নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

কচুরিপানা নিয়ে মন্ত্রী মহোদয় কি ভুল কিছু বলেছেন?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৩


আমরা কি শাকপাতাকে খাদ্য হিসেবে খাই না? খাই তো। আলবৎ খাই। এমন অনেক শাক আছে রান্না করার পর ঘাস মনে হয়। তারপরও তো খাই। তখন কি বলি ঘাস খাই কেন?
পরিকল্পনামন্ত্রী কি কাউকে জোর করেছেন কচুরিপানা খেতে? ওনি তো কেবল গবেষণা চালাতে বলেছেন।

পৃথিবী জুড়ে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কায় বড় দেশগুলো বিকল্প খাদ্য খোঁজায় ব্যস্ত। তারা সমুদ্রের শৈবাল থেকে শুরু করে লতা-গুল্ম নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে যে এগুলোকে মানব খাদ্যে পরিণত করা যায় কি না।
তো পরিকল্পনা মন্ত্রী এক বৈঠকে বিকল্প হিসেবে কচুরিপানাকে খাদ্যে পরিণত করা যায় কিনা সেটাই একটু গবেষণা করে দেখতে বলেছেন। একই সঙ্গে জীনগত পরিবর্তন করে যদি অন্য সব ফলফলাদির আকৃতি পরিবর্তন করা যায় তবে কাঁঠাল কেন নয়? এটা সম্ভব হলে কাঁঠাল একটি রপ্তানিযোগ্য পণ্যে পরিণত হবে।
ওনি মন্দ কী বলেছেন? সবাই আগামাথা কিছু না বুঝে বলতে শুরু করলো, মন্ত্রী আমাদের কচুরিপানা খেতে বলছেন, কাঁঠালের আকৃতি বদলাতে বলছেন যা তা। কোনো কিছু না বুঝে লাফালাফি করতে কিছু মানুষ একরকম ওঁৎ পেতে থাকে। এদের কোনো কাজ থাকে না। একমাত্র কাজই (নাকি অকাজ) হচ্ছে অন্যের সমালোচনা করা।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: বাঙ্গালী শুধু ইস্যু খুঁজে। একটা ইস্যু পেলেই বাঙ্গালীর আর কিছু লাগে না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হুম।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: বাংলাদেশের বরিশাল অ্ঞ্চলের একটি জায়গায় চাকরি করতে গিয়ে দেখেছি, সেখানকার মানুষ কচুরিপানার ফুল ভাজি করে খায়। বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এই কচুরিপানা দিয়ে হাতে কাগজ তৈরি করা হচ্ছে। তা দিয়ে তৈরি কার্ড খেলনা দেশ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। সুতরাং কচুরিপানাকে ফেলনা বলার কোন কারণ নেই।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৪৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কূপমণ্ডূকেরা এসব দেখে না, ভাবেও না। ওদের এত সময় কই?

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: একজন মন্ত্রী কি করে বলতে পারে গরু যা খায় তাই মানুষকে খেতে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৪৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ওনার বক্তব্য খন্ডিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৯

এমজেডএফ বলেছেন: ব্লগেও হুজুগে বাঙালির অভাব নেই! দু্ঃখজনক হচ্ছে ব্লগে যাদের অনেকে নিজেকে আঁতেল মনে করেন তারাও এর থেকে মুক্ত নয়! বাংলাদেশের ইতিবাচক সংবাদকেও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার মধ্যে ব্লগে সবচেয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে 'গরু কচুরিপানা খেলে আমরা খেতে পারবো না কেন' পোস্টের লেখক। এইলোক এর আগেও হীন উদ্দেশ্যে জেনেশুনে ব্লগে গুজব ছড়িয়েছেন।

তরমুজ রাখতে এবং পরিবহনে সুবিধার্থে জাপানে পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে তরমুজের আকার পরিবর্তন করেছে:



প্রশ্রাবকে পরোশোধিত ও বিশুদ্ধ করে খাওয়ার পানিতে পরিণত করে বিল গেটস তা পান করলেন:
Bill Gates drinks water distilled from human faeces and urine


আমাদের পরিকল্পনা মন্ত্রী কচুরিপানাকে খাদ্যে পরিণত করা যায় কিনা তা নিয়ে গবেষণা করতে বললেন - এটা দোষের হয়ে গেল X(!


যেসব ব্লগার দীর্ঘদিন ভালো লেখালেখি করে ব্লগে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ - হুজুগে কান দিয়ে দলবাজ ব্লগারদের এসব সস্তা ভিত্তিহীন কথার পক্ষে মন্তব্য করে নিজেকে হাসির পাত্রে পরিণত করবেন না।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যার জগৎ যেখানে সীমাবদ্ধ।
আবার কেউ কেউ আছে সবখানেই বিরোধিতা করে মজা পায়।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৯

কলাবাগান১ বলেছেন: গুজব ছড়ানো ব্লগার ঢাবিয়ান কে এই ভিডিও দেখার আমন্ত্রন জানাচ্ছি যেখানে কুচরিপানার ফুলের স্যুপ খাওয়া হচ্ছে

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১০

কলাবাগান১ বলেছেন: [link|

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১১

কলাবাগান১ বলেছেন: link

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৫

এম এ হানিফ বলেছেন: মানুষ ওমনিভোরাস বা সর্বভুক প্রাণী। অনেক কিছুই আমরা খেতে পারি। যদিও আমরা তাই খাই, যা আমাদের রুচিতে নেয় (হালাল হারামের বিষয়টা ধর্ম ভেদে আলাদা); যা রুচিতে নেয় না সেটা হালাল হলেও অনেকে খায় না। এই বিশাল জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা মেটাতে নতুন খাদ্যের দিকে আমাদের নজর দেয়ার প্রয়োজন অবশ্যই আছে। এজন্য উচ্চতর গবেষণার দরকার। একবার ভাবুন আমরা এখন যে সব খাদ্য রোজ খাচ্ছি, ৫০ বা ১০০ বছর পর এই খাদ্য গুলো জমিতে নাও ফলতে পারে। তখনকার মানুষের খাদ্যাভাস হয়ত আমাদের মত থাকবে না।

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৫

রাশিয়া বলেছেন: মন্ত্রী মহোদয় হয়ত ভুল কিছু বলেননি। কিন্তু তিনি এক মহা দুর্যোগের আভাস দিয়েছেন। চালের দাম গত কয়েকদিনে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে গেছে। পেঁয়াজ রসুন সবজির বাজার কেমন - এখন তো সবাই জানেন। পেট ভরে আর কয়দিন খেতে পারবেন - এটা আপনার মাথায় না এলেও পরিকল্পনা মন্ত্রীর মাথায় এই চিন্তা ঢুকে গেছে।

শেয়ার বাজার শেষ। ব্যাংকে টাকা নেই। লুটেরারা এখন নজর দিয়েছে মধ্যবিত্তের কষ্টে জমানো সঞ্চয়ের দিকে। মহা দুর্যোগ আসছে। কচুরিপানা খাওয়ার অভ্যাস করুন। নয়তো জীবদ্দশায় না খেয়ে থাকার করুন অভিজ্ঞতা নিতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.