নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের জোরের কাছে আর সব জোর ব্যর্থ

২৮ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯


আপনি একজন বাংলাদেশি হিন্দু। আপনি দেশ নিয়ে কোনো বদনাম করেন না, দেশের একটা টাকাও পাচার করেন না। ভিক্ষাবৃত্তি বা কারও দানের টাকায়ও চলেন না। কিছু করতে না পারলে মুচিগিরি করে, নাপিতগিরি করে চলেন। তাও আপনি এখানে দেশপ্রেমিক না। কারণ, আপনার ধর্মের আরেকজন ভারতে টাকা পাচার করেছে। সে খারাপ কাজ করেছে বলে আপনিও খারাপ। আপনার ধর্মও খারাপ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আপনি যদি ভারত সমর্থন করেন তাহলে তো আপনি আরও খারাপ। আপনার মন পড়ে থাকে ভারতে। যদি নিরপেক্ষও থাকেন তাও আপনি খারাপ। কেন পাকিস্তানকে সমর্থন করেন না?

এই আপনিই একজন বাংলাদেশি মুসলিম। আপনি সারাক্ষণ দেশের বদনাম করেন, বিদেশে টাকা পাচার করেন, দেশের নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা করেন না, তাও আপনি বিরাট দেশপ্রেমিক। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আপনি পাকিস্তান সমর্থন করছেন মানে আপনি ধার্মিকও বটে। চেপে ধরলে বলেন খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না। অথচ অন্যজনকে ঠিকই একই কথা বলেন। আপনি আবার ধর্মের জ্ঞানও দেন। আপনার ধর্মের কেউ অধর্মের কাজ করলে আপনার ধর্ম খারাপ হয়ে যায় না, আপনিও খারাপ হয়ে যান না। দোষ আসলে যে খারাপ করেছে তার। আপনি একটু আধুনিক আছেন, আবার বড়লোকও। ভারতে পাচারের বিরোধিতা করলেও আমেরিকা-কানাডা-বৃটেন-সিঙ্গাপুরে পাচার করলে রাগ করেন না।

আপনি অনায়াসে ভালোকে খারাপ আর খারাপকে ভালো বলতে পারেন। আবার সমর্থনও পান খুব। কারণ, আপনার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোর আছে। আপনি যদি সংখ্যালঘু হতেন তাহলে আপনার জারিজোরি ধোপে টিকত না। তাহলে বোঝা গেল ধর্মের জোরের কাছে আর সব জোর গুরুত্বহীন।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

লেখার খাতা বলেছেন: মতি মামুর অবস্থা দেখি আমাগো হুজুরগো মত। দ্বীনের পথে ডাকেন আবার শিশু বলৎকারও করেন।

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: উনি মসজিদ-মাদ্রাসাও করেছেন। অন্য কর্মকর্তাদের তুলনায় সৎ! অদূর ভবিষ্যতে হয়তো হজ করে সব অন্যায়ের মাফ চেয়ে নিতেন।

২| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:০১

কামাল১৮ বলেছেন: গাজায় অন্য কথা বলে।

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:১০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হামাস হুট করে ইসরায়েলে হামলা করে সাধারণ মানুষ মারল, কিছু জিম্মি করল তাও হামাস ভালো। জিম্মি উদ্ধারে ইসরায়েল পাল্টা হামলা শুরু করল অথচ ইসরায়েল খারাপ। ইসরায়েলের উচিত ছিল সব সহ্য করা আর হামাসের পা ধরে মাফ চাওয়া।

৩| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:০১

কাঁউটাল বলেছেন: বেনজিরের উম্মুক্ত পাছা আড়াল করার জন্য "কালবেলা" রা সাদেক এগ্রোরে মারতে কামান দাগা আরম্ভ করছে।

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এখন একসাথে সব বের হচ্ছে। কেঁচো খুড়তে গেলে সাপ বের হবেই।

৪| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঠগ বাঁচতে গাঁ উজার অবস্থা সরকারের।

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: একটা একটা না ধরে জাল পেতে ধরতে হবে।

৫| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫৫

আমি নই বলেছেন: একটু কনফিউজড, কোথাও কি কেউ মতিউরকে সাপোর্ট দিয়েছে? বা দেশের সকল মুসলিমরা মতিউরকে সাপোর্ট দিচ্ছে? আমি যা দেখতেছি তাতে আমারতো ধারনা ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সবাই মতি মিয়ারে বাসই দিচ্ছে। একই ভাবে ওসি প্রদিপ, বেনজির ইত্যাদি সবাইরে যতভাবে সম্ভব গালিগালাজ দিয়েছে। কনফিউশান ক্লিয়ার করবেন?

আর একটা কথা, হামাস কি ইসরায়েলে ঢুকে হামলা করেছিল নাকি দখলকৃত ভুমিতে দখলবাজদের বিরোদ্ধে হামলা করেছিল? ধর্মকে সাইডে রাখেন, মায়ানমার বাংলাদেশের ভুমি দখল করলে আপনি কি মায়ানমারকে সমর্থন করবেন?

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৪৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আসলে এই লেখাটা মূলত সেই শ্রেণিকেই নির্দিষ্ট করে যারা সব ইস্যুতে ধর্ম খুঁজে। মানে নির্দিষ্ট একটা ধর্মের একজনকে দিয়ে সবাইকে বিচার করে। আপনি বা অনেকে এ কাতারে পড়বেন কেন? অন্যায় দেখলে আপনি বা আরও অনেকে নিশ্চয়ই একমুখী চিন্তা করেন না? জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দোষারোপ করেন? অথচ খেয়াল করে দেখুন আপনার আশপাশে এমন অনেকে আছে যারা শুধু বিশেষ একটা ধর্মের কেউ হলে গর্জে ওঠে। ফরিদপুরের ঘটনাই দেখুন। দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় যে হৈচৈ হলো, একই রকম ঘটনা পরদিন ঘটলেও হৈচৈ হলো না কেন?

ইসরায়েল ১৯৪৮ সালে গঠিত হয়েছে। মূল ভূখণ্ড ফিলিস্তিনিদের হলেও ঐ সময় তো এটা বৃটিশ উপনিবেশ ছিল। তাই না? এখন যতই বলুন ইসরায়েল যে একটা বাস্তবতা; এটা অস্বীকারের সুযোগ আছে? এর বাইরে বলি, দখলবাজদের বিরুদ্ধে হামলা বলতে ইসরায়েলে বসবাস করা সবাইকে বোঝাচ্ছেন তো? যারা নিহত হলো তাদের দোষটা কী? তাদের হত্যা করা হলো কেন? আপনার বিবেচনায় ওদের হত্যা ঠিক, তাহলে তাদের লোক উদ্ধারে গাজায় হামলা কার বিবেচনায় ঠিক না?

বাংলাদেশ এখন কারও উপনিবেশ না। একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। তার ওপর জাতিসংঘ স্বীকৃত। কারও সাধ্য আছে দখল করার?

৬| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: এ দেশের সংখ্য্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগগুলোতো মারাত্মক !!!

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৪৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: লাদেনের মতো লোকও মুসলিম আবার নিরীহ ধর্মপ্রাণ আরও মুসলিম আছে। আবার মোদিও হিন্দু, এছাড়াও নিরীহ আরও হিন্দি আছে। আপনি মানদণ্ড কাকে ধরবেন?

৭| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার অভিযোগ অনেকাংশেই সত্য । তবে কেবল ধর্মের ভিত্তিতে না, সংখ্যা লঘু সব স্থানেই নির্যচিত । ভারতে যদি যান সেখানে কিন্তু মুসলিমরা কোনঠাসা, কথায় কথায় তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কথা শুনতে হয় । পাকিস্তানের কথা তো বাদই দিলাম ।
এমন কি আমেরিকাতেও কিন্তু সাদাদের হাতে কালো বাদামীদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়!
মানদন্ড একক ভাবে ধর্মের না, আপনি কোন গোত্রের সেই গোত্র কি সংখ্যা গুরু নাকি সংখ্যা লঘু সেটাই আসল কথা !

২৯ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মানদণ্ড এককভাবে ধর্মের না, আপনি কোন গোত্রের সেই গোত্র কি সংখ্যাগুরু নাকি সংখ্যা লঘু সেটাই আসল কথা! আসলেই।

৮| ২৯ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৩২

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার পোস্টটির কথাগুলো বহুলাংশে সত্য।

দুঃখের বিষয়, আমাদের আত্মপরিচয় এবং আত্মোপলব্ধির জায়গাটি অপরিচিত, অন্ধকারে ঢাকা। এখানে যে আলো ফেলবার চেষ্টা হয়নি, তা নয়, কিন্তু ধর্মান্ধ জাতি-গোষ্ঠী সেই স্বল্প সংখ্যক আলোকবর্তিকাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমি যখন চারপাশের এই অবস্থা দেখি, তখন প্রবল হতাশায় নিমজ্জিত হই।

আবার যখন কিছু আশাবাদ মনে জাগে, তখন ভাবি, তবু গণমানুষের সংস্কৃতিতে লালনের মত সাধু-সন্তরা ছিলেন এবং শিক্ষিত মুসলিম সমাজ কিছুটা হলেও রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-ভাবনা দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন বলে দেশটা সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হয়ে যায়নি। কিছু মানুষের জন্ম না হলে কবেই আমরা "আমরা হব তালেবান" হয়ে যেতাম।

২৯ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: রবীন্দ্রবিরোধীর অভাব নেই। সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশ ঘটার সুযোগ ক্রমশই সঙ্কোচিত হচ্ছে। আলো আসার সম্ভাবনা দেখছি না।

৯| ২৯ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৯:১০

আহলান বলেছেন: মতিউর বেনজির ব্লা ব্লা দের বিরুদ্ধে সরকারের আদৌ কোন তোড়জোড় আছে? আমাদের বিনোদনের খোরাক ....

২৯ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দেখা যাক কী হয়। পার পাওয়ার কথা না।

১০| ২৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ওখানে কিন্তু আমার মত করে কথা বলেছি। সেখানে কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করলেও আমাকে কিন্তু ট্যাগ দিতে পারেননি।
আমার নামটি কিন্তু খুব বেশি মুসলিম ঘেঁষা নয় যে, এক কথায় বলে দিবে কেউ যে আমি মুসলমান। আমার শিক্ষালয় যারা আমাকে ডাক নামে চিনতো তারা অনেকেই ধারণা করত যে আমি সনাতন ধর্মের লোক এমনকি আমার প্রচুর হিন্দু বন্ধু ছিল। তারা কখনোই অনুযোগ করেনি যে হিন্দু বা সংখ্যালঘু বলে তাদের উপরে বিশেষ কোনো নির্যাতন হয় বা তাদেরকে মুসলমানরা অন্য চোখে দেখে। বরং আমি দেখেছি সবখানেই তারা স্পেশাল কিছু বেনিফিট নিয়ে এসেছে এবং আজও অব্দি নিচ্ছে। আমি নিজেকে কখনোই কাউকে যেচে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতাম না- আমি তো কখনই আমার সহপাঠীদের দ্বারা নিগৃহীত বা নির্যাতিত রেগিং কিংবা ট্যাগিংয়ের শিকার হইনি।
কেন যেন আপনাদের কারো কারো কথায় এমন কিছু খোঁচা থাকে যার জন্য মনে হয় বারুদ জ্বলে ওঠে! আমার এখনো দেখা যাবে গুনে গুনে জনা বিশেক হিন্দু বন্ধু আছে! কমপক্ষে ১৫ জন হিন্দু শিক্ষকের কাছে আমি পড়েছি। আমার বাড়ি এমন জায়গায় যার আশেপাশে পুজোর সময় হিন্দুদের ঢোলের শব্দে কান পাতা দায় হয়। আমার দাদা বাড়িও মূলত হিন্দু হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায়। বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান এদের তুলনামূলক বিচার করলে বাংলাদেশের মতো এত ভালো অবস্থানে সংখ্যালঘুরা আর কোথাও আছে বলে আমার মনে হয় না।
( হ্যাঁ কিছু এলাকার উদাহরণ হয়তো আপনি দিবেন যেখানে সংখ্যালঘুরা অনেকবেশি কোণঠাসা হয়ে আছে ও নির্যাতিত হচ্ছে। তবে এর উদাহরণ খুব বেশি নেই। স্বাধীনতার পরে যত লক্ষ হিন্দু ওপারে এক ঠ্যাং দিয়ে বসে আছে বা ওপারে বসত গেড়েছে যারা তাদের এখানকার সব সম্পদ সোনা গয়না ওপারে পাচার করেছে তাদের একটা হিসাব দিয়েন তো আপনি?
সারা বিশ্বে আজ পর্যন্ত বাঙালিরা যত টাকা পাচার করেছে আমি ধারণা করি তার থেকে অনেক বেশি টাকা ও সম্পদ পাচার করেছে এরা ভারতে। কেন যায় তারা এ দেশ ছেড়ে ভারতে? এ প্রশ্ন করলে মানবতাবাদীরা ও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষেরা হামলে পড়ে- তারা বলে; ওরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগে, সংখ্যালঘু হিসেবে এ দেশে নির্যাতিত হয় সেজন্যই। আসলেই কি তাই -উত্তরটা খোঁজেন?)

* আগের মন্তব্যটা মুছে দিয়েন ভুল আছে অনেক।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মন্তব্য ভালো করছেন তবে নতুনত্ব নেই। আমার আশপাশে এরা ভালো আছে ওরা ভালো আছে এই সেই। কোনোদিন কোনো হিন্দু নির্যাতিত হলে প্রতিবাদ করেছেন? নিদেনপক্ষে কোনো পোস্ট শেয়ার করেছেন? বাংলাদেশ থেকে অনেকে অনেক কিছু নিয়ে পগারপার হয়; এটা সত্যি। কিন্তু অনেক গরিব মানুষ গিয়ে সেখানে কতটা মানবেতর জীবনযাপন করে একবার বুঝতে চেষ্টা করছেন? সমস্যা অন্য জায়গায় মুমিনীয় স্বভাব ভুলে যাননি। এদেশে লাখ পাবলিক আছে যারা মামুনুলের কুকীর্তি জানার পরও পছন্দ করে, রাজাকার সাঈদি তাদের আদর্শ। আপনিও মনে হয় না তার বাইরে। ধর্মকর্ম করলে তো আকাম-কুকাম জায়েজ। এই আদর্শই মানেন।

স্বাধীনতার পরে যত লক্ষ হিন্দু ওপারে এক ঠ্যাং দিয়ে বসে আছে বা ওপারে বসত গেঁড়েছে যারা তাদের এখানকার সব সম্পদ সোনা-গয়না ওপারে পাচার করেছে তাদের একটা হিসাব দিয়েন তো আপনি? সারা বিশ্বে আজ পর্যন্ত বাঙালিরা যত টাকা পাচার করেছে আমি ধারণা করি তার থেকে অনেক বেশি টাকা ও সম্পদ পাচার করেছে এরা ভারতে। কেন যায় তারা এ দেশ ছেড়ে ভারতে? এ প্রশ্ন করলে মানবতাবাদীরা ও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষেরা হামলে পড়ে- তারা বলে; ওরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগে, সংখ্যালঘু হিসেবে এ দেশে নির্যাতিত হয় সেজন্যই। এটা পড়ে একটা মন্তব্যই মনে এলো ল্যান্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড।

ধর্ম নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে আমার উপলব্ধি হলো উপমহাদেশের মানুষ যতটা না মানুষ তারচেয়ে এরা হিন্দু বা মুসলিম, আসল মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি।

১১| ২৯ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

পুরানমানব বলেছেন: লেখার খাতা বলেছেন: মতি মামুর অবস্থা দেখি আমাগো হুজুরগো মত।দ্বীনের পথে ডাকেন আবার শিশু বলৎকারও করেন।
মতি মামু আবার আপনারে বলাৎকার করিল কবে ? বেশ খারাপ কাজ করিয়াছেন তবে। আমি নিন্দা জানাইয়া আপনার সুস্থতা কামনা করিতেছি।
আপনাগো হুজুর আবার কিডা ? ওই পল্লীতে কোনো হুজুর থাকে আপনার থাকিয়া আজ প্রথম জানিলাম।
যদি পারেন আপনার লেখার খাতায় আমারে আর একবার মন্তব্য করিবার সুযোগ দিয়েন।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: প্রতীকী অর্থে বুঝিয়েছেন হয়তো।

১২| ২৯ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

পুরানমানব বলেছেন: লেখক যে বিষয় লইয়া লিখিয়াছেন , তাহার ভেতর অযথা হিন্দু মুসলমান জোর করিয়া টানিয়া লইয়া আসিলেন। এই দেশে হিন্দুরা মুসলিমদের থাকিয়া অনেক বেশি সুখে আছেন ইহা অস্বীকার করিবার কোনো উপায় নাই।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যারা ভালো থাকার তারা ভালোই। তারা সব জায়গায়ই ভালো। আমি বলেছি যারা ভালো নেই তাদের কথা।

১৩| ২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের কিছু মুসলমান অকারণেই নিরীহ হিন্দুদের সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে যার কোন ভিত্তি নেই। একটা মানুষ যদি সারা জীবন এই দেশের আয় থেকে সঞ্চয় করে কানাডা যায় কেউ প্রশ্ন করে না। একজন মুক্তিযোদ্ধা যদি এইভাবে কানাডা যায় তাহলেও আমরা কোন প্রশ্ন করি না। করার কথাও না। কিন্তু কোন হিন্দু এইভাবে যদি ভারতে যায় আমরা বলি এই দেশে টাকা কামিয়ে সব সম্পদ ভারতে পাচার করেছে। বর্তমানে মানুষ বিশ্ব নাগরিক হতে চায়। দেশের সীমানা দিয়ে মানুষকে ধরে রাখা যায় না। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বিদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছে। কিন্তু তারা নিজের দেশকে ভালোবাসে। কোন হিন্দুর যদি মনে হয় যে ভারতে থাকা তার জন্য কল্যাণকর হবে সেই সিদ্ধান্ত সে নিতেই পারে। বাংলাদেশের কোন হিন্দুর মুখে বাংলাদেশ বিরোধী কথা আমি অন্তত শুনি নাই। নির্যাতিত হিন্দুরা হয়তো বলতে পারে। সৌদি আরবের দেশগুলি যদি অন্য অঞ্চলের মুসলমানদের নাগরিকত্ব দিত তাহলে লক্ষ লক্ষ মুসলমান সৌদি আরবে চলে যেত স্থায়ীভাবে। কিন্তু আরবেরা সেটা কখনও দেবে না। এই ব্যাপারে তারা স্বার্থপর। তখন আর মুসলিম উম্মার একতার কথা তাদের মনে থাকে না। তারা অবশ্য দয়া করে এই দেশে জাকাতের টাকা পাঠায় আর আমাদেরকে মিসকিন বলে তৃপ্তি লাভ করে।

কোন হিন্দু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করলে বা বাংলাদেশের অকারন কুৎসা না করলে অকারণে কোন সাধারণ হিন্দুকে সন্দেহ করা বা তাকে দেশদ্রোহী মনে করাটা আমি সমর্থন করি না। আমাদের দেশের মানুষ ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বেশী বিশ্বাস করে। ফলে অনেক মুসলমান যে কোন হিন্দুকেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে। পিছনে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করে আর মালাউন বলে। এগুলি ঠিক না। নিজের মুসলমানিত্ব প্রমাণের জন্য হিন্দু বিদ্বেষের কোন প্রয়োজন নেই। প্রকৃত ইসলাম কখনও অন্য ধর্মের মানুষকে ঘৃণা করতে বলেনি। তাদের দাওয়াত দিতে বলেছে।

তবে বাংলাদেশের হিন্দুরা তুলনামুলকভাবে সংখ্যালঘু হিসাবে ভালো আছে। এই দেশেও হিন্দুদের উপর নির্যাতন হয়। কিন্তু বেশীর ভাগে জমি জমা সংক্রান্ত এবং এগুলির সাথে রাজনৈতিক নেতা বা সন্ত্রাসীরা জড়িত। সাধারণ মুসলমানরা এগুলি করে না।

বাংলাদেশের খুব কম মুসলমানই ক্রিকেট খেলায় পাকিস্তানকে সমর্থন করে। বরং যারা সচেতন তারা পাকিস্তানকে কখনও সমর্থন করে না। আমি ছোটবেলা থেকেই কখনও পাকিস্তানের সমর্থক ছিলাম না। তারা যত ভালোই খেলুক না কেন। আমি ভারতের সমর্থকও কখনও ছিলাম না। আপনার ধারণা এই দেশের মুসলমানরা পাকিস্তানকে বেশী সমর্থন করে। এটা আসলে ঠিক না। আসলে কতিপয় মানুষ পাকিস্তানকে সমর্থন করে। এদের মধ্যে একটা অংশ স্বাধীনতা বিরোধী। আর বাকিদের কাছে স্বাধীনতার তেমন কোন তাৎপর্য নেই। পাকিস্তান প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানকে সমর্থন করা উচিত না আমাদের।

সব হিন্দুই ভারত টিমকে সমর্থন করে বলেও আমার মনে হয় না। আবার কোন হিন্দু ভারতকে সমর্থন করলেই তাকে খোঁচা দেয়ার কোন কারণ দেখি না।
আপনি দেশের ক্রিমিনালদেরকে মুসলমান ট্যাগ না করলেও পারতেন। ক্রিমিনালের কোন ধর্ম নাই। সেটা হিন্দু হোক আর মুসলমান হোক না কেন। বিদেশে টাকা পাচারকারিকে আমাদের সমাজে খারাপ দৃষ্টিতেও দেখা হয়। কিন্তু আপনি বলতে চাচ্ছেন আমরা তাকে দেশ প্রেমিক হিসাবে দেখি। এই দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান। তাই ক্রিমিনালদের মধ্যেও মুসলমানরাও সংখ্যা গরিষ্ঠ। ক্রাইমের মধ্যে ধর্ম টেনে আনার কোন প্রয়োজন দেখি না।

আমাদের দেশের একটা অদ্ভুত নিয়ম হল এই দেশ থেকে বৈধভাবে বিদেশে টাকা পাঠানো যায় না বললেই চলে। গেলেও খুব জটিল প্রক্রিয়া এবং শুধু ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেয়া হয়ে থাকে। এই দেশের অনেক মানুষ অ্যামেরিকায় থাকে। তাদের দেশে বৈধ বাড়ি, গাড়ি, সম্পদ আছে। কিন্তু বৈধভাবে এই টাকা অ্যামেরিকায় নেয়ার কোন সহজ রাস্তা নাই। তখন ভালো মানুষও অবৈধ পথে টাকা পাচার করে। সমস্যা হ্ল কানাডা, অ্যামেরিকা হলে কেউ উচ্চ বাচ্য করে না। কিন্তু কেউ যদি ভারতে স্থায়ী হতে চায়। তখনও তার উপরে সবাই হামলে পড়ে। এটাকে ডাবল ষ্ট্যাণ্ডার্ড বলা যেতে পারে।

আপনার মনে এই দেশের মুসলমানদের সম্পর্কে অনেক ক্ষোভ আছে বোঝা যাচ্ছে। এই ক্ষোভের কিছু যৌক্তিক আর কিছুটা আপনার মনগড়া। উপরে বলার চেষ্টা করেছি। এই অঞ্চলে ব্রিটিশ আসার পরে তারা পরিকল্পিতভাবে এই দুই জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। যেটার জের এখনও চলমান। আমার কথা হল রাজনৈতিক নেতা, সন্ত্রাসী, মাস্তান এদের কথা বাদ দেন, সাধারণ মুসলমান এবং হিন্দুরা চাইলেই মিলে মিশে থাকতে পারে। বাংলাদেশে অনেকটাই মিলে মিশে আছে বলে আমি মনে করি। তবে সংখালঘুদের কিছু সমস্যা থেকেই যায়। এই দেশে যেখানে সংখ্যালঘুরাই সুশাসন থেকে বঞ্চিত সেখানে সংখ্যালঘুরা যে তারচেয়ে আরেকটু খারাপ অবস্থায় থাকবে সেটা বোঝাই যায়।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনার মন্তব্যে দ্বিমত পোষণের সুযোগ নেই। আপনি শিক্ষিত এবং সচেতন বলেই হয়তো ভাবেন। উপরে দেখুন শেরজা তপনের মন্তব্য। এই লোক আর ধর্মান্ধ অর্ধশিক্ষিত মোল্লাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

১৪| ২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপরে আমার মন্তব্যের শেষের লাইনের শুরুতে সংখ্যাগুরু হবে সংখ্যালঘুর পরিবর্তে।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ওকে।

১৫| ২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:২০

বাউন্ডেলে বলেছেন: মানুষ সারভাইভ করার জন্য বোঁচকা-বুঁচকি নিয়ে নিজের ভৌগলিক অবস্থান পাল্টাবে- এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার এবং জীনগত আচরন। কিন্তু লুটপাটের বোঁচকা-বুঁচকি নিয়ে সটকে পড়ার ধান্দা ঘোরতর অপরাধ। এখানে ধর্ম নামক আফিমের গন্ধ ছড়ায় বা পায় ধর্মান্ধ মোনাফেক আল্লাহর দুশমনেরা এবং নাস্তিকরা।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:০৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.