![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম
আফগান রণাঙ্গনে তিক্ত অভিজ্ঞতায় বেশির ভাগ কানাডিয়ান ফের দেশের বাইরে সৈন্য পাঠাতে রাজি নয়। প্রতি পাঁচ জনে চার জন কানাডিয়ানই আফ্রিকার মালিতে কানাডার সৈন্য পাঠানোর বিরোধী। তবে প্রতি তিন কানাডিয়ানের একজন মনে করে কোনো ধরনের সেনা অংশগ্রহণ ছাড়াই কানাডার মালিতে মানবিক সাহায্য পাঠানো উচিত। মুসলিম জঙ্গিবাদিদের সঙ্গে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কানাডার সেনা সদস্য পাঠানোর জন্য মিত্র দেশগুলোর অব্যাহত অনুরোধের মুখে কানাডিয়ান প্রেস ও হ্যারিস ডেসিমার এক জরিপে অংশ নেওয়া কানাডিয়ানরা তাঁদের এই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৮ শতাংশ কানাডিয়ান মালিতে বেসামরিক প্রশিক্ষক, সরঞ্জামাদি ও সহায়ক কর্মী পাঠনোর বিষয়টিকে সমর্থন করে। ১১ শতাংশ মনে করে, মালির বর্তমান পরিস্থিতিতে কানাডার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতাই থাকা উচিত নয়। ৩১ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টেলিফোন মাধ্যমে পরিচালিত জরিপে ১০০০ কানাডিয়ান অংশগ্রহণ করে। জরিপের ফলাফল ২০ বারের মধ্যে ১৯ বারই কম-বেশি তিন দশমিক এক শতাংশ নিঁখুত হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। এমন এক সময় কানাডিয়ানদের এই মতামত প্রকাশ করা হলো, যখন ফরাসী ও অফ্রিকার সম্মিলিত সৈন্যবাহিনী মালির উত্তরাঞ্চল থেকে মুসলিম জঙ্গিবাহিনীকে পুরোপুরি হঠিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে।
হ্যারিস ডেসিমার চেয়ারম্যান বলেন, জরিপের ফলাফলে বোঝা যাচ্ছে যে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানের রণাঙ্গনে সম্পৃক্ত থাকার অভিজ্ঞতা প্রীতিকর না হওয়ায়, কানাডিয়ানরা নতুন কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে জড়িত হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। কানাডিয়ানরা বিশ্ব অঙ্গনে তাঁদের দেশের শক্তিশালী উপস্থিতি আশা করলেও সরাসরি বা বড় কোনো স্বার্থ না থাকলে, সামরিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া উচিত নয় বলেই মনে করে।
স্মরণ করা যায়, ২০১২ সালের মার্চে মালিতে এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির শাসন-ক্ষমতায় এক ধরনের শূন্যতার সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে আল-কায়েদা সমর্থিত মুসলিম জঙ্গিবাদিরা দেশটির উত্তরাঞ্চল দখল করে নেয়। মালির সেনাবাহিনী ও জঙ্গিদের লড়াইয়ে কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়। প্রতিবেশী দেশগুলোয় পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় মালির কয়েক লাখ নাগরিক। ফলে দেশটিতে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। এমন এক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহল দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়, যার সর্বাগ্রে রয়েছে ফ্রান্স ও আফ্রিকার সেনাবাহিনী। কানাডা এ পর্যন্ত মালিতে কয়েকটি পরিবহন বিমান, চিকিৎসক দল ও ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
©somewhere in net ltd.