নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারস্পরিক সম্মানবোধ ও টীম স্পিরিটের অপরিহার্যতা

১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

নিতুন কুন্ডু, সেখ আকিজ উদ্দিন, স্যামসন এইচ চৌধুরি, এ কে আজাদ ছাড়াও আরো অনেকেই এই দেশেরই সফল উদ্যোক্তা। যাদের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। এদের জীবন ও কর্ম বিশ্লেষণ করলে পারস্পরিক সম্মানবোধ ও টীম স্পিরিটের অপরিহার্য্তা স্পষ্ট বুঝা যাবে। একটি উদ্যোগকে সফল করার জন্য উদ্যোগের সাথে জড়িত সবার ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সমন্বিত প্রয়াস ছাড়া প্রতিষ্ঠান এগুবেনা।



রাগান্বিত ‘মালিক’ একজন কর্মকর্তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। কর্মকর্তাটি ব্যাথিত হন, চাকুরি ছেড়ে চলে যান। অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকুরি নেন। পূর্বের প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কেউ জানতে চাইলে নেতিবাচক কথা বলায় সে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। মালিক একজন সফল উদ্যোক্তা হলেও কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি সহমর্মীতার অভাবে তাদের ভালবাসা অর্জনে ব্যর্থ হন। অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সহনশীল হতে না পারায় আন্তরিকতা গড়ে ওঠেনা। পরস্পরের মধ্যে বোঝা-পড়াটা স্বচ্ছ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ না হওয়ায় কেউ ভয়ে কেউ ঘৃণায় স্বতস্ফূর্তভাবে মতামত ব্যক্ত করেনা। বসের ভয়ে যারা কাজ করেন তারা তাদের সর্বোচ্চটা দিতে পারেন না বা দেননা। টীম স্পীরিট ছাড়া প্রতিষ্ঠানের গতিশীলতা থাকেনা।এখানকার বিজনেস কালচারে পারস্পরিক সম্মানবোধ ও সহানুভুতিশীল আচরণের ঘাটতি থাকায় আনন্দদায়ক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত হয়নি।পারস্পরিক সৌহার্দবোধ, পরমত সহিষ্ণুতা, স্বচ্ছতা খুবই জরুরি।



উদ্যোক্তাদের মধ্যেও ভিন্নমত আছে। পারস্পরিক সমন্বয় সাধন না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের অকল্যাণ হয়। প্রয়োজনে, দু:সময়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি অনেক বেশী দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দিতে পারায় মানুষগুলো নির্জীব ও নিরস হয়ে পড়ে।উদ্যোক্তাদের অস্বচ্ছতা থাকলে প্রতিষ্ঠান অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা এবং অর্থনৈতিক বিষয়গুলোতে নীতিনির্ধারকরা দ্বিধান্বিত থাকলে সঠিক সিদ্ধান্তটি উঠে আসেনা। সব কিছুর উপরে প্রতিষ্ঠানকে রেখে আচরণ করতে না পারায় প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।



ব্যবসা মানেই কোন পণ্য বা সেবার বিনিময় যা আয় ব্যয়ের সাথে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য সরাসরি সম্পৃক্ত। অথচ মুষ্টিমেয় কিছু সুবিধাভোগীদের জন্যে প্রতিষ্ঠানের বৃহত্তর ক্ষতি হয়। সততার সাথে আন্তরিক প্রচেষ্ঠা মানুষকে শূণ্য থেকে উর্ধ্বে নিয়ে যায় তার স্বপ্নের কাছে। কর্ম নিয়ে প্রতিযোগিতা চলে কিন্তু স্বপ্ন নিয়ে প্রতিযোগিতা চলে না। যে যার নিজের মতো করে স্বপ্ন বোনে আর এই স্বপ্নের ফসলই অনেকে ভোগ করে। নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কিছু করা; নিজেদের জন্য, মানুষের জন্য, এই স্বপ্ন গুলোই প্রতিষ্ঠা করছে নতুন প্রতিষ্ঠান।



প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্তদের থাকা উচিৎ নতুন স্বপ্ন, নতুন পথ,নতুন জীবনের আশা। নতুন মানুষের সাথে কথা বলা, নতুন কিছু জানতে চাওয়া,নতুন কিছু করার মানসিকতা খুব জরুরি।সব ধরণের ব্যবসা সবার জন্য উপযোগী নয়। বিজনেস আইডিয়া নিয়ে না ভাবলে সৃষ্টিশীলতা ও সৃজনশীলতা হারিয়ে যাবে। বহুমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে অনেকে নিজের চিন্তা –চেতনা-আবেগ-অনুভূতিকে প্রাধান্য দিতে যেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অনেকে সব সময় পজেটিভ থাকতে পারেন না। পুঁজি বা সম্পদ কিংবা অন্য কোন অভাব যদি কারো সৃষ্টিশীল আইডিয়াকে দমিয়ে দেয় তবে তা ক্ষতির কারণ।নিরন্তর-নিরলস প্রচেষ্ঠা ছাড়া যে সফলতা আসে না এটাও অনেকে বুঝতে অক্ষম।



উদ্যোক্তাকেই প্রয়োজনের আলোকে সহকর্মী ঠিক করতে হয়।সহকর্মীকে কোন বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে, তার দক্ষতা-মনোবল কেমন, সে উদ্যোক্তার সাথে মানিয়ে কাজ করতে পারবে কিনা তা নির্ধারণটা সঠিক হওয়া খুব দরকার। ভুল সহকর্মী বাছাই করলে তার খেসারত নিয়োগকারীকেই দিতে হয়। একজন সঠিক সহকর্মী বাছাইয়ের পর তাকে ধরে রাখাও একটি চ্যালেঞ্জ। তাকে সঠিক পারিশ্রমিক দিয়ে এবং বিভিন্ন রকম প্রেষণামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ধরে রাখতে হয়।



যারা সিদ্ধান্ত দেন কিংবা নির্দেশ দেন তাদের অনেকেরই কোন লিখিত প্লানিং নেই। কোন মডেল না থাকায় হয় নানান বিপর্যয়।ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধা তৈরি হওয়া এবং সুযোগ তৈরি করা দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।পরিচালনায় ব্যথর্তা আছে। পরিচালকদের অনেকে ব্যবসায়িক মনোভাব এবং ব্যবসায়ে পরিপক্কতা অর্জন করেনি। অনেকের প্রচুর অর্থ ইনভেস্ট করার ক্ষমতা আছে কিন্তু সেই অর্থ সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনার ক্ষমতা নেই।দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকা লোকদের একটি সঠিক সিদ্ধান্ত একটি ব্যবসাকে সর্বোচ্চ সফলতায় নিয়ে যেতে পারে আবার ভুল সিদ্ধান্তে ব্যর্থতার চাদরে ঢেকে যেতে পারে সবকিছু।



একটি সদ্যজাত কোম্পানি কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করে। ধাপগুলি হচ্ছে, (১) গবেষণা ও বিকাশ (Research & Development),(২) ধারণাগত নকশা (Conceptual design),(৩) বিস্তারিত নকশা,(৪) কারখানার প্রকৌশলগত নির্মান (Engineering construction),(৫)কোম্পানির রক্ষণাবেক্ষণ, এবং(৬) ব্যবসার সম্প্রসারণ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.