নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
সম্প্রতি চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি দ্বিতীয় স্বামীকে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে মিডিয়া পাড়ায় বেশ হইচই। তার জাতীয় নির্বাচন করা নিয়েও কম হইচই হয়নি। জিততে না পারলেও সে বুঝতে পেরেছে রাজনীতির মাঠ এত সোজা নয়।
এর আগে পরীমণি-রাজকে নিয়েও মিডিয়া গরম ছিল। তাহসানকে ছেড়ে সৃজিতকে বিয়ে করায় মিথিলা সমাজমাধ্যমে এখনও চর্চিত। ব্যাপারগুলো সমাজে যে একটা বিরাট কুপ্রভাব ফেলছে, সে কথা বলাই বাহুল্য। লোকজন মিডিয়ার লোকজন সম্পর্কে পুরোপুরি নেতিবাচক মনোভাবাপন্ন হয়ে গেছে।
যদিও ব্যাপারগুলো একেবারে নতুন নয়। অপি করিম, আহমেদ রুবেল, সুবর্ণা মুস্তফা, জয়া আহসান; এমনকি নায়ক আলমগীরও তাদের প্রথম সংসার টেকাতে পারেননি। সমঝোতা না হলে ডিভোর্স স্বাভাবিক, কিন্তু শুধু মিডিয়া সেক্টরেই কেন এটা এত প্রকট; সে প্রশ্ন করছেন অনেকে। আর যদি সংসার না টেকেই; এটা নিয়ে এত জাল ঘোলা হবেই বা কেন? তাহলে এটাই কি সত্যি সংসার করার নারী-পুরুষ আর মনোরঞ্জনের নারী-পুরুষ আলাদা?
জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের প্রথম সংসার ভেঙে যাওয়াশ তার জনপ্রিয়তায় ধস নেমে এসেছিল। যদিও তার জনপ্রিয়তা এখনও কম নয়। গুলতেকিনকে ছেড়ে মেয়ের বয়সী শাওনকে বিয়ে করায় দোষের কিছু নেই, কিন্তু ব্যাপারটা কি মেনে নেওয়ার মতোও? এত ত্যাগ করে জীবনে কী পেলেন গুলতেকিন? আবার এটাও তো ঠিক হুমায়ুন যেহেতু মানিয়ে নিতে পারছেন না; অন্য গতি কী?
হালের কিং মোস্তাক-তিশা আর অপু-লায়লার কাহিনীও চর্চিত হচ্ছে ঘটা করে। মোস্তাক তো তার প্রেম কাহিনী নিয়ে বইও বের করল। লোকজন যদিও বইমেলা থেকে দুয়োধ্বনি দিয়েছে। কিন্তু এদের নিয়ে চর্চা থেমে নেই। মানুষের রুচির এমন দুর্ভিক্ষ নেমেছে যে; বাদরনাচ দেখে তৃপ্তি খুঁজছে।
বুড়োগুলো চাকচিক্যের লোভ দেখিয়ে কমবয়সী মেয়েদের বিপথগামী করছে; এটা এড়িয়ে কেউ কেউ ব্যাপারগুলো স্বাভাবিক করার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। অথচ একবারও ভাবে না নিজের বোন-ভাগ্নি-মেয়েদের সাথে এমন হলে মেনে নিতে পারত? তিশার বাবার মুখটা চোখে পড়ে না? অবশ্য এ ভণ্ডশ্রেণি নিজেরা বহুবিবাহকে সমর্থন করলেও নিজের বাপ-বোনজামাইয়ের ক্ষেত্রে নিয়মটা মানতে চায় না।
বয়স্ক লায়লাকে কিশোর অপু মাঝেমধ্যে মারধর করে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। লোকজন গোগ্রাসে গিলতে থাকে। আপাতত এসবই আমাদের প্রতিদিনের বিনোদন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ওদের মধ্যে ধরে রাখার ন্যূনতম চেষ্টা দেখা যায় না। এক বলে দুই ভাগ থাকতে পারে না, ব্যাপারটা তেমনই হয়ে যায়।
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: প্রেম একজনকে ছেড়ে অন্যজনকে ঘিরে ধরে। প্রেমের যত দোষ। প্রেমের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা না হলে এভাবেই প্রেম চলতে থাকবে। আজ পর্যন্ত প্রেমবিধি নামক কোন বিধি দেখলাম না। আফসোস!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিধি না থাকলেও বিধিনিষেধ কম নেই।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৭
রানার ব্লগ বলেছেন: বাংগালীর হাতে অনেক সময় এবং তাদের রুচী অনেক বেশী ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পরচর্চা বেশি।
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩১
নতুন বলেছেন: সাধারন মানুষের মাঝেও সেপারেসন কম হয় না। এক স্ত্রী বা স্বামী ছেড়ে অন্য মেয়ে নিয়ে বসবাস/বিয়ের ঘটনা দরিদ্রদের মাঝেও কম না।
কিন্তু পরিচিত মানুষের এইসব ঘটনার কাটতি বেশি তাই এই নিয়ে মিডিয়ায় আলোচনা বেশি এই যা।
দেশে রুচির দূভিক্ষ চলছে তাই আপনি যেই সব ঘটনা উল্লেখ করেছেন তার প্রচারনা বেশি..
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যাদের লোকজন অনুসরণ করে তাদের কাজের সাথে বাস্তবজীবনের মিল না পেলে লোকজন কানাঘুঁষা একটু বেশিই করে।
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ অন্যের বিষয়ে নাক একটু বেশি গলায়।
নহালে হিরো আলম,কি প্রিন্স না কি যেন, তৃষা, মোস্তাক এইসব মানুষকে নিয়ে সমালোচনা করতে পছন্দ করে।
ভালো কোন কাজ না পেয়েই সম্ভবত এই সব কাজে মানুষ সময় নস্ট করে..
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আসলেই লোকজনের কাজকর্মের বড় অভাব।
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের আর খেয়ে দেয়া কাজ নাই।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তাই খই ভাজে।
৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সঙ্গত কারণেই মিডিয়ায় কাজ করা মানুষদের প্রতি দেশের মানুষের একটা নেতিবাচক ধারণা আছে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কিছু কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীর কারণে চলচ্চিত্র অঙ্গনের বদনাম হয়।
৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বেশরম বেলাল্লাপনায় ভেসে যাচ্ছে দেশ
এখানে ভালো কিছু কী করে আশা করা যায়। যার যেমন ই্চ্ছে চলছে সমাজে। ইসলামের নিয়ম নীতি বিধি বিধান কে আর মেনে চলছে
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: রুচির বিকৃতি ঘটছে। এসবের কারণে ভালো কিছুও মানুষের মনে ধরছে না।
৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: কে সংসার করলো, কে সংসার ভাঙল এগুলো নিয়ে মাতামাতির দরকার নাই। যার যার হিসাব তার তার।
মিডিয়া জগত নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নাই।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: চোখ বন্ধ রাখলেই কি প্রলয় বন্ধ হয়?
১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুড়োগুলো চাকচিক্যের লোভ দেখিয়ে কমবয়সী মেয়েদের বিপথগামী করছে; এটা এড়িয়ে কেউ কেউ ব্যাপারগুলো স্বাভাবিক করার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। অথচ একবারও ভাবে না নিজের বোন-ভাগ্নি-মেয়েদের সাথে এমন হলে মেনে নিতে পারত? তিশার বাবার মুখটা চোখে পড়ে না? অবশ্য এ ভণ্ডশ্রেণি নিজেরা বহুবিবাহকে সমর্থন করলেও নিজের বাপ-বোনজামাইয়ের ক্ষেত্রে নিয়মটা মানতে চায় না। এটা একটা চমৎকার কথা বলেছেন।
বার্মিংহামের রেসিডেন্ট আমার পরিচিত এক সমাজসেবক আছে। সামনে স্থানীয় নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাকে LGBTQ এর বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথেও জড়িত থাকতে দেখা যায়। সে তার ট্রান্স বড়ছেলেকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। জিজ্ঞেস করায় বললো, ভাই......সমাজে মুখ দেখাইতে পারি না এইটার জ্বালায়। এইদেশে তো এই ইস্যুতে কিছু করা যায় না; বাইর করার জন্য বহু কায়দা-কানুন করা লাগছে।
বোঝেন এদের অবস্থা!!!!
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যে যার সুবিধামতো পল্টি লয়। ভালো সাজে, মন্দ সাজে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এদেশে এমনকি সারা বিশ্বে প্রতিনিয়তই অনেকেরই সংসার ভেঙে যাচ্ছে। অনেকেই সেপারেশনের পথকে ভালো মনে করে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এটা আজীবনই চলতে থাকবে। তবে সেলিব্রেটিদের ব্যাপার গুলি আলাদা, তাদের এই সমস্যা বা এ ধরনের ঘটনা ঘটলে মানুষ আগ্রহ নিয়ে পড়বে দেখবে এটাও স্বাভাবিক। তবে এই পড়া এবং আগ্রহ নিয়ে দেখার মাঝে অনেকেই নোংরামি করে, সেটাই সমস্যা