নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামের আলোয় আলোকিত হতে চাই । বই পড়তে ভালোবাসি ।

এ পথের পথিক

কে জিজ্ঞেস করে আমরা কোথায় যাব ? আমরা তো বলেছি, আমদের যাত্রা অনন্তকালের দিকে । আল মাহমুদ

এ পথের পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেমন ছিল দাসী হাসিনার আমল - ব্যাবের নির্যাতনের বিবরন

২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১৩

১.
এক হাফেজে কুরআন যুবক ভাইয়ের গলায় কুকুরের মত রশি বেঁধে উলঙ্গ করে পুরো ঘর ঘুরতে বাধ্য করেছে র‍্যাব। এরপর একজন কনস্ট্যাবলকে "ট্রিটমেন্ট" দেওয়ার ইঙ্গিত করলে প্যান্টের চেইন খুলে ঐ ভুক্তভোগীর মুখে প্রসাব করে দিয়েছে। হাত-পা বেঁধে পায়ের তালুতে লাঠি দিয়ে মারতে মারতে হাঁপিয়ে যেত ওরা।
বন্দী পানি চাইলে পানির বদলে প্রসাব দিতো। প্রচন্ড তৃষ্ণার তাড়নায় বন্দি একবার অবচেতন মনে সেই প্রসাব থেকেই ঢোক গিলতে বাধ্য হয়েছিলো। উনার অপরাধ উনি ফেসবুকে লিখেছিলেন "আল্লাহর নবীর গালিদাতাকে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে"। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ করলাম না।

২.
সন্তানকে বাড়িতে রেখে স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিলেন কলেজ অধ্যাপক আবুল বাশার। সেখান থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে আসা হয় র‍্যাব-১ এর আয়নাঘরে। টানা দশদিন হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে জানালার সাথে আটকে রাখা হয় তাকে। পরনে শুধুমাত্র একটি গামছা রাখা হয়। টানা ১০ দিন ঘুমাতেও দেওয়া হয়নি তাঁকে। হাতে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থাতেই ঝুলে ঝুলে তন্দ্রা এসে গেলে আবার বেধড়ক মারা হতো। একপর্যায়ে কোমরের নিচ থেকে প্যারালাইসিসের মত অবশ হয়ে আসতো। পায়খানার রাস্তা ফেটে গিয়ে রক্তে ভেসে যেত ঘর। এসময় কোন চিকিৎসা বা ওষুধ দেওয়া হয়নি।
সুস্থ্য যুবক তিনমাস পর যখন গুম থেকে বের হলেন তখন বৃদ্ধ হয়ে গেলেন, লাঠির ভরে অনেকদিন হাঁটতে হয়েছে। শরীরের বেশিরভাগ অংশই তীব্র আঘাতে থেঁতলে গিয়েছে। কিছুদিন পর কারাগারেই বিনা চিকিৎসায় তিনি শহীদ হন (ইনশাআল্লাহ)। তাঁর একটাই অপরাধ, তিনি শায়খুল হাদিস মুফতি মুহাম্মাদ জসিমুদ্দীন রহমানী সাহেবের আপন ছোট ভাই।

৩.
সাল ২০১৬। ভুয়া একটি গোষ্ঠির নেতা দাবী করে ৮ বছরের যময শিশুসহ স্বস্ত্রীক তুলে নেওয়া হয়েছিলো ভদ্রলোককে। ৬ মাস পুরো পরিবারকে গুম করে রেখে নানান নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে আঘাতের তীব্রতা সহ্য না করতে পেরে একটি শিশু মারা যায়। এতে ভদ্রলোক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ভদ্রলোককে জবাই করে ফেলে তারা। কিছুদিন একটি বাড়িতে ভুয়া জঙ্গি নাটক সাজিয়ে ভদ্রলোকের স্ত্রী ও বেঁচে যাওয়া আরেকটি শিশুকে "আত্মসমর্পনকারী" হিসেবে মিডিয়াতে দেখায় তারা। মিডিয়াতে আরও বলে উক্ত অভিযানে ভদ্রলোক নিজেই নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন! আর ৮ বছরের শিশু আত্মঘাতি হামলা চালিয়ে আত্মহত্যা করেছে! গুগলে তানভির কাদেরী লিখে সার্চ করলেই পাবেন।

ছোট ভাই, তোমার বাবা আর ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ তোমাকেই নিতে হবে। তৈরী হও।

৪.
তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে স্বামীসহ গুম করা হয় র‍্যাব-১ এর টিএফআই সেলে। এরপর স্বামীর সামনে স্ত্রীকে উলঙ্গ করে একাধিক র‍্যাব সদস্য দিনের দিনের পর গনধর্ষণ করে। বোনটি তাদের অনুনয় বিনয়ের মাধ্যমে বলে যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু র‍্যাব সদস্যরা এতে আরও পাশবিকতা দেখায়। তারা প্রথমে জোর করে গর্ভপাত করায়। এরপর অসুস্থ্য সময়টা তারা ঐ বোনের সাথে নিষিদ্ধ পথে ধর্ষণ করে। এভাবে টানা ৯ মাস প্রতিদিন একাধিকভাবে গনধর্ষণ করার পর পুনরায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে স্বামী আর স্ত্রীকে গুম থেকে বের করা হয়। এই ঘটনার সাথে জড়ির র‍্যাব সদস্যরা ফোন করে অফিসারদের জানিয়েছিলো "স্যার, আমরা তিন মাসের পেট নিয়ে আসছিলাম আবার তিন মাসের পেট ফেরত দিলাম"।

এসব কোন কাল্পনিক ঘটনা নয়, এগুলো সবই বাস্তব ও সত্য যা বাংলাদেশেই ঘটেছে। এমন হাজারো ঘটনা আছে যা শোনার মত শক্তি বা সাহস আমার আপনার কারুরই নেই। সবগুলোই আমার নিজের ভেরিফাইড তথ্য। আওয়ামিলীগ কেবলই হুকুমদাতা, বাস্তবায়ন হতো সরকারি বাহিনীর দ্বারাই। এসবের সাথে জড়িত কুফরের বাহিনী র‍্যাব এখনও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সেইসকল অফিসাররাই পরিচালনা করছে যারা ফ্যাসিস্ট রেজিমের হয়ে কাজ করতো।

লেখাঃ Jafran hasan
লেখক নিজে এসব ভেরিফাই করেছেন ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫২

নকল কাক বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিয়ে লেখা সিরিজ গল্প এ্যমবুশ এর আরেকটি পর্ব " এ্যমবুশ (-২)" পড়ার জন্য আপনাকে আমন্ত্রণ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.