নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নেয়া প্রসঙ্গে

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

সবার মতামত নেয়ার পর সিদ্ধান্ত নিলে তাতে বেশি কল্যাণ লাভ করা যায়। দায়িত্ব ও সম্পকই কিছু অধিকার ও দাবির যৌক্তিকতাকে বৈধতা দেয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর মতামত জানার জন্যে অনুপস্থিতদের নিকট পেশ করলেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়না। কারণ বিব্রতকর পরিস্থিতির আশংকায় তা এড়ানোর জন্যেই নেতিবাচক মতামত অপ্রকাশিত রাখা হয়; এতে দায়বদ্ধতা অনুভব হয় না,একাত্মতা আসেনা। তবে প্রস্তাবনা হতে পারে, মতামত ও সম্মতি নেয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ডিজিটাল যুগে সিদ্ধান্ত নেবার আগে মোবাইলেও শেয়ার করে নেয়ার সুযোগ আছে। এটা ঠিক যে,কাকে কোন পরিসর পযন্ত বিচরণের সুযোগ দেয়া হবে তার সীমান্ত রেখা স্পষ্ট টানতে হবে। নয়তো অযাচিত হস্তক্ষেপের আশংকা থেকে যায়। যারা নীতি নিধারণের স্বীকৃত ক্ষমতা প্রাপ্ত তাদের গুরুত্ব ও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিতকরণটা সবসময় জরুরী নাও হতে পারে তবে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটাকে সামনে এগিয়ে নেয়ায় সবার আন্তরিক ও স্বতস্ফুত ভুমিকার প্রত্যাশা পূরণে মোটেই এটা কম জরুরী নয়।

সিদ্ধান্ত গ্রহনের পূবে সমস্যা, সম্ভাবনা, সামথ্য ও সমধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনামূলক উপস্থাপন তারপর বাছাই করতে হয়। যখন কয়েকটি প্রজেক্ট প্রফাইল প্রস্তুত করার জন্যে স্বতন্ত্র কমিটি থাকে তখন সবগুলো উপস্থাপিত হবার আগেই কোনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়াটা ঠিক নয়।অথাৎ কয়েকটি সুযোগ থাকলে, বিকল্প থাকলে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তুলনামূলক আলোচনার পরই অধিকতর সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজতর।

সামষ্টিক উদ্যোগের সাথে সবার অংশগ্রহণ একটি নতুন সম্পক ও আত্মপরিচয় নির্মাণ করে। প্রাকৃতিক আইন থেকে যে শিক্ষা নিয়েছে তার পক্ষে শৈশব-কৈশর-যৌবন-বার্ধক্য...এরকম ধারাবাহিকতাকে অমান্য করা সম্ভব নয়। বীজ সংগ্রহ করা-মাটিকে বীজ বপণের উপযোগী করা-তার পর চারা গাছ-বৃক্ষ-ফলমূল...এই ক্রমধারা ব্যাহত করাটা নি:সন্দেহে অপচেষ্টা। সিড়ির নীচের ধাপগুলো অতিক্রম না করেই উর্ধ্বগমণের চেষ্টা কিংবা ভিত্তি তৈরি হবার আগেই দালান উঠানোর প্রয়াসটা অনেকের কাছে খুব প্রাসঙ্গিক মনে নাও হতে পারে। দুজন নারী পুরুষের মাঝে বিবাহ বন্ধন পরবর্তী সম্পর্ক তাদের সন্তান উৎপাদনকে বৈধতা দেয়। পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি হবার আগেই সম্পক পরবতী ফলাফল আশা করাটা বেমানান। অবশ্য উদ্যোগই সংযুক্ততা ও সম্পৃক্ততা তৈরির ক্ষেত্রে নিয়ামক শক্তি।

পূর্ববর্তী মিটিংয়ের সাথে যোগসূত্র স্থাপন ছাড়া পরবতী মিটিংকে অথবহ ও স্বাথক করা সম্ভব নয়। মিটিংকে ফলপ্রসূ করতে হলে যেমন আগের মিটিংয়ের সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচনা হওয়া দরকার তেমনি মিটিংয়ের এজেন্ডা আগেই অবহিত হয়ে ভেবে আসা দরকার। কার্যপত্র ও কার্যবিবরণী তৈরি করে তা সময় মত পৌছাতে হবে। প্রয়োজনে ইমেইল ব্যবহার হতে পারে। প্রত্যেকটা মিটিং যদি এমনভাবে আলাদা হিসাবে বিবেচিত হতে থাকে যে সেটির সাথে আগেরটির কোন সম্পর্ক নেই তবে দুনিয়াবী দৃষ্টিকোণ থেকে তা সময়ক্ষেপণ বা সময় অপচয়ের অপরাধ এবং পরকালিন দৃষ্টিতে কম সওয়াব হবে। আমি মনে করি শারীরিক উপস্থিতিই যথেষ্ট নয় মনোযোগ ও মগজ প্রসূত চিন্তাভাবনাটাও জরুরী। যেটি পূবেই হয়ে যেতে হবে মিটিংয়ে বসে নয়। মিটিংকে ফলপ্রসূকরণে মিটিং চলাকালিন কিছু কাজের পাশাপাশি পূর্ববর্তী ও পরবতী কিছু করণীয় আছে। অবশ্যই মিটিংয়ের দুএকদিন আগে বিগত মিটিংয়ের কার্যবিবরণী, মিটিংয়ের কার্যপত্র -এজেন্ডা পাঠাতে হবে। যাতে সবাই ভেবে চিন্তে আসতে পারে । এর ফলে স্বল্প সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে।

কারো একান্ত ব্যক্তিগত প্রসঙ্গকে মিটিংয়ে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে সজাগ ও সচেতন হতে হবে। প্রাইভেট বিষয়কে পাবলিক স্পেসে আনলে অনেকেই মাইন্ড করাটা অস্বাভাবিক নয়।অতিব জরুরী হলে ভিন্ন তবে সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যাতে ব্যক্তিত্ব ও ইমেজ ক্ষুণ্ন হবার কারণ না হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.