![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
৪। একসাথে তিন তালাক দেয়াঃ
Dawud :: Book 12 : Hadith 2194
Narrated Abdullah ibn Abbas:
Tawus said: AbusSahba' said to Ibn Abbas: Do you know that a divorce by three pronouncements was made a single one during the time of the Prophet (peace_be_upon_him), and of AbuBakr and in the early days of the caliphate of Umar? He replied: Yes.
Muslim :: Book 9 : Hadith 3493
Abu al-Sahba' said to Ibn 'Abbas: Enlighten us with your information whether the three divorces (pronounced at one and the same time) were not treated as one during the lifetime of Allah's Messenger (may peace be upon him) and Abu Bakr. He said: It was in fact so, but when during the caliphate of 'Umar (Allah be pleased with him) people began to pronounce divorce frequently, he allowed them to do so (to treat pronouncements of three divorces in a single breath as one).
কাছাকাছি রকমের আরো কিছু হাদীস মুসলিম ও আবু দাউদ শরীফে আছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে রাসূল(সাঃ), আবু বকর(রাঃ) এবং উমর(রাঃ)-র শাসনামলের প্রথম দিকে একসাথে তিন তালাক উচ্চারণ করলেও এক তালাক ধরা হতো। কিন্তু পরবর্তীতে ঊমর(রাঃ)-র সময়ে লোকজন যখন প্রায়শই তালাক দিতে চাইতো, তাড়াহুড়ো করতে চাইতো এবং প্রথম স্ত্রীকে পুরোপুরি ছেড়ে দেয়ার পক্ষেই তাদের প্রবণতা দেখতে পেয়ে একসাথে তিনবার উচ্চারিত তালাক থেকে একবারে তিন তালাক হয়ে যাওয়ার প্রচলন শুরু করা হয়। পরবর্তীতে সেটা এতোই জনপ্রিয়তা পায় যে বিভিন্ন ফিকহবিদের হাত ধরে, বিভিন্ন মাজহাবের মাঝ দিয়ে এটাই আজ আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত মত। রাসূল(সাঃ) এর সময়েও কিছু একসাথে তিন তালাকের ঘটনা ঘটেছে (উপরে বর্ণিত ফাতিমা বিনতে কায়েসের ঘটনাটিও সেরকম একটি ঘটনা), যেটা জানতে পেরে রাসূল(সাঃ) খুব রেগে গিয়েছিলেন এবং ভীষণভাবে অপছন্দ করেছিলেন, বলেছিলেন তোমরা আল্লাহ্র দেয়া বিধানকে খেলাচ্ছলে ব্যবহার করছো? তবে সে তালাকগুলো কার্যকর হয়েছিল। ৫ নং রেফারেন্স লিঙ্কে এরকম দু একটি হাদীসের কথা বলা আছে।
উমর(রাঃ)-র সময়ে বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়াও নিষেধ করা হয়েছিল, সেটাও আরেকটি বহুল প্রচলিত মত হিসেবে সারা বিশ্বসহ এ বাংলাদেশেও পরিচিত এবং চর্চিত। আমাদের অনেক আলেমদেরই পছন্দ নারীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকতে। যদি আজকাল অনেক দেশেই নারীরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ছে, বাংলাদেশে খুব অল্পভাবে চালু আছে নারীদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার ব্যাপারটি। তবে ধীরে ধীরে এ চর্চাটি বাড়ছে, কারণ আমরা রাসূল(সাঃ)-এর সুন্নাহ্কেই বেশি অনুসরণ করতে চাই।
তাই এক সাথে তিন তালাক উচ্চারণে নিরুৎসাহিত করা (যা তাক্ওয়ার অন্তর্ভুক্ত নয়), কঠোরভাবে নিষেধ করা এবং সেটাকে এক তালাক হিসেবে গণ্য করাটাকেই অনেক বেশি সুন্নাহ কাছাকাছি যাওয়া বলে মনে হয়। আমাদের বিজ্ঞ আলেমগণ নিশ্চয়ই দেখতে পান যে এক সাথে তিন তালাক হলে পরে একজন নারী কি পরিমাণ ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। এবং এর থেকে হীন সুযোগ নিয়ে আমাদের দেশে গ্রামে গঞ্জে মাঝে মাঝেই চুক্তিভিত্তিক মারাত্মক বর্বর আর অশ্লীল হিল্লা বিয়ে সংঘটিত হচ্ছে। এখানে আরেকটি কথা বলে রাখা ভাল ইসলামী আদালত ছাড়া যে কেউ যখন তখন কোন ফতোয়া কার্যকর করতে পারে না, তবুও ফতোয়ার নানা রকমের অপব্যবহার এবং বেআইনীভাবে অপপ্রয়োগ হয়ে আসছিল আমাদের দেশে। আশার কথা এই যে আমাদের বিজ্ঞ আদালত যত্রতত্র ফতোয়া দেয়া নিষিদ্ধ করেছেন।
নারীর তালাক প্রদানের ক্ষমতাঃ
ইসলামী শরীয়তে সাধারণত স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ক্ষমতা অর্পণ করতে পারেন। আমরা দেখি যে রাসূল(সাঃ) আল্লাহ্তাআলার নির্দেশে তাঁর স্ত্রীদের তাঁকে তালাক দেয়ার অপশন দিয়েছিলেন এবং প্রথম অপশন দিয়েছিলেন আয়েশা(রাঃ)কে।
সূরা আহযাবঃ
২৮। হে নবী, আপনার পত্নীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে আস, আমি তোমাদের ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদের বিদায় নেই।
২৯। পক্ষান্তরে যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূল ও পরকাল কামনা কর, তবে তোমাদের সৎকর্মপরায়ণদের জন্য আল্লাহ মহা পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন।
Bukhari :: Book 7 :: Volume 63 :: Hadith 189
Narrated Musruq:
I asked 'Aisha about the option: She said, "The Prophet gave us the option. Do you think that option was considered as a divorce?" I said, "It matters little to me if I give my wife the option once or a hundred times after she has chosen me."
এখানে আমি আরেকটু বলে রাখি, আমাদের দেশে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন আইনেও নারীরা স্বামী কর্তৃক তালাক প্রদানের ক্ষমতা পান যদি সে অপশনের কথা নিকাহনামায় উল্লেখ থাকে। যেসব নারীরা ভবিষ্যতে বিয়ে করবেন তারা অবশ্যই তাদের বিয়েতে নিকাহনামা সাইন করার আগে ১৮ নম্বর অপশনটি চেক করে নিবেন যে আপনাকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে কিনা। আমাদের দেশে অনেক শিক্ষিত নারীরাও এ ব্যাপারে সচেতন নন। এ সুবিধা না পাওয়ার ফলে অনেক নারীই পরবর্তিতে ভোগান্তির স্বীকার হন বলে সরকারী কাজিদের বাই ডিফল্ট ঐ অপশন দিয়ে দিতে বলা হয়। তবুও নিজেদের চেক করে নেয়া ভাল।
জুডিশিয়াল ডিভোর্সঃ
আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী নানা কারণে স্ত্রীরা আদালতে গিয়ে ডিভোর্স চাইতে পারেন। যেমন,
১। দীর্ধদিন ধরে স্বামীর অনুপস্থিতি (চার বছর),
২। দুই বছর পর্যন্ত টানা ভরণপোষণ না দেয়া,
৩। স্বামী বহুবিবাহ সংক্রান্ত চুক্তি ভঙ্গ করলে,
৪। স্বামীর যৌন অক্ষমতা,
৫। স্বামীর সাত বছরের জেল হলে,
৬। স্বামী কর্তৃক নির্যাতন ইত্যাদি।
এছাড়া স্বামীর কন্সেন্ট ব্যতীত জুডিশিয়াল খুলা তালাকের অপশনও আছে। তবে সেক্ষেত্রে স্বামী আর্থিক দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবেন।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ /sb]
১। G-45, G-46, Islamic Teaching Course, vol 3 (Social System of Islam)
Jamal A. Badawi, Ph.D.
Click This Link
২। The Status Of Women In Islam
by Dr.Yusuf Al Qaradawy
Click This Link
৩। সংক্ষেপে এক নজরে তালাকের ব্যাপারটা পুরোটা বুঝতে
Click This Link
৪। বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মালিকী মুয়াত্তা, আবু দাউদ,
Click This Link
৫। Click This Link
৬। মুসলিম পারিবারিক আইন
Click This Link
আপডেটঃ
মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিস্টান নারীর তালাকের আইন ও অধিকার নিয়ে খুঁটিনাটি বিস্তারিত তথ্যসহ একটা চমৎকার সাইট পেলাম।
অবলম্বন
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৭
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫০
রিডার ওয়ান বলেছেন: রেফারেন্স হিসেবে রেখে দিলাম। আগের দুইটাও।
একটু আগে দেখলে এত কষ্ট করে এই পোস্টে টাইপ করা লাগত না।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৭
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ। ওই ব্লগের লাস্ট পোস্ট পড়েই এ পোস্টগুলো লিখলাম।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:১৬
বন্ধনহীন বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়েছি। একটা ব্যপার ক্লিয়ার করার জন্য একটা প্রশ্ন করছি।
ধরুন জামাল ও জামিলার মধ্যে (৩) তালাক হলো। ওরা ২/৩ বছর অবিবাহিত থাকলো। এরপর ওরা যদি আবার একজন আরেকজনকে বিয়ে করতে চায়, তাহলে কি জামিলার হিলা করতে হবে?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৬
নাজনীন১ বলেছেন: দ্বিতীয় পর্বেই এটা নিয়ে বলা ছিল, হাদীসটি দেখুন,
Bukhari :: Book 7 :: Volume 63 :: Hadith 187
Narrated 'Aisha:
A man divorced his wife thrice (by expressing his decision to divorce her thrice), then she married another man who also divorced her. The Prophet was asked if she could legally marry the first husband (or not). The Prophet replied, "No, she cannot marry the first husband unless the second husband consummates his marriage with her, just as the first husband had done."
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৫২
কায়েস মাহমুদ বলেছেন: Love Others and it makes your Victory Easy
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:২৮
নাজনীন১ বলেছেন: এই সাইনবোর্ড তো বহুত আগে লাগাইছি। আপনি আজকে নোটিশ করলেন? কাহিনী কি? বৃত্তান্ত বলেন।
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৬
বন্ধনহীন বলেছেন: আমি হাদীসটি আপনার পোস্ট আগেই পড়েছি। পুরো পোস্ট টিই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। আলোচনা করার উদ্দেশ্যে প্রশ্নটা করেছিলাম।
যাইহোক, হাদীসটিতে বিয়ে পরিপূর্ণ করা প্রশ্ন আসছে, কারণ মহিলাটি আবার (২য়) বিয়ে করেছিলো। এবং তার ২য় স্বামী হক পূর্ন করার ও একটা ব্যপার থাকছে। যদি তিনি বিয়ে না করে থাকতেন, তবে নিয়মটা কি হতো? হাদীস ছাড়া কোরাণে এ ব্যপারে বক্তব্য আমার পরিস্কার মনে হয়নি।
আমার ২য় প্রশ্ন:
হিলা বিয়ের উপত্তি কি এই হাদীসটা? নাকি আরো অন্য কোন হাদীস আছে?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০৪
নাজনীন১ বলেছেন: হুম, ১ম ও ২য় পর্ব পড়ার পরও যদি না বুঝে থাকেন, তাহলে বেটার আপনি কোন আলেমের সাথে বা আইনজীবির সাথে পরামর্শ করেন।
আমি এখানে কেবল আমার জানাটা শেয়ার করেছি, কোন ফতোয়া বা পরামর্শ দিতে নয়।
নিজের ক্ষুদ্র জানা থেকে যেটা বুঝি, তিন তালাকের পর ঐ একই স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের জন্য হারাম। তাদের নিজেদের মধ্যে আর বিয়ে হতে পারবে না।
গতকাল এ পোস্ট লেখার সময় যখন বিভিন্ন হাদীস দেখছিলাম, তখন রাসূল(সাঃ) এর বড় নাতি হাসান (রাঃ)-এর ডিভোর্স সংক্রান্ত একটা হাদীস দেখেছি যেখানে তিনি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে কিছু উপহার দিতে চাইলে স্ত্রী রেগে-মেগে বলেন প্রাণপ্রিয় স্বামীই যেখানে থাকছে না, সেখানে উপহার দিয়ে কি হবে? এতে করে হাসান(রাঃ) খুবই অনুতাপ করে বললেন, যদি নিয়ম থাকতো তাহলে তাকে আমি আবার বিয়ে করতাম। দুঃখজনক ব্যাপার হলো ঠিক কোন সোর্স থেকে এ হাদীসটি পড়েছি, কিছুতেই মনে করতে পারলাম না, অনেকক্ষণ ধরে খোঁজাখুঁজি করলাম, কিন্তু বের করতে পারলাম না, তাই রেফারেন্সও দিতে পারলাম না।
যাক্, অন্য আরেকটি হাদীস দেখি এ সংক্রান্ত,
Malik :: Book 29 : Hadith 29.14.38
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Bukayr ibn Abdullah al-Ashajj informed him that Muawiya ibn Abi Ayyash al-Ansari told him that he was sitting with Abdullah ibn az-Zubayr and Asim ibn Umar ibn al-Khattab when Muhammad ibn Iyas ibn al-Bukayr came up to them and said, "A man from the desert has divorced his wife three times before consummating the marriage, what do you think?" Abdullah ibn az-Zubayr said "This is something about which we have no statement. Go to Abdullah ibn Abbas and Abu Hurayra. I left them with A'isha. Ask them and then come and tell us." He went and asked them. Ibn Abbas said to Abu Hurayra, "Give an opinion, Abu Hurayra! A difficult one has come to you." Abu Hurayra said, "One pronouncement separates her and three makes her haram until she has married another husband." Ibn Abbas said the like of that.
Malik said, "That is what is done among us, and when a man marries a woman who has been married before, and he has not had intercourse with her, she is treated as a virgin - one pronouncement separates her and three make her haram until she has married another husband."
সেই সাথে আরেকটি হাদীস দেখি,
Dawud :: Book 12 : Hadith 2189
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (peace_be_upon_him) said: There are three things which, whether undertaken seriously or in jest, are treated as serious: Marriage, divorce and taking back a wife (after a divorce which is not final)
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০৮
নাজনীন১ বলেছেন: আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে,
Click This Link
এ লিঙ্কের ৭ আর ৮ নং হাদীস আর ফুটনোটটি দেখুন,
7 Rukānah ibn 'Abd Yazīd reported,
He divorced his wife Suhaimah thrice and informed the Prophet, peace and blessings of Allāh be on him, about it and said, I call Allāh to witness that I intended only a single (divorce). The Messenger of Allāh, peace and blessings of Allāh be on him, said
"Dost thou call Allāh to witness that thou didst not intend but a single (divorce)?" He said, Yes, I call Allāh to witness that I did not intend but a single (divorce). So the Messenger of Allāh, peace and blessings of Allāh be on him, returned her back to him, and he divorced her a second time in the time of 'Umar, and a third time in the time of 'Uthmān.
(আবু দাউদ 13: 13.)
[7. In pre-Islamic Arabia the divorce was pronounced thrice and was irrevocable, and remarriage between the parties required the wife to go through a temporary marriage with another husband who divorced her after having sexual connection with her. This practice was called halālah (lit., making a thing lawful). Without going through it, it was not lawful for the divorced pair to return to marital relationship. Islām did not recognise temporary marriage (H. xx:4), and therefore halālah was denounced. The marriage after an irrevocable divorce spoken of in 2:230 is quite different, being a perpetual marital tie.]
8 'Ali said,
The 'Messenger of Allāh, peace and blessings of Allāh be on him, cursed the man who committed halālah and the one for whom halālah was committed.'
(তিরমিযী 9:25)
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪০
কায়েস মাহমুদ বলেছেন:
আসলে আইজকাই নজরাইছিলো তাই
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০৯
নাজনীন১ বলেছেন: ও আচ্ছা।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৩
মোসারাফ বলেছেন: তাই এক সাথে তিন তালাক উচ্চারণে নিরুৎসাহিত করা (যা তাক্ওয়ার অন্তর্ভুক্ত নয়), কঠোরভাবে নিষেধ করা এবং সেটাকে এক তালাক হিসেবে গণ্য করাটাকেই অনেক বেশি সুন্নাহ কাছাকাছি যাওয়া বলে মনে হয়।
আপনার এই কথার সাথে একমত হতে পারলাম না। ওমর (রাঃ) উপস্থিত সকল সাহাবাদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে এক সাথে তিন তালাক প্রদান করাকে তিন তালাক হিসেবে গন্য করেন। এতে কারো অমত ছিলো না। ওমর (রাঃ) কঠোর শাসক হলেও কোমল হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১১
নাজনীন১ বলেছেন: কোরআন> সুন্নাহ> ইজমা> কিয়াস -- ইসলামী শরীয়ত প্রণয়নে প্রাধান্যের ক্ষেত্রে সিরিয়ালটা কি ঠিক লিখেছি?
দ্বিমত থাকতেই পারে। স্বাগতম। কোনটা বাস্তব বিবেচনায় উত্তম সেটা আরেকবার একটু ভাববার জন্য অনুরোধ করছি।
৫ নং কমেন্টের জবাব দুটো একটু দেখবেন প্লীজ।
৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৮
মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: অনেক পরিশ্রমের পোস্ট। অবশ্যই গুরুত্ত্বপুর্ন বিষয়। ধন্যবাদ শ্রমসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ পোস্ট দেয়ার জন্য। তিনটি পোস্ট ই ভালো ভাবে পরেছি অনেক কিছু আগের জানা ছিলো তবে নতুন কিছু যোগ হয়েছে। একটা বিষয় ক্লিয়ার হিল্লা বিয়ে নিয়ে। হিল্লাহ বিয়ে অবৈধ। তবে তিন তালাকের বিষয়টি নিয়ে অনেক জানার আছে। রাগের মাথায় তিন তালাক দিলে তালাক হয় কিনা?
আমার মতে তালাক হয় না। কারন আমি মনে করি স্বামী বা স্ত্রী শিওর বা ডিটারমান্ড হয়ে যাবেন উনারা একে অপরের ঘর করবেন না। নিজেরা নিজেদের পাওনা হিসেব নিকেষ ক্লিয়ার করে নিবেন এবং ইদ্দত শেষে বিদায় নিবেন।তখনই তালাক কার্যকর হবে। রাগের মাথায় তালাক কোনো তালাক বলে আমি মনে করি না।
তবে রাগের মাথায় তালাক দিলে তালাক হতে পারে এটার পক্ষেও অনেক মত আছে কিন্তু কোনো যুক্তি নেই।
তারপরেও অনেক কিছু ক্লিয়ার নয়। আল্লাহই অনেক ভালো জানেন। আবার অনেকে মারাক্তক কথাও বলে থাকেন। আমাদের দেশে শহরের সমাজে অনেক পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর ঝগ্ড়ার পর্যায়ে রাগের মাথায় তালাক দেন। অনেক আলেম এটাকে তালাক বলে থাকেন। কিন্তু যেহেতু এটা শহরে সমাজ তাই তাদের ক্ষেত্রে গ্রামের মতন বাধা পেতে হয় না। আগের মতই সংসার করে থাকেন। কেউ বলেন উনারা সারা জীবন জীনা-ব্যাভিচার করে গেছেন। অথচ স্বামী স্ত্রী উভয়েই ধার্মিক। উনাদের অজ্ঞতার জন্যই উনারা জাহান্নামী। জানিনা এইরকম কত সমস্যা আছে সমাজে।
অনেক কিছু আরো জানার আছে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:১৩
নাজনীন১ বলেছেন: রাগের মাথায় তালাক দেয়ার ব্যাপারটা নিয়ে প্রথম পর্বেও দূরের পাখির সাথে কিছু কথা বলেছি।
কারযাভীর বই থেকে দুটো হাদীস দিলাম
১। "No divorce in blind rage". [ Transmitted by Abu Dawud - his own wording - (3133), Al-Termithy (1141), Al-Nisa'i, 7/63, Ibn Majah (1969), Al-Doramy p.539, and Ahmad, 2/347,471. All on the authority of Abu Huraira.]
Abu Dawud interpreted it to mean "anger," while another interpreted it to mean "by force." Both are correct.
২। Ibn `Abbas says, "Divorce is only according to an aim (an intention)."
আবার কোন কোন আলেম রাগের বিভিন্ন মাত্রা নির্ধারণ করছেন, জামাল বাদাবীর বইতে সেরকম কিছু কথা আছে।
তবে স্বাভাবিক যুক্তি এবং সূরা বাকারার ২২৫ নং আয়াত মিলালে কিন্তু রাগের মাথায় দেয়া তালাককে আমলে নেয়ার কোন অপশন সেভাবে থাকে না, তবে যেহেতু কোরআনে এক্সপ্লিসিটলী রাগের কথা উল্লেখ করা নাই, তাই এটা নিয়ে বিভেদ তৈরী হয়েছে।
তবে আমাদের মনে রাখা দরকার মানব কল্যাণের নিমিত্তে ইসলামের বৃহত্তর উদ্দেশ্য কিন্তু পরিবার রক্ষা করা, ভেঙ্গে ফেলা নয়।
আর এই রাগের মাথায় তালাক উচ্চারণ করাটাও এক ধরণের পুরুষতান্ত্রিক মানসিক ব্যাধি বলে মনে হয় আমার কাছে।
৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৭
রিডার ওয়ান বলেছেন: এ বিষয়ে একটা পোস্ট লিখেছি।
হিল্লা বিয়ে কেন অবৈধ? - আইনের সহজ আলোচনা
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৫
নাজনীন১ বলেছেন: পোস্ট দেখেছি, ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৩
মোসারাফ বলেছেন: ইমাম হাসান (রাঃ) এর তালাক দেওয়ার ব্যাপারে যে হাদীস উল্লেখ করেছেন সেটার রেফারেন্স হচেছ ‘দারেক্কুৎনী’ নামক কিতাবে আছে।এই বইয়ের ২৪৭ নং পৃষ্ঠায় দেখুন (খন্ড এর ৩০ পৃষ্ঠায়)। এখানেই বলা আছে ইমাম হাসান (রাঃ) রাগান্বিত হয়ে তালাক দিয়েছিলেন। কারন উনার স্ত্রী আলী (রাঃ) মৃত্যুর পর ইমাম হাসান (রাঃ) খলিফা নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে ইমাম হাসান (রাঃ) এর স্ত্রী মোহর বাবদ প্রাপ্ত টাকা ফেরত পাঠালে ইমাম হাসান (রাঃ) বলেছিলেন “কোন ব্যক্তি স্বীয় স্ত্রীকে একত্রে বা ভিন্ন ভিন্ন তিন তালাক দিলে দ্বিতীয় স্বামীর ঘর করা ব্যতিরেকে ঐ স্ত্রীকে পুনরায় গ্রহন করা হালাল হইবেনা” এই কথা আমার নানার মুখে আমি না শুনিয়া থাকিলে নিশ্চয় আমি এই স্ত্রীকে পুনঃ গ্রহন করতাম।
আশা করছি এই গ্রন্হের বাকী হাদীসগুলির ব্যাখা পড়বেন।
আর এই রাগের মাথায় তালাক উচ্চারণ করাটাও এক ধরণের পুরুষতান্ত্রিক মানসিক ব্যাধি বলে মনে হয় আমার কাছে।
ইমাম হাসান (রাঃ) এর ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?
অটঃ দুই দিন নেট কানেকশন না থাকায় কমেন্ট করতে দেরী হল। মেয়েদের মুখে পুরুষতান্ত্রিক কথাটা শুনলে হাসি পায়। দেশ প্রায় দেড় যুগ যাবৎ নারী শাসিত। তার পর ও পুরুষেরা ফান করা ছাড়া বলেনা নারী শাসিত দেশ। কিন্তু নারীদের পুরুষ শাসিত সমাজ শুনতে শুনতে কান ঝালা পালা হয়ে যায়।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৫
নাজনীন১ বলেছেন: সাহাবীদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপনি যে হাদীসটির যে রেফারেন্স দিয়েছেন, সেখানে কি এটা বলা হয়নি যে হাসান(রাঃ) আফসোস করছিলেন? ঐ লিঙ্কে আরো কিছু হাদীস কি নেই যে একসাথে তিন তালাক দেয়ার কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্(সাঃ) ভীষণ রাগান্বিত হয়েছিলেন?
তাহলে যে কাজে রাসূল(সাঃ) স্বয়ং রাগান্বিত হন, আমরা যেটাকে সাধারণ রুলের মধ্যে ধরবো নাকি ব্যতিক্রম বা ক্ষেত্রবিশেষে প্রযোজ্য এটা হিসেবে ধরবো? কমনসেন্স কি বলে? রাসূল(সাঃ) নিজে যদি একসাথে তিন তালাক দেয়া পছন্দ করতেন তাহলে উনি নিজেই কি সেটা করতেন না? উল্লেখ্য তিনি তাঁর কোন এক স্ত্রীকে এক তালাক দিয়ে আবার ফেরত নিয়েছিলেন, এরকম একটা হাদীসও পড়েছি।
আর দেড় যুগের শাসনকালে উনারা কি নারীতন্ত্র ফলিয়েছেন কোনভাবে? আর শাসনব্যবস্থা আর সমাজব্যবস্থা এক হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। উনারা দেশ শাসন করলেও সমাজ এখনো পুরুষশাসিতই আছে আমাদের। যুগের পর যুগ নারীদের উপর নানাভাবে নানারকম বিধিনিষেধ আরোপের সাথে মাত্র দেড় যুগের নারী শাসনামলের তুলনা চলে কিভাবে?
আচ্ছা, স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে রাগের মাথায় তিন তালাক দেয়ার কি অপশন আছে? আমার ঠিক জানা নেই। আপনি কি জানেন? জানা থাকলে প্লীজ শেয়ার করবেন।
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৫
মোসারাফ বলেছেন: তবে স্বাভাবিক যুক্তি এবং সূরা বাকারার ২২৫ নং আয়াত মিলালে কিন্তু রাগের মাথায় দেয়া তালাককে আমলে নেয়ার কোন অপশন সেভাবে থাকে না, তবে যেহেতু কোরআনে এক্সপ্লিসিটলী রাগের কথা উল্লেখ করা নাই, তাই এটা নিয়ে বিভেদ তৈরী হয়েছে।
রাগের মাথায় তালাক দিলে তালাক হয় এটা বোঝানোর জন্য ইমাম হাসান (রাঃ) এর হাদীসের কথা বলেছিলাম।
সাহাবীদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপনি যে হাদীসটির যে রেফারেন্স দিয়েছেন, সেখানে কি এটা বলা হয়নি যে হাসান(রাঃ) আফসোস করছিলেন? হ্যা ইমাম হাসান (রাঃ) আফসোস করেছিলেন কিন্তু কিছু করার ছিল না। ইমাম হাসান (রাঃ) এর রাগের কারন পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব ছিল না। নিজের পিতার মৃত্যুর কারনেই তিনি খলিফা হয়েছিলেন। আর খলিফা হওয়ার পর স্ত্রীর কাছ থেকে মোবারকবাদ পাওয়ায় পিতৃ ভক্তির কারনে তালাক দিয়েছিলেন। ইমাম হাসান (রাঃ) তাকে বিষ প্রয়োগকারী স্ত্রীকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় ইমাম হোসেন (রাঃ) কে ও হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিতে বলেছিলেন।
আর দেড় যুগের শাসনকালে উনারা কি নারীতন্ত্র ফলিয়েছেন কোনভাবে? খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে মেয়েদের বিনা বেতনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটাকে বর্ধিত করা হয়েছে। চাকরির ক্ষেত্রে মেয়েদের আলাদা কোটা রাখা। এগুলো কি পুরুষ তন্ত্র?
আচ্ছা, স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে রাগের মাথায় তিন তালাক দেয়ার কি অপশন আছে? আমার ঠিক জানা নেই। আপনি কি জানেন? জানা থাকলে প্লীজ শেয়ার করবেন। স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা দিলে স্ত্রী তালাক দিলে তালাক কার্যকর হয়। তিন তালাকের ব্যাপারে জানিনা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:০৭
নাজনীন১ বলেছেন: ইমাম হাসান (রাঃ) এর রাগের কারন পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব ছিল না। --- আমি "রাগের কারণ" নিয়ে কিছু বলেনি, বলেছি "রাগের কারণে তালাক দেয়া"কে। উনি তো স্ত্রীকে কেবল ভর্ৎসনাও করতে পারতেন, সাবধান করে দিতে পারতেন যে অনুচিত কাজ হচ্ছে। তালাক দেবার কি দরকার ছিলো? যেটা আর সংশোধন করার উপায় নেই?
যাই হোক, সাহাবীদের ভুল-ত্রুটিকে আল্লাহতাআলা ক্ষমা করে দিয়েছেন, সেগুলো নিয়ে বেশি কথা বলে নিজেরদের ঈমানকে ঝুঁকিপূর্ণ না করি।
আর সমাজের কোন অংশ পিছিয়ে থাকলে তাদেরকে এগিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্র কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেয় তাদের ব্যাপারে, আপনি যে পদক্ষেপগুলো নেয়ার কথা বলেছেন, এগুলো তারই অংশ। আর এটা কেবল খালেদা বা হাসিনা বলে নয়, কোন পুরুষ ক্ষমতায় থাকলেও নিতো, নিয়েছে, নিবে। সৌদিআরবে মনে হয় উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত নারীদের শিক্ষা কার্যক্রম অবৈতনিক। আরো অন্যান্য যেসব দেশে পুরুষেরা রাষ্ট্রপ্রধান খোঁজ নিয়ে দেখেন, সেখানেও এধরণের নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়। কেবল নারীদের জন্য নয়, অন্যান্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয় সমাজে ভারসাম্য সৃষ্টি করতে।
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০১
মোসারাফ বলেছেন: যাই হোক, সাহাবীদের ভুল-ত্রুটিকে আল্লাহতাআলা ক্ষমা করে দিয়েছেন, সেগুলো নিয়ে বেশি কথা বলে নিজেরদের ঈমানকে ঝুঁকিপূর্ণ না করি। পুরোপুরি একমত। আমি সমালোচনার জন্য হাদিসটি রেফারেন্স দেইনি। একসাথে তিন তালাক ও রাগান্বিত অবস্থায় তালাক কার্যকর হয় সে জন্য দিয়েছিলাম।
আর সমাজের কোন অংশ পিছিয়ে থাকলে তাদেরকে এগিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্র কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেয় তাদের ব্যাপারে, আপনি যে পদক্ষেপগুলো নেয়ার কথা বলেছেন, এগুলো তারই অংশ। আর এটা কেবল খালেদা বা হাসিনা বলে নয়, কোন পুরুষ ক্ষমতায় থাকলেও নিতো, নিয়েছে, নিবে। সৌদিআরবে মনে হয় উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত নারীদের শিক্ষা কার্যক্রম অবৈতনিক। আরো অন্যান্য যেসব দেশে পুরুষেরা রাষ্ট্রপ্রধান খোঁজ নিয়ে দেখেন, সেখানেও এধরণের নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়। কেবল নারীদের জন্য নয়, অন্যান্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয় সমাজে ভারসাম্য সৃষ্টি করতে।
যাক পুরুষের ভালটাও চোখে পড়ল। আসলে দোষ গুন নিয়েই মানুষ (সাধারন মানুষ)। পুরুষের দোষের কারনেই পুরুষতন্ত্র বলা ঠিক না।
অটঃ যাই হোক আপু আজকের পর আর ঈদের আগ পর্যন্ত নেটে বসা হবে না। ভালো থাকবেন। ঈদ মোবারক।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৮
নাজনীন১ বলেছেন: ভ্রাত, আমি একতরফা একচোখা নারীবাদী নই তো!
আপনিও ভাল থাকুন। ঈদ মোবারক।
১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১৪
স্তব্ধতা' বলেছেন: নাজনীন আপনার কাছে একটা বিষয় জানতে চাইবো।হাদীসের ৬টি বই আছে।যে ছয়টি অনেক ব্যাপারেই ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করে।যেমন সহী বুখারীতেই ৩৪ বার এডাল্টারীর শাস্তি স্বরূপ পাথর ছুঁড়ে মারার কথা বলা হয়েছে।যেটা অন্য কোন এক বা একাধিক (ঠিক কোনটাতে তা আমার জানা নেই) কিতাবে উল্লেখ করা হয়নি।আবার পাকিস্তানে শরীয়াহ ভিত্তিক আইনের বদৌলতে ওদুদীয় অর্ডিন্যান্স (জেনারেল জিয়ার সময়) এর আওতায় একজন রেপ ভিক্টিমকে চারজন পুরুষ সাক্ষী হাজির করতে বলা হয়েছিলো, করতে না পারলে ভিক্টিমকেই প্রসিকিউট করা হতো।অর্ডিন্যান্সটি ইসলামী দলগুলোর প্রবল প্রতিরোধের মুখে ২০০৬ সালে পারভেজ মোশাররফ রদ করে। ওদুদীয় অর্ডিন্যান্স এর সেই শরীয়াহ ভিত্তিক আইনটিরও মূল ছিলো হাদীস, কারন কোরআনে এরকম কোন রেফারেন্স আমি পাইনি।আপনাকে দেখছি, একাধিক বই থেকে কোট করছেন, যেটা অনেক মুসলিমই মানবেনা বিতর্কের ক্ষেত্রে।এখন ঠিক কোন হাদিসীয় কিতাবটি মুসলিমরা অনুসরন করবে? সুন্নীদের জন্য এরকম কোন তরীকা আছে কি? বা শিয়াদের জন্য আলাদা কোন তরীকা? নাকি সবগুলোই ব্যবহার করার অনুমোদন আছে? থাকলে সেই অনুমোদন কে দিয়েছে? হাদীসের প্রথম সংকলনটিওতো হয় শেষ নবীর ২০০ বছর পর।
অ:ট: জামিনদারের পোষ্টে এক্স কে একটা প্রশ্ন করেছেন।আমার শেষ পোষ্টে তার প্রশ্নদুটি দেখুন।হয়তো একটু আন্দাজ করতে পারবেন।
অনেক ধন্যবাদ সিরিজটির জন্য।ভুল-ভ্রান্তির অবসান হোক।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৬
নাজনীন১ বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম স্তব্ধতা। আপনার কমেন্টটা পড়লাম। এর উত্তর বিস্তারিত দিতে গেলে কিছুটা পড়াশোনা করে দেয়া দরকার। আপাতত ভারিক্কি কথা বলার মুডে নাই, ঈদের ব্যস্ততাও আছে। উইকেন্ডে চেষ্টা করবো কিছু বলার।
আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২৬
নাজনীন১ বলেছেন: "এখন ঠিক কোন হাদিসীয় কিতাবটি মুসলিমরা অনুসরন করবে? সুন্নীদের জন্য এরকম কোন তরীকা আছে কি? বা শিয়াদের জন্য আলাদা কোন তরীকা? নাকি সবগুলোই ব্যবহার করার অনুমোদন আছে? থাকলে সেই অনুমোদন কে দিয়েছে? হাদীসের প্রথম সংকলনটিওতো হয় শেষ নবীর ২০০ বছর পর।"
- মূলত কোরআন হচ্ছে ইসলামী আইন প্রণয়নের উৎস। "কোন হাদীসগ্রন্থ" ফলো করছেন, তার চেয়ে বড় কথা হলো হাদীসটি কতটা "অথেনটিক"। হাদীসের অথেনটিসিটির নানা ভাগ আছে, নানা বৈশিষ্ট্য আছে। একটা বইয়ের লিঙ্ক দিচ্ছি হাদীসের শুদ্ধতার নানা ভাগ নিয়ে আলোচনা আছে সেটাতে,
Click This Link
যদিও বুখারী আর মুসলিম শরীফের বেশির ভাগ হাদীস সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য। তবে তার মানে এই না বুখারী বা মুসলিম শরীফের কোন হাদীস পাওয়া গেল, কিন্তু সেটা কোরআনের আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক বা সনদ দুর্বল, কিন্তু সেটা আমাদেরকে মানতে হবে।
এখন আমরা নাদান সাধারণ মুসলিমদের পক্ষে হাদীসের অথেনটিসিটি পরীক্ষা করা মোটেও সহজসাধ্য ব্যাপার না। প্রখ্যাত অনেক হাদীসবিশারদরা এ কাজটি করে গেছেন। যারা ইসলামী আইন প্রণেতা তাদেরও ইসলামের উপর অগাধ জ্ঞান থাকে, তারা ওইসব অথেনটিসিটি দেখেই হাদীসগুলো কোট করে।
এখন কেউ যদি কোন ভুল হাদীসকে ব্যবহার করে কোন ফতোয়া দেয়, তখন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে অনেক আলেমই তার প্রতিবাদ করেন, কিছুদিন আগেও এডাল্ট ব্রেস্ট ফিডিং নিয়ে এরকম ব্যাপার হয়েছে, তাই তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে আমরা সাধারণেরা একটু চেষ্টা করলে আর সচেতন হলেই খুব সহজে মূল সঠিক তথ্যটা জানতে পারি।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২৮
নাজনীন১ বলেছেন: আপনি যেহেতু প্রসঙ্গক্রমে রজমের কথা আনলেন, তাই এ সংক্রান্ত কিছু আলোচনা পোস্টের লিঙ্ক দিচ্ছি এখানে, যদি আগ্রহী হোন আপনি বা আর কেউ পড়ে দেখতে পারেন,
১। রজমঃ একটি আলোচনা পোস্ট
http://www.peaceinislam.com/bngsadat/4903/
২। রজমঃ একটি চিন্তা
http://www.peaceinislam.com/monpobon/4962/
৩। কোন বিষয়ে আল-কুরআনে বলা থাকলে হাদিস, সুন্নাহ বা অন্য কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে কি?
http://www.peaceinislam.com/bngsadat/5020/
৪। রাসূলের (সা.) ভূমিকাসমূহ – ২ [ঙঙ অংশ]
Click This Link
১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২০
গানচিল বলেছেন: নাজনীন, দুরন্ত স্বপ্নচারীর ব্লগে আমাকে নিয়ে আপনার কমেন্ট টা পড়ে একটু হাসি পেল। ......না আমি এফডিসির সাথে জড়িত কেউ নই।তবে আপনাদের মতই আরেক গান পাগলা আমি। হরেক রকম গান সংগ্রহ করা আমার শখ।(বিশেষ করে পুরোনো গানের প্রতি)। এবং আমার সংগ্রহে অসংখ্য বাংলা এবং হিন্দী গান রয়েছে, রবীন্দ্রনাথ/নজরুলের স্বকন্ঠে গানসহ সেকালের দীপালি নাগ, কে,এল সায়গল, থেকে শুরু করে একালের হাবিব।তবে সাম্প্রতিককালের গান তেমন একটা নেই।কারন এখনকার গান আমাকে তেমন একটা টানে না।আর এমন কোন সপ্তাহ নেই ,যে আমি ২/৪টা গান সংগ্রহ করিনা।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৭
নাজনীন১ বলেছেন: ও আচ্ছা, তবে আপনাকে সিরিয়াস গান সংগ্রাহক মনে হলো। ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৩৭
স্তব্ধতা' বলেছেন: অবশ্যই কোন তাড়া নেই।আপনার ঈদ সুন্দর আনন্দময় হোক, শুভেচ্ছা রইলো।
১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৯
নাজনীন১ বলেছেন: আপডেটঃ
মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিস্টান নারীর তালাকের আইন ও অধিকার নিয়ে খুঁটিনাটি বিস্তারিত তথ্যসহ একটা চমৎকার সাইট পেলাম।
অবলম্বন
১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৫
পারভেজ আলম বলেছেন: হুম। কিন্তু হিল্লা বিয়ের ব্যাপারে স্বিদ্ধান্তটা কি পাওয়া গেলো হাদিস গুলো থেকে তাই তো বুঝলাম না। দেশের কাঠমোল্লারা হিল্লা বিয়ের ব্যাপারে নিজস্ব কিছু অদ্ভুত সিস্টেম তৈরি করেছে যা ঠিক ইসলামী শরিয়তে যায় না। কিন্তু আপনার হাদিস গুলো থেকেই তো মনে হয় যে ডিভোর্সড কাপল যদি আবার বিবাহিত জীবন যাপন করতে চায় তাহলে হিল্লা বিয়েই একমাত্র সমাধান।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৪
নাজনীন১ বলেছেন: আপনি "হিল্লা বিয়ে" বলতে কি বুঝেন, এটা একটু বলেন তো।
তিন তালাকের পর স্বাভাবিকভাবে ঐ প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের জন্য হারাম। রাসূল(সাঃ) এর নাতির কেইসটা দেখেছেন নিশ্চয়ই, যতই মন খারাপ করুক লাভ নাই। এটা আল্লাহ্র তরফ থেকে একটা শাস্তি। এমনিতেই তালাক ব্যাপারটাই উনার কাছে নিকৃষ্ট হালাল। তার উপর একবার নয়, দুইবার নয়, তিনবার তালাক!
চুক্তিভিত্তিক দুই-চার দিনের জন্য কোন বিয়ে ইসলামে জায়েজ করে না, তাহলে তো মুতাহ বিয়েও চালুও থাকতো। তাহলে কে আর কষ্টের সংসার জীবন করতে যেত!!??
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৬
নাজনীন১ বলেছেন: আমাদের দরকার জনগণকে ইসলামী আইনের নানা অপশন সম্বন্ধে সচেতন করা। যারা রাগের মাথায় তিন তালাক দিয়ে ফেলাটাকে মর্দামী মনে করে, এদেরকে আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা, সম্ভব হলে সেটাকে এক তালাক গণ্য করা, অনেক আলেমই এ মত দিয়েছেন, আমাদের আইন প্রণেতারা এ মত গ্রহণ করতে পারেন তো!
১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৩
পারভেজ আলম বলেছেন: স্তদ্ধতা@ তরিকা আছে। ফিকহ শাস্ত্রের কাজ এইটা। মুসলিম আইনের সবচেয়ে পুরনো জিনিস দুইটা, ইলম (বুৎপত্তিগত অর্থ জ্ঞান) আর ফিকহ(বুৎপত্তিগত অর্থ বিচার বিবেচনা বা অভিমত)। অবশ্য ১২ শতক থেকে ফিকহ শাস্ত্রে নতুন চিন্তা ভাবনার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগে যেখানে বলা হতো "প্রত্যেকের উচিত ফিকহ ব্যাবহার করা" সেখানে ১২ শতক থেকে বলা শুরু হয় "প্রত্যেকের উচিত ফিকহ অনুসরণ করা"। অর্থাৎ ১২ শতকের পূর্বের ফিকহবীদরা যেই স্বিদ্ধান্ত দিয়ে গেছেন তারই অনুসরণ করা।
আর সুন্নি এবং সিয়া ফিকহ শাস্ত্রে কিছু পার্থক্য আছে। ইসলামের সব মাজহাবেই এই পার্থক্য আছে। হাদিস বিষয়ে সুন্নি চার মাজহাবেই একসময় ব্যাপক বিতর্ক ছিল। হানাফি মাজহাব কম রক্ষনশিল হওয়ায় তারা এমন কিছু হাদিস সমর্থন করতো যেসব আমাদের আধুনিক যুগে অপেক্ষাকৃত কম সমালোচনায় পরবে। অন্যদিকে শাফি এবং হাম্বলি মাজহাব এমন কিছু হাদিসকে সমর্থন দিত যেগুলো আমাদের সময়ে সবচেয়ে সমালোচিত হাদিসের মধ্যে পরে। উল্লেখ্য ১১/১২ শতকে শাফি মাজহাব প্রমিনেন্সি পায় এবং ১৫ শতকে ইসলামী ধর্মতত্ত্বে যা টিকে থাকে তা হলো নব্য হাম্বলি বাদ। এইখানে আরেকটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে। জনৈক তুর্কিশ সুলতান (নাম মনে নাই) খুব সম্ভবত ১৫ শতকের দিকেই রাজনৈতিক কারণে চার সুন্নি মাজহাবকেই সমান মর্যাদা দেন এবং প্রত্যেক মাজহাবের আইনকেই বৈধতা দিয়ে ঐক্য তৈরি করার চেষ্টা করেন। তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অনেকখানি সফল হলেও পরস্পর বিরোধী হাদিস সমস্যার সমাধান এই কারণেই আর কখনো করা যায় নাই।
১৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৩
পারভেজ আলম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি "হিল্লা বিয়ে" বলতে কি বুঝেন, এটা একটু বলেন তো।
হেঃ হেঃ, আমি ঠিক ঐটাই বুঝি যা আপনে বুঝেন। আপনি যেই যায়গাটায় জোর দিয়েছেন সেইটাতে আমিও জোর দেয়া উচিত বলে মনে করি। তালাক কোন হালকা বিষয় না, রাগের মাথায় তালাক দিলে হয়ও না। কিন্তু সময় নিয়ে তিন তালাক দিলে শাস্তিস্বরুপ তাদের জন্য বিয়ে নিষিদ্ধ করেছে ইসলাম, এইটাই আপনি বলছেন, আমিও তাই বুঝছি, এইখানে কোন সমস্যা নাই। এখন ধরেন গিয়া ২০ বছর বয়সে কোন একটা মেয়েরে আমি বিয়া করছিলাম, প্রেমের বিয়া। কিন্তু যেহেতু আমাদের পরিবার সেই সময় মাইনা নেয় নাই সুতরাং আমরা বাধ্য হইয়া তালাক দিছি। অথবা ধইরা নেন যে ঐ সময় নানাবিধ ঝামেলায় পরস্পর স্বিদ্ধান্ত নিয়া ঠান্ডা মাথাতেই তালাক দিছি। এখন ধরেন ৬/৭ বছর পার হইয়া গেছে গা, আমিও ম্যাচিউর ঐ মেয়েও। আমরা কেউ আর বিয়াও করি নাই, মনে মনে এখনো দুইজন দুইজনরে ভালবাসি। এখন আমরা কিভাবে পরস্পররে বিয়া করুম? এইরকম কিন্তু হইতেই পারে, আমি যাস্ট একটা উদাহরণ দিলাম, অন্যরকমও হইতে পারে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৭
নাজনীন১ বলেছেন: সোজা হিসাব যে আপ্নেরা তখন এক তালাক দিবেন, তাইলে তো আর কোন সমস্যা নাই।
২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৩
সোহেল_সিএসই_ঢাবি বলেছেন: অনেক কিছু শিখলাম এবং জানলাম।
আপনাকে আল্লাহ ভাল রাখুন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৮
নাজনীন১ বলেছেন: ভাল লাগলো যে কিছু জানাতে পারলাম। আল্লাহ্তাআলা আমাদের সবাইকে ভাল কিছু শেখার তৌফিক দিক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৯
মোসারাফ বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষনে রাখলাম, পরে মন্তব্য করব।