নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

এসএসসি পাশ পোশাকশ্রমিক আর মাস্টার্স পাশ অফিস সহকারীর বেতন

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১


পোশাকশ্রমিকদের বেতনভাতা বৃদ্ধি নিয়ে কয়েকদিন খুব আন্দোলন হলো। জ্বালাও-পোড়াও চলল। অবশেষে তাদের বেতন ৫৬% বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আগে যেখানে ৮,৫০০ টাকা পেতেন; এখন থেকে তারা ১২,৫০০ টাকা মূল বেতন পাবেন। এতে তারা খুশি হতে পারেননি। তারা ২৩,০০০ টাকা মূল বেতন চান।

এদিকে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের মাস্টার্স পাশ অফিস সহকারীর মূল বেতন কত? বড়জোর ১২,৫০০ টাকা? এ টাকায় এ বাজারে চলা যায়? বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও মোটামুটি এমনই কাঠামো। অথচ তারা না পারছেন বলতে, না পারছেন সইতে।

ঢাকা শহরে রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা ভাড়া। গুলশান-বনানী এলাকা হলে তো আরও বেশি। একজন রিকশাওয়ালা যে টাকা কামান, মাস্টার্স পাশ অনেকে তার অর্ধেকও কামাতে পারেন না। অথচ ঠিকই কোট-টাই পরে বোঝাতে হয় ভালো আছেন।

একজন সেলুনওয়ালারও ভালো উপার্জন। যেকোনো জায়গায় দোকান দিয়ে চুলে হাত দিলেই ১০০ টাকা, দাড়ি চেঁছে দিলে ৬০ টাকা। ঢাকায় বাসাবাড়িতে যিনি কাজ করেন, তার উপার্জনও বেশ। কাজের লোকদের দাম এখন এত বেশি যে, হাতেপায়ে ধরে রাখতে হয়। থাকেন বটে, কাজ করেন একাধিক জায়গায়।

এসব তো গেল শহরের কথা। গ্রামে এখন কাজের লোক পাওয়া যায় না। ধান কাটলে ১০০০ টাকার উপর রোজ। যারা অটোরিকশা বা সিএনজি চালান, তারা তো রাজার হালে দিন কাটান।

মরেন শুধু মাস্টার্স পাশ কম বেতনের চাকুরেরা। তাদের যেন দেখার কেউ নেই।




মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: যে কোন সমাজে মধ্যবিত্তরা সবচাইতে অসহায় শ্রেণী।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তাও বাইরে ঠাঁট বজায় রেখে চলতে হয়।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ওরা তো ঘুষ আর দূর্নীতির সুযোগ পায় না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বৃষ্টির সময় ২০ টাকার ভাড়া ৫০ হয়ে যায়। সেলুনে উৎসব উপলক্ষে বোনাসও দিতে হয়

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: মধ্যবিত্ত শ্রেণী আছে বটে, তবে বিত্তটুকুই নাই হয়ে গিয়েছে আর ঠাট-বাট সবই আছে এই আর কি!

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আসলেই। করুণ অবস্থা!

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আমি নই বলেছেন: অফটপিকঃ আমার এক বন্ধু আছে যে তেজগা টেক্সটাইল কলেজ (এখন ভার্সিটি) থেকে পাশ করে প্রথমে চাকুরি এবং পরে গার্মেন্ট ব্যাবসায় ঢোকে। এখন কয়েকটা গার্মেন্ট, ছোট আকারের একটা ডায়িং আর একটা স্পিনিং মিল আছে। লাস্ট ১০ বছরে সে অন্তত ১০০ কোটি টাকার জমি কিনেছে। তাকেও আমি বেতন নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, সেও সেইম আপনার মতই উত্তর দিয়েছিল।

আমার মাঝে মাঝে মনে হয় শ্রমিকদের ঠকানো হচ্ছে, কারন আর কোন ব্যবসায় বৈধভাবে এত কুইক শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়া যায় আমি ঠিক জানিনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বাংলাদেশের শ্রমবাজার অন্যান্য দেশের চেয়ে সস্তা; এটা সত্যি। এজন্যই হয়তো পোশাকশিল্প এতদূর এগিয়েছে। ন্যায্য পারিশ্রমিক পাওয়া উচিত। আমার মনে হয় যোগ্যতা অনুযায়ী ১২,৫০০ ঠিকই। কিন্তু উচ্চ শিক্ষিতরা তো যোগ্যতা অনুযায়ী পাচ্ছেন বেতন।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: সতি বলতে পড়াশুনা করে বিপদে আছি । বাবা মা পিঠে যে মধ্যবিত্তের সিল মেরে দিয়েছেন । মরবো তবূ মচকাবো না । এমন সিল থেকে বাহির হওয়াটাই এখন বড় যুদ্ধ ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এত পড়ালেখা না করে কারিগরি শাখায় কিছু শিখে নিলেই বোধহয় ভালো হতো।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

পৃথিবীর সব জায়গায় একই অবস্থা।
শ্রম ভিত্তিক কাজে বেতন বেশি।
একজন নাপিত একজন শিক্ষকের চেয়ে তিনগুণ বেশি উপার্জন করেন।
বর্তমানে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন যথেষ্ট বেড়েছে সন্তোষজনক বলা যায়।
আমার মনে আছে ২০০৬ একজন পোশাক শ্রমিকের স্টার্টিং বেতন ছিল মাত্র ৯০০ টাকা, চাউলের কেজি ছিল ৩০ - ৩৫

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রির উপার্জন দেখেও অবাক হতে হয়।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: ঢাকাতে একজন রিক্সাওয়ালা মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করে ।

আমাদের মাঝে একটা অদ্ভুত ধারণা জন্মেছে যে মাস্টার্স পাশ করেছি মানেই আমার বেতন বেশি হওয়া লাগবে অথচ ভেতরে মাল নাই এক পয়সার ! বড় বড় কোম্পানীর এমডিদের ড্রাইভারদের বেতন ৫০/৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয় ! আমি যাদের বাসায় টিউশনি করাতাম তাদের বাসায় যে ড্রাইভার ছিল তার বেতন ছিল ২৬ হাজার টাকা ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মাস্টার্স পাশ করলেও দেখা যায় চাকরিটা ইন্টার লেভেলের যোগ্যতার। এখন সরকারি চাকরি এমন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে; এই লেভেলের চাকরি জোটানোই কঠিন। সামনেও যাওয়া যায় না আবার পেছনেও যাওয়া যায় না। পুরো মাইনকার চিপায়।

৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শ্রমের চাহিদা অনুযায়ী যোগান বেশি, যার জন্য পারিশ্রমিক কম।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হুঁ।

৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সব কাজের জন্য বিএ/এমএ লাগে না।
আমাদের অফিসগুলোতে বেশীর ভাগ কাজই হাইস্কুল ডিপ্লোমা হলেই পারা যাবে।
এমন কোন কঠিন কাজ না।

কোন কাজকেই অবহেলা করা উচিত না।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এত পড়ালেখা করেও কাজের কাজ হয় না।

১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই সমস্যা হত না যদি সরকার সবাইকে মাস্টার্স করার সুযোগ না দিত। গ্রামে গঞ্জেও চলে গিয়েছে অনার্স, মাস্টার্স। মেয়ে অনার্স হয়ে গেলে তার জন্য ছেলে পাওয়া যায় না। কারণ, ছেলে তো ইন্টার, ডিগ্রী করে কর্মজীবনে ঢুকে গিয়েছে। অন্যদিকে ছেলে মাস্টার্স পাস করলে আর ড্রাইভার হতে চায় না, সিকিউরিটি ইনচার্জ হতে চায় না। আমেরিকাও সবাইরে চেয়ার টেবিলের চাকুরি দিতে পারে না...

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পথেঘাটে এখন অনার্স-মাস্টার্স পাশ।

১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

ফিনিক্স! বলেছেন: বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার আভাব, সঠিক পরিকল্পনা ও মনিটর এর অভাব, দুর্নীতির জাল অনেক কিছুই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সহমত।

১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪

শিশির খান ১৪ বলেছেন: সামনের দিনগুলোতে মধ্যবিত্ত আর থাকবে না। উচ্চবিত্ত আর নিম্নবিত্ত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে সমাজ।আমার ছোট একটা প্রতিষ্ঠান আছে সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলি।আমার এখানে এসএসসি পাশ ছেলেরা যেমন কাজ করে তেমনি মাস্টার্স পাশ ছেলেরাও কাজ করে। দুই গ্রূপের পার্থক্যটা তুলে ধরি অর্ধশিক্ষিত বা এসএসসি পাশ ছেলেরা মার্কেটে যেয়ে দোকানে দোকানে লক্ষ টাকার পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম অন্য দিকে মাস্টার্স পাশ অফিসার বা একাউন্টেন্ট রয়েছে যারা দোকানে যেয়ে অর্ডার কাটতে লজ্জা পায় তারা শার্ট প্যান্ট কোর্ট পরে চেয়ার টেবিলে বসে এসিতে বসে কাজ করতে আগ্রহী।এই মাস্টার্স পাশ ছেলে দিয়া আমার প্রতিষ্টানের তো তেমন কোনো লাভ হয় না। এরা যে কাজ করে তা অপারেটর রাইখা কম্পিউটার প্রোগ্রামে এন্ট্রি দিলেই হয়ে যায়। অফিসের শোভা বর্ধন ছাড়া এই সব মাস্টার্স পাশ ছেলে মে দিয়া তেমন কোনো লাভ হয় না। এদের বারো হাজার টাকা বেতন দিলেও লস। মূল বিষয় আপনি এসএসসি পাশ হন আর মাস্টার্স পাশ হন আপনাকে সব সময় চিন্তা করতে হবে প্রতিষ্ঠান আপনাকে দিয়ে কত টাকা লাভ করতে পারছে। সেটার উপর আপনার বেতন নির্ভর করবে ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা অনর্থক মনে হয়।

১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার জীবনে প্রথমে যে অফিসে চাকরি করি সেখানে আমার সেলারি ছিলো ১৪ হাজার টাকা। আর আমাদের অফিসের ড্রাইভারের সেলারি ছিলো ২০ হাজার টাকা। ড্রাইভার আমাকে বলেছিলো- আপনারা এত লেখাপড়া করে আমার সমান বেতন পান না।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এমন কথা আমাকেও শুনতে হয়েছে।

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ড্রাইভারের ছেলেকে ড্রাইভিং শেখাতে বলায় ড্রাইভার রাগ করল...

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: উনি চাচ্ছেন ছেলে বড় অফিসার হোক। ড্রাইভিং সবার জন্যই দরকার অবশ্য।

১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ম্যাভরিক০৫ বলেছেন: এই জিনিস গুলো নিয়ে আরও ভাবা দরকার। দেশের কেউ কি আছে যারা লাইফ স্টাইল বা অর্থনৈতিক অবস্থার দিক বিবচনা করে দিক নির্দেশনা প্রণয়ন করেন? কারন, যত দিন যাবে তত কঠিন হবে মধ্যবিত্তদের জন্য সাধারণ জীবন যাপন করা।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: একটা সময় এই মধ্যবিত্ত হয়তো থাকবে না। ধনী-গরিবই থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.