নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা আগের পর্বগুলো পড়েন নাই তারা এখানে গুতা মারেন । আর হ্যা সকলে পড়ে কেমন লাগল মন্তব্য করে জানাবেন কিন্তু ।
শুরু করুন আগের পর্ব গুলো এখানে গুতা দিন ।
ইসলাম ধর্মে মোজেস ( পর্ব ১)
ইসলাম ধর্মে মোজেস ( পর্ব ২)
মূসা (আঃ) এর নবুওয়ত লাভ
মূসা (আঃ) পাহাড়ের পাদদেশে এই ঘটনার সম্মুখীন হলেন । পাহাড়টি ছিল তার ডানদিকটায় । এই উপত্যকার নাম ছিল তুয়া । যখন তিনি আগুনের কাছে পৌঁছান মুসনাদে আহমদে ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বেহ্ বর্ণনা করন যে মূসা (আঃ) আগুনের কাছে পৌছে একটি বিস্ময়কর দৃশ্য দখতে পান । আর তিনি দেখলেন যে এটি একটি বিরাট আগুন যা একটি সতেজ এবং সবুজ বৃহ্মের উপর দাউ দাউ করে জ্বলছে । কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে এর কারণে বৃহ্মের কোন ডাল অথবা পাতা পুড়ছে না এক কথায় বৃক্ষের কোন ক্ষতি হচ্ছে না বরং আগুনের কারণে বৃহ্মের সৌন্দর্য সজীবতা এবং উজ্জ্বল্য আরও দ্বিগুন বেড়ে গেছে । মূসা (আঃ) এই বিস্ময়কর দৃশ্য কিছুহ্মণ পর্যন্ত দেখেন এবং অপেহ্মা করেন যে আগুনের কোন স্ফুলিঙ্গ মাটিতে পড়লে তিনি তা তুলে নেবেন । অনেকহ্মণ অতিবাহিত হওয়ার পরও যখন এমন হল না তখন তিনি কিছু ঘাস এবং খড়কুটা একত্রিত করে আগুনের কাছে ধরেন । তিনি ভেবে দেখলেন এতে আগুন লেগে গেলে তার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে । কিন্তু এগুলো আগুনের কাছে নিতেই আগুন পেছনে সরে গেল । কোন কোন ইসলাম বিশেষজ্ঞদের মতে আগুন তার দিকে অগ্রসর হয় । এবং তা দেখে তিনি অস্থির হয়ে পেছনে সরে গেলেন । মোটকথা তার আগুন লাভ করার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হল না । তিনি এই অত্যাশ্চর্য আগুনের প্রভাবে বিস্ময়াভিভূত ছিলেন । ইতিমধ্যে একটি গায়বী আওয়াজ হল ।
বাহরে মুহীত রূহুল মা আনী ইত্যাদি গ্রন্থে আছে যে হযরত মূসা (আঃ) এই গায়বী আওয়াজ চতুর্দিক থেকে সমভাবে শ্রবণ করেন । আর আওয়াজটি কোনদিক থেকে আসছিল তার কোন দিক নির্দিষ্ট ছিল না । শুনেছেনও অপরূপ ভঙ্গিতে শুধু কানে নয় সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারা শুনেছেন । এটা ছিল একটা মু জেযার মত । আওয়াজের এই রকম ছিলঃ যে বস্তুকে তুমি আগুন মনে করছ তা আগুন নয় তা হল আল্লাহ তাআলার জ্যোতি । এতে আরো বলা হয় আমিই তোমার পালনকর্তা । রূহুল মা আনী মুসনাদে বরাতে ওয়াহাবের রেওয়ায়েতে বর্ণিত রয়েছে যে মূসা (আঃ) কে যখন ইয়া মূসা শব্দ প্রয়োগে আওয়াজ দেওয়া হয় তখন তিনি লাব্বায়েক অর্থাৎ (হাজির আছি) বলে জওয়াব দেন এবং বলেন যে আমি আওয়াজ শুনছি । কিন্তু কোথা থেকে আওয়াজ দিচ্ছেন তা জানি না । এবং মূসার একটি প্রশ্ন করেন বা বলেন আপনি কোথায় আছেন ? উত্তরে বলা হয় আমি তোমার উপরে সামনে পশ্চাতে এবং তোমার সাথেই আছি । তারপর মূসা (আঃ) আরয করলেন আমি স্বয়ং আপনার কালাম শুনেছি, না আপনার প্রেরিত কোন ফেরেশতার কথা শুনেছি ? জওয়াবে বলা হয় আমি নিজেই তোমার সাথে কথা বলছি । সূরা আত ত্বোয়া-হা -এর ১২ নং আয়াতে আল্লাহু তাআলা উল্লেখ করেছেন
“ আমিই তোমার পালনকর্তা, অতএব তুমি জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র উপত্যকা তুয়ায় রয়েছ । ”
জুতা খোলার নির্দেশ দেওয়ার এক কারণ এই যে, স্থানটি ছিল সম্ভ্রম প্রদর্শনের এবং জুতা খুলে ফেলা তার অন্যতম আদব । দ্বিতীয় কারণ এই যে, কোন কোন তথ্য থেকে জানা যায়, মূসা (আঃ) এর পাদুকাদ্বয় ছিল মৃত জন্তুর চর্মনির্মিত । হযরত আলি, হাসান বসরী এবং ইবনে জুরায়জ থেকে প্রথমোক্ত কারণই বর্ণিত আছে । তাদের মতে মূসা (আঃ) এর পদদ্বয় এই পবিত্র উপত্যকার মাটি স্পর্শ করে বরকত হাসিল করুক এটাই ছিল জুতা খুলে রাখার উপকারিতা ।
এবং হাদীসে আছে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বশীর ইবনে খাসাসিয়াকে কবরস্থানে জুতা পায়ে হাটতে দেখে বলেছিলেন
“ তুমি যখন এ জাতীয় সম্মানযোগ্য স্থানে অতিক্রম কর তখন জুতা খুলে ফেল । ”
সূরা আত ত্বোয়া-হা -এর ১৪ থেকে ১৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহু তাআলা হযরত মূসা (আঃ) কে ধর্মের সমুদয় মূলনীতি শিহ্মা দেওয়া হয়েছে আর্থাৎ তাওহিদ, রেসালাত ও পরকাল এবং তিনি বলেছেন
“ আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই । অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর। কেয়ামত অবশ্যই আসবে আর আমি তা গোপন রাখতে চাই যাতে প্রত্যেকেই তার কর্মানুযায়ী ফল লাভ করেন । সুতরাং যে ব্যক্তি কেয়ামতে বিশ্বাস রাখে না এবং নিজ খাহেশের অনুসরণ করেন সে যেন তোমাকে তা থেকে নিবৃত্ত না করেন । নিবৃত্ত হলে তুমি ধবংস হয়ে যাবে । ”
এখানে নামাযের নির্দেশে করা হয়েছে । কিন্তু নামাযকে পৃথকভবে উল্লেখ করার কারণ হল এই যে নামায সমস্ত এবাদতের সেরা এবাদত । এবং হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী নামায ধর্মের সমস্ত ঈমানের নূর এবং নাময বর্জন করা মানে কাফেরদের আলামত । কেয়ামতের ব্যাপারটি আল্লাহ্ তাআলা সব সৃষ্টজীবের কাছ থেকে গোপন রেখেছেন এমনকি পয়গম্বর ও ফেরেশ্তাতাদের কাছ থেকেও । হযরত মূসা (আঃ) কে লহ্ম্য করে সতর্ক করা হয়েছে যে, তুমি কাফের এবং বেঈমানদের কথায় কেয়ামত সম্পর্কে অসাবধানতার পথ বেছে নিয়ো না তাহলে তা তোমার ধ্বংসের কারণ হয়ে যাবে ।
অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা বললেন তোমার ডান হাতে ওটা কি ? মূসা (আঃ) বললেন এটা আমার লাঠি । আমি এর উপর ভর দেই । এর দ্বারা আঘাত করে আমার ছাগপালের জন্যে বৃহ্মপত্র ঝেড়ে ফেলি এবং এর দ্বারা আমার অন্যান্য কাজও উদ্ধার হয় । আল্লাহু তাআলা বললেন একে মাটিতে নিহ্মেপ কর । মূসা (আঃ) আল্লাহু তাআলা নির্দেশে তা মাটিতে নিহ্মেপ করার পর তা সাপে পরিনত হলো এবং নড়াচড়া করতে লাগলো । এই সাপ সম্পর্কে কোরআন পাকের এক জায়গায় ছোট ও সরু সাপ বলা হয়েছে । অন্য জায়গায় একে অজগর এবং বৃহৎ মোটা সাপ বলা হয়েছে । সম্ভবত এটি যেখানে যে রূপ আকৃতি ধারণের প্রয়োজন হতো সে রূপ ধারণের আকৃতি ধারণ করতে সহ্মম ছিল । ইমাম কুরতুবীর বর্ণনা অনুযায়ী এটি চিকন সাপের ন্যায় দ্রুতগতি সম্পন্ন ছিল বলে জান্নুন বলা হতো । লোকেরা দেখে ভীষণভাবে ভীত হতো বলে ছওবানুন বলা হতো । অতঃপর আল্লাহু তাআলা বললেন এখন তোমার লাঠিটি হাতে নেও আর তুমি একে ভয় করনো না । আমি একে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেব । হযরত মূসা (আঃ)কে দেওয়া আল্লাহু তাআলার দ্বিতীয় মু জেযা হল তার উজ্জ্বল হাত । ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত আছে আল্লাহ্ তাআলা বললেন তোমার হাত বগলের নীচ রেখে যখন বের করবে তখন তা সূর্যের ন্যায় ঝলমল করতে থাকবে । স্বীয় রসূলকে দুটি বিরাট মুজেযার অস্ত্র দ্বারা সুসজ্জিত করার পর আদেশ করা হয়েছে যে এখন উদ্ধত ফেরাউনকে ঈমানের দাওয়াত দেয়ার জন্যে চলে যাও ।
তথ্য ইন্টারনেট থেকে গুটিয়ে গুটিয়ে খুঁজে বের করলাম ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২২
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১১
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ইসলামে বর্ণীত হযরত মুসা (আঃ) এর ইতিহাসের সাথে ''দ্য টেন কমান্ডমেন্ট'' মুভির ছবিটা কিন্তু বড্ড বেমানান এবং মূল স্পিরিটের সাথে সাংঘর্ষিকও বটে।
(আশা করি কি বলতে চেয়েছি বুঝেছেন)
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২০
আমি মিন্টু বলেছেন: ওটা কি বলছেন ভাইআগে ভেবে দেখিনি ঠিক আছে পরে সড়িয়ে দিব । পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই ।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর ও অনেক তথ্যবহুল পোস্ট ভালো লাগলো পড়ে প্রেয়তে রাখলাম ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৭
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকুন শুভেচ্ছা থাকল
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬
রাঘব বোয়াল বলেছেন: প্রথম ও দ্বিতীয় পোস্টটি পড়া হয়নি।তৃতীয় পোস্টটি পেয়ে একেবারে ৩টি পোস্ট কখন যে পড়ে ফেললাম তা নিজেও জানিনা।ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর তথ্য বহুল পোস্টের জন্য।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৬
আমি মিন্টু বলেছেন: আপনাকেও একে বারে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ রাঘব বোয়াল ভাই । বহুদিন পরে মনে হয় ব্লগে আপনেরে দেখলাম ভাই
৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৪
কালের সময় বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট ভালো লাগা থাকলো ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৮
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৪
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৯
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ইসলাম ভাই । পড়ছেন জেনে খুশি হইলাম
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১১
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।