নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
২০২৩ ভারত বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল দেশত্যাগ করল। অথচ দলে জায়গা হলো না ওপেনার তামিম ইকবালের। যদিও 'নড়াইল এক্সপ্রেস' খ্যাত মাশরাফী বিন মূর্ত্তজা জানিয়েছেন, তামিম ইকবালই দলে থাকতে চাননি। বিসিবিতে তামিমের থাকা না থাকা নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলল। তামিমকে নাকি মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। উনি রাজি হননি।
দলের প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় ব্যাটিংয়ের মানসিকতা থাকা দরকার। ভারতের বিরাট কোহলি কি দলের প্রয়োজনে ৩ নম্বর পজিশন ছাড়েননি? শ্রীলঙ্কার তিলকারত্মে দিলশান কি ৭-৮ নম্বর পজিশন থেকে ওপেনিংয়ে আসেননি?
যাহোক, তামিম ইকবাল বহুদিন ধরেই চোটাক্রান্ত। কিছুদিন আগে হুট করে অবসর নিয়ে বসেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দলে ফেরেন। এবার ফিটনেসের অভাবে বাদ পড়লেন বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও তামিম ইকবাল বলেছেন, তিনি পুরোপুরি ফিট। তাও কেন বাদ পড়লেন অথবা নিজেকে সরিয়ে নিলেন খোলাখুলি বোঝা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, খোদ সাকিব-হাথুরুর ইচ্ছেতেই এমন হচ্ছে।
তামিম বাদ পড়ার পর তার বড় ভাই জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবালকেও দলের টিম ম্যানেজারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, অন্যান্য খেলোয়াড়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই উনাকে বাদ দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে নাকি খেলোয়াড়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। আবার লোকমুখে শোনা যায়, সাকিব আল হাসানই নাকি তামিমের অগ্রজকে ড্রেসিংরুমে চাচ্ছিলেন না।
জাতীয় দলের মধ্যে এই যে অরাজকতা; এসব ক্রিকেটপ্রেমীদের যে ভাবিত করে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বলা হচ্ছে, সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্ব নোংরা পর্যায়ে চলে গেছে। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন নিজেও বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন বললেন, ওরা তো আর বাচ্চা না, বাচ্চার বাপ। ওদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।
২০০৬ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দলে ছিলেন সাকিব-তামিম। বিকেএসপিতে থাকাকালে দু'জনই তাদের প্রতিভার দ্যুতি ছড়াতে থাকেন। মোহামেডান-ভিক্টোরিরায় একসঙ্গে খেলেছেন। দু'জন নাকি একই রুমে থেকেছেন। ছিলেন জিগরি দোস্ত। ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট সাকিবের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তি। তার ঠিক পরের বছরের ৯ ফেব্রুয়ারিতে তামিম। দু'জন একসঙ্গে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়েছেন। হয়েছেন অধিনায়ক-সহঅধিনায়ক। আবার একসঙ্গে দল থেকে বাদও পড়েছেন। অথচ কী থেকে কী হয়ে গেল। একসময় দু'জনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গেল।
কোচ চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহের পরিকল্পনা ছিল শতভাগ ফিট খেলোয়াড় দলে নেবেন। এ জন্য মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিয়েছিলেন। এশিয়া কাপে তরুণরা খারাপ করায় তাকে দলে নেওয়া হলো। তামিমের ফিজিও যেখানে তাকে ফিট বলল, সেখানে তার দলে না থাকাটা প্রশ্নের জন্ম দেয়। এমনও না যে দলে তারচেয়ে উপযুক্ত ওপেনার আছেন। তরুণ যাদের নেওয়া হলো, তারা কতটুকু সাফল্য দেখাতে পারে; সেটাই এখন দেখার বিষয়।
২০১১ তে দুঃখজনকভাবে মাশরাফী অধ্যায় শেষ হয়েছিল। ২০২৩ এ শেষ হলো তামিম অধ্যায়। ব্যক্তিগত রেষারেষি ও হিংসার যে বীজ বপন করা হলো, তার খেসারত বোধহয় দিতে হবে জাতীয় দলকে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: খেলায় এখন নোংরামি ঢুকে গেছে।
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: অযথাই ওদের শত্রু ট্যাগ দেয়া হয়েছে! সাকিবের যে অবস্থান তাতে তামিমের ওর ধারে কাছে যাবার সামর্থ্য নাই আর এখন - তামিম ক্যারিয়ারের শেষ দিন গুনছে। কেন শত্রুতা করবে? তামিম নিজেই চরম ঘাউড়া মাল-ও ইংলিশ মিডিয়ামে পড়েছে, উঁচু বংশের ছেলে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বিখ্যাত ক্রিকেটার ওর কাকা, নিজে দুর্দান্ত খেলোয়ার। নিজে ভীষণ নাক উঁচু। হাথুরের সাথে বহু বছরের ক্যাঁচাল, পাপনের সাথেও সম্পর্ক ভাল না। আপনার কি ধারনা সাকিবের সাথে সম্পর্কের তলানীর জন্য সাকিব একা দায়ী? তামিম অবশ্যই দুর্দান্ত একজন খেলোয়ার এতে সন্দেহ নেই। চার নম্বরে খেললে তাঁর কি সমস্যা। দলঈয়ভাবে যে পজিশনে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই সে মেনে নিতে বাধ্য। কিছু হলেই টিভিতে কেঁদে কেটে স্টেটমেন্ট দেয়। এটাতো ভয়ঙ্কর অপরাধ। ভিতরের খবর জানেন না?
বিখ্যাত একজন স্পোর্টস রিপোর্টার আমার ভাগ্নী জামাই। আর বিসিসবির একজন প্রভাবশালী ডাইরেক্টর, প্রাক্তন খেলোয়ার কাম বিসিবির...টি ইনচার্জ আমার বন্ধু। সবকিছু বলা যায় না - বলতে হয় না।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এককভাবে কাউকে দোষারোপ করছি না। এখন যোগ্যতায় সাকিব যোজন যোজন এগিয়ে। এ জন্য হয়তো সবকিছু তার নিয়ন্ত্রণেও। তামিম ভালো ক্রিকেটার বটে, কিন্তু একটু বেশি একরোখা মনে হয়েছে। তার বোঝা উচিত ছিল সে রাম নেই সে অযোধ্যাও নেই। তাকে অবশ্যই একটু ছাড় দিয়ে থাকতে হবে, যেহেতু চোটাক্রান্ত।
দু'জনের বন্ধুত্বে ফাটল ক্রিকেটের ক্ষতি করেছে অনেক। দলের মধ্যে একটা বিভাজনও তৈরি হয়ে গেছে।
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বাঙালি আবেগপ্রবণ । তাই সবাই আবেগ নিয়ে খেলে ।
আনফিট প্লেয়ার দরকার নাই ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কিন্তু ফিট প্লেয়াররাও তো সুবিধা করতে পারে না। তাই তো নিরুপায় হয়ে মাহমুদউল্লাহকে নিতে হলো।
৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: মাহমুদউল্লাহ তো অফফর্মে ছিলেন
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ফিটনেসেও সমস্যা ছিল। এখন মনে হয় ঠিক আছে।
৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সেরজা তপন ভাইয়ের মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যেই যথার্থ বলেছেন।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তামিম ইকবাল বেসিক্যালি একটু ঘাওড়া টাইপের। তিনি ট্যালেন্টেড প্লেয়ার নিঃসন্দেহে, কিন্তু তার বোঝা উচিত যে কারো অবস্থানই চিরদিন সমান থাকবে না, একদিন না একদিন স্ট্যান্ডার্ড পড়ে যাবেই; সেটা মনে রেখে প্লেয়িং অর্ডারে নিজের অবস্থান চেঞ্জ হলে সেটা মেনে নেয়া ক্রিকেটের স্বার্থেই মঙ্গলজনক। বাংলাদেশ ওপেনিং জুটি নিয়ে ভুগছে বহুদিন হলো। এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও কম হচ্ছে না। তামিমও যে ধারাবাহিকভাবে ভালো করেছেন তাও না। এ অবস্থায় দল ও দেশের স্বার্থে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেয়াই ছিল সর্বোত্তম। আপনি বিরাট কোহলি ও অন্যান্যদের ব্যাপারে ভালো উদাহরণই দিয়েছেন। শেরজা তপন ভাইয়ের কমেন্টে শুধু আমার মনের কথাই না, যারা নিয়মিত ক্রিকেট দেখেন, তাদের মনের কথা ও ক্ষোভই ফুটে উঠেছে। তামিম ইকবাল সংক্রান্ত যে ইস্যু সৃষ্টি হয়েছে, তা এখনো খুব পরিষ্কার না। তামিম ইকবাল ফেইসবুক পেইজে যে বিবৃতি দিয়েছেন তাতেও অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় না। সামগ্রিক ভাবে ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক।
তবু চাইছি, এ ইস্যুটা যেন দলের উপর কোনো প্রভাব না ফেলে। দল ভালো খেলা উপহার দিক আমাদেরকে। এবং শেষমেষ তামিম ইকবাল কোনো না কোনোভাবে দলে ফিরে এসে, অবস্থান যাই হোক, নিজের ক্যারিশমা দেখিয়ে হারানো ইমেজ ফিরিয়ে আনুন, এই প্রত্যাশাও করছি। সব মিলিয়ে দল ও দেশের ভালো চাই।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিশ্বকাপের আগে এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। দলের ওপর প্রভাব না পড়লেই হলো।
৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬
জুন বলেছেন: আমার মনে হয় সন্মান থাকতে থাকতেই পদত্যাগ করা উচিত সবারই। এমন প্লেয়ারদের মাঠ থেকেই সতীর্থরা বিদায় জানায়। আর আমরা কাইন্দা কাইট্যা সংবাদ সন্মেলন, এরে ধরি, তারে ধরি, ভিডিও আপ্লোড আরও কত্ত কিছু। তামিম আমার অনেক প্রিয় একজন প্লেয়ার তেমনি মাহামুদুল্লাহ। কিন্ত সময়ের সাথে সাথে যেতে হয় এটাই বুঝিন্না আমরা।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আসলেই।
৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: এই দেখেন আজকের পত্রিকায় এসেছে গতকালকে তিনি লাইভে বলেছেন আমি তুলে দিচ্ছি;
"আমাকে বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে বললেন, তুমি তো বিশ্বকাপে যাবা তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলতে হবে। তুমি প্রথম ম্যাচ খেল না, আফগানিস্তানের সঙ্গে। আমি বললাম ভাই এটা এখনো ১২-১৩ দিনের কথা। আমি তো এর মধ্যে ভালো কন্ডিশনে থাকব। কী কারণে খেলব না? তখন বললেন, আচ্ছা! তুমি যদি খেলও তাহলে নিচে ব্যাট করাব।
একটা ভালো ইনিংস খেলেছি। আমি হ্যাপি ছিলাম। হঠাৎ করে এসব কথা আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব না। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাটিং করেছি। আমার তিনে চারে পাঁচে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই। আমি কথাগুলো ভালোভাবে নিইনি। উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ কথাগুলো পছন্দ হয়নি। মনে হচ্ছিল আমাকে জোর করে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। তখন আমি বললাম, দেখেন, আপনারা একটা কাজ করেন যদি আপনাদের এমন চিন্তাধারা থাকে তাহলে আপনারা আমাকে পাঠায়েন না। আমি এ নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না।"
~ কোন ক্রিকেট বোর্ড কর্মকর্তা কোন খেলোয়ারকে এরকম অফার দিতেই পারেন এর প্রতি উত্তরে তার এরকম ব্যবহার করা কি ঠিক হয়েছে?
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলা উচিত ছিল। সব জায়গায় গোয়ার্তমি খাটে না।
৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: ক্রিকেট পাড়ায় মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকেই জোর গুঞ্জন; বিশ্বকাপের দল থেকে কাটা পড়ছেন তামিম ইকবাল। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গুঞ্জন রূপ নিতে শুরু করে সত্যতায়। রাত সোয়া ৮টায় সেটি পরিণত হয় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হিসেবে।ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘আপনারা তো বিশ্বকাপের স্কোয়াড পেয়েছেন। তামিমের অনেক দিন ধরে ইনজুরি কনসার্ন। এটা নিয়ে লড়াই করছিল। প্রথম ম্যাচ খেলার পর অভিযোগ এসেছে চোট নিয়ে। ইনজুরি চিন্তা করে তামিমকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হয়নি!!!সুত্র ঃ আরটিভি
তবে ভিডীও বার্তায় তামিম দিলেন ভিন্ন ব্যাখা।তামিম বলেছেন তাকে পদে পদে বাধা দেওয়ার জন্যই বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হয়েছে।তামিম ইকবাল দাবি করেছেন, তাকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নিষেধ করা হয়েছিল কিংবা তিনি যদি প্রথম ম্যাচে খেলেন তাহলে তাকে ওপেনিংয়ের পরিবর্তে নিচের দিকে খেলতে বলা হয়। বাংলাদেশের এই তারকা ব্যাটসম্যান দাবি করেন, ক্রিকেট বোর্ডের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে সরাসরি টেলিফোন করে এসব কথা বলেছেন। এর জের ধরে তিনি বিশ্বকাপ দল থেকে 'বাদ পড়েছেন' বলে উল্লেখ করেন তামিম ইকবাল। এছাড়া তিনি পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না- বলেও যে খবর এসেছে সে বিষয়টিও ঠিক নয় বলে জানান তিনি। সুত্র বিবিসি বাংলা
বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তামিমের ভাই সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল। তামিম ইকবালকে দল থেকে বাদ দেয়ার পর (২৬ সেপ্টেম্বর) নাসিফকেও তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)!!!সুত্র ঃ মানব্জমিন
এবার আসুন দেখি সাকিব আল হাসান ও সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি কি বলছে এই ইস্যূতে ।মাশরাফি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল রাতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘একটি তথ্য হয়তো সবাই ভুল দিচ্ছে। তামিমকে বাদ দিয়েছে। আসলে সত্য হলো তামিম দলে থাকতে চায়নি !!
সাকিব আল হাসান তামিমের আচরনকে বাচ্চামি বলেছেন। তিনি বলেন, ‘রোহিত শর্মার মতো একজন লোক সাত নম্বর থেকে এসে ওপেনিংয়ে খেলছেন। তো ও (তামিম) যদি মাঝে মাঝে তিন-চারে খেলে কিংবা ব্যাট না করে তাহলে কী খুব বেশি প্রবলেম হয়ে যাবে।স্ত্র ঃ সময় নিউজ
বাংলাদেশের আর সব সেক্টরের মত ক্রিকেট বোর্ডকেও দলীয়করন করা হয়েছে। নৌকার কান্ডারি মাশরাফি বা সাকিবের বক্তব্য তাই পুরাপুরিই দলীয় বক্তব্য। দলের বাইরে যেয়ে স্বাধীন বক্তব্য দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না। ফেসবুকে যদিও মাশরাফি ও সাকিবকে ইচ্ছেমত তূলোধূনা করা হচ্ছে , কিন্ত আসলে তাদেরকে টার্গেট করে লাভ নাই। দলীয় তাবেদারি না করলে তাদের অবস্থাও তামিমের মতই হইত। আমরা নিশ্চই ভুলে যাইনি দুই হাত জোড় করে পাপনের পায়ের কাছে বসে থাকা সাকিবের সেই অসহায় ছবির কথা!! এটাই বাংলাদেশ।
দুধর্ষ ওপেনার তামিম ইকবাল যদি স্বাধীনভাবে না খেলে বোর্ডের ইচ্ছে মাফিক ফরমায়েসী খেলা খেলতো , তবে আর তাকে দল ছাড়তে হত না। দেশীয় ক্রিকেট নিয়ে আর কোন স্বপ্ন দেখি না। খেলা দেখতেও বসি না।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তামিমকে নিয়ে পুরোপুরি ভরসা করতে পারছিল না দল। তাই নিচে নামানোর সিদ্ধান্ত বা আরও কিছু বিধিনিষেধ। তামিমের দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলা উচিত ছিল। যেহেতু তার ওপর ভরসা করছে না বোর্ড। হুটহাট মতামত দিয়ে বসে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারল।
১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭
আমি নই বলেছেন: ভাই, এখানে তামিমের দোষ কথায় সেটাই বুঝতেছিনা। যদি ওপেনিংয়ে সে খারাপ খেলত অথবা সে নতুন প্লেয়ার হত তাহলে মানতাম যে পজিশন পরিবর্তন করে পরীক্ষার দরকার আছে, তাও সেই পরীক্ষাটা অবস্যই বিশ্বকাপের মত খেলায় নয়। ১৭ বছর ধরে ওপেনিংয়ে করতেছে, ওপেনিংয়ে ভালোও করতেছে, ওপেনিংয়ে সবচাইতে সফল তাকে তারা হঠাৎ করে বিশ্বকাপের মত খেলায় ৩-৪এ নামিয়ে পরিক্ষা করতে চায় কোন যুক্তিতে?? একটা যুক্তিতো লাগবে। রোহিত, কোহলি খেলেছিল তাই তোমাকেও খেলতে হবে, এটাই কি যুক্তি?
তাও এই অফারটা টিম মিটিংয়ে ম্যাচ কন্ডিশন দেখে দিলে মানা যেত, কিন্তু অফারটা ম্যাচের বহু আগে একজন কর্মকর্তা দিয়েছেন। কি আজব? খেলোয়াররা-কোচিং স্টাফরা সাধারনত পিস, আউটফিল্ড কন্ডিশন, ম্যাচ কন্ডিশন ইত্যাদি দেখে টিম মিটিং করে ডিসিসন নেবেন কে কথায় খেললে দল লাভবান হবে, এটাই নিয়ম।
তামিমকেতো আগেই বলে দেয়া হচ্ছে যে তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলতে হবে, তুমি ম্যাচ খেলোনা, আর খেললেও তোমার ন্যাচারাল পজিশন ছেরে অন্য পজিশনে খেল। কেন রে ভাই, তামিম দলে না থাকলে যদি দল ম্যাচ বেশি জেতে, দল বিশ্বকাপ পায় তাহলে নেয়ার দরকার নেই। দলে নিয়ে এত নাটক কেন?? দলে নিয়ে অচ্ছুতের মত ব্যাবহার করতে হবে কেন?
আমার এলাকায় একটা প্রবাদ আছে "স্ত্রী তার স্বামিকে বলছে তুমি আমাকে নিয়ে ঘর করবা কিনা বল? তখন স্বামী বলতেছে কোবোৎ বুঝিস না?" তামিম হয়ত বুঝেছে।
একজন খেলোয়ারের পরন্ত সময় আসলেই তাকে ছুরে ফেলে দিতে হবে?
আমরা তোমাকে অবস্যই মনে রাখব তামিম আর ষরযন্ত্রকারিরা এমনিতেই আস্তাকুরে নিক্ষিপ্ত হবে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তামিমকে টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা করছে না। তাই তার অবশ্যই সমন্বয় করে খেলা উচিত ছিল। তার বোঝা উচিত সে আর আগের মতো ফর্মে নেই।
১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: এটা জাষ্ট অপমান করা, তামিমকে না নিলে প্রবলেমন নেই, কিন্তু তার ব্যাক্তিত্বের কাছে ওরা হার মেনেছে, ওরা তামিমকে নিয়ে বসার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি বলে অন্যকে দিয়ে ফোন করে এটা সেটা প্রস্তাব দেয়, তামিম কোন কাজে না আসলে ওর সাথে বসে বুঝিয়ে বললেই হয়, যে আমাদের প্ল্যান মাফিক তোমাকে খেলাতে পারছিনা এবং দলেও রাখতে পারছিনা, মনে কষ্ট নিওনা, এটা বললেইতো হয়। নাটক করার কী দরকার
তামিম সত্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে কারণ তার নামে মিথ্যা কথা ছড়িয়ে, দোষটা তার ঘাড়েই দিতে চাইছে।
আমি নতুন কোন যুক্তি দিতে চাইনা, ক্রিকেট নিয়ে যারা নিয়মিত লেখেন এবং সিনিয়র যারা আছে মোটামোটি সবাই বলছে এটা অন্যায়, ঠিক হয়নি
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যা বুঝতে পারছি টিম ম্যানেজমেন্ট তামিমকে ভরসা করতে পারছিল না। এ অবস্থায় এত ইগো নিয়ে চললে মুশকিল। মাহমুদউল্লাহও তো খুব অবহেলিত ছিল। দলে ঠাঁই পেয়েছে তো।
১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৩
আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: তামিমকে টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা করছে না। তাই তার অবশ্যই সমন্বয় করে খেলা উচিত ছিল। তার বোঝা উচিত সে আর আগের মতো ফর্মে নেই।
ভাই, টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা না করলে টিমে ডাকারতো দরকার ছিলনা। আর ডাকছেই যখন তাইলে তার পজিশনেই খেলানো উচিৎ ছিল। ফর্ম না থাকলে বাদ পরবে, ম্যানেজ করে চলতে হবে কেন?
আর ক্রনোলজিটা দ্যাখেন, আগে বলল সে ইনজুরড, তারপর পাচ ম্যাচের বেশি খেলবেনা, তারপর সে নাকি বেছে বেছে ম্যাচ খেলবে এইভাবে প্রপাগান্ডা ছরিয়ে আগে জনগনের মাইন্ড সেট করা হলো যে তামিম ইগো দেখাচ্ছে।
শেষে ফোন করে বলা হলো তুমি প্রথম ম্যাচ খেইলোনা, আর খেললেও ৩-৪ নাম্বারে খেল। তামিম ২-৩ মাস পর নেমে লাস্ট ম্যাচে ৪৪ রান করেছে তার পরেও কোন যুক্তিকে বলে যে ৩-৪ নাম্বারে খেলো? এখন এটাকেই হাইলাইট করা হচ্ছে যে তামিম দলের চাইতে নিজেকে বড় মনে করে, তামিম ইগো দেখাচ্ছে, অথচ কেউ বলতেছে না ঠিক কোন কারনে তাকে ৩-৪এ খেলতে হবে? দলের প্রয়োজন? দলকে তো আগে মাঠে নামতে হবে তার পর না দলের প্রয়োজন ঠিক হবে।
অফটপিকঃ আজকে অস্ট্রেলিয়া দল ঘোষনা করেছে, দলে চোটে পড়া হেডকেও রাখা হয়েছে যে কিনা টুর্নামেন্টের মাঝামাঝি সময়ে সুস্থ হতে পারে।
১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
আমি নই বলেছেন: মাসরাফিও দেখি আমার সাথে একমত... মোটামুটি খুব ভালো ব্যাখ্যা করেছে।
view this link
১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: তামিম নিজ থেকে যখন অবসরের ঘোষনা দিয়েছিল তখন তাকে অনুরোধ করে দলে আনার দরকার ছিল না! নিশ্চয়ই অবসরের চিন্তাটা অনেক ভেবে চিন্তে নিয়েছিল। আমি তামিমের ভিডিও বার্তা দেখলাম গতকাল, আমার মনে হয়েছে সে নিজেও তেমন ফিট না, তাছাড়া টিম থেকে তাকে খুব খারাপ প্রস্তাব দেয়নি, সবারই এক সময় থামতে হয়। জনগন সাকিবকে শুধু শুধু ভিলেন বানানোর চেষ্টা করছে।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তামিমের আগের সিদ্ধান্তটা আবেগের বশে ছিল, এবারও। এত আবেগপ্রবণতা নিয়ে খেলাধুলা হয় না। নিজের ফিটনেস-পারিপার্শ্বিকতা বুঝতে হবে।
১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমি খেলা দেখি না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: খেলার মধ্যে ক্রিকেটই আমরা একটু ভালো খেলি।কারণ এই খেলায় প্রতিযোগিতা কম।