নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারপরও কথা থেকে যায়, মন চায় কিছু লিখতে.................

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

অনেক দেশপ্রেমিক, মানবপ্রেমিক দাবিদার ব্যক্তিকে দেখেছি যারা মানবতা, দেশ আর জাতির উন্নয়ন ভাবনায় এতটা মশগুল যে, ব্যক্তিক পরিসরে তাদের আকুলতা, ব্যাকুলতার লেশ মাত্রও থাকে না; ‘নিজ’-প্রসঙ্গে অবশ্য ব্যতিক্রম নীতিও পরিলক্ষিত হয়। মজবুত ভিত্তি তৈরি করার আগেই তারা প্রাসাদ তৈরি করতে চান এমনটা না বললেও ব্যক্তিক পযায়কে নিছক তুচ্ছ বিষয় হিসাবে বিবেচনা সামষ্টিক কল্যাণ চিন্তার অথপূণ ফলাফল আসার অন্তরায়। এরা বুঝতেই চাননা যে, বৃহৎ উদ্যোগ তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন ব্যক্তিক সংকট নিরসন কিংবা সম্ভাবনার বিকাশ ঘটবে। ফাকা মাঠে গোল করে যেমন স্বাভাবিক স্বীকৃতি অজনের প্রয়াস অবান্তর তেমনি জাতির মঙ্গল ও কল্যাণ চেষ্টায় নিয়োজিত ব্যক্তির পরিচিত চারপাশের মানুষজনের সেবার প্রয়োজনে নিয়োজিত হতে পারার অনাগ্রহ হাস্যকর। আসলে বৃহত্তর চেতনায় ক্ষুদ্রতর অনেক বিষয়কেও গুরুত্বপূণ বিবেচনা করতে না পারলে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের আবেদন নিবেদন হারানোর আশংকা বেড়ে যায়।



বাস্তবতা হচ্ছে, যে ক্ষুধাত তাকে জাতির মুক্তি চেতনায় উজ্জীবিত করার জন্যে সারগভ ও জ্বালাময়ী বক্তব্য দেয়ার আগে তার পেটের ক্ষুধা নিবারণকেই গুরুত্ব দেয়া উচিৎ নয় কি? যতই ভাবালুপতা সৃষ্টি হোক পিপাসাত মানুষের পক্ষে তৃঞ্চা মেটানোর প্রয়োজনীয় পানি প্রাপ্তির দিকেই বেশি আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক, প্রাকৃতিক নীতি ও মানবিক ধম। ব্যক্তিকে উপেক্ষা করে যারা সামষ্টিক কল্যাণের চিন্তায় বিভোর থাকেন তারা আসলে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায়ই সময় কাটান।অন্যের চাওয়া, পাওয়া, দাবি-দাওয়া, আশা-আকাংখা, বিশ্বাস-প্রত্যাশাকে যথাযথ মূল্যায়ন করার ব্যথতার অথ নিজের স্বপ্ন, পরিকল্পনা, চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভঙ্গিকেই প্রাধান্য দেয়া।নিজের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সাথে অন্যকে একাকার করতে পারার চাইতে অন্যের ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা বা পরের যৌক্তিক বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটাতে নিজের অথপূণ সহযোগিতা দানে সক্ষমতটা কম গুরুত্বপূণ নয়।



সৃষ্টির চাইতে ধ্বংস করা যেমন সহজ উপকার করার চেয়ে ক্ষতি করা তেমনি সহজ।স্বভাবগতভাবে যারা পরের সুখ, শান্তি দেখে নিজ মনে, হৃদয়ে প্রশান্তি লাভ করেন তাদের জীবনধারা, রুচিবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি কতটা উন্নত তা স্বথপর, ঈষাকাতর ও হিংসুক ব্যক্তিদের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়।পোশাকে ভদ্র আর কথায় সাধু হলেই তার দ্বারা অপূরণীয় ক্ষতি সাধন হবেনা এমটা নিশ্চিত করে বলা যায়না।



অন্যকে তীক্ষ্ণভাবে খোঁচা দেবার ক্ষমতাটা যারা আয়ত্ব করেছেন তারা নিরব নিমমতা, নিশ্চুপ নিষ্ঠুরতা ও অদৃশ্য নিযাতনে দক্ষ কুশলী হয়ে ওঠেছেন।পরের প্রয়োজনে যে নিজের ভোগ, বিলাসিতা, আরামভোগকে বিসজন দিতে শিখেছেন তিনিই অন্যের জন্যে লোভ লালসা ও সংকীণতা ছেড়ে অকৃত্রিম ভালবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন।



নিজে ভুল করে অনুতপ্ত হওয়া কিংবা অনুশোচনায় ভোগার চেয়ে অন্যের দুবল পয়েন্টে আঘাত করা কিংবা ত্রুটি খুঁজে বের করে নাজেহাল করার প্রচেষ্টা দ্বারা উদার মনোভঙ্গি সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেয়া যায়না।পারস্পরিক সম্পকের ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার চেয়ে হৃদয়বান হতে পারাটাই বেশি গুরুত্বপূণ হয়ে ওঠে অনেক সময়।নিজের দুবলতার জন্যে অন্যকে দায়ী করার প্রবণতা ও হীণমন্যতা অনেকক্ষেত্রেই সম্পককে যন্ত্রণাময় করে তোলে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.