![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি সাধারন একজন মানুষ। প্রকৃতিগতভাবে একটু নিঃসঙ্গ ধরনের। এমন কি অনেকের মাঝেও একা। পেশায় একজন চিকিৎসক। মানুষের উপকার হয় এমন যেকোন কাজে আমি আছি। আপনারা ডাকলে ইনশাল্লাহ পাশে থাকব।
স্বাস্থ্য হল এমন একটা জিনিস, যার সাথে সমাজ ও পরিবেশের প্রতিটি বস্তু ও ঘটনা জড়িত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্বাস্থ্য হল শুধুমাত্র রোগের অনুপস্থিতিই নয় বরং, সম্পূর্ণ শারীরিক, মানুষিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিকভাবে ভাল থাকা।
এই সংগার ভিত্তিতে বলা যায়, বাংলাদেশে আপনি-আমি, কেউই সুস্থ্য না!
শারীরিকভাবে সুস্থ্য থাকতে চান?
পারবেন না!
আপনার প্রতিটি খাবারে ভেজাল-বাসি মিশিয়ে বসে আছেন আমাদের মহান(!!) ব্যবসায়ীবৃন্দ।
আপনার পরনের পোশাকাদি কতটা স্বাস্থ্যকর? পোশাক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞেস করেছেন একবার?
আপনার বাসস্থান কি স্বাস্থ্যকর? সেব্যাপার এ আর্কিটেক্টের সাথে কথা বলেছেন একবার?
রাস্তায় চলাচল করেন, একটা দূর্ঘটনা আপনাকে পংগু করা থেকে মৃত্যুর মূখে পর্যন্ত ঠেলে দিতে পারে। সওজ এর কাছে একবার জানতে চেয়েছেন, রাস্তাটা কেন সঠিকভাবে তারা তৈরি করে না, যোগাযোগব্যবস্থা কেন আধূনিকায়ন করে না? কেন সামান্য বৃস্টি হলে পানির বন্যায় ভেসে যান আপনি?যে পানিতে ভেসে বেড়ায় অসংখ্য জীবানু!
এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রে একটু ভেবে দেখবেন, আপনার শারীরিক অসুস্থতার জন্য আসলে দায়ী কে!
মানুষিকভাবে সুস্থ্য থাকতে চান?
তাও পারবেন না।
নানাবিধ টেনশনে জীবন টালমাটাল। উপরের সমস্যাগুলো তো আছেই, সাথে আছে আর্থিক বিষয়াবলী। বাজারের লাগাম তো ব্যবসায়ীদের হাতে। আপনি হলেন তাদের মুনাফার উতস! দামে না বনলে নেবেন না, মুখের উপর বলে দেবে। কিছুই করার মুরদ নেই আপনার। ওই ব্যাটার কাছ থেকেই জিনিস কিনবেন, যা আবার ভেজালে ভর্তি।
ছেলে মেয়ে বড় হচ্ছে, শিক্ষা-চাহিদা মাদকের হুমকি কতকিছুই না মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সিরিয়ালের কথা তো বাদই দিলাম।
তাই টেনশনে টেনশনে জীবন শেষ!
সামাজিকভাবে সুস্থ্য থাকতে চান?
পারবেন না।
নানাবিধ সামাজিক সমস্যায় জর্জরিত আপনি। নিরাপদে ঘরের বাইরে হাওয়াও খেতে বের হতে পারেন না আপনি, ঠেক খাবেন আর প্রান খোয়াতেও পারেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হ্যারাস্মেন্ট তো আছেই। এর মধ্যে যোগ হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। আর সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ এর অভাব তো রয়েছেই। অন্ধের মত স্ট্যাটাস উপরে তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত আপনি।
সুস্থ্য থাকবেন কেমনে?
সবশেষে আধ্যাত্মিকভাবে সুস্থ্য থাকতে চান?
তাও অসম্ভব।
বিতর্কের শুরু করেন ঈশ্বর আছে কি নাই তা নিয়ে, শেষ করেন গালাগালি-কোপাকুপিতে!
ধর্ম নিয়ে আচরন করেন অন্ধের মত, অথচ প্রার্থনার বালাই নাই।
তার উপর ধর্মগ্রন্থ তো পড়েনই না, উল্টা ধর্মের ঠিকাদারি দিয়ে রাখছেন কাঠমোল্লা-পুরুতের হাতে! ভূগোল তো আপনেরে তারা পড়াবেই।
আর আপনি তখন ভ্যাবলার মত গাইতে থাকেন,"..যেমনি নাচাও তেমনি নাচি..."
নাচায় যে কে, সেটাই বুঝেন না!
সবদিক থেকে অসুস্থতার শিকার হয়ে, সর্বশান্ত হয়ে আসেন ডাক্তারের কাছে!
এবার আপনিই ভেবে দেখেন ডাক্তার আপনার কোন রোগটির চিকিৎসা করবে?
নিদেনপক্ষে তারা শারীরিক রোগের চিকিৎসাটাই করেন, যেটা তাদের ক্ষমতার মধ্যে আছে। এরপরেও কত অভিযোগ, কত সমস্যা!!
তাই বসে বসে ডাক্তারের পশ্চাদ্দেশে আংগুল না ঢুকিয়ে, যে সমস্যাগুলার জন্য অসুস্থ আপনি, সেগুলোর সমাধান করেন।
ঘরের ভেতর ইঁদুর রেখে যতই বেড়া ঠিক করেন, কোন লাভ নাই!
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সহমত!++++
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: ++++