নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিজনেস সেক্টর ও সফল ব্যক্তিত্ব:একটি বিশ্লেষণ

০২ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

BRICS এর পর গোল্ডম্যান স্যাক্স সম্ভাবনাময় ১১টি দেশের সমন্বয়ে ‘নেক্সট ইলেভেন’ নামে যে তালিকা তৈরী করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সংস্থাটি বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছে, দেশটির বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার বেশির ভাগই তরুণ। বর্তমানে তা ১৬ কোটির উপরে। যার মধ্যে প্রায় ১০ কোটিই তরুণ এবং এদের বেশীর ভাগই প্রযুক্তি নির্ভর। এদের মাধ্যমে দেশটির ভবিষ্যত বদলে দেয়া সম্ভব। বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলো হচ্ছে,



এক. টেক্সটাইল:

তৈরি পোশাক শিল্পে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। USA এবং ইউরোপীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশে উৎপন্ন পোষাকের চাহিদা ব্যাপক। EPZ-এ উৎপাদিত পণ্য মূলত: বাইরে রপ্তানি করা হয়। সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের এই শিল্পে বিনিয়োগের জন্যে উৎসাহিত করে। এই খাতে শীর্ষস্থানীয় কম্পানি হচ্ছে, KDS Group, Pride Group, Noman Group, Beximco. বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে।দরকারী কাঁচামালগুলো যদি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হতো তাহলে সেই খাতে খরচটা কিছু কম হতো। এতে নির্মাতা কিছুটা বাড়তি লাভ পেতো। কিন্তু সেটা না হওয়ায় নির্মাতাকে লাভের জন্য পুরোপুরি কাটা-সেলাইয়ের খরচ কমানোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এই শিল্পের শ্রমিকদের ব্যাপক ট্রেনিং দিতে হবে। শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতিও লাগবে। আর এ সব আধুনিক যন্ত্র চালাতে শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে ট্রেনিংটা খুব জরুরি। ৪৬০ উপজেলার প্রতিটিতে যদি ট্রেনিং সেন্টার করে দেওয়া যায়, তবে সেখান থেকেই আধুনিক মেশিন চালানোর উপযোগী দক্ষ শ্রমশক্তি বেরিয়ে আসবে। আর দরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো। ব্যস, এ দুটো হলেই আমাদের দেশে একটি শিল্প-বিপ্লব ঘটিয়ে দেওয়া সম্ভব। আমাদের শিল্পের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ গার্মেন্টস এ আরো অনেক বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা একারনে রয়েছে যে সবচেয়ে বড় রপ্তানীকারক চীন খুব শীঘ্রই অন্যান্য শিল্পের দিকে সুইচ করবে এবং চীনের মজুরীও বাড়তির দিকে। তাই বাংলাদেশের বিদ্যুত, গভর্নেন্স সমস্যা এবং অবকাঠামোর সমস্যার সমাধানের দিকে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন করলেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করে বাংলাদেশ প্রচুর বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে।

বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে পরিচিতির অন্যতম একটা হলো এই দেশের গার্মেন্টস রপ্তানির জন্য। আজকে ইউরোপ ও আমেরিকার শপিংমলগুলোতে বাংলাদেশে তৈরী পোশাকের ছড়াছড়ি। রেডিমেট গার্মেন্টস বা RMG খাতে আমাদের রপ্তানি আয় ০৮ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য এই রপ্তানি ঘটে ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে, যার অর্থ হলো ক্রেতা কাপড়সহ অন্যান্য উপাদান সরবরাহ করে। বাংলাদেশ যেটা করে সেটা হলো সেলাইও তৈরীর কাজটা । এতে বাংলাদেশী গার্মেন্ট মালিকদের ভ্যালু এডিশন বা মূল্য সংযোজন ঘটে প্রায় ২৫%। যদি আট বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয় তাহলে এই খাতে বাংলাদেশের নীট লাভ হয় ০২ বিলিয়ন ডলার। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের তিন- চতুর্থাংশ আসে তৈরি পোশাক ও নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে, যার পরিমাণ ২০১১-১২ সালে ছিল বিশ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এ খাতের বাজারে গণচীন বিশ্বের সর্বোচ্চ অংশীদার, শতকরা ৩৭ ভাগ এবং বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে, তবে বাজারের শতকরা ০৫ ভাগের অংশীদার। বিশ্বের বড় বড় তৈরি পোশাক ও নিটওয়্যার আমদানিকারকগণ ২০১২ সালের নভেম্বরে ঢাকায় এসে বলে গেছেন যে, গণচীনে শ্রমিকের সংখ্যাস্বল্পতা (ভ্রান্ত জনসংখ্যানীতির ফল) এবং উচ্চ মজুরির ফলে দেশটি ক্রমেই তৈরি পোশাক ও নিটওয়্যার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এবং বাংলাদেশ তাদের সবচেয়ে পছন্দের ক্রয়সূত্র। অর্থাৎ এ খাতে ২০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানিকে ৫০, ৬০ এমনকি ৭০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানিতে উন্নীত করা যেতে পারে।৪০০ অবৈধ ফ্যাক্টরিতে অসাধু সাবকন্ট্রাক্ট বন্ধ করা, ২৫০ ফ্যাক্টরিতে অগ্নিনির্বাপণের কোন ব্যবস্থা না থাকার বিরুদ্ধে যথোপযু্ক্ত প্রতিবিধান করা, হাতিরঝিল প্রকল্পের নাকের ডগায় বিজিএমইএ স্থাপনার স্থানান্তর এবং তাজরীন ফ্যাশনস ও অন্যান্য শ্রমিক হত্যাকারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারগণকে আইনের শাসনে আনা জরুরি।

একদিকে তাকালে দেখা যাবে সুদৃশ্য বিলাসবহুল ভবন, কোটি টাকার গাড়ি, অন্যদিকে বস্তির নারকীয় পরিবেশ। গত ৩০ বছরে এ দৃশ্যেরই বিস্তার ঘটেছে তৈরি পোশাক খাতে। ফলে তিন দশকে ১২ হাজার ডলারের শিল্প ২ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হলেও শ্রমিকবান্ধব হয়ে উঠতে পারেনি। মালিকদের সঙ্গে সাধারণ শ্রমিকদের কোনো যোগসূত্রও স্থাপন হয়নি। রফতানি বাবদ দেশে আসা আয়ের (এক্সপোর্ট রিয়েলাইজেশন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন মনিটরিং সিস্টেম থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে ১০০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) ওপরে যাদের আয়, এ রকম প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৭টি। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— কুয়ান টং অ্যাপারেলস, পুলম্যান নিটওয়্যার, সোয়েটারটেক, ডেনিম্যাক, নিউস্টার ফ্যাশনস, রিফাত গার্মেন্টস, দ্য ডেল্টা কম্পোজিট, আজিম অ্যান্ড সন্স, নিট কনসার্ন, জে কে নিট কম্পোজিট, ডি অ্যান্ড এস প্রীতি ফ্যাশনস, ভিয়েলাটেক্স, ইউনিভার্সাল জিন্স, জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফ্যাশনস, তাহের সন্স ফ্যাশনস ও ফকির নিটওয়্যার।

বণিক বার্তার করা তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুয়ান টং অ্যাপারেলস, ২০১২ সালে যার রফতানি আয়ের পরিমাণ ৩৮২ মিলিয়ন ডলার। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিম সিদ্দিকী। পুলম্যান নিটওয়্যারের মালিক তালাওয়াত হোসেইন। প্রতিষ্ঠানটির আয়ের পরিমাণ ৩৫৬ মিলিয়ন ডলার। সামির গুপ্তার মালিকানাধীন সোয়েটারটেকের আয়ের পরিমাণ ২৭৬ মিলিয়ন ডলার। জাকারিয়া তাহেরের ডেনিম্যাকের আয় ২২২ মিলিয়ন ডলার। নিউস্টার ফ্যাশনসের আয় ১৭৫ মিলিয়ন ডলার। এ কে আজাদের মালিকানাধীন রিফাত গার্মেন্টসের আয় ১৭৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকৌশলী একেএম ফারুক আহমেদের ডেল্টা কম্পোজিটের আয়ের পরিমাণ ১৫৩ মিলিয়ন ডলার। ফজলুল আজীমের আজিম অ্যান্ড সনের আয় ১৫০ মিলিয়ন ডলার। নিট কনসার্নের আয় ১৪৮ মিলিয়ন ডলার। জে কে নিট কম্পোজিটের মালিক তানভীর খান, প্রতিষ্ঠানটির রফতানি আয় ১৪৬ মিলিয়ন। ডি অ্যান্ড এস প্রীতি ফ্যাশনসের মালিক বশীর আহমেদ তালুকদার; আয় ১৩২ মিলিয়ন ডলার। ভিয়েলাটেক্স লিমিটেডের মালিক কেএম রেজাউল হাসনাত; আয় ১২৮ মিলিয়ন ডলার। ইউনিভার্সাল জিন্সের মালিক এম নাসির উদ্দিন; আয় ১২৩ মিলিয়ন ডলার। জিএমএস কম্পোজিট লিমিটেডের মালিক শামসুল আরেফিন; আয় ১১৯ মিলিয়ন ডলার। স্কয়ার ফ্যাশনসের মালিক তপন চৌধুরী, প্রতিষ্ঠানটির আয় ১০৪ মিলিয়ন ডলার। তাহেরসন্স ফ্যাশনের মালিক এএসএম শহীদুল্লাহ শাহজাহান; আয় ১০০ মিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ফকির আখতারুজ্জামানের মালিকানাধীন ফকির নিটওয়্যারের আয়ের পরিমাণও ১০০ মিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি।

শীর্ষ এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আবার বেশ কয়েকটি বিশেষভাবে আলোচিত ডেনিম্যাক, রিফাত, ফকির, ভিয়েলাটেক্স ও আজিম অ্যান্ড সন। ডেনিম্যাক ও আজিম অ্যান্ড সনের মালিক একজন সাবেক সংসদ সদস্য। রিফাত গার্মেন্টসের মালিক এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি। এছাড়া ভিয়েলাটেক্স গ্রিন ফ্যাক্টরি বলে খ্যাত। আর নিট খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম ফকির গ্রুপ। ২০১২ সালে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে জে কে নিট কম্পোজিট লিমিটেড। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংসদ সদস্য ও শীর্ষস্থানীয় গার্মেন্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের বিত্ত-বৈভবের কথা। তিনি একটি কারখানা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে তিন দশকের মধ্যেই অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের মালিক বনে যান। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীসংখ্যা ২৬ হাজারের বেশি। ফজলুল আজিমের বিভিন্ন কোম্পানির সম্মিলিত বার্ষিক আয় প্রায় ২০ কোটি ডলার।



২. চামড়া, চামড়াজাত পণ্য:

এই শিল্পে বাংলাদেশের রয়েছে বৃহত্তম শিল্প এবং বৃহৎ বাজার। চামড়াজাত পণ্যের মধ্যে জুতা, বেল্ট, ব্যাগ এবং জ্যাকেট ইত্যাদি। এগুলো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মার্কেটে বিক্রি হয়।বাংলাদেশ বিশ্বের মোট চাহিদার ১০% পূরণ করে।বাংলাদেশে এই শিল্পের মূল সুবিধা হচ্ছে, পর্যাপ্ত কাঁচামালের সরবরাহ।



৩. Frozen Food:

এই সেক্টরে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। সমুদ্র উপকুলে বিপুল সংখ্যক হ্যাচারি রয়েছে। চিংড়ী চাষ এবং মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ হচ্ছে বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প।এই শিল্পে মার্কেট লীডার হচ্ছে আফতাব গ্রুপ।



৪.পাট এবং পাটজাত পণ্য:

বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাট উৎপাদনকারী দেশ। একসময় বিশ্বের বৃহত্তম জুটমিল ছিল এখানে যেটি বর্তমানে আদমজী জুট মিল বলে পরিচিত। রাসায়নিক বিক্রিয়ায প্রস্তুতকৃত পণ্যের ক্রমবৃদ্ধির পাট সারাবিশ্বেই তার জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। তারপরও কার্পেট ও থলে তৈরিতে পাটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।



৫.তৈল এবং গ্যাস:

বাংলাদেশে ২৩ টিসিএফ গ্যাস রিজার্ভ আছে। তন্মধ্যে ১৪ টিসিএফ ব্যবহারযোগ্য।বাংলাদেশ সরকার বিদেশী কোম্পানী সমূহকে প্রাকৃতিক সম্পদের উত্তোলন ও ব্যবহারের লক্ষ্যে এই সেক্টওে বিনিয়োগের জন্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছে।



৬.বিদ্যুৎ ও জ্বালানী:

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে এদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। সরকার বিদেশী কোম্পানী সমূহকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। কুইক রেন্টাল কোম্পানী কাজ করছে। বর্তমানে সরকার রাশিয়া এবং কিছু দেশের সাথে একটি নিউক্লিয়ার এনার্জি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠার জন্যে যোগাযোগ চালাচ্ছে। এই সেক্টরে মার্কেট লীডার হচ্ছে, Summit Power. বাংলাদেশের বর্তমান বিদ্যুত সংকট এত তীব্র, অথচ দেশের মাত্র ৪৪ শতাংশ মানুষ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় এসেছে। তাই সবাইকে বিদ্যুত সেবার আওতায় আনা হলে এই সঙ্কট আরও ঘনীভূত হবে। এখন গড় উৎপাদন ৩০০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। নতুন কেন্দ্র চালু হলেও পুরানো কেন্দ্র গুলোর উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি মনযোগী হওয়া দরকার তা হল সৌর বিদ্যুত। একথা সত্য যে এর প্রাথমিক খরচ খুব বেশি। কিন্তু এর চলার জন্য আলাদা কোন খরচ লাগেনা এবং বাংলাদেশে যে পরিমান সূর্যালোক পতিত হয় তার মাত্র ০.০৭% ব্যবহার করেই বাংলাদেশের বিদ্যুত চাহিদা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব।



৭.ইলেক্টনিক্স:

দেশের জনসংখ্যা বেড়েই চলছে। বিদ্যুৎ সংক্রান্ত পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে।এই খাতে শীর্ষস্থানে আছে, Grameen Shakti, Rahimafrooz.



৮.মোবাইল ফোন:

অর্থনীতিতে তিনটি ব্যবসা এখন অতি রমরমা-এর মধ্যে একটি হলো এনজিও এর ব্যবসা, বিশেষ করে এর ক্ষুদ্র ঋণ, অন্যটি হলো ইংরেজীর মাধ্যমে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে বিদ্যা বিক্রি করা। এই অর্থনীতিতে এখন শিক্ষা হলো অর্থ উপার্যনের ব্যবসা। এই ব্যবসা কিন্তু ট্যাক্সের বাইরে আছে যেমন করে অন্য বড় ব্যবসা ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা আছে। তৃতীয় বড় ব্যবসা হলো মোবাইল টেলিফোনের ব্যবসা। এই ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা হলো বিদেশী। সামান্য অর্থ এনে তারা এই দেশের ব্যাংকগুলো থেকে বড় অংকের ঋণ নিয়ে বিলিয়নস অব ডলারের ব্যবসা করে যাচ্ছে। এই সব ব্যবসায় আবার জনগণের এবং এই দেশের সরকারের বিন্দুমাত্র মালিকানা নেই। সেবাখাতের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে অগ্রগতি করেছে মোবাইল ফোন সেক্টর। তবে বাজারের আকৃতির সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছানোর কারনে এই প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক ভাবেই ক্রমহ্রাসমান। ২০০৭-০৮ অর্থবছরের জন্য জিডিপিতে সেবা খাতের মোট অবদান ৫২.৩৩%।

মোবাইল টেলিফোনের অগ্রগতির চিত্র

সাল প্রবৃদ্ধি গ্রাহক সংখ্যা

২০০৪ ১১৭. ৫৭% ৪১৫০৭৮৭

২০০৫ ১২৩. ৩১% ৯২৬৯০৯৫

২০০৬ ১২৪. ৪৪% ২০৮০৩৬৯৬

২০০৭ ৬৫. ২৫% ৩৪৩৭৮৬৫৮

২০০৮ ৩৫% ৪৩৭০০০০০

তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০০৯



৯.ট্যুরিজম:

বর্তমান সময়ে পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে পর্যটন শিল্প গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশে বিশ্বের সর্ববৃহত্তম সমুদ্র সৈকত ও বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন আছে। বান্দরবন, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটিতে প্রাকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্যমন্ডিত পাহাড় আছে।



১০.জনশক্তি রপ্তানি:

অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও বাংলাদেশ যে অসাধারন পারফরমেন্স দেখিয়েছে তার পেছনের বড় কারন হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। ২০০৮-০৯ এর রিভাইসড হিসাব অনুযায়ী রেমিটেন্স এর পরিমান ৯৬৮৯.২৬ মিলিয়ন ডলার। এর ফলে ২০০৮-০৯ এর বছর শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৭৪৭০.৯৬ মিলিয়ন ডলার। যা ২০০৭-০৮ সালে ছিল ৬১৪৮.৮২ মিলিয়ন ডলার। নিসঃন্দেহে বিশ্বমন্দার সময় রেমিটেন্সের এই উর্ধ্বমুখি প্রবনতা আশাব্যঞ্জক।বিশ্বমন্দার সময়টাতেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি যতটা কমে যাবার আশঙ্কা করা হয়ে ছিল ততটা কমেনি। এই দৃঢ়তার পেছনের কারন ছিল প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স এবং গার্মেন্টস সেক্টরের তুলনামূলক ভাল পারফরমেন্স।বছরে ৬ থেকে ৭ লাখ বেকারের বৈদেশিক কর্মসংস্থান হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়লে সুদহার কমানো সহজ হয়। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুতই বাড়ছে। বর্তমানে তা ১ হাজার ৪১১ কোটি ডলার।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এখন আমাদের অর্থনীতির অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে সপ্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

৩৫ লক্ষ বাংলাদেশী বিদেশে অবস্থান করছে। এরা বছরে এই অর্থনীতিতে ৭ বিলিয়ন ডলার প্রেরণ করছে। এদের পাঠানো অর্থ আগামী দুই বছরের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে। যে হারে বাংলাদেশীদের প্রেরিত অর্থ এই অর্থনীতিতে বাড়ছে তাতে এই অর্থনীতির জন্য রেমিটেন্সই হবে এক নম্বরের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের খাত। আজ যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে এটারও অবদান এই বাংলাদেশী বিদেশীদের। বাংলাদেশ এখন রেমিটেন্স আহরণে পৃথিবীতে সপ্তম স্থানে। ২০১২ সালে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ইহার গতি ঊর্ধ্বমুখি।



১১.রফতানীমুখী শিল্পের বিকাশ:

অবাধে আমদানীর রাস্তা খোলা হয়েছে নব্বইয়ের দশক থেকে। সেটা শুধু বাংলাদেশে নয়, দুনিয়ার অন্য আরো অনেক দেশে। জাতীয় ঐকতান বা দেশপ্রেম না থাকলে অপ্রয়োজনীয় জিনিস আমদানী করে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে আরো বাড়তি ঋণ করার সংস্কৃতি বন্ধ হবে না।সর্বশেষ অর্থনৈতিক জরীপ অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট আমদানীর পরিমান হচ্ছে ২৫২০৫ মিলিয়ন ডলার এবং রপ্তানী ১৫৮৬৪ মিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য ঘাটতি -৯৩৫৮.২ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রপ্তানী করে যুক্তরাষ্ট্রে ২১৫১৪৬৫ মিলিয়ন টাকা এবং আমদানী করে সবচেয়ে বেশী চীন থেকে ২৬৮৮৯০ মিলিয়ন টাকা। সবচেয়ে বেশী আয় হয় তৈরী পোশাক রপ্তানী থেকে। বাংলাদেশের প্রধান আমদানী পন্য গুলোর শ্রেণী বিভাগ হচ্ছেঃ

ক) খাদ্য শস্যঃ চাল গম ও অন্যান্য শাক সবজি

খ) অন্যান্য খাদ্য দ্রব্যঃ তেল, তৈলবীজ, দুগ্ধ, তামাক,মদ ও অন্যান্য পানীয়

গ)খনিজঃ খনিজ তেল, কেরোসিন, সাদা সিমেন্ট

ঘ)যন্ত্রপাতিঃ ভারী যন্ত্র, স্পেয়ার পার্টস, বিভিন্ন স্থল-জল-আকাশ পরিবহন

ঙ) অন্যান্যঃ সার, রাসায়নিক, চামড়া, কাগজ তৈরির মন্ড, সুতা, জুতা,ধাতু ইত্যাদি

রপ্তানী দ্রব্যগুলো প্রধানত দু’ধরনেরঃ

১) চিরায়ত পন্যঃ পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য, চা, নিউজপ্রিন্ট

২) অ-চিরায়ত পন্যঃ তৈরী পোষাক, চিংড়ি মাছ, ইউড়িয়া, বাইসাইকেল, পেট্রোলিয়াম এবং আরো কিছু ক্রমবর্ধিষ্ণু ছোট পন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশ এবং সমাজতান্ত্রিক ধনী দেশগুলো অবশ্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতির ফাঁকফোকর দিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজার সংরক্ষণ করে। শিল্পপণ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা রাখঢাক থাকলেও কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের ক্ষেত্রে অনেকটা প্রকাশ্যেই বাজার সংরক্ষণ করে। উন্নয়নশীল বিশ্ব এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলো উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা করে উন্নত দেশগুলোর সাথে টিকতে পারবে না। তাই অনেকটা ঘোষণা দিয়েই অভ্যন্তরীণ বাজার সংরক্ষণ করে। উচ্চ শুল্ক আরোপ, আমদানির ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রদান, কোটা আরোপ, জটিল কাস্টমস প্রথাসহ বিভিন্ন অশুল্ক বাধা প্রয়োগ করে। গরিব দেশগুলো অবশ্য অনেক সময় দাতাদের চাপে শ্যাম রাখি না কুল রাখি এমন অবস্থা হয়। এক সময় বাজার উন্মুক্ত করতে বাধ্য হয়। দেশীয় শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ে। বাংলাদেশেও এমন অবস্থা হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে। ১৯৯৪ সালে সরকার অধিকাংশ পণ্যের শুল্ক এক লাফে ৩০০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশে নামিয়ে আনে। ফলে দেশে রুগ্ন শিল্প, খেলাপিঋণ ও ঋণ মওকুফের কালচার তৈরি হয়।



১২.আইটি সেক্টর:

Business করতে হয় Trend বুঝে। এখনকার Trend ই হচ্ছে IT Sector. এই কথাটা বুঝতে পেরেছে অনেক Less Developed Country. আমরা ও যত তাড়াতাড়ি বুঝবো ততই আমাদের মঙ্গল। থাইল্যান্ড এই মুহূর্তে হার্ডডিস্ক উৎপাদন শিল্পের বৈশ্বিক বাজারের ৬০ ভাগ দখল করে আছে। মাদারবোর্ড উৎপাদন শিল্পের বলতে গেলে পুরো অংশ জুড়েই চীনের রাজত্ব। এই উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সাথে শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত আছে তারা কেউই কিন্তু আইটিতে খুব বেশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পাইনি। ঠিক যেমনটা হচ্ছেঃ আমাদের গার্মেন্টস শিল্পে। আর মানুষের শ্রম এর উপরে যে খাত যত বেশি নির্ভরশীল সে খাতে যে কোন দেশের সম্ভাবনা নির্ভর করে সেই দেশের গড় শ্রম মূল্যের উপর। অন্ততঃ এই একটা দিকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। আমাদের দেশের একজন শ্রমিকের গড় মজুরী চীনের একজন শ্রমিক এর থেকে অনেক কম এমনকি থাইল্যান্ডের থেকেও কম। তবে শুধু সস্তা শ্রম থাকলেই কেবল এই খাতে ভাল করা সম্ভব না। মনে রাখতে হবে হার্ডয়্যার শিল্প একটি পণ্যভিত্তিক শিল্প, যেখানে সফটওয়্যার শিল্প হচ্ছে একটি সেবাভিত্তিক শিল্প। একটা পণ্যভিত্তিক শিল্পের উন্নয়নে যোগাযোগ সুবিধা, নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানী/বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্তি বাঞ্ছনীয়। এই খাতের উন্নয়নে সরকারের সদয় দৃষ্টিভঙ্গির ও দরকার আছে। থাইল্যান্ড এ ২০১২ সালের ভয়াবহ বন্যার কারণে সেই দেশের হার্ডডিস্ক উৎপাদন শিল্প মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সে দেশের সরকার এই খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে Tax Holiday সুবিধা প্রদান করে।



১৩.কৃষিটাও গুরুত্বপূণ:

সরকারের মোট খাস জমির কোন পরিসংখ্যান পাওয়া দুস্কর হলেও ডঃ আবুল বারকাতের অনুমান হচ্ছে ৫ লক্ষ একর। ভূমির পরিমাণ নির্দিষ্ট এবং জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাই এই বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার চাহিদা পূরনে প্রকৃতি নির্ভর কৃষির উপর নির্ভর করা যাচ্ছেনা। ফলে শিল্পায়ন অনিবার্য হয়ে উঠছে।বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচনের বিভিন্ন মডেল নিয়ে বিশ্বব্যপী বিভিন্ন আলোড়ন সৃষ্টি হলেও ২০০৫ সালের হিসেব অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সময় এর জনসংখ্যা ছিল ৭ (সাত) কোটি। ১৯৭১ সালে ২০-২৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল (সংবাদ, ২০০৯)। বাংলাদেশ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অনেক সাফল্য দেখালেও বর্তমানে যে হারে (১.৪৮%) জনসংখ্যা বাড়ছে, তা চলতে থাকলে আগামী ২০৩০ সন নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। বর্ধিত এ জনসংখ্যার বিভিন্ন চাহিদা - ঘর-বাড়ী, রাস্তা-ঘাট ইত্যাদি মেটানোর পর খুব অল্প জমিই অবশিষ্ট থাকবে, যা কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যাবে। সেই অল্প পরিমাণ জমির উৎপাদন দিয়েই সমগ্র জনগণের খাদ্যের যোগান দিতে হবে।



বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী:

জহুরুল ইসলাম: যাকে বাংলাদেশী ব্যবসায়ের জনক বলা হয়। ১লা আগস্ট ১৯২৮ সালে এক স্বচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম কোম্পানী ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। যেটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যে চিকিৎসা সুবিধা, পেনশন, দূর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ, কর্মদক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদানে অনেক যতœবান ছিলেন। ১৯৮৯সালে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।১৯৯৫সালে তার মৃত্যুর পর ইসলাম গ্রুপ তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়- এক. ইসলাম গ্রুপ দ্বিতীয়. নাভানা গ্রুপ ৩. আফতাব গ্রুপ



স্যামমন এইচ চৌধুরী: ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ৮৬ বছর বয়সে ৫জানুয়ারি২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি এদেশের ব্যবসা জগতে এক নতুন ইতিহাসের নির্মাতা। তিনি স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৫৮ সালে তিনজন বন্ধুসহ স্কয়ার প্রতিষ্ঠা করেন। এই গ্রুপে কর্মরত আছে ৩৩০০০জন। তিনি Koinonia এর চেয়ারম্যান ছিলেন। যেটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত ছিল। ১৯৭১সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি খ্রিস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসনদানে অনুদান নির্ভর কর্মতৎপরতা পরিচালনা করেন। তিনি ব্যাপ্টিস ওয়ার্ল্ড এলিয়েন্স এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। Astras Ltd - এর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানীজ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ‘ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ‘সেন্ট্রাল ডেপোজিটরি বাংলাদেশ লি:’ এর চেয়ারম্যান ছিলেন।



সালমান এফ রহমান: বিশালতার জন্যেই যার জন্ম।পিতা ফজলুর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী। তার ভাই সোহেল এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের উদ্যোক্তা। তিনি IFIC Bank Ltd এর চেয়ারম্যান। Shinepukur Ceramics এর ভাইস চেয়ারম্যান।



লতিফুর রহমান: ট্রান্সকম গ্রুপ অব কোম্পানীজের চেয়ারম্যান ও এমডি লতিফুর রহমান ২৮আগস্ট ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। এই গ্রুপের ট্রান্সকম বেভারেজ, ট্রান্সকম ফুড্স লি:। এই কোম্পানী আন্তর্জাতিক ফুড চেইন যেমন- Kentucky,Fried Chicken, Pizza Hut, PEPSI বাংলাদেশে পরিচিত করান। লতিফুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট, এনজিও ব্রাকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। তিনি ছিলেন, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট। তিনি অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ র্কতৃক ‘বিজনেস এক্সিকিউটিভ অব দ্যা ইয়ার ২০০১’ লাভ করেন।



আব্দুল মাতলুব আহামেদ: ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি Nitol-Niloy Group of Companies এর চেয়ারম্যান। ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানীটিতে ১৫০০এর উপরে কর্মরত মানুষ। বাংলাদেশে TATA কান্ট্রি ডিস্ট্রিবিউটর।



আসলে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে অথনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করণের বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা এবং বেসরকারী উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূণ। ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমেই আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিকে বেকারত্বমুক্ত সুন্দর,সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মনের মত করে গড়ে তোলা সম্ভব।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

জানা বলেছেন:

আপনি একটার পর একটা লেখা পোস্ট করে প্রথম পাতা দখল করতে পারেন না। তাই করছেন আপনি অনেকক্ষণ থেকে। আমরা আপনার কিছু পোস্ট আপনার ড্রাফটে পাঠিয়ে দিয়েছি। বিষয়টি মাথায় রাখার অনুরোধ করছি।

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

আনিসুর রহমান এরশাদ বলেছেন: ঠিক আছে! ধন্যবাদ! সামনে খেয়াল রাখব!

২| ০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:২০

রাজীব বলেছেন: অনেক তথ্য পেলাম

১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

আনিসুর রহমান এরশাদ বলেছেন: তাই নাকি? ভালতো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.