন ঝামেলায় যখন ধর্ম ব্যাবহার হয় তখন সেটা দুর্যোগে পরিণত হয় । আমাদের দেশে, খুব কাছ থেকে দেখলাম কি ভাবে শাহবাগের যুদ্ধাপরাধী বিরোধী আন্দোলন কে ধর্মের সাথে ঘুলিয়ে দেয়া হল । কত ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল , কত দ্রুত ।
ইসরাইলের মাটি ও একই ভাবে রক্তে রঞ্জিত হয়েছে । আমরা যে ইসরাইলকে চিনি সেটা হল মুসলমান / ইহুদীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে । যার কারনে আপনি যে পজেটিভ অংশ বর্ণনা করেছেন তা আমাদের জন্য কল্পনাতীত । আমরা (অন্তত আমি এমনই কল্পনা করেছিলাম।) যা জানি তা হল, ইসরাইলে মুসলমান দেখলেই বুঝি গুলি করে মেরে ফেলবে ।
**** অসাধারণ পোস্ট । ভাল থাকবেন ।
২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০২
রুপন্তী বলেছেন: আপনার জন্ম উনাশি সালের এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ। নামের মাঝে O এবং N একত্রে আছে। তথ্য প্রকাশে সাবধান হউন।
২৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি বাংলাদেশী পার্সপোর্টে ইজরায়েল যেতে পেরে খুব আপ্লুত। ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে ওই দেশের একটা গুরুত্ব অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কিন্তু আপনার লেখার পরতে পরতে যে আদিখ্যেতা ঝরে পড়ছে; তা দৃষ্টিকটু।
ধর্মীয় কারণ এবং আমাদের দেশীয় জাতীয়তাবাদে এই দেশের প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখানোর সুযোদ আমাদের নেই। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে এরা এখনও অচ্ছুৎ এবং তা থাকাই উচিৎ।
তথাপিও, আপনার জন্য পুরোনো ব্লগার সৌম্য'র একটা লেখা দিলাম, পড়বেন আশা করি।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬
আমপারা বলেছেন: প্রিয় পদ্ম পুকুর, আপনার প্রশ্নের জবাবে বলছিঃ
প্রথমত, আমি নিজ চোখে যা দেখেছি, দেখে যা বুঝেছি, তাই লিখেছি। আচ্ছা বলুনতো একটা কথা। কি লিখলে আপনি খুশি হবেন? আমার দেখা সত্য অভিজ্ঞতা? অথবা মিথ্যা করে হলেও আপনি যা পড়ে সন্তুষ্ট হবেন, তেমন কিছু?
দ্বিতীয়ত, ধর্মীয় অথবা রাজনৈতিক, কারণ যেটাই হোক না কেন, কাউকে ঘেন্নার অবসান হউক। এই ঘেন্নার আভিধানিক নাম বর্ণবাদ। প্রসঙ্গত বলছি, বর্ণবাদ অপবাদটি কেবল শ্বেতাঙ্গদের প্রাপ্য নয়। এটি একটি আচরণ এবং মানসিকতার নাম।
আমাদের প্রথম পরিচয় হল আমরা মানুষ। তারপর আমাদের ধর্ম পরিচয়। বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষের যুগে আমরা যখন মঙ্গলে আবাস গড়ার কথা ভাবছি, তখন বর্ণবাদ আর ঘেন্না দিয়ে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। এসব থেকে নিজেকে মুক্ত করুন।
তৃতীয়ত, আজকের পৃথিবীর বাস্তবতায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আরব এবং ইসরায়েল দুই পক্ষকে সাথে রেখেই পেতে হবে। সেটা কাউকে ঘৃণা করে অর্জন হতে পারে না।
শেষে বলছি, সৌম্যের লেখাটার জন্যে ধন্যবাদ। আমি সেটি পড়েছি। যেই ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর কথা সৌম্য বলেছেন, তাদের জন্য শোক প্রকাশ করছি। প্রতি বছর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী এবং বাংলাদেশ নেভাল একাডেমী থেকে বেশ কিছু ফিলিস্তিনি নাগরিক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে তাদের নিজ দেশে ফিরে যায়। এমনকি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্টাফ কলেজ থেকেও তাদের উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ইসরায়েলে এদের সবাইকে ধরে ধরে হত্যা করা হয়, এমন কোন তথ্য আজও কেউ দাবি করেনি। এমনকি ফিলিস্তিনিদের বাংলাদেশে সামরিক প্রশিক্ষণ এর ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকারের আপত্তির কথাও কখনো শোনা যায় না। বরং, যেহেতু সমগ্র ফিলিস্তিন ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে, সেহেতু এটাই স্বাভাবিক যে এসব সামরিক ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ বৈধ ভাবে, ইসরায়েল সরকারের প্রদান করা পাসপোর্ট ব্যাবহার করে, তাদের অনুমতি নিয়েই বাংলাদেশ আসেন। তা না হলে এই আসাটা অসম্ভব হত। সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশেও নানা ভাবে নিহত হন। পৃথিবীর অনেক দেশেই বিভিন্ন কারণে এমন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। এজন্য ইসরায়েল এর রাষ্ট্রীয় নীতি মুসলিম বিরোধী, সে কথা আমি মানতে রাজি না।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আমপারা বলেছেন: প্রিয় পদ্ম পুকুর,
বাংলাদেশে ফিলিস্তিনি নাগরিকরা International Military Education and Training প্রোগ্রামের আওতায় এক বছরের জন্যে প্রশিক্ষণ নিতে আসে। এই প্রোগ্রামের অর্থায়ন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। আরও ভাল করে জানতে ঢাকার ফিলিস্তিনি দূতাবাসের ওয়েব সাইটে দেখে নিন http://palestineembassybd.com
২৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
@পদ্ম পুকুর বলেছেন: আপনি বাংলাদেশী পার্সপোর্টে ইজরায়েল যেতে পেরে খুব আপ্লুত। ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে ওই দেশের একটা গুরুত্ব অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কিন্তু আপনার লেখার পরতে পরতে যে আদিখ্যেতা ঝরে পড়ছে; তা দৃষ্টিকটু।
ধর্মীয় কারণ এবং আমাদের দেশীয় জাতীয়তাবাদে এই দেশের প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখানোর সুযোদ আমাদের নেই। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে এরা এখনও অচ্ছুৎ এবং তা থাকাই উচিৎ।
প্রিয় পদ্ম পুকুর,
পোস্টে আসায় এবং অত্যন্ত মূল্যবান মন্তব্যে প্রীত। এই পোস্টের সম্মানিত লেখক মন্তব্যের উত্তর না দিয়ে নিরবতা পালনকেই অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে মনে হয়।
বাহ! এই প্লাট ফর্মের একেবারে পুরনোদের মধ্যেও তাহলে এমন অনুভূতিসম্পন্ন উজ্জিবিত মানুষ ছিলেন! আছেন!
অনেক ভাল লাগল।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫
আমপারা বলেছেন: ব্যাস্ততার কারণে সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া সম্ভব হয় না। তবু পদ্ম পুকুরের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি।
২৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় আমপারা,
অবশেষে আপনি ফিরে এসেছেন, উত্তরে ব্রতি হয়েছেন- ধন্য হলাম।
ব্যস্ততাতো থাকবেই। এর মাঝেও একটু হা-হু না করলে কি ভাল লাগে? এই পোস্টে আপনার দীর্ঘ নিরবতার পর পুনরাগমনে মোবারকবাদ। সত্যি কথা বলতে কি! আপনান জন্য চিন্তিত ছিলাম। দখলদার, ডাকুদের জনপদে আপনি কেমন আছেন এবং কোন বিপদে পড়লেন কি না- ভেবেছি। যাই হোক, আপনি সুস্থ আছেন দেখে আনন্দিত হলাম।
পদ্ম পুকুর ভাইকে প্রদত্ত আপনার প্রতি মন্তব্য নিয়ে পরবর্তীতে কথা বলার ইচ্ছে রয়েছে।
ভাল থাকবেন।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৫
আমপারা বলেছেন: হা হা হা। ভালোই বলেছেন। আমি ভালো আছি। ব্যাস্ত আছি। ইসরায়েল ঘুরে দেখার পরের পর্ব গুলো লিখছি।
২৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় আমপারা,
পদ্ম পুকুরের মন্তব্যে প্রদত্ত আপনার এক্সপ্লানেশনের প্রথম পয়েন্টটি নিয়ে দু'টো কথা।
আপনি লিখেছেন- "প্রথমত, আমি নিজ চোখে যা দেখেছি, দেখে যা বুঝেছি, তাই লিখেছি। আচ্ছা বলুনতো একটা কথা। কি লিখলে আপনি খুশি হবেন? আমার দেখা সত্য অভিজ্ঞতা? অথবা মিথ্যা করে হলেও আপনি যা পড়ে সন্তুষ্ট হবেন, তেমন কিছু?"
---এই কথার উত্তরে বলব, অবশ্যই যা দেখেছেন তা লিখবেন। হুবহু তাই লিখবেন। একটুও বাড়িয়ে লিখবেন না। কিন্তু ভ্রমন কথাগুলো লেখার পূর্বে আপনার অবশ্যই জানা থাকা দরকার এবং নিশ্চিতভাবে মনের ভিতরে গেঁথে রাখা প্রয়োজন- আপনি একটি অবৈধ দখলদার কর্তৃক জবরদখলকৃত জনপদে অবস্থান করছেন। যে দস্যু দখলদার পাপিষ্টগনের হাতে যুগ যুগ ধরে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, বিতাড়িত ফিলিস্তিনের প্রকৃত মুসলিম অধিবাসীগন। যে ঠান্ডা মাথার খুনি, দুরাচার, বদমাশদের বুলড্রোজারের আঘাতে আজও ক্ষনে ক্ষনে কেঁপে ওঠে পূন্যভূমি ফিলিস্তিনের আকাশ-বাতাস-পাথুরে মাটি। অগনন বনি আদমের রক্তে রঞ্জিত যাদের হাত, হাজারও মুসলিম মা বোনের ইজ্জত যারা মিশিয়ে দিয়েছে ধূলোয় সেই জবরদখলকারী তষ্করদের আপ্যায়ন আর চাটুকারিতায় বিভ্রান্ত হয়ে তাদের ঐতিহ্যগাঁথা লিখবার আগে একজন মুসলিম হিসেবে আপনার হাত কেঁপে ওঠার কথা- আপনার অন্তর ক্রন্দন করার কথা- আপনার হৃদয় ভেঙ্গে কান্না বেরিয়ে আসার কথা- আপনার বুকের ভিতর দহন শুরু হওয়ার কথা!!! ---এগুলো হচ্ছে না?
---মুসলিম বাবার বীর্যে, মুসলিম মায়ের ঔরষে জন্ম নেয়া কারও পক্ষে দস্যু দানব ইসরাইলী ইয়াহুদিদের প্রশংসা-স্তুতি-স্তব চর্চা আর নিজের জাতির রক্তের সাথে গাদ্দারী করার মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি? খুনী জানোয়ার এই দু'পায়ী নরপশুদের পক্ষে একটা কথা বলা মানে গোটা মুসলিম মিল্লাতের সাথে মিরজাফরী করা নয় কি? আর এরপরে আরও গভীরে গেলে- চূড়ান্ত কথা হচ্ছে- আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে যাদেরকে অভিশপ্ত বলে আমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন, আপনি নতুন করে তাদের ভিতরে কী এমন অলৌকিকত্ব আবিষ্কার করতে চান? এটাতো প্রকারান্তরে আপনার প্রভূ পরওয়ারের সাথে এক প্রকারের ঠাট্টা-মশকরারই শামিলরে ভাই!!! ---বুঝতে পারছেন তো?
---আচ্ছা, একটিবার একটু কষ্ট করে ভেবে দেখুনতো, আপনার সাজানো গোছানো সুন্দর বাড়িটি একদল দখলদার জবরদখল করেছে। আপনি বিতাড়িত। উদ্বাস্তু। শরনার্থী। ভিন্ন দেশে আশ্রয়প্রার্থী। আপনার সন্তান, আত্মীয়দের অনেকেই নেই। নিহত। ঐ ওদের হাতেই। আপনার এক অধস্তন বংশধর পরবর্তীতে এক কালে গেলেন সেখানে। আপনার সেই আদি বাস্তু ভিটায়। গিয়েতো রীতিমত হতভম্ব! হায়রে আপ্যায়ন? হায়রে নিয়ম কানূন? হায়রে পরিচ্ছন্ন? হায়রে মানবিকতা? হায়রে সাজ গোজ? হায়রে শহর-নগর? হায়রে রাস্তা ঘাট? হায়রে পরিবেশ? হায়রে জনজীবন? হায়রে অর্থনীতি? হায়রে সিকিউরিটি? হায়রে দখলদারদের আতিথেয়তা! হায়রে হায়রে করতে করতে তখন আপনার সেই বংশধরের একেবারে চক্ষু চড়কগাছ!!! আর যায় কোথায়? আপনার সেই অধস্তন বংশধরের হৃদয়ে আনন্দের হিল্লোল খেলে যায়! খুশিতে গদ গদ হয়ে তিনি দিগ্বিদিক জ্ঞান শুন্য হয়ে লিখে ফেললেন- স্মরনকালের শ্রেষ্ট ভ্রমন কাহিনী। শুরুটা তার এরকম- "হায় হায়! এত উঁচু স্তরের মানবিক এরা! এরাইতো পৃথিবীর সকল সভ্যতার আমদানিকারক পাইওনিয়ার প্রডিউসার মেইকার। কে বলেছে এরা খুনী? কে বলেছে এরা দুষ্ট? এদের সভ্যতা ভব্যতা নাব্যতা কাব্যতা আকাশ ছুঁয়েছে। ইত্যাদি ইত্যাদি।" ---বাস্তবিক অবস্থাটি যদি ঠিক এমনই হয় আর আপনিই হয়ে থাকেন ঐ জনপদের বিতাড়িত পূর্ব পুরুষদের একজন তাহলে আপনার কাছে কেমন ঠেকবে? একটু কষ্ট করে বলবেন কি?
---আপনি ঘৃনা ছেড়ে মানবতা দিয়ে ডাকাত দস্যু লুটেরা খুনী দখলদারদের সাথে মানবিক আচরন দেখানোর আহবান জানাতে চাচ্ছেন। বেশ ভালো কথা। কিন্ত, ভাই, এ যে আমাদের জন্য অনেক কঠিন। ওদের দিকে তাকালেই যে আমাদের শিরায় শিরায় বহমান রক্তধারা হিম হয়ে আসে! জমাট বেধে যায়! আমাদের বাড়িঘর, আমাদের জমিজমা, আমাদের স্কুল কলেজ, আমাদের মসজিদ মাদরাসা, আমাদের হাট বাজার, আমাদের নগর শহর, আমাদের জীবনগুলো, আমাদের গাছগুলো, আমাদের বলদগুলো, আমাদের উট দুম্বাগুলো, আমাদের ফসলের খেতগুলো, আমাদের পাহাড়গুলো, আমাদের সুন্দর সকালগুলো, আমাদের গোঁধূলিলগ্নগুলো, আমাদের আত্মীয় স্বজন, হায়! হায়! আমাদের সব, সবকিছুইযে ওরা কেড়ে নিয়েছে। ওদের সাথে কিসের আপস? ওদের সাথে কিসের মিমাংসা? ওদের সাথে কিসের ফায়সালা? আমাদের ভূখন্ডকে খন্ডিত করার? আমাদের ভূখন্ডে ওদের অবৈধ দাবিকে স্বীকৃতি দেয়ার? আর কত? আর কত? আর কত?
ভাল থাকবেন।
২৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৯
তাওহিদ হিমু বলেছেন: অসাধারণ! এই পর্ব খুব ভাল লেগেছে। আরও কয়েক পর্বে ইসরায়েলের পথ-বাজারের গল্প লিখলে খুশি। শুভকামনা।
২৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৪
নিঃসঙ্গ অ্যানোনিমাস বলেছেন: গুডপোস্ট!!
২৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯
মধুমিতা বলেছেন: পরের পর্বগুলো কি আর লিখবেন না? অপেক্ষায় আছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: প্রথম হইছি, চা দেন