![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৬ ই অক্টোবর মিরপুরে আলম ট্রেডার্স নামের রাসায়নিক গুদামে আগুন । ১৭ ই অক্টোবর চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন । আজ শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন। পরপর আগুন লাগার এই ঘটনাগুলো একেবারেই স্বাভাবিক নয়। এখনই ঘটনাগুলোতে জড়িত ব্যক্তিদের খুজে বের করে , দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সামনে আরো কি ঘটবে কিছুই বলা যায় না।
দেশের এই ক্রান্তিকালে জনসাধারন খুবই অসহিষ্ণু আচরন করছে যা একেবারেই কাম্য নয়। আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে খুবই গুরুত্বপুর্ন বিচা্রিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে । এই সময়ে জনগনের সরকারকে পুর্ন সহযোগিতা প্রদান অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু তার পরিবর্তে আমরা দেখছি যে মানুষের দাবী দাওয়া, আন্দোলনের কোন শেষ নাই। বিগত ১৭ বছরে কোথায় ছিল এই সব দাবী দাওয়া? ১৭ বছর যেসব এমপিও শিক্ষকেরা না খেয়ে মরেনি ,এখন কি এই কয়মাসে একেবারে না খেয়ে মৃত্যবরন করবে? নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারের কাছে দাবী দাওয়া পেশ করা কি বেশি যৌক্তিক নয়?
সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির আচরন। জুলাই গনঅভ্যূত্থানে নেতৃত্ব দেয়া নেতাদের কাছ থেকে মানুষ আরো অনেক বেশি ম্যচু্রিটি আশা করে। নাহিদরা যদি মনে করে যে , ডক্টর ইউনুসের চাইতে তারাই বেশি বুঝে তাহলেতো মুশকিল। গতকাল জুলাই সনদ সাক্ষরকে ঘিরে তারা যা করেছে তা একেবারেই অনভিপ্রেত। এইসব সনদ যে কাগজের টুকরা মাত্র তা সবাই বোঝে। যে আইনি ভিত্তির কথা এনসিপি বলছে , সেটাও আসলে মূল্যহীন। এখন হয়ত আইনি ভিত্তি দিল সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার সেই আইন সংশোধন করে এই সনদ ছিড়ে ফেলে দিলে কিছুই করার নাই। ৫৪ বছর ধরেতো এসবই চলছে এই দেশে। এনসিপির উচিত বরং নির্বাচনে জিতে সংসদে গিয়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে লড়াই করা। সংসদে যদি সেই বিল পাশ করিয়ে আইন প্রনয়ন করা যায় , তাহলে সেটাই হবে মজবুত আইন সম্মত জুলাই সনদ যা অন্তত পাঁচ বছরের জন্য সুরক্ষিত থাকবে।
গতকালের জুলাই সনদ সাক্ষর অনুষ্ঠান এই কারনে গুরুত্বপুর্ন যে,এই মুহুর্তে সকল রাজনৈ্তিক দলের মাঝে ঐক্য ধরে রাখাটা অন্তবর্তী সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। কিন্তু এনসিপি যেভাবে ডক্টর ইউনুসকে বিব্রতকর অবস্থার মাঝে ফেলে দিয়েছে তা চরম হঠকারিতা ছাড়া আর কিছুই না। জুলাই বিপ্লবে আহতদের জায়গায় জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে বিশৃংখলা তৈরীতে। জুলাই যোদ্ধারা এই ধারা বজায় রাখলে খুব বেশিদিন আর মানুষের সহানুভুতি ধরে রাখতে পারবে না। সরকারের গতকাল একটা বিড়াট ভুল হয়েছে স্থান নির্বাচনে। সংসদ ভবনের মত খোলা জায়গায় এই অনুষ্ঠান না করে কোণ কনফারেন্স রুমের অভ্যন্তরে করা হলে গতকালের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটত না।
এনসিপিকে বুঝতে হবে যে , বর্তমান সরকার এই দেশের সবচেয়ে কঠিন জায়গায় হাত দিয়েছে। বিচার বিভাগ যদি আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিয়ে ১৭ বছরের গুম, খুনের বিচার নায্যতা ও ন্যায়সঙ্গতভাবে করতে পারে তবে সেটা এই দেশের জন্য একটা মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত হবে। ডক্টর ইউনুস ক্ষমতায় থাকাবস্থায় একমাত্র এই কঠিন কাজটা সম্ভব, যা রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে করা দুরুহ। এনসিপির গতকালের ঔদ্ধত্বমুলক ও হঠকারী আচরনের কারনে তাদের শাপলা প্রতীকের জন্য নায্য লড়াই সামনে মুখ থুবরে পড়তে পারে। একের পর এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাগছাসের সোচনীয় পরাজয় থেকেও তারা যদি শিক্ষা গ্রহন না করে , তবে রাজনৈতিক দল হিসাবে তারা জাসদের মতই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে খুব দ্রুত।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:১৩
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
চা-সিংগারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক এনালিষ্ট আপনি।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:২০
কামাল১৮ বলেছেন: এরা জনসাধারণ না,এরা ক্রিমিনাল।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:১৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশের জনসাধারন ক্রিমিনাল আর আপনারা বেগম পাড়ার বাসিন্দারা সাধু !!
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:২৭
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
সবচেয়ে বেশি বিরক্তিকর নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির আচরন। ঢাবিয়ান আমি কোন অ্যালকোহলিক দ্রব্য পান করি নাই; ইহা ঠিক পড়ছি তো? আওয়ামী দলকানাদের মতো বুদ্ধিবৃত্তি বিক্রি করে না দিয়ে আপনার যৌক্তিক সমালোচনা না কে স্বাগত জানাই।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:০৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: এনসিপি এই দেশের রাজনীতি এবং সরকার ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তা সবসময়ই সাধুবাদ জানাই । রাজনীতিতে এনসিপির তরুনেরা যৌক্তিক বিতর্কের যে ধারা সৃষ্টি করেছে তা আমাদের দেশের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক। কিন্তু এটা করতে গিয়ে নিজেদের সবজান্তা শমশের ভাবলেতো মুশকিল। ডক্টর ইউনুস , আলী রিয়াজের মত ব্যক্তিরা কিছুই বুঝে না, তারাই সব বুঝে ! এই জাতীয় চিন্তাধারাটাতো বিপদজনক।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আইনি ভিত্তি মুল্যহীন আপনাকে কে বললো? এটা না হলে প্রফেসর ইউনুস জীবনেও সেইফ এক্সিট নিতে পারবেন না। পরেরটা পরে দেখা যাবে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:১৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: অবস্যই মূল্যহীন । এখন আইনি ভিত্তি দিল, কিন্তু নির্বাচিত সরকার গিয়ে সেটা পরিবর্তন করে ফেললে তারা কি করতে পারবে? জনগনের ম্যন্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া রাজনৈ্তিক দল আমাদের দেশে স্বেচ্ছাচারী আচরন করতেই অভ্যস্ত। এন্সিপির বরং উচিত কিভাবে নির্বাচনে কয়েকটা সীট জেতা যায় সেটা নিয়ে কাজ করা। সংসদে বসে তারা দেশের জন্য যা করতে পারবে, রাস্তায় বক্তৃতা দিয়ে তা করতে পারবে না।
ডক্টর ইউনুসের সেইফ একজিটের কেন দরকার হবে? তিনি কি কোন ক্রাইম করেছেন? কিছু উপদেষ্টা গোপনে রাস্ট্রবিরোধি কার্যকলাপে যুক্ত বলে নাহিদ বক্তব্য দিয়েছে, সেইফ একজিট তাদের দরকার হবে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:২১
ঢাবিয়ান বলেছেন: তাছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার চাইলেও অনেক কিছুর আইনি ভিত্তি দিতে পারবে না কারন তারা নির্বাচিত সরকার না।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেইফ এক্সিট বলতে তিনি আজীবন দেশ চালাতে পারবেন না। উনাকে নির্বাচন দিয়ে দিতে হবে এবং প্রস্থান করতে হবে। গণভোট হলে আইনি ভিত্তি দিলে কোনো নির্বাচিত সরকার পারবে না সহযে বদলাতে।
আওয়ামী লীগের চিন্তা আপাতত বাদ দেন। কয়েকদিন মিছিল করলো এতে লাভ হয়েছে? আকন্ঠ করাপশনে কেন্দ্রীয় নেতারা ডুবে গেছে।
এনসিপি প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর চায় আইনি সনদে রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে। তাহলে জুলাই সনদ কিভাবে মূল্যহীন হলো। এনসিপি এবং জুলাই যোদ্ধারাই ইউনুস সাহেবকে সরে যেতে দিবে না যদি না জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হয়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৩০
ঢাবিয়ান বলেছেন: গনভোটের বিষয়েতো সব দলই রাজী হয়েছে। এটা হলে বরং সামনের নির্বাচিত সরকার সংস্কার বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হবে। সেটাই বরং আইনি ভিত্তির চাইতেও বেশি জোড়ালো । জুলাই সনদেতো প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা সাক্ষর করেছে। রাস্ট্রপতিতো এখন আর দৃষ্যপটেই নাই।
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদেরা । সুত্র ঃ গনমাধ্যম
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৩৯
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
এন্সিপির বরং উচিত কিভাবে নির্বাচনে কয়েকটা সীট জেতা যায় সেটা নিয়ে কাজ করা। যাক ৩০০ আসন থেকে এখন কয়েকটা এসে থেমেছেন। নির্বাচনের পর দল থাকে কিনা দেখেন?
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫২
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার অবস্থান এখনও এনসিপির পক্ষে। মনে প্রানে চাই আখতার, নাহিদ, হাসনাত, সারজিস, তাসনিম জারাদের সংসদে দেখতে। তারা সংসদে যেতে পারলে এই দেশের সংসদ নামের বানরের সার্কাস পার্টিতে আমুল পরিবর্তন আসবে।
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৩৯
রাসেল বলেছেন: আগুন লাগার ঘটনাগুলোকে দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিভিন্ন দাবি দাওয়ার উদ্দেশ্য হলো সরকারকে অস্থিতিশীল করা। আমাদের প্রবীন রাজনীতিবিদদের মতো নবীন রাজনীতিবিদরাও দালালী, চুরি, বাটপারীতে নিজেকে উৎসর্গ করলো।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিভিন্ন দাবি দাওয়ার উদ্দেশ্য হলো সরকারকে অস্থিতিশীল করা।
একমত আপনার সাথে।
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এত এত ঘটনা ঘটছে, তাও কর্তাব্যক্তিদের কোনো বিকার দেখছি না। মনে হয় আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপিয়ে দিলেই হলো, ত্বরিত পদক্ষেপের দরকার নেই।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:০০
ঢাবিয়ান বলেছেন: সর্ষের মাঝেই ভুত থাকায় সরকার ত্বড়িত পদক্ষেপ নিতে পারছে না। এই মুহুর্তে নাশকতা ঠেকাতে সরকারের দরকার বিপুল জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই,
আপনি এনসিপি নিয়ে খুব বেশী আশাবাদী ছিলেন..... সজ আপনিই তাদেরকে ভিলেন হিসাবে দেখছেন- তাতে অন্তত আমি অবাক হইনি। কারণ, আমি জানতাম- যখনই ওদের ক্ষমতার মোহ আর চাঁদাবাজির জঘন্য নেশায় পেয়েছে তখন ওদের আসল চেহারা দেখে ভুল ভাংবে। এনসিপি এখন নব্য জালিমদের জন্য এক করুণ স্মারক!
২০২৪ সালের জুলাইয়ে যারা রক্তে আগুন নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল, যারা “জালিমের পতন চাই” বলে বুক ফাটিয়ে চিৎকার করেছিল- আজ তারাই সেই জালিমের ন্যারেটিভ কপি করে নিজেরা নব্য জালিম হয়ে উঠছে!
যে আন্দোলনের শ্লোগান ছিল "জনগণের অধিকার ফেরত চাই!" - সেই আন্দোলনেরই সন্তানরা আজ ক্ষমতার মোহে মানুষের কণ্ঠরোধ করছে। নিজেদের ছাড়া বাকিদের তারা “অযোগ্য”, “বাতিল”, “দেশদ্রোহী” তকমা দিতে শুরু করেছে। যেন জুলুম করা এখন তাদের ইমানি দায়িত্ব! নব্য জালিমরা পুরনো জালিমদের চেয়েও ভয়ংকর, কিন্তু বেশি স্থায়ী নয়। যেদিন আবার নতুন অন্যায় জন্ম নেবে, সেদিন এই নব্য জালিমরাই হবে পরের ইতিহাসের করুণ অধ্যায়- যাদের নাম লেখা থাকবে বিশ্বাসঘাতকদের তালিকায়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার সাথে কোনভাবেই একমত হতে পারছি না বলে দুঃখিত। এনসিপির সাথে এই দেশের প্রধান দুই মাফিয়া ডাকাত দল এর আকাশ পাতাল ফারাক। পরিবারতন্ত্রের মাফিয়া রাজনীতিকে আমি কখনই সমর্থন করি না। এনসিপি রাজনৈ্তিক দল গড়তে যেটূকু অনৈ্তিকতার সুযোগ নিয়েছে বলে বাজারে প্রচলিত তা কতটুকু সত্য বা মিথ্যা জানি না। তবে এছাড়া তাদের আর উপায়ও ছিল না। যে ভয়ঙ্কর ফ্যসিস্ট ও আদিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তারা লড়ছে , বেঁচে থাকতে হলে তাদের রাজপথেই থাকতে হবে।তানাহলে মরতে হবে। তাদের ভুল সিদ্ধান্তের সমালোচনা অবস্যই করব । কিন্তু তাদের উপড় থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করার অর্থ দেশকে আবারো সেই মাফিয়া রাজনীতির যুগে ফিরিয়ে নেয়া। হাজারো তরুনের রক্তের সাথে বেইমানি করা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:১১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
এনসিপি'কে আপনি তারুণ্যের দল বলেছিলেন! ওরা আপনার কমরেড, আমেরিকার ক্রয়করা জল্লাদ।