নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বাংলাদেশের মানুষ সুশীল সমাজকে ঘৃণা করে"।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৭

ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ। ওয়ান-ইলেভেনে আকস্মিক ভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হয়ে পাদপ্রদীপে আসেন। দুই বছর অনির্বাচিত, সেনা সমর্থিত সরকারের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দেশ ছাড়েন। এখন মাকিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতা করছেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার ছিল তাঁর, বিদেশে চাকরি করলেও দেশে আসা যাওয়া ছিল। বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও বানিয়েছিল। কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনে সেই যে গেলেন, আর ফেরেননি। খুব ঘনিষ্ঠজন ছাড়া বাঙালি কারও সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎও করেন না। ভয়ে থাকেন। যদিও তিনি বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনে তাঁর কোনো ভূমিকাই ছিল না।’
সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন একজন অর্থনীতিবিদ। বাংলাদেশ থেকে গিয়ে তিনি ড. ফখরুদ্দীনের সঙ্গে নৈশভোজেও অংশ নেন। ওই অর্থনীতিবিদ গিয়েছিলেন একটি প্রস্তাব নিয়ে। প্রস্তাবটি ছিল সুশীল সমাজের প্লাটফর্ম নিয়ে। ড. ইউনূস ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ওই অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, `রাজনৈতিক বিভেদ আর হানাহানির মধ্যে একটি সুধীজনের প্লাটফর্ম থাকা প্রয়োজন। আমরা সেটা করছি। আপনাকেও রাখতে চাই।’ বিনয়ের সঙ্গে ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ড. ফখরুদ্দীন। বলছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সুশীল সমাজকে ঘৃণা করে। আমরা জনবিচ্ছিন্ন।’ তিনি দুবছরের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ওই অর্থনীতিবিদকে বলেন, ‘সুশীল সমাজ একটা গন্ডীর মধ্যে আবদ্ধ। এর বাইরে কিছু দেখতে পারে না। সাধারণ মানুষ কী ভাবে, কী করে, কী চায়-এসব থেকে আমাদের দূরত্ব বিস্তর। তিনি এও বলেছেন, ‘সরকার চালাতে গিয়ে আমি দেখেছি, আমরা যেভাবে ভাবি সাধারণ মানুষরা সেভাবে ভাবে না। আমরা যেন সাধারণ মানুষের কাছে ভিনগ্রহের জীব। রাজনীতিবিদরা নানা রকম নেতিবাচক বৈশিষ্ট সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের কাছের।’ তিনি তাঁর সময়ে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ওই অর্থনীতিবিদকে বলেছেন, ‘আমি যখন দূর্গত এলাকায় গেলাম তখন আমি যেমন কী করব বুঝতে পারছিলাম না, তেমনি তারাও আমাকে দেখে অস্বস্তিতে পড়েছিল।’ তিনি ওই অর্থনীতিবিদকে বলেছেন, ‘আলাদা প্লাটফর্ম কখনো রাজনীতির বিকল্প হতে পারবে না। দুই বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর এখন ‘সুশীল’ একটি গালিতে পরিণত হয়েছে।’ ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ তাঁকে উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে রোল মডেল কমে যাচ্ছে। মানুষের সামনে ‘আদর্শ’ নেই। এজন্যই মানুষ রাজনীতিবিদদের প্রতি ঝুঁকছে।’
ওই অর্থনীতিবিদকে তিনি এসব না করে, নিজের কাজটা করার পরামর্শ দেন। ওই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টে দেবে।’ এ সময় ড. ফখরুদ্দীন বলেন, ‘এটা সময় সাপেক্ষ। জোর করে কোনো কিছু পাল্টে দেওয়া যাবে না।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বাস্তবতার চিত্রই তুলে ধরেছেন উনি। আমার কাছে উনাকে বিচক্ষণ লোক মনে হয়; এমন শক্ত লোকই প্রয়োজন এ দেশের নষ্ট রাজনীতিকদের শায়েস্তা করার জন্য!

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এ দেশের মানুষ এখন নিজে নিজে সার্ভাইভ করার চেষ্টা করছে। অনেকেই বিদেশ যেতে চাইছে। আসলে, স্বাধীন হওয়ার পরেও এদেশে জনগণের কোন প্রতিনিধি তৈরি হয় নাই।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: রাজনীতি সচেতন হওয়াও জরুরি, আমার মনে হয় এ দেশের মানুষের মধ্যে রাজনীতি সচেতনতা নেই বললেই চলে।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২

সাইন বোর্ড বলেছেন: ফকরুদ্দীন নিজেও কি একটা গন্ডির মধ্যে অাবদ্ধ হয়েছিলেন না ?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অযোগ্য, অদক্ষ ও কালপ্রিট দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতিতে বিরাট একটা পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন তিনি। পরিবর্তন আসবে কী করে? মানুষ উনাকে চায় নি! কুকুরের পেটে ঘি হজম হয় না!

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সব কাজ সবার জন্য নয়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তবে সুশীল সমাজের শক্তিশালী একটা ভূমিকা থাকা দরকার, তা না হলে রাজনীতিকদের স্বেচ্ছাচারিতা গগনচুম্বী হয়ে দাঁড়াবে।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

বাকরখানি বলেছেন: ফখরু আর্মিরে চালায় নাই, আর্মি ফখরুরে চালাইসে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সে যাই হোক, এটা অস্বীকারের সুযোগ নেই যে তিনি রাজনীতিকে কলুষতা মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

আলআমিন১২৩ বলেছেন: ইনসাইডার তো শুধু মিথ্যা ও কাল্পনিক গল্প প্রসব করে। হয়তোবা এটাও তাই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মিথ্যের কিছু দেখছি না!

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

মানিজার বলেছেন: এইসব গাঁজ্ধাখুরী গল্প ছাড়া কিছুই না ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: গাঁজাখুরির কী পেলেন?

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের শিক্ষিতরা খুবই চেষ্টা করেছে যেন অন্যেরা তাদের সমান সুযোগ সুবিধা না পায়; তাই তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের কোন আস্হা নেই

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিপদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.