নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু না বলা কথা এবং অত:পর................

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

এতদিন কেহ আমাকে প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতির বিকল্প খুজে বের করতে না বললেও আমি সে কাজ করার চেষ্ঠা করেছি। এখনতো আর ব্যক্তি উদ্যোগ নয় যৌথ উদ্যোগে কাজ করার চেষ্টা চলছে। নানাবিধ তৈরি বাস্তবতার মধ্যে বড় উদ্যম নেওয়া খুব কঠিন। নিদ্বিধায় বলা যায় এটা ভীতুদের পক্ষে অসম্ভব। ব্যথরা সবকিছুর মধ্যেই যেমন হতাশার চিত্র দেখেন সফলরাও তেমনি সাফল্যের কৌশল খুজে ফিরেন। আশাবাদীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পদক্ষেপে পরাজিতদের সন্দেহপ্রবণতা যতই বাড়ুক তাতে কমপ্রিয়দের যায় আসেনা।



একটি ব্যাপারে আমি নিশ্চিত হয়েছি, যারা কাজ কম করে তারাই বেশি কথা বলে, সমালোচনা বেশি করে।ভুল হতে পারে এ আশংকায় যারা নিশ্চুপ নিরব বসে থাকেন এসব নিষ্ক্রীয়রা বড় কিছুই করতে পারেনা।আত্মমযাদা সম্পন্ন এবং অনুভূতিপ্রবণ ব্যক্তির পক্ষে যান্ত্রিক পেশার মতো বিরক্তিকর কাজে নিজের জীবন নিবেদন করাটা মোটেই সুখের নয়।কেউ যদি ফুলদানির মাঝে বোমা খোজেন আর গোলাপের সুঘ্রাণের মাঝে পেট্রোলের গন্ধ শুকতে চান তবেতো তার জন্যে তেমন কিছুই বলার থাকেনা।কেননা নীতিভ্রষ্ট নেতার কতৃত্বে দিকভ্রান্ত কমী বাহিনীই তৈরি হওয়া সম্ভব।যারা বিদ্যমান অবস্থাকে সহজেই গ্রহণ করে তার সাথেই একাকার হয়ে যায় তারা প্রতিবাদী সত্তার বিলুপ্তি জনিত অবস্থায় থাকেন।



সে যাই হোক, টাকার বিনিময়ে যা কিনতে পাওয়া যায় তা করতে পারাতে সক্ষম হওয়াটাই যথেষ্ট নয়।যেমন ধরুণ, আপনি আপনার লেখা একটি বই কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করতে চান তবে টাকা থাকলে অনুবাদকের মাধ্যমে কাজটা আপনি করে নিতে পারবেন।কিন্তু একটি বিদ্রোহী কবিতা কিংবা গীতাঞ্জলি টাকার বিনিময়ে পাওয়া সম্ভব নয়।ফলে শুধু ভাষাগত দক্ষতা নয় নতুন কিছু আইডিয়া সৃষ্টি করার ক্ষমতাও কম গুরুত্বপূণ নয়।যারা মনে করেন শুধু বই পড়ে শিখবেন তাদের পক্ষে নৌকা স্কুল, ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী, খান একাডেমি, মাইক্রোকেডিট কিংবা সোস্যাল বিজনেসের ধারণা, মডেল তৈরি হওয়া সম্ভব নয়।



যারা শুধু লেখা পড়ে শিখেন,নিজের মগজ ব্যবহার করে চিন্তা ভাবনা খুব বেশি করেন না-তাদের পক্ষে বড় ডিগ্রী পাওয়া সহজ হতে পারে আসলে খুব বড় কাজ করা সম্ভব নয়।সমাজের বা মানুষের জন্যে বৃহত্তর কিছু করতে হলে সমাজ ও মানুষকে অধ্যয়ন করতে পারতে হবে।আপনি যা শুনছেন, যা দেখছেন, যা উপলব্ধি করছেন, যা ভাবছেন-কোনটিই অধ্যয়নের বাইরের কোন জগত নয়।



একটি বৃক্ষ ফুল ফল কিংবা ছায়া দেয়।মাটি থেকে রস নিয়ে কিংবা সূয থেকে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় খাবার সংগ্রহ করেই তাকে বাচতে হয়।মৌমাছির সাধ্য নেই ফুল সৃষ্টি বা চাষ করার তবে ফুল থেকেই তাকে রেণু সংগ্রহ করতে হয়।মৌচাকে যে ঢিল ছুড়ে প্রকৃতাথে সে ভাল কিছু পায়না অথচ মৌচাক থেকেই মধু সংগ্রহ করতে হয় কৌশলে।সবাই যেমন মধু সংগ্রহ করতে পারেনা তেমনি যারা খায় সবাই সমানভাবে উপকৃত হতে পারেনা।মৌমাছির কাছে যেমন ফুল নিছক ফুল নয় তেমনি জ্ঞানও অনেকের কাছে অপরিহায বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে।



অপদাথরাই স্থিরভাবে টিকে থাকে মনে হয়।আসলে মেনে নেয়া কিংবা মেনে নিতে পারাটা খুব গুরুত্বপূণ।কচু পাতায় স্বচ্ছ পানি লেগে না থাকাটাই ধম।এজন্যে পাতা কিংবা পানি কোনটাকেই এককভাবে দায়ি করা যায়না।উভয়ের প্রকৃতি বা স্বভাবই এখানে কাযকর ভুমিকায়।কিন্তু যদি আঠা ধরণের ছিু কচু পাতা স্পশ করে তবে তা পানির মতই গড়িয়ে পড়বেনা।ফলে এটা স্পষ্ট যে, সিস্টেম মেনে নিয়ে টিকে যাওয়া আর সিস্টেমকেই প্রভাবিত করে, পরিবতন, পরিবধন করে টিকে থাকাটা এক কথা নয়।প্রভাবিত হওয়া আর প্রভাব ফেলা-সম্পূণ ভিন্নতর।



আমি আমার সুপ্ত ক্ষমতা যদি ব্যবহার করে সৃজনশীলভাবে বাঁচতে পারি,তবেই আমার জীবনটা আমার কাছে অথময় মনে হবে।জীবনকে স্বাথক ও সুন্দর করতে অথের গুরুত্বকে কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা।তবে হ্যা, হৃদয়বানরাই কেবলমাত্র অথের সঠিক ব্যবহার করতে পারে।যারা পুরাতনকে ভাঙ্গতে চায় তাদেরকে প্রকৃত দ্রষ্টা হতে হবে। আর প্রকৃত দ্রষ্টা তারাই যারা অদৃশ্যকেও দেখার মতো ক্ষমতা অজন করে।সব সময় অন্যকে অনুকরণ ও অনুসরণ করার মাধ্যমে নিজেকে সঠিকভাবে মেলে ধরা অসম্ভব।কাটুন কিংবা পুতুলের বৈশিষ্ট নিয়ে আর যাই হোক ব্যক্তিত্ববান ও রুচিসম্পন্ন মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রস্তুত করা সম্ভব নয়।



নতুন পথ ও পদ্ধতি অবলম্বনের পূবে তার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা সংক্রান্ত সুস্পষ্ট জ্ঞান লাভ করাটা জরুরী। চিন্তাভাবনা করেই পথে নামতে হবে, বিচার বিশ্লেষণ করেই সামনে এগুতে হবে। আবেগ সবসময় গুরুত্বপূণ তবে শুধুই আবেগ নিভর সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করা যাবেনা। আমার মনে হয়, প্রত্যাশিত পরিবতন ও নূতন নিমাণ বিদ্যমান বাস্তবতায় মোটেই অসম্ভব নয়। ব্যতিক্রম বা উত্তম বিকল্প খুঁজলে তা অবশ্যই পাওয়া সম্ভব বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।সমালোচনা, বিপদ, বাঁধাকে যে ভয় করে তার পক্ষে সম্ভাবনার বিকাশ কোনদিনই ঘটানো সম্ভব নয়।কথায় আছে, প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত বাচিঁবার অধিকার তারই।অফুরন্ত সাহস অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে।নিজের উপর নিজের আস্থা না থাকলে, বিশ্বাস ইস্পাত দৃঢ় না হলে সৃজনশীল হওয়া অবাস্তব, আকাশ কুসুম কল্পনা।



কিছুক্ষেত্রে সমঝোতা করে চলাটাই সুবিবেচনা প্রসূত কম হতে পারে তবে কিছু মৌলিক নীতির ক্ষেত্রে আপোসহীন হওয়াটা জরুরী।সম্মিলিতভাবে চিন্তার রাজ্যে বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের উদ্যোগ, চিন্তা গবেষণা, মুখোশ উন্মোচন বা পদার অন্তরালের কোন লুকিয়ে থাকা বিষয়কে দৃষ্টিসীমায় নিয়ে আসতে পারাটাও একধরণের আন্দোলন। পরিসর যত ক্ষুদ্রই হোক, জনসমষ্টি যত নগণ্যই হোক-কল্যাণ ও মঙ্গলের লক্ষ্যে নেয়া উদ্যোগ সবসময়ই অথবহ। মানুষ শুধু নয় সব প্রাণী ও উদ্ভিদই নরম, কোমল ও দুবলভাবে জন্মায়; সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের অবস্থাও নবযাত্রায় তেমনই।তবে আলাপ, আলোচনা ও সমঝোতার দ্বারা অনেক সংকটের নিরসন ঘটিয়েও পূণ শক্তি নিয়ে সামনে এগুনো সম্ভবপর হয়। অল্পে তুষ্ট না হলে, আশা-আকাংখা বেশি থাকলে মানসিকভাবে পরম প্রশান্তি লাভ মোটেই সহজ নয়।প্রবল আশা বাস্তবতা ও সামথ্যকে অনেক সময় বিবেচনায় আনে না; এতে মানসিক দ্বন্ধ বৃদ্ধি পায়।



বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু, চরম অসহায় কিংবা মানসিকভাবে দুবল চিত্তের মানুষদেরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আশ্রয়কেন্দ্র সবসময় ভঙ্গুর। দুবল ভিত্তির উপর দাড়ানো কিছু কে শেষ অবলম্বন বানানো বা আকড়াইয়া ধরে পড়ে থাকতে চেষ্টা করার মত হাস্যকর বিড়ম্বনা আর দ্বিতীয় কিছুই হতে পারেনা।যোগ্যতা যদি কম হয় এর জন্যে লোকে যদি অবহেলা করে তাতে যে ক্ষতি;তারচেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি যতটুকু সম্মান-মযাদা পাওয়ার উপযুক্ত তার চেয়ে বেশি পেলে।কেননা এটা নিজ সম্পকিত সঠিক ধারণা ও মূল্যায়নের শক্তি সামথ্য অজনের বড় প্রতিবন্ধক। আমরাও অনেক সময় নতুনের জয়গান গাইতে যেয়ে পুরাতনকে অবজ্ঞা করে বসি-এটাও এক ধরনের মানসিক সংকীণতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, মনের চচা যাদের কম, গোঁড়ামি তাদের বেশি, সামান্য পরিমাণ নতুনত্বে তাদের বাঁধে।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

সৌদি প্রবাসী আশরাফ বলেছেন: আপনার লেখাগুলোতে কেন মন্তব্য আসেনা জানিনা...তবে আমার কাছে আপনার লেখা ও তার ধরন অসাধারন লাগছে...ভালো লাগছে...লিখতে থাকুন এমনি ভাবে...হয়তো আমার মতো কারো ভালো লাগবেই...এতেই একজন লেখকের প্রাপ্তি কিংবা সফলতা...ভালো থাকবেন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.