![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে সিলেট মেডিকেল কলেজে ৫ম বর্ষে অধ্যয়নরত।হবিগন্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস,এস,সি পাস করার পর আমি ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচ,এস,সি পাস করি।
প্রচন্ড গরমে যখন বিকেলের ঘুম হারাম হওয়ার অবস্থা ঠিক তখনই কান ফাটানো শব্দ আর বিছানার কম্পনে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।ভুমিকম্প হল নাকি!শব্দটা কিসের ছিল!দালান ধ্বস হল নাকি!দৌড়াইয়া বারান্দায় গেলাম।কই নাতো সব ঠিকই ত আছে।হঠাৎ সামনের দিকে চোখ পড়তেই দেখলাম নীল রং এর লাইট দিয়ে বাড়িটি সাজানো।তখন মনে পড়ল আজ ত এই বাড়িতে গায়ে হলুদ এবং শব্দ কম্পন সব আর কিছুই না মিউজিক সিস্টেমের বদৌলতে!!এত সাউন্ড দিয়েও কেউ গান শুনতে পারে আমার জানা ছিল না।বাড়ি ঘর সব কাপছে এরকম অবস্থা।একে সঙ্গীত শ্রবণ না বলে শব্দ দূষন বলাই শ্রেয়।এদের সামাজিক বোধ দেখে আমার অবাক লাগল।
ডান পাশের বাড়ির মেয়েটির জন্য করুণা হল আমার।কারণ আগামীকাল তার এইচ,এস,সি পরীক্ষা।তার মনের অবস্থাটি বুঝতে আমার বাকি রইল না।
বাম পাশে থাকা ছোট্ট ঘরটি থাকে ব্য়স্ক এক মহিলা একা।তার জন্য আমার করুনা হল।উনি বাইরে হাটছেন আর ছটফট করছেন।সুস্থ মানুষই এত শব্দে অসুস্থ হয়ে যাবে।আর উনি ত বয়স্ক।
বিদেশ হলে এখন হয়ত স্থানীয় প্রশাসন দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যেত।আমাদের দেশের মানুষ কবে যে সচেতন হবে।কবে যে মানুষ একে অপরের সুবিধাটুকু বুঝবে।হঠাৎ করেই কারেন্ট চলে গেল।প্রচন্ড গরমের মধ্যেও আমার এত আনন্দ লাগল বলে বুঝানোর উপায় নাই!!খুশি হলাম মহিলা আর মেয়েটির জন্যও।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৫
অনজন সরকারস বলেছেন: ব্যার্থ আমরা সবাই।সমস্যাটা যখন নিজের হয়ে দাড়া্য,তখন আমরা টের পাই।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২১
মোমের মানুষ-২ বলেছেন: সাউন্ড বেশি মনে করলে থানায় একখান ফোন দেন।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩২
ঢাকাবাসী বলেছেন: এসবের জন্য মূলত সরকারের যন্ত্র দায়ী। হাইড্রলিক হর্ণ বাজছে, পলিথিন ব্যাগ শত শত টন পয়দা হয়ে ব্যাবহৃত হচ্ছে, আপনার বাড়ীর সামনেই মেশিন দিয়ে ইট ভাংছে বা টাইলস কাটছে প্রচন্ড শব্দে, নদীতে সব ডাইং কারখানার বর্জ পড়ছে আর পরিবেশ ওয়ালারা কি করছে? পেপারে উঠছে জরিমানা করছে আসলে কিছুই করছেনা! ঘুষ তো এখন নায্য হয়ে গেছে। পাবলিক তো ৯০% অশিক্ষিত, সো এসব চলবেই!
২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৩
অনজন সরকারস বলেছেন: ভাই সরকারের উপর দোষ চাপাই দিয়ে লাভ নাই।যতদিন না ব্যাপারগুলো আমরা নিজেরা বুঝতে পারব ততদিন এভাবেই চলবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ কবে যে সচেতন হবে।কবে যে মানুষ একে অপরের সুবিধাটুকু বুঝবে।
বার্নিং কুশ্চেন।
কিন্তু সেই সামাজিক শিক্ষার চেতনাটুকুতো পরিবার থেকে, সমাজ, রাষ্ট্র থেকে ছড়াতে হবে। কিন্তু সকল ক্ষেত্রই ব্যার্থ!! যার ফল- আপনার কষ্টের মাঝেও আনন্দ অনুভব!!!