নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বয়স কি আসলে বাড়ে নাকি কমে? অনেকে বলবেন কমে আবার অনেকে বাড়ে।আসলে কমেই বটে। সত্যিকারের বয়সটাকে গোপন করার একটি প্রবণতা অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়। যেমন মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় যদি আঠারর নীচে থাকে তবে আইনী ঝামেলা এড়াতে বাড়ায়ে বলা আবার যদি মেয়ের বয়সটা ২৫ অতিক্রম করে ফেলে তবে কমিয়ে বলাটা লক্ষ্যনীয়।আবার দেখা যায় বিদেশ গমনেচ্ছু ১৫ বছর বয়স্ক ছেলের বয়সও আঠারর ওপরে দেখানোর চেষ্টা চলে।স্কুলে রেজিস্ট্রেশনের সময় জন্মতারিখ জিজ্ঞেস না করেই কেরানী মশায় ইচ্ছেমত জন্মতারিখ বসিয়ে দেন। এতে করে একাডেমিক সাটিফিকেটে অনেকের জন্মদিনই ১লা জানুয়ারি হয়ে যায়। ফলে জন্মনিবন্ধন সনদ, একাডেমিক সাটিফিকেট, জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা অভিভাবকদের মুখে শুনে বলা-কোনটাই সত্যিকার জন্মতারিখটা কত তা জানার জন্যে সব সময় সহায়ক নাও হতে পারে।সঠিক জন্মতারিখ জানার জন্যে যথোপযুক্ত পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া কি হতে পারে,কিভাবে হতে পারে, কার মাধ্যমে হতে পারে সেটা নিয়ে আজকের লেখাটি নয়। মূলত আমি দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলছি,মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে প্রতারণার প্রসঙ্গে বলছি।
আরেকটি ধারণা প্রচলিত আছে, পিতা মাতা মেধাবী হলে সন্তানও মেধাবী হয় কিংবা পিতামাতা লম্বা ফসা হলে সন্তানও লম্বা ফসা হয়।তাহলে আদম (আ৬০হাত হলে আরেকজন মানুষ কেন সাড়ে তিন হাত হবে? অথবা আদম (আ ও হাওয়া(আএর রুপ সৌন্দয যা ছিল তা থেকে কেন এত ভিন্ন রংয়ের মানুষ হবে? নূহ (আএর ছেলের অবাধ্যতা,লূত(আএর স্ত্রীর সীমালংঘনের দৃষ্টান্তও বিবেচনায় আনতে হবে। সঙ্গদোষে লোহা ভাসে, সৎ সঙ্গে স্বগবাস অসৎ সঙ্গে সবনাশ-ঠিক আছে মানলাম।কিন্তু কথা হলো খারাপের সাথে থেকে ভালও খারাপ যেমন হতে পারে আবার ভালর পরশে খারাপও ভাল হয়ে যেতে পারে। বিবেচনায় আসতে পারে কার প্রভাবটা বেশি যা অন্যের ওপর শক্তিশালীভাবে পড়ে?
হুমায়ুন আহমেদ রুপার পালঙ্কে বলেছেন,‘ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি, যারা মিচকা শয়তান তারা রাগেনা। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে।’ আসলে বাচাঁল কিংবা গোমরামুখী কেউই বড় বেশি একটা সুবিধের নয়।রাগ অভিমান থাকাটা স্বাভাবিক তবে সাথে ক্ষমার মানসিকতাটাও থাকা চাই।আজকাল যারা যা বলে তারা তা করছেনা।এটা খুব বিব্রতকর ও দু:খজনক ।চিন্তা ও কমে বৈপরিত্য বা মুখে একরকম আর কাজে আরেক রকম হওয়াটা খুব উদ্বেগজনক।অনেকে কৌশল বা চালাকি বলে মিথ্যা বলাটাকে বৈধ করে নিতে চান। সততা ছাড়া কি আর অন্যের আস্থাশীল ও বিশ্বাসভাজন হওয়া যায়? খুব বেশি বলতে পারদশী বাকপটুরা অনেক সময় চিন্তা ভাবনা ও বিচার বিশ্লেষণ ছাড়াই তড়িৎ ও ঢালাও মন্তব্য করেন। ভিত্তিহীন,যুক্তিহীন,তথ্যপ্রমাণ বিহীন কথাবাতা আসলে দীঘমেয়াদী সুফল বয়ে আনেনা সাময়িক উত্তেজনা ছড়াতে পারে মাত্র।
আলবাট আইনস্টাইন বলেছেন, ‘জ্ঞান যত বাড়বে, অহংকার তত কমবে আর জ্ঞান যত কমবে, অহংকার তত বাড়বে।’ আসলে অহংকারীকে কেউ পছন্দ করেনা, ভালবাসেনা-সে সম্পদশালীই হোক,প্রভাব প্রতিপত্তি রুপ সৌন্দয যতই থাকুক। কারো সাথে আলাপরত অবস্থায় তার অনুমতি না নিয়ে বা কথা শেষ না করেই কল কেটে দেয়া কিংবা অন্য কারো সাথে কথা বলাটা সৌজন্যতা,শালিনতা ও শিষ্টাচার পরিপন্থী যদি তা আলাপরত ব্যক্তিকে অবজ্ঞাপ্রসূত, অবমূল্যায়ন বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে করা হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুমম