নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির পাশে আরশিনগর সেথা পড়শী বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রদায়িকতা-অসাম্প্রদায়িকতা সংখ্যাগরিষ্ঠতা-সংখ্যালঘিষ্ঠতা ভেদে ভিন্ন হয়

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬


কাজী নজরুল ইসলামের একটা গান আছে দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার হে, লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার! গানটায় দুটো লাইন এমনঃ ''হিন্দু না ওরা মুসলিম?" ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কান্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা'র!

লাইন দুটো পড়ে কাজী নজরুল ইসলামের সমকালীন বাস্তবতা চিন্তা করি। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে তিনি কেন এমন অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভাবনা লালন করতেন? পরবর্তীকালে গঠিত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান; তৎপরবর্তীকালে গঠিত বাংলাদেশে জন্ম নিলে তিনি কি এমন ভাবনা লালন করতেন? তার দরকার পড়ত?

ব্যক্তি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলাম অসাম্প্রদায়িক তো বটেই স্বচ্ছ চিন্তাধারার ছিলেন; সে কথা প্রশ্নাতীত। তার মতো মহৎ চিন্তার মানুষ এখনও আছে বলে উপমহাদেশ এখনও বিষবাষ্পে ছেয়ে যায়নি।

উপমহাদেশের তিনটা দেশ- ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। তিন দেশের জনগণের আচার-আচরণ দেখে কি মনে হয় না এসব দেশের সংখ্যালঘুরা অসাম্প্রদায়িক আর সংখ্যাগুরুরা সাম্প্রদায়িক? যদিও যে যার ধর্মের দিকে সমর্থন দেবে, খারাপ দিক এড়িয়ে ভালো দিক তুলে ধরবে। আর অন্যদের দোষ ধরবে। বাস্তবতা আসলে কী?

হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে তুচ্ছ কারণে মুসলমানদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া যায়। একইভাবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান-বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া যায়। এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে বলা যায় পাকিস্তান-বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের মুসলিমরা ভালো আছে, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে হিন্দুরা ভালো আছে। এ প্রশ্ন কেন তোলা যায়? কারণ ওই একটাই। সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

যারা কাজী নজরুল ইসলামের মতো সাম্যের গান গেয়ে থাকেন, তারা বেশ বিপদেই পড়েন। কেউ পাশে থাকে না। যেমনটা হয় রাজনীতির ক্ষেত্রে। আপনি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি করেন, বিপদে পড়লে দলীয় লোকজনকে পাশে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু যদি কোনো দলই না করেন, তাহলে কাউকে পাশে পাবেন না।

কয়েকদিন আগে দৈনিক প্রথম আলো'র আনিসুল হককে বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী আসিফ নজরুল প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি অটোগ্রাফ দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যান না? আনিসুল হক বিনয় করে বলেছিলেন, আপনার লেখাও তো অনেক বিক্রি হয়। আসিফ নজরুল বলেন, আমার লেখা এবারই বেশি বিক্রি হচ্ছে। আপনার তো সবসময় হয়।

আনিসুল হকের বই একটা-দুটোর বেশি পড়া হয়নি। উনার ফেসবুক রিচও কমে গেছে। একজন এ নিয়ে পোস্ট দেওয়ায় আমি বলেছিলাম আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে পোস্ট দিতে, পাশাপাশি দেশের সমালোচনা করে কিছু লিখতে। তাতে হয়তো কাজ হতে পারে। যদিও হিতে বিপরীত হতে পারে, তবে জোরেশোরে আলোচনায় আসবেন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। এছাড়া উনার রিচ বাড়ানোর আর সুযোগ নেই। একটা পক্ষে যেতেই হবে। আওয়ামী লীগ-বিএনপিপন্থি সবাই উনাকে নিয়ে ট্রল করে।

আসিফ নজরুল, পিনাকী ভট্টাচার্যরা যেহেতু একটা পক্ষে আছেন, ওই পক্ষের লোকজন তাদের সমর্থন দেবে। আনিসুল হকদের পাশে কেউ থাকবে না।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: “হিন্দু না ওরা মুসলিম?” ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র!

এই লাইন দুই টা ভারত উপমহাদেশের প্রত্যেক টা মানুষের কপালে সিল মেরে দিলেও কাজ হবে না । এরা এমনি থাকবে । সাম্প্রদায়িক !!!!!

০২ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আসলেই। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা-লঘিষ্ঠতা সাম্প্রদায়িক-অসাম্প্রদায়িকতার নিয়ামক।

২| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: আল্লামা শফি কি এরকম কোন কথা বলেছে? পারলে লিঙ্ক দিন তো!

০২ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ২০১৩ সালের মাওলানা শফির বক্তব্য ঘাঁটাঘাঁটি করলেই পেয়ে যাবেন।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আনিসুল হক অযথা তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে খোচা খুচি করছেন। ইহা দুঃখজনক।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমার জানা নেই।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের সকল হুজুর, মাওলানা ও ওয়াজকারীদের থামাতে হবে।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কঠিন।

৫| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্মপ্রাণ মানুষেরা সাম্প্রদায়িক।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অনেক ক্ষেত্রেই। নিজের ধর্ম নিয়ে থাকলে সমস্যা নেই, অন্য ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাতে গেলেই গণ্ডগোল বাঁধে।

৬| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে বিশ্রী কিছু বিষয় এর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা অন্যতম।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন লোকদের কাছে আবার সাম্প্রদায়িকতা ভালো বিষয়।

৭| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: এই উপমহাদেশে ধর্মগুলি নিস্তেজ হওয়ার পথে ছিলো।স্কুল কলেজ গুলিতে কখনো হিজাবী টুপি পরা কাউকে দেখি নাই।ওহাবী মতবাদ প্রচারের পর অবস্থা পাল্টে গেছে।
এখন আর কেউ নিরপেক্ষ থাকতে চায় না।জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন তাই ব্যর্থ।সবাই চায় কোন না কোন জোটে থাকতে।তেমনি ধর্মে থাকো নয়তো ধর্ম হীনতায় থাকো।মাঝামাঝি কোন পথনাই।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এখন আর কেউ নিরপেক্ষ থাকতে চায় না। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন তাই ব্যর্থ। সবাই চায় কোনো না কোনো জোটে থাকতে।তেমনি ধর্মে থাকো, নয়তো ধর্মহীনতায় থাকো। মাঝামাঝি কোনো পথ নাই। দিনদিন এসবই স্পষ্ট হচ্ছে।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্মের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বীজ নিহিত রয়েছে।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.