![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রমথ চৌধুরীর নাম আপনারা সকলেই শুনে থাকবেন।প্রমথ চৌধুরীর রচিত "বই পড়া " প্রবন্ধ এখনো আমাদের মনে করিয়ে দেয় প্রবন্ধ থেকেও মজা পাওয়া যায়।প্রমথ চৌধুরী বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন দেশ বিভগের অনেক আগে,কিন্তু তার মনে সব সময় বাংলাদেশের গ্রামের স্মৃতি মনে করেছেন। "পাবনার কথা" রচনায় তিনি বলেছেন, পূজার সময় গ্রামের বাড়ীর কথা মনে পড়ে, সেই গ্রাম পাবনা জেলার একটি ছোট গ্রাম যার নাম হরিপুর। হরিপুরের জমিদার বাড়ী প্রমথ চৌধুরীর মত আরও অনেক গুনী মানুষের পৈতৃক নিবাস।জে এন চৌধুরী ১৯৬৫ সালে ভারতের সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পাবনা জেলার উত্তর পশ্চিম দিকে চাটমহর উপজেলা।চাটমহর থানা থেকে ৯ মাইল পশ্চিম দিকে হরিপুর জমিদার বাড়ি অবস্থিত।এ জমিদারী ছিল চৌধুরী বংশের জমিদারদের।সাতোটার মৈত্র ও অম্বর ওঝার বংশধর এ জমিদারেরা।হৃষিকেশ মৈত্র ছিল রঘুনন্দন মৈত্রের ছেলে। জমিদার বাড়ীর মন্দির।
রঘুনন্দন মৈত্র আফগান শাসকদের অধীনে সেরেস্তাদার ছিলেন এবং মজুমদার উপাধি পান। হৃষিকেশ মৈত্রের আর্থিক অবস্থা উন্নত হলে চক্রবর্তী উপাধিধারণ করেন। হৃষিকেশের দুই পুত্রের নাম হরি ও যাদব।যাদবের ছেলে কাশীনাথ নবাবের সেরেস্তাদারের কাজ করে চৌধুরী উপাধি গ্রহণ করেন।এই কাশীনাথ নিজ পিতৃব্য হরি মৈত্রের নামানুসারে গ্রামটির নাম রাখলেন হরিপুর।১৭০৩ সালে ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে রাজধানী স্থানান্তরিত হলে কাশীনাথের পুত্র রামদেব সাতৈল জমিদারের কর্মচারী নিযুক্ত হন।হরিপুর তখন সাতৈল জমিদারের প্রধান কার্যলয়।রামদেবের বংশধর জমিদার সোনাবাজু মৌজার সিকি অংশ ক্রয় করেন।এ জমিদারদের একজন হলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দুর্গাদাস চৌধুরী।তিনি দুর্গাদাস হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। উনার পুত্র বাংলা চলিত ভাষার প্রর্বতক প্রমথ চৌধুরী । কোম্পানী আমলে হরিপুর মুন্সেফ আদালত ছিল; এখানে নীলকুঠি ,নীলকারখানা ও বাংলো ছিল; এসব ধ্বংসবশেষ বহুদিন পর্যন্ত দেখা যেত।চৌধুরী জমিদারদের নির্মিত হরিপুরে বিভিন্ন দেব দেবীর মন্দিরের ধবংসপ্রাপ্ত ইট পাথর এখনো বিদ্যমান।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২১
অনিরুদ্ধ০০৭ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পোস্টে +++ জমিদার বাড়ি নিয়ে আমার দুর্বলতা আছে, একটা সিরিজও লিখছিলাম "বাংলার জমিদার বাড়ি" শিরোনামে, সামু ব্লগেই।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:২১
অনিরুদ্ধ০০৭ বলেছেন: অনেক নাম না জানা গ্রামের জমিদার বাড়ী,এখন শুধুই ভাংগা পোড়া বাড়ি।কিন্তু এইগুলই আমাদের গ্রামের ইতিহাস।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগলো।