নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
অক্টোবরের ১৩ তারিখ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা শুরু হলো। পোড়ানো হলো ঘরবাড়ি, লুটপাট করা হলো। অভিযোগ হিন্দুরা হনুমানের পায়ের ওপর কোরান রেখেছে। অথচ এখন দেখা গেল কোরান রেখেছে মুসলিম সম্প্রদায়েরই একজন। পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা করাই উদ্দেশ্য ছিল। হামলাকারীরা একবারও ভাবল না প্রকৃত অপরাধী কে? যদি সে হিন্দু সম্প্রদায়েরও হতো, তার দায়ভার কেবল তারই। তার সম্প্রদায়ের না। ধর্মের কোথাও বলা নেই ব্যক্তির দায়ে তার সম্প্রদায় ভুগবে। তাহলে কেন এত হামলা হলো? প্রকৃত অপরাধী শনাক্ত হওয়ার পরও কেন এদের বোধোদয় হচ্ছে না? অরাজকতার হেতু কি ওদের কোরান প্রেম থেকে না কি সম্প্রদায় বিদ্বেষ থেকে?
যে সব মডারেট মুসলিম দাবি করেছিলেন এসব প্রকৃত মুসলিমের কাজ না। এদের কাছে প্রশ্নঃ এই হাঙ্গামা হওয়ার আগে পরে তো আপনাদের প্রতিবাদ দেখলাম না। হাতেগোনা কিছু লোক প্রতিবাদ করেছে। বাকিরা নিশ্চুপ। স্থানীয় প্রশাসনও তেমন সহায়তা করে নি। অনেকটা '৪৬ এর দাঙ্গার মতো (ঠিক দাঙ্গা না। একতরফাভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতন)।
সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন শুরু করার সময় কি একবারও মনে হয় না অন্য দেশে তো মুসলমানরা সংখ্যালঘু। ওরাও যদি আক্রান্ত হয় অবস্থাটা কেমন হবে? অবশ্য হচ্ছে না যে, তা না। ঘৃণার চাষাবাদ করলে তো হবেই। অন্যজনকে নির্যাতন করে নিশ্চয়ই তার কাছ থেকে ভালোবাসা আশা করা যায় না?
২১ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কোনকালে ধর্ম মানুষকে সহিষ্ণু করেছি, জানা নেই। তবে এ যুগে যে ধর্মের দ্বারা মানুষের উপকার হচ্ছে না; এটা নিশ্চিত। ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ সহ যেসব দেশে ধর্ম নিয়ে বেশি উচ্চবাচ্য শোনা যায় সেসব দেশেই হাঙ্গামা বেশি। ধর্ম এসব দেশের মানুষকে সহিষ্ণু করতে পারছে না।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫০
*কালজয়ী* বলেছেন: মুবাহিলায় (সত্যাসত্যি যাচাইয়ের বিতর্ক) আরবের নাযরানের খ্রিস্টানরা পরাজিত হওয়ার পর উপস্থিত মুসলিম জনতা খ্রিস্টানদের উচ্ছেদ করতে চাইলে নবী মুহাম্মদ তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দেন, সম্মানের সাথে বসবাসের অধিকার দেন রাজস্বের বিনিময়ে।
যারা সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা করেছে তারা গত সম্প্রতি দিল্লীর দাঙ্গায় মুসলিমদের মসজিদ, কোরআন, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়াদের মতই ক্রাইম করেছে। এটা হচ্ছে কম্যুনাল অফেন্স এন্ড ক্রাইম।
প্রশ্ন হল বাঙ্গালী মুসলমান কাকে অনুসরণ করে???
তাদের নবী মুহাম্মদকে নাকি দিল্লীতে সংঘটিত দাঙ্গার উগ্র হিন্দু জঙ্গিদেরকে।
বাঙ্গালী মুসলমানের উচিৎ হিন্দুদের প্রতি উত্তম আচরণ (নিরাপত্তা-হেফাজত) করা। রাজনীতির গভীর চক্রান্ত ভেদ করে সম্প্রীতির উদাহরণ তৈরি করা। ধন্যবাদ।
২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: প্রশ্ন হল বাঙ্গালী মুসলমান কাকে অনুসরণ করে? তাদের নবী মুহাম্মদকে নাকি দিল্লীতে সংঘটিত দাঙ্গার উগ্র হিন্দু জঙ্গিদেরকে।
মনে তো হয় দিল্লীতে সংঘটিত দাঙ্গার উগ্র হিন্দু জঙ্গিদেরকে।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ ঠিকঠাক আছে। মূর্খ ও উগ্র হলো ধার্মিকেরা।
২২ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঠিক।
৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইসলাম রক্ষার জন্য ছল চাকুরি করা জায়েজ।
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: Really?
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:১৬
অক্পটে বলেছেন: ভাল লাগল আপনার লেখা।
ধর্ম মানুষকে চক্ষুস্মান করার কথা ছিল, কিন্তু করেছে হিংস্র! যে ধর্ম মানুষকে হিংস্র আগ্রাসী আর মনুষ্যহীন করে তোলে এই সমাজে সেই ধর্মের কি কোন দরকার আছে?
কোনো ধর্ম যদি অমানুষকে মানুষ করেদিতে পারে। আগ্রাসীকে হৃদয়বান আর মানবিক করে তুলতে পারে আমি শুধু সেই ধর্মটাই মানি। আরসব ধর্ম ব্যবসায়িদের আমি অন্তর দিয়ে ঘৃণা করি।