নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির পাশে আরশিনগর সেথা পড়শী বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাঠমোল্লাদের দৌরাত্ম্য

২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৩৮

ছোটোবেলায় দেখতাম এলাকায় নাটক হতো, যাত্রাপালা হতো, গানের অনুষ্ঠান হতো। এখন কি তেমন কিছু দেখা যায়? গত ১০-১৫ বছরে আশপাশে যে বিরাট পরিবর্তন এসে গেছে, বোঝা যাচ্ছে না? আমাদের এলাকায় একটা অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিল যুবসম্প্রদায়। বড়ো ধরণের বাধা এসেছিল। এমনটা সারা দেশেই হচ্ছে। কিছুদিন আগে তো দেখা গেল বাউল সম্প্রদায়ের কয়েকজনের মাথার চুল ছেটে ফেলা হলো। কী এক রাহু ভর করছে চারপাশে ভাবা যায়?

পয়লা বৈশাখ পালন নিয়েও বিরাট হৈচৈ। অথচ এটা খুব সরল একটা উৎসব। এটা নিয়ে কী হৈচৈ না হলো! একটা শ্রেণি চাচ্ছেই না দেশে কোন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চলুক।
সত্যি কি কোন দেশ সংস্কৃতি ছাড়া চলে?

আপনি চাইলেই কি মধ্যযুগীয় কায়দায় চলতে পারবেন? গান ছাড়া চলতে পারবেন, নাটক বা চলচ্চিত্র ছাড়া চলতে পারবেন? সবসময়ই যদি কানের কাছে এত বিধিনিষেধ থাকে, মানুষ বাঁচতে পারে?

নরসিংদিতে এক মেয়ে টপস এবং জিনস পরায় হেনস্তার শিকার হলো। হেনস্তাকারীর একজন নারী। নারীর শত্রু নারী। মূল অভিযুক্ত একজন বখাটে। কী অবস্থা! এই জাতির বৃহদাংশ মনে করে নারী ধর্ষণের মূল কারণ পোষাক। মনে করে পোষাক যদি মনপুত না হয় তাহলে ধর্ষণ দায়ী। এই শ্রেণিকে বোঝানো যায় না তাহলে মাদ্রাসায় শিশু বলাৎকার কেন হয়? বোঝানো যায় না বোরখা পরা মেয়েরাও কেন ধর্ষিত হয়?

গতকাল একটা নিউজ পড়লাম স্বামী স্ত্রী দুজনেই হাফেজ/হাফেজা। হাফেজ লোকটা কাজ করত। স্ত্রীকে কঠিন পর্দায় রাখত। হাফেজ সাহেব এখন অসুস্থ। এখন হাফেজা মহিলা মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্য চাচ্ছে। এই হাফেজা যদি নিজে চাকরি করত, তার কি এই দুরবস্থা হতো? কে কাকে বোঝাবে? মেয়েদের কঠোর পড়ালেখা বিরোধী, চাকরিবাকরি বিরোধী জনগণ অসময়ে নীরব।

শুধু কাঠমোল্লাদের দোষ দিয়ে কী হবে? কোট-টাই পরা মোল্লারাও তো কম যায় না। দেশটাকে পাকিস্তান--আফগানিস্থান বানাতে পারলেই শান্তি।

এত এত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছিল না আগে, অথচ এখন মোড়ে মোড়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এত এত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কি মানুষের নীতি-নৈতিকতার উন্নয়ণ ঘটাতে পারছে? এখন তো খুন-গুম-ধর্ষণের জোর প্রতিযোগিতা চলছে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কতটুকু সুফল বয়ে আনল?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৫২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আগে নিজের নৈতিকতা ঠিক করতে হবে, নিজেকে সৎ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে তারপর অন্যকে নিয়ে চিন্তা। নিজের হাজারো দোষ আছে তারপরও অন্যের দোষ অন্বেষণে ব্যস্ত। এটাই হলো বাঙালীর চরিত্র।

২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:২৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অন্যের মঙ্গলের জন্য চিন্তা করলেও হয়। কিন্তু সবাই তো বাঁশ রেডি রাখে।

২| ২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

বহ্নি শিখা বলেছেন: শুধুমাত্র পোশাক ঈমান পরীক্ষা করতে পারে না..। কাফেরদের পোশাক কি ছিল ।

২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৪৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: লেবাসধারী মুমিন এরা৷

৩| ২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:



সাংস্কৃতিক বিপ্লব দরকার।

২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৩০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সেটা কি আর সম্ভব?

৪| ২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: এই সকল কাঠমোল্লাদের আমরাই মাথায় তুলে আছি আগে এদের নিজেদের মাথা থেকে মাটিতে নামান তারপরে এদের কে পরিশ্রম করে খেতে বলেন পরের ঘাড় ভেংগে খাওয়া অনেক সহজ পরিশ্রম করে অর্থ ইনকাম করে খাওয়া কতোটা কঠিন এদের বুঝতে দিন দেখবেন সকল ইতরামি একদম বন্ধ !!! প্রতি শুক্রবার রোজার সময় এদের ধরে এনে গামলা ভরে খাওয়ানো বন্ধ করুন ।কোরবানীর চামড়া এদের না দিয়ে গরীব দুঃখীদের দান করুন। আপনার যাকাতের অর্থ এদের না দিয়ে আপনার প্রতিবেশি ও নিকট আত্মীয় কে দান করুন। দানের হাত বাড়িয়ে দিন ক্ষুদার্থদের প্রতি এই সব কাঠমোল্লাদের প্রতি না !!!

২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৩১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বেড়ালের কণ্ঠে ঘন্টা বাঁধবে কে?

৫| ২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



শিক্ষাই সাংস্কৃতিক বিপ্লব আনবে; শিক্ষায় বাধা দিচ্ছ ব্যুরোক্রেটরা ও সরকার।

২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শিক্ষার হার যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের শিক্ষার্থীরাও এখন কাঠমোল্লা ধ্যান-ধারণার।

৬| ২৪ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের একটু নড়েচরে বসা দরকার। লাগাম টেনে ধরা দরকার। চুপ করে থাকাওলে হবে?

২৪ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সরকার তামাশা দেখে।

৭| ২৪ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের ছোট বেলাতে অবস্থা কিন্তু এই রকম ছিল না । যেখানে দিন দিন মানুষের মাঝে উগ্রতা কমার কথা সেখানে সেটা বেড়েই চলেছে !
পহেলা বৈশাখের কথাই যদি ধরি, যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখনও মানুষের মাঝে পহেলা বৈশাখ নিয়ে এতো উগ্রতা ছিল না । এই ব্যাপারটা বেশি বেশি শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের পর থেকে।

২৪ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: গত ১০-১৫ বছরে উগ্রতা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে।

৮| ২৪ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩

খাঁজা বাবা বলেছেন: নিয়ম মেনে লেখা পড়া ও কাজ করতে ধর্মের কোন বাধা নেই।
হাফেয সাহেবের স্ত্রী কোরআন পড়া ছাড়া অন্য কোন কান শেখেননি এটা তার সমস্যা, ধর্মের কি সমস্যা?

২৪ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধর্মের সমস্যা বলি নি। কাঠমোল্লাদের বাড়াবাড়িই বড়ো সমস্যা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.