নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা আগের পর্বগুলো পড়েন নাই তারা এখানে গুতা মারেন । আর হ্যা সকলে পড়ে কেমন লাগল মন্তব্য করে জানাবেন কিন্তু ।
শুরু করুন আগের পর্ব গুলো এখানে গুতা দিন ।
ইসলাম ধর্মে মোজেস ( পর্ব ১)
ইসলাম ধর্মে মোজেস ( পর্ব ২)
ইসলাম ধর্মে মোজেস ( পর্ব ৩)
পাঁচটি বিষয়ে দোয়া
হযরত মূসা (আঃ) যখন খোদায়ী কালামের গৌরব অর্জন করেন এবং নবুওয়ত ও রেসালাতের দায়িত্ব লাভ করেন তখন তিনি নিজ সত্তা এবং শক্তির উপর ভরসা ত্যাগ করে স্বয়ং আল্লাহু তাআলারই দারস্থ হন । তাই তিনি আল্লাহু তাআলার দরবারে পাঁচটি বিষয়ে দোয়া করেন ।
প্রথম দোয়াটি হলঃ
হে পরওয়ারদেগার আমার বহ্ম উম্মোচন করে দিন এবং এতে এমন প্রশস্ততা দান করুন যেন নবুওয়তের জ্ঞান বহন করার উপযোগী হয়ে যায় । ঈমানের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌছানোর হ্মেত্রে তাদের পহ্ম থেকে যে কটু কথা শুনতে হয় তা সহ্য করাও এর অন্তর্ভুক্ত ।
দ্বিতীয় দোয়াটি হলঃ
আমার কাজ সহজ করে দিন । আল্লাহু তাআলা যদি ইচ্ছা করেন তবে কারও জন্যে কঠিনতর এবং গুরুতর কাজ সহজ করে দেন এবং তিনি ইচ্ছা করলে সহজতর কাজ কঠিন হয়ে যায় । একারণেই হাদীসে মুসলমানদেরকে এই দোয়ার শিহ্মা দেওয়া হয়ে থাকে বা দেওয়া হয়েছে । তারা নিজেদের কাজের জন্য আল্লাহুর কাছে এভাবে দোয়া করবেন হে আমার আল্লাহু প্রত্যেক কঠিন কাজ সহজ করার ব্যাপারে আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন । কেননা প্রত্যেক কঠিন কাজ সহজ করে দেয়া আপনার পহ্মে সহজ ।
তৃতীয় দোয়াটি হলঃ
আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন যাতে লোকেরা আমার কথা বোঝতে পারে । এ জড়তার কাহিনী এই যে হযরত মূসা (আঃ) দুগ্ধ পান করার যমানায় তার জননীর কাছেই ছিলেন এবং জননী ফেরাউনের দরবার থেকে দুধ পান করানোর ভাতা পেতে থাকেন । শিশু মুসা দুধ ছেড়ে দিলে ফেরাউন এবং তার স্ত্রী আছিয়া তাকে পালক পুত্ররূপে নিজেদের কাছে নিয়ে যান । সে সময় একদিন শিশু মূসা (আঃ) ফেরাউনের দাড়ি ধরে তার গালে এক থাপ্পর দেন বা আঘার্ত করে বসেন । কোন কোন তথ্যে আছে তিনি একটি ছড়ি হাতে নিয়ে খেলা করছিলেন । এক সময় ছড়ি দ্বারা তিনি ফেরাউনের মাথায় আঘাত করে বসেন । ফেরাউন রাগান্বিত হয়ে তাকে হত্যা করার আদেশ করেন । কিন্তু স্ত্রী আছিয়া বললেন রাজাধিরাজ আপনি অবুঝ শিশুর অপরাধ ধরবেন না । সে তো এখনও ভাল মন্দের পার্থক্যও বোঝে না । আপনি ইচ্ছা করলে পরীহ্মা করে দেখতে পারেন । ফেরাউনকে পরীহ্মা করানোর জন্যে আছিয়া একটি পাত্রে জলন্ত অঙ্গার এবং অপর পাত্রে মণিমুক্তা এনে মূসা (আঃ) -এর সামনে রেখে দিলেন । উদ্দেশ্য এই যে সে অবুঝ শিশু । শিশুসুলভ অভ্যাস অনুযায়ী সে জলন্ত অঙ্গারটির উজ্জ্বল এবং সুন্দর মনে করে তা ধারার জন্যে হাত বাড়াবেন । মণিমুক্তার চাকচিক্য শিশুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মত হয় না । এতে ফেরাউন বোঝতে পারবেন যে সে যা করেছেন অজ্ঞতাবশতই করেছেন । কিন্তু এখানে কোন সাধারণ শিশু ছিল না ছিলেন আল্লাহুর ভাবী রসূল যার স্বভাব প্রকৃতি জন্মলগ্ন থেকেই সাধারণত অন্য স্বভাবের ছিল । মূসা (আঃ) আগুনের পরিবর্তে মণিমুক্তাকে ধরার জন্য হাত বাড়াতে চাইলেন কিন্তু জিবরাঈল তার হাত অগ্নিস্ফুলিঙ্গের পাত্রে রেখে দিলেন এবং মূসা (আঃ) তথহ্মণাৎ আগুনের স্ফুলিঙ্গ তুলে মুখে দিলেন । ফলে তার জিব্বা পুড়ে গেল । এতে ফেরাউন বিশ্বাস করল যে মূসা (আঃ) এর এই কর্ম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় এটা ছিল নিতান্তই বালকসুলভ অজ্ঞতাবশত । এই ঘটনা থেকেই মূসা (আঃ) এর জিহবায় এক প্রকার জড়তা সৃষ্টি হয়ে যায় । এটা দূর করার জন্যেই মূসা (আঃ) দোয়া করেন ।
চতুর্থ দোয়াটি ছিলঃ
আমার পরিবারবর্গ থেকেই আমার জন্য একজন উযীর করুন । এই চতুর্থ দোয়া রেসালাতের করণীয় কাজ আনজম দোয়ার জন্য উপায়াদি সংগ্রহ করার সাথে সম্পর্ক রাখে ।
পঞ্চম দোয়াটি ছিলঃ
হযরত মূসা (আঃ) তার প্রথম দোয়ায় প্রথমে অনির্দিষ্টভাবে বলেছেন যে আমার পরিবারবর্গ থেকেই আমার জন্যে একজন উযীর করুন । অতঃপর নির্দিষ্ট করে বলেছেন যে আমি যাকে উযীর করতে চাই তিনি আমার ভাই হারূন যাতে রেসালাতের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদিতে আমি তার কাছ থেকে শক্তি অর্জন করতে পারি । হযরত হারূন (আঃ) হযরত মূসা (আঃ) থেকে তিন বা চার বছরের বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলেন এবং তিন বছর পূর্বেই ইন্তেকাল করেন । মূসা (আঃ) যখন এই দোয়া করেন তখন তার ভাই মিসরে অবস্থান করছিলেন । আল্লাহু তাআলা মূসা (আঃ) এর দোয়ার ফলে তাকেও পয়গম্বর করে দেন । ফেরেশতার মাধ্যমে তিনি মিসেরই এ সংবাদ প্রাপ্ত হন । মূসা (আঃ) কে যখন মিসরে ফেরাউনকে দাওয়াত দেয়ার জন্যে প্রেরণ করা হয় তখন হারূন (আঃ) কে মিসরের বাইরে এসে তাকে অভ্যর্থনা করার জন্যে আদেশ দেওয়া হয় ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪০
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার ।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
রাঘব বোয়াল বলেছেন: এত তাড়াতাড়ি শেষ করে দিলেন?
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাঘব বোয়াল । অন্য কোন ইতিহাস নিয়ে চিন্তায় আছি ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:২১
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: দোয়াগুলো কোর'আনের আয়াতসহ উল্লেখ করলে পোষ্টি আরো পরিপূর্ণতা পেতো।
ভালো লাগা।