নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

প্রথম বাংলা

দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।

প্রথম বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে বলেরে পানি নাই, পানি আছে সারা বাংলায়।

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

ডাস্টবিনের সুধা জলে দেশটা এখন প্লাবন ভুমি

চলেন একটু কাব্য করি জোয়ার নিয়ে গুয়ারতুমী=



কী যে ক‍হিবো ভাবিয়া পাইতেছিনা, তবে না বলিয়া যাইতেও চাহিতেছিনা। কী চমত্কারই না লাগিতেছে, আমাদের নদীমাতৃক এই বাংলাদেশে আমরা যদি মাঝে মধ্যে এই রকম নদীর আবহ নাদেখি তবে শহরে থাকিতে থাকিতে আমরা আবহমান বাংলার নদীর অবদানটাই ভুলিয়া যাইব, কী কহেন বাইজান ঠিক কহিনাই? হাজার হোক আমরা আমাদের দেশটাকে কত ভালোবাসি!! আমরা সব আবুলের মত দেশ প্রেমিক। হাইরে আবার আবুলের কথা মনে হ্ইয়া গেলো । ওমা মনটা দেখি আবুল আবুল হইয়া যাইতেছে।



কত আবুল জাগেরে, মনের পুরোভাগেরে-

আবুল জাগে বিড়াল জগে জাগে হলমার্ক

সব কিছু ঢাইকা দিতে আন কথাশাখ।



আচ্ছা শাখ দিয়ে কি সব ঢাকাযায়? কথা দিয়ে কি পাপ? এত কথা এত শাখ কই পাই বলেনত? আচ্ছা চার হাজার কোটি টাকা কত টাকায় হয়? আমার পকেট ভিরিবেত? মনে হয়না কারণ এক আবুল কইছে --- কিছুইনা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

পদ্মার উপরতো সেতু বানাইতে পারিলাম না। শালার দূর্নীতিবাজ বিশ্বব্যংক আমাদিগের সাথে দূর্নীতি করিলো চুড়ান্ত। উপরন্তো আমাদের প্রাণ প্রীয় দেশ প্রেমিক এক আবুল বাইকে ইনারা বদনাম দিলো। এটা কি ঠিক?

সমস্যানাই আমাদের পরিকল্পনা আছে আমরা আমাদের নিজেদের পুজি দিয়ে কিছু কালের মাঝেই ইহা বানাইয়া ফেলিব। এখন এক কাজ করা যাইতে পারে। আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক দিনের অভিযোগ, তাহারা অনেক কিছুই জানা সত্যেও তাহাদের কোন কাজ দেয়া হয়না্।

গুরুত্ব পূর্ণ সকল কাজ বিদেশীদের দেয়া হয়। এই বার ঢাকা এবং চিটাগং শহরের গিঞ্জি, পেন্ট সকল প্র্রকার জলাবদ্ধ রাস্তাকে পদ্মা নদী ভাবিয়া আমরা পরীক্ষামূলক ছোট ছোট পদ্মা শেতু বানাইয়া আমাদের অর্থণৈতিক এবং কারিগরি দক্ষতা যাচাই করতে পারি।

A little bit guartumi==== যাকে বলে।

আচ্ছা আমরা কি জাতি হিসাবে গুয়ার নয়। দেখাযাক একটু কাব্য করে--- আমার কবি কী বলে;



আমরা সবাই গুয়ার আমাদের এ গুয়ার রাজত্যে,

তাইত পানি দুয়ারে জনতা সব খোয়ারে

চৌর্যমতি চালাক অতি বসেছে রাজ সভার আবর্ত্যে।



দেখেনতো একটু, সবাই বলে পানি নাই পানি নাই, কিন্তু কে বলেছে পানি নাই? একটু কাব্য করা যাক। (মাঝে মাঝে মনে হয চামড়া খুইলা ধৌত করি কিন্তু--- সাহস হয়না)



কে বলেরে পানি নাই পানি আছে সারা বাঙলায়

উন্নয়নের জোয়ারে

পৌছে গেছে পচা পানি বাসায বাসায় দোয়ারে।



হাহাহা শহরের মানুষ নাকি মাছ ধরতে জানেনা, অনেক দিনের বদনাম ভাঙ্গিতে শহরের সকল নাগরিক জেলে সমাজ সর্বপ্রকার জাইলা ডোলা লইয়া এই পচা পানির জোয়ারে নামিয়া গিয়াছে মত্ষ নিধনে। আহা কী আনন্দ।

আহা= আমরা ত মাছে ভাতে বাঙ্গালী। কিন্তু আসল মাছ তাকে গভীর জলে আমরা তাদের ধরিতে পারিনা। এরা আমাদর বিখ্যাত দেশ প্রেমিক মহুদয় গণ। ইহারা জন গনের বন্ধু ফুলের মত পবিত্র্ কিন্তু জনগণ দেখলে ইহাদের বুক কাপে। ইহারা পুলিশ দিযে রাস্তা ফাঁকা না করিলে সেই রাস্তা দিয়া গমন করিবার সাহস করিতে পারেনা। কিন্তু এই উন্নয়নের পচা পানি কে সরাবে? পরোপকারী হাতিম তাই দরকার।



এইতো আবার নিরার কথা মনেপড়ে গেলো পরের বেথায় নিরার চোখে নির ঝরে, তাই ইহার এই নামটি আমি ইহাকে দান করিয়াছি।নিরাকে আমার দান করা অনেক গুলো নামের মধ্যে ইহার একটি সভাব বোধক নাম বিশেষ।



নিরাকে নিয়ে একদিন এই পানিতে হাটতে হবে। আহা মাথার উপরে বৃষ্টি, নিছে আমাদের রাজনৈতিক কৃষ্টি, কী মজা। ওর আবার কবিতা ব্যতিক আছে, কবিতা লিখার নয়। সব সময এর একটা গুয়ারের মত বেসময়ের আবদার থাকে, হটাত কয়ে বসবে “একটা কবিতা বলে। সুন্দর কবিতা। তুমি আমি হাটছি আর একটা কবিতা হবেনা তা কি হয়।” না হয়না, সময়ের একটা দাম আছে, সেটা সুধ ত করতেই হেবে। আর

নিরাকে নিয়ে যে সময়টা হয় তাকে বলতে হয় হীরা।

কী কবিতার বলাযায় তখন। কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি-- আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামছে ঢাকা কে ধুয়ে দেব এই বৃষ্টি। আমি দাড়িয়ে আছি রোড ডিবাইডারে আমার মুখ দিয়ে কোন কবিতা আসছেনা। আমি দাড়িয়ে- নিরা সেই পচা পানি দিয়ে মনের সুখে হাটছে চপ চপ আওয়াজ করে।

মনে মনে ভাবছি জীবনানন্দ হলে কী চমতকার হতো== এ বেটা আবার নুংরা পচা আবর্জনাকেও চমতকার কবিতা বানিয়ে ফেলতো। যে রেসিপি ছাড়া এখন আর বাঙগালিদের মুখে আবৃতি রুচেনা।



আমি জীবনানন্দ হলে কী লিখতাম তখন? হয়তো লিখতাম--



তোমার পায়ের নিচে পৃথিবীর পঁচা জল সব

মাথায় মেঘের জল পবিত্র বৃ্ষ্টি ঝরিছে নীরব।



নিরা চলে গেছে সে আর আসবেনা এই পচা জল শহরের পথে। আমি শুধু রয়ে গেছি একদল আবুলের সাথে। আমার খুব ইচ্ছেহয় দেখি যে এ পঁচা উন্নয়নের জোয়ারের সাথে আমাদের পঁচা রাজনীতি ভেসে গেছে লবনাক্ত বঙ্গোপ সাগরে। আর লবন জলে বিশুদ্ধ হয়ে মেঘ হয়ে উড়ে এসে বাঙলার আকাশে জমা হতো আর ঝরে পড়তো অনাবিল আশ্বাসে!!!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:০৯

অচেনানীল বলেছেন: তোমার পায়ের নিচে পৃথিবীর পঁচা জল সব
মাথায় মেঘের জল পবিত্র বৃ্ষ্টি ঝরিছে নীরব।

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:১৩

প্রথম বাংলা বলেছেন: অচেনা নীল; কষ্ট করে পড়েছেন বলে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন বৃষ্টির মত। আকাশের নীলের মত।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

অচেনানীল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার জন্য বরাদ্দ্য ছিল, এত সুন্দর একটা লেখার জন্য। যাই হোক আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি একদমই নতুন সামুতে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.