নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধু প্রতিক্রিয়া নয়; পরিকল্পনা চাই

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

তবুও স্বপ্ন দেখি.....

এপিজে আবুল কালাম অত্যন্ত চমৎকার একটি কথা বলেছিলেন, তুমি ঘুমায়ে যা দেখ তা স্বপ্ন নয়। স্বপ্ন হচ্ছে তাই যা তোমাকে ঘুমাতে দেয়না।আমিও মনে করি আজ যা স্বপ্ন চেষ্টা সাধনার দ্বারা কাল তা বাস্তব রুপ লাভ করে। ফলে স্বপ্ন না দেখলে নতুন কিছুর সৃষ্টি মোটেই সম্ভব নয়। তবে বিপদ মুসিবত, বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে টিকে থাকার জন্যে সাহস ও ধৈযের কোন বিকল্প নেই। নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছেন, আমাকে আমার সফলতার দ্বারা বিচার করোনা। আমাকে বিবেচনা করো কতবার ব্যথ হয়েও তা সমথন করে পুনরায় শুরু করেছি।



অথোপাজন ও জীবন যাপন......

Warren Buffet বলেছেন, কখনই একক আয়ের উপর নিভরশীল হবেন না।দ্বিতীয় কোন উৎস তৈরির জন্যে বিনিয়োগ করুন।খরচ করার ব্যপারে তার বক্তব্য হচ্ছে, তোমার প্রয়োজন নেই এমন জিনিস যদি তুমি ক্রয় কর তবে দ্রুতই তোমাকে তোমার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বিক্রয় করতে হবে।সঞ্চয় প্রসঙ্গে তার মতামত হচ্ছে,ব্যয়ের পর যা থাকে তাই তুমি সঞ্চয় করবেনা বরং সঞ্চয়ের পর যা থাকে তা থেকেই ব্যয় করবে। ঝুঁকি গ্রহণ সংক্রান্ত তার বিবেচনা হচ্ছে, কখনো দুজনেই নদীর গভীরতা পরীক্ষার পদক্ষেপ নিবেনা।বিনিয়োগ সম্পকে বলেন, সকল ডিম একটি ঝুড়িতে ঢুকাবেন না।প্রত্যাশার ব্যপারে তার মন্তব্য হচ্ছে, সততা খুবই দামি উপহার। তাই এটি বাজে লোকদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করিওনা।শুধু আবেগ নিভর সিদ্ধান্ত না নিয়ে বাস্তবতা ও বতমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় Warren Buffet এর এসব পরামশমূলক উক্তি যথেষ্ট বাস্তবসম্মত, গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক বলে মনে হয়।



অথবহ জীবনের সন্ধানে.......

Ralph Waldo Emersonবলেছেন, সুখী হওয়াই জীবনের উদ্দেশ্য নয়।জীবন হতে হবে উপযোগী, সম্মানযোগ্য, করুণাপূণ যা শুধুই জীবন্ত থাকা এবং ভালভাবে বাচাঁর মধ্যে কিছু পাথক্য স্পষ্ট করবে।আমিও মনে করি, খেয়ে পরে বেঁচে থাকাই জীবনের শেষকথা নয়। জীবনের মানে অনেক ব্যাপক; বহুবিধ দায়িত্ব ও কতব্য পালনের অপর নাম। Edwin C. Bliss বলেছেন, ব্যথতার অনুপস্থিতি মানেই সফলতা নয় বরং সাফল্য হচ্ছে চরম লক্ষ্য বা চূড়ান্ত উদ্দেশ্য সিদ্ধি। অথাৎ সফলতা মানে যুদ্ধে বিজয়, প্রত্যেকটা যুদ্ধক্ষেত্র নয়। বানাডশ বলেছেন, জীবন এক বিস্ময়কর প্রাপ্তি। একে শেষ পযন্ত উপভোগ করা প্রয়োজন।আমি বিশ্বাস করি জীবনকে স্বাথক করে তুলতে হলে নিজের অস্তিত্বকে অন্যের জন্যে প্রয়োজনীয় ও বৃহত্তর পরিসরে কল্যাণকর করে তুলতে হবে।



দায়িত্ব ও কতব্যের সীমান্ত রেখা.....

Prophet Muhammad (Sm) বলেছেন, A Muslim has five duties towards another Muslim; to return a salutation, visit the sick, follow funerals, accept an invitation and say ‘God have mercy on you’ when one sneezes. স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি দায়িত্ব ও কতব্য পালনে অসচেতন হয়ে ভাল মানুষ হওয়া যায়না। আলফাঁসো কার বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের তিন প্রকারের চরিত্র আছে,-যা সে প্রকাশ্যে দেখিয়ে বেড়ায়, যা সত্যিকার আছে এবং যা সে মনে করে যে তার আছে।



কার অধীনে কাজ করি?

নেতা নাকি মনিবের? নেতা আর মনিব সম্পূণই ভিন্ন। তাদের এই ভিন্নতা স্পষ্ট হয় কাজে, চিন্তায় ও আচার ব্যবহারে। মনিব-কমচারীদের চালায়, কতৃপক্ষের উপর নিভর করে, ভয় জাগায়, বলেন‘আমি’, অচল অবস্থার কারণ শনাক্ত করে অন্যকে দোষ দেয় বা দায়ি করে, কিভাবে করতে হয় তা জানেন, লোকজনকে ব্যবহার করেন, কৃতিত্ব নিজে নেন, আদেশ করেন, বলেন‘যাও’। আর নেতা বস বা মনিবের বিপরীত চরিত্রের হয়ে থাকেন। নেতা- তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও নিদেশনা দেন, সুনামের ওপর নিভর করেন, উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেন, বলেন ‘আমরা’, অচল অবস্থার কারণ নিধারণ করে সংকট নিরসনের তড়িৎ পদক্ষেপ নেন, কিভাবে করতে হবে তা দেখান ও শেখান, লোকজনের উন্নতি করেন, কৃতিত্ব নিজে নেননা বরং অন্যকে দেন, জিজ্ঞাসা করেন, বলেন“চলো যাই’।



ছাত্রজীবন থেকে কমজীবনে....

প্রফেসর শামসুল হক বলেছেন,ছাত্র ও শিক্ষক সম্পক ভয়-ভীতির না হয়ে শ্রদ্ধা-ভক্তি ও স্নেহ বন্ধুত্বের হওয়া উচিৎ।আমি ছাত্র বয়সে এমন অনেক শিক্ষক পেয়েছি যারা প্রকৃতাথেই আন্তরিক ছিলেন।ছাত্ররাই যে-কোনো জাতির প্রাণশক্তি, মেরুদন্ড এবং প্রকৃত ভবিষ্যত।– কথাটা বলেছেন টমাস রাইট।তাহলে ছাত্রজীবন শেষ যারা করেন তারা কী অতীত হয়ে যান?-মোটেই না। তারাই জাতির বতমান।



আমার পরিচয় ও সীমাবদ্ধতা....

মাক টোয়েন বলেছেন, তুমি তোমার বিচার ক্ষমতার উপর নিভর করতে পারো না। কারণ সেখানে তোমার চিন্তার সীমারেখা আছে।এখন প্রশ্নটা হলো আমি আমার বিচার ক্ষমতার উপর নিভর করবোনা তবে কার বিচার ক্ষমতার উপর নিভর করে সিদ্ধান্ত নিব? মানুষ হিসাবে প্রত্যেকেরই সীমাবদ্ধতা আছে। ফলে কোন মানুষের বিচার ক্ষমতার উপরই নিভর করা যায়না। তাহলেতো মানুষের স্রস্টা ও স্রষ্টা প্রদত্ত বিধিবিধানের কাছে যেতে হবে। মাটিন লুথার কিং বলেছেন, যেখানেই জন্মাক মানুষ মানুষই।আমি মানুষ-এটাতো অবশ্যই বড় পরিচয়।



একজন সরব বক্তার নিরব শ্রোতা.....

জ্ঞান-অর্জন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও ব্যবহার যেকোন বিচারেই গুরুত্বপূণ কাজ। নলেজ ভিত্তিক মুভমেন্টের মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব তৈরি ও আলোকিত সমাজ গড়ে তোলার কাজটা মোটেই সহজ নয়।সৃজনশীল, উদার, মানবপ্রেমিক, বুদ্ধিমান প্রজন্মের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত গবেষণা সংগঠন সময়ের অনিবায দাবি পূরণে অপরিহায ভুমিকা রাখতে পারে।

জ্ঞান র্চচার পরিবেশ ও অধ্যয়নের মানসিকতা তৈরির যুগোপযুগী আয়োজন নেই বললেই চলে।এমতাবস্থায় জ্ঞান বিতরণে আধুনিক উপায় ও উপকরণের ব্যবহার এবং যোগ্য,মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন সুবিবেচক লেখক, বক্তা কিংবা চিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব তৈরিতে বহুবিধ প্রশিক্ষণ প্রদান খুবই জরুরী। জ্ঞান সংরক্ষণে নানান ধরণের শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিকল্প কোন পথ নেই।



কোন উদ্যোগই র্সবপ্রথম কিংবা র্সবশেষ নয়।অপেক্ষাকৃত বেশী যারা জানে তাদের কাছ থেকে জানা আর যারা কম যারা জানে তাদেরকে জানানোটা গুরুত্বপূণ বলে বিবেচিত হতে পারে।দেশ ও মানবতা নিয়ে যে বা যারাই কাজ করছে সবাইকে সহযোগী বন্ধু ভাবতে হবে কাউকেই শত্রু মনে করা যাবেনা। রাজনৈতিক মতর্পাথক্য কিংবা যেকোন সংকীর্ণতার উর্ধ্বে ওঠে কাজ করতে সক্ষম একদল নবীন প্রজন্ম গড়তে হবে।গঠনমূলক প্রচেষ্টার সাথে একাকার হয়ে যেতে কারো একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডগত ভিন্নতা প্রতিবন্ধক নয়।ধর্ম, র্বণ, শ্রেণী বা লিঙ্গগত ভিন্নতার কারণে কোন ভেদাভেদ থাকা ঠিক না।



আমরা নিজেরা জানব। আমরা যতটুকু জানি তা অপরকে জানাব। যারা চিন্তা গবেষণায় অগ্রসর কিন্তু কর্মে পিছিয়ে অথবা যারা চিন্তা গবেষণা ও র্কমে অগ্রসর তাদের সাথে সর্ম্পক তৈরিকে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।যারা চিন্তা গবেষণায় পশ্চাদপদ কিন্তু র্কমে অগ্রসর অথবা চিন্তা গবেষণা ও র্কমে পশ্চাদপদ তাদের অবস্থার পরির্বতনে বা উন্নয়নের চেষ্টাকেও এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবেনা।জনগের একটি উক্তি মনে রাখার মত যে, উৎকৃষ্ট বীজ থেকেই উত্তম বৃক্ষ জন্ম নেয়। ফলে ভেবে চিন্তেই পদক্ষেপ।



যাদের চিন্তাধারায় কোন আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে ওঠে ইতোমধ্যেই বির্তকিত হয়ে পড়েছে তাদের বই পড়াকে যথেষ্ট মনে করাটা ভুল বিশ্বাস।বতমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় দেশীয় প্রেক্ষিতেও কিছু করতে চাইলে আমেরিকান স্ট্যার্ন্ডাড বুদ্ধিজীবিদের লেখা না পড়ার কোন কারণ নেই। আধুনিক যৌথ উদ্যোগ, সংস্কার ও তত্ত্বগুলোকে বিবেচনায় অগ্রাধিকার দেয়াতেই কল্যাণ।কোন গোঁড়ামি থাকা চলবেনা।আবুল ফজল বলেছেন,গোঁড়ামি মানে অন্ধতা, বুদ্ধি-বিবেচনা ও যুক্তি বিচারের কানে তালাচাবি মারা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.