নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো গল্প করি anjanroysnextworld.blogspot.com

anjanroysnextworld

পেশায় আমি একজন ম্যানেজমেন্ট কর্মী। সাইকোলজি ও হিউম্যান বিহেভিয়ার আমার প্রিয় বিষয়। আমি একজন ট্রেইনড হিপ্নোথেরাপিষ্ট। লেখালেখি, বিভিন্ন নতুন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া ও ভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের জীবন শৈলী পর্যবেক্ষণ করা আমার প্রিয় নেশা।

anjanroysnextworld › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে গেলে...( দ্বিতীয় পর্ব )

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩


আসো জেনে নেই কী উপায়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যেতে পারে। নীচে রইলো তোমাদের জন্য কিছু কার্যকরী টিপস -
●নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে গ্রহণ করো : দোষ-গুন নিয়েই তো মানুষ। কেউ ই কিন্তু পারফেক্ট নয়।তোমার যদি কিছু দুর্বলতা থেকেও থাকে, প্রথমে সেগুলিকে শনাক্ত কর ও এক্সেপ্ট কর।নিজের দুর্বলতায় নয়, ফোকাস থাকবে নিজের যা কিছু ভালো সেদিকে।দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে, এটা একটা অভ্যাস, একদিনে হবে না, ধীরে ধীরে রপ্ত হবে।
●লক্ষ্য স্থির কর : নিজের সাথে সময় কাটাও। নিজের সাথে কথা বল।অহেতুক অন্যের সাথে নিজের তুলনা করতে যেও না। তুমি কী চাও? তোমার উদ্দেশ্য কি? জীবনে কোথায় পৌঁছাতে চাও? এটা সম্পূর্ণ রূপে তোমার সিদ্ধান্ত। লক্ষ্য তোমাকেই ঠিক করতে হবে, কেননা লক্ষ্যহীন মানুষ হীনমন্যতা ও আত্মবিশ্বাস হীনতায় ভোগে।
●প্র্যাক্টিস করো, আত্মবিশ্বাস বাড়বে: কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে আমাদের কে সেই উদ্দেশ্যে অসংখ্য ছোটো-বড়ো স্টেপ নিতে হয়। কখনো সফল হই, তো কখনো ব্যর্থ। হার-জিত গুরুত্বপূর্ণ নয়,এই প্রচেষ্টা গুলিই আদতে অভিজ্ঞতা দেয়, আমরা শিখি, সমৃদ্ধ হই।সেই সাথে বাড়ে আত্মবিশ্বাস।
●নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানাও : আমাদের মানসিক গঠন টা ই এরকম আমরা অজানা কিছু কে ফেস করতে ভয় পাই।পরিচিত পরিবেশ, সে যতো খরপ ই হোক তাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এটাকেই কমফোর্ট জোন বলে।এই কমফোর্ট জোনে থাকার মানসিকতা ই আমাদের দুর্বল করে। নিজেকে একটু একটু করে অচেনা পরিবেশে এক্সপোজ করো।
●প্রাণ খুলে হাসো : একমাত্র মানুষ ই প্রাণ খুলে হাসতে জানে। এটা একটা দারুণ কগ্নিটিভ স্কিল। আত্মবিশ্বাসী ও পজিটিভ থাকতে ডপামিন ও সেরটোনিন এই হরমোন দুটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।স্বচ্ছ ও প্রাণ খোলা হাসিতে এই দুটি হরমোনের সক্রিয়তা বাড়ে।নিজের ব্যপারে এতো সিরিয়াস হওয়ার প্রয়োজন নেই, নিজের ভুল- ত্রুটিতে লজ্জিত না হয়ে নিজের উপরেই হেসে ফেলো। দেখবে মন হালকা থাকবে।
●পজিটিভ মানুষের সঙ্গে থাকো : নেতিবাচক মানসিকতার লোকেদের থেকে দুরত্ব বজায় রাখো। যারা তোমাকে বোঝে, তোমার কাজে উৎসাহ দেয় এমন মানুষদের সাথে থাকো। জীবন যাদের সংঘর্ষের, তাদের অভিজ্ঞতাও বেশী। এদের সাথে বন্ধুত্ব কর। বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাও।
●নিয়মিত শরীরচর্চা : নিয়মিত ব্যায়াম শুধু সুস্থ থাকতেই সাহায্য করে না, মানসিক স্থিরতাও এনে দেয়। জীবনে যে কোনো ক্ষেত্রে সফল হতে দৈহিক স্ফূর্তি ও মানসিক স্থিতিশীলতা জরুরী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.