নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘরকুনে মানুষ তবে ঘুরেবেড়াতে খারাপ লাগে না , সময় সুযোগ পাইলেই পাখা মেলে উড়ে যায় দিকবেদিকে
কুসুম্বা মসজিদ
এটি নওগাঁ জেলার কুসুম্বা নামক স্থানে অবস্থিত। ১ম মতানুসারে কুসুম্বা মসজিদ টি আনুমানিক ১৫০৩ খিঃ, ৯১০ হিজরী সনে গৌড়ের সুলতান বাদশাহ আলাউদ্দিন হোসেন শাহের সময় এই ঐতিহাসিক মসজিদ নির্মিত করেন। কুসুম্বা দিঘির পশ্চিম পাড়ে, পাথরের তৈরি ধুসর বর্ণের মসজিদটি অবস্থিত।মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৫৮ফুট, প্রস্থে ৪২ফুট। মসজিদের গায়ে রয়েছে লতাপাতার নকশা।
উত্তর দিকের সাইড, এই দিকে সিন্নি রান্না করার জন্য অনেকগুলো চুলো আছে
সামনের দিক
মিহরাব এই মিহরাব ছাড়াও আরো দুটি মিহরাব আছে। মোট মিহরাব আছে ৩টি, যার সবগুলো কালো পাথরের তৈরি। মিহরাবে আঙ্গুরগুচ্ছ ও লতাপাতার নকশা খোদিত রয়েছে।
উত্তর-পশ্চিম কোণের বে-তে মিহরাবটি একটি উচু বেদীর উপর বসানো।
দুই সারিতে ৬টি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে
কুসুম্বা দিঘি
মসজিদটির সম্মূখে ২৫.৮৩ একের আয়তনের একটি বিশাল জলাশয় রয়েছে।
০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৮
মোঃআনারুল ইসলাম বলেছেন: এটাই বাস্তব্যতা, আমি ইন্ডিয়ার যতগুলো জায়গা দিল্লী, আগ্রা, আজমির, কোলকাতার পর্যটন জায়গা গুলো দেখেছি, সেখানে লক্ষ্য করেছি তারা খুবই যত্নবান জায়গা গুলোর ব্যাপারে। কিন্তু বাংলাদেশ সে তো বাংলাদেশ পরিচর্যা দূরে থাক দানের টাকা নিয়ে মারামারি কাটাকাটি।
২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঐতিাহসিক মসজিদের সাথে ভ্রমন এবং ফটো ব্লগে ধন্যবাদ।
আমরা আসলেই অনেক উদাসীন! দু:খজনক।
++++্
০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
মোঃআনারুল ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, অনেক দিন পরে এসেও আপনার দেখা পেয়ে ধন্য। :-)
৩| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো লাগলো জেনে; ঐসব এলাকা সেই সময় কেন প্রসিদ্ধ ছিল যে, সুলতানের লোকেরা সেখানে মসজিদ বানায়েছেন?
০৯ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১৯
মোঃআনারুল ইসলাম বলেছেন: প্রথমে ধন্যবাদ জানিবেন,
২য় তো যতদূর জানা যায়, ৯১০ হিজরী সনে তদানিস্তন বাদশাহ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এ সময় এই ঐতিহাসিক মসজিদ নির্মিত করেন। জনশ্রুতি আছে যে গৌড়ের বেগম কুসুম বিবি আধ্যাত্মিক ধ্যানে মগ্ন থাকার সময় এক গভীর রাতে রাজ প্রাসাদের বাহির হতে ভেসে আসা বাঁসির সুরে অভিভূত হয়ে পড়েন এবং রাগান্বিত হয়ে রানিকে তালাক প্রদান করে গভীর জঙ্গলে নির্বাসন করেন তবে তার পূর্বে বংশীবাদক কালাপাহাড় কে কারাগার থেকে মুক্ত করে রানীর সাথে ঐ জংগলে পাঠান।
তবে এখানে উল্লেখ্য যে বংশীবাদক কালাপাহাড় কে রানী নিজ সন্তানের মত দেখতেন।
তাদের যখন বনে বাস করতে পাঠান তখন সাথে খেদমত করার জন্য অনেক দাস দাসীও পাঠানো হয়েছিল। ফলে গভীর জংগোল জনবসতিপূর্ণ হয়ে পড়ে। আগে বর্ণানা দেয়া হয়েছিলো যে রানী অনেক ধার্মিকা ছিলেন। তার জীবন দশায় সুদুর মক্কা হতে একজন সাধক যাঁর বাম মানসা ফকির সেই জংগোল অতিক্রম করা কালীন রানীর প্রাসাদে কয়েকদিন অবস্থান করেন এবং রানীকে একটি দিঘী এবং মসজিদ নির্মাণ করার জন্য আদেশ প্রদান করেন। রানী পরবর্তীতে তার পালিত পূত্র কালাপাহাড় কে দিয়ে দূরদূরান্ত থেকে কালো পাথর সংগ্রহ করে এই মসজিদ নির্মাণ করেন। এবং ৭৭ বিঘা জমির উপর এই দিঘী খনন করেন। রানী কুসুম্বা এর নামে নাম করণ করে মসজিদের নাম করণ করা হয় কুসুম্বা মসজিদ।
তথ্য সুত্রঃ কুসুম্বা মসজিদ একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা লেখক আশরাফুল হক পলাশ
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো রূপকথার মতো!
যাক, সেইযুগে এই রকম মসজিদ করা, বিশাল আয়োজন ছিলো নিশ্চয়।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৩
মোঃআনারুল ইসলাম বলেছেন: তা ত নিশ্চয়
৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
১ পোস্টের পর নীরব কেন?
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪২
মোঃআনারুল ইসলাম বলেছেন: স্বরব হওয়ার সময় কোথায়
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৩
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: রক্ষনাবেক্ষণের বাজে অবস্থা। ভিতরে রড ঝুলাইছে, জায়গায় বেজায়গায় দৃষ্টিকটু বাত্তি লাগাইছে, মাল্টিকালার ফ্যান ঝুলতেছে। এইদেশে ঐতিহ্যের এইভাবেই ধর্ষন হয়।
যাইহোক, শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।