![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম নিয়ে গবেষনা করি। ধর্মের আবেদন খুজে বের করার চেষ্টা করি।
পবিত্র কুরআন যে মন গঠন করে তা অতিব সচেতন একটি মন যা সবসময় সতর্ক থাকে। সে যখন কথা বলা শুরু করে তখন কুরআন তাকে বলে -
“সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্যে তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।” (কুরআন, সূরা ক্বাফ, ৫০:১৬)
কত সতর্ক হওয়া দরকার কথা বলার সময়। সারাদিন আমরা অপ্রয়োজনীয় কত কথা বলে থাকি, অনেক সময় গালিগালাজও করে থাকি। মহান আল্লাহ্ বলছেন, সব রেকর্ড হচ্ছে। সব কথার হিসাব নেওয়া হবে। বিশ্বাসী ব্যক্তি তাই খুব হিসাব করে কথা বলে। সে খেয়াল রাখে কোনো খারারপ কথা যেন মুখ থেকে বের না হয়।, কোনো সমালোচনা যেন না হয়ে যায়।
তবে কুরআন কিন্তু কথা বলতে নিষেধ করে না, কুরআন বলে সবচেয়ে বেস্ট কথাটি বলতে -
“আমার বান্দাদেরকে বলে দিন, তারা যেন যা উত্তম এমন কথাই বলে। শয়তান তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধায়। নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।” (কুরআন, সূরা বনী ইসরাঈল, ১৭:৫৩)
কুরআন বলছে যখন কথা বলবে তখন উত্তম কিছু বলবে। অপ্রয়োজনীয়, অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে নিষেধ করছে কারন বেশি কথা বলবে শয়তান মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দিয়ে সংঘর্স সৃষ্টি করবে, সেটাই মহান আল্লাহ বললেন।
কুরআন বিশ্বাসী ব্যক্তির হৃদয়ে সদা জাগ্রত আল্লাহর বোধ সুষ্টি করে যা সৎ কর্মের শক্তি এবং অসৎকর্মের পথে বাধা সৃষ্টি করে।
“আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করে, সে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী।” (কুরআন, সূরা ক্বাফ, ৫০:১৮)
“আপনি কি ভেবে দেখেননি যে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, আল্লাহ তা জানেন। তিন ব্যক্তির এমন কোন পরামর্শ হয় না যাতে তিনি চতুর্থ না থাকেন এবং পাঁচ জনেরও হয় না, যাতে তিনি ষষ্ঠ না থাকেন তারা এতদপেক্ষা কম হোক বা বেশী হোক তারা যেখানেই থাকুক না কেন তিনি তাদের সাথে আছেন, তারা যা করে, তিনি কেয়ামতের দিন তা তাদেরকে জানিয়ে দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। ”
(কুরআন, সূরা আল মুজাদালাহ, ৫৮:৭)
“আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার গ্রীবলগ্ন করে রেখেছি। কেয়ামতের দিন বের করে দেখাব তাকে একটি কিতাব, যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্যে তুমিই যথেষ্ট”। (কুরআন, সূরা বনী ইসরাঈল, ১৭:১৩-১৪)
এই হলো কুরআন। কুরআনের এই আয়াতগুলো মহাশক্তিশালী প্রাচীরের মত, যেন বিশাল বিশাল এক একটি প্রাচীর, যা মনের আঙ্গিনায় মজবুতভাবে দাড়িয়ে আছে। অসৎকর্মের ইচ্ছাগুলো এই প্রাচীর পার হতে পারে না কখনই। এই হলো অসৎকর্মের পথে অন্তরায়।
মানুষ কোনো ভালো কাজ বা সৎকর্ম দুইভাবে হয়, এক স্বার্থের কারনে অথবা দায়িত্ববোধ থেকে আর আরেকটি হলো নিজ ইচ্ছায়, নিজের থেকে তীব্র আগ্রহ সহকারে কোনো প্রকার স্বার্থ ছাড়াই। সেচ্ছায় এই সৎকর্মটির জন্য যে তীব্র আকাঙ্খা প্রয়োজন সেই আখাঙ্খা তৈরি করে মহাগ্রন্থ আল কুরআন -
“বরং যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করে আর সৎকর্মশীল হয়, তার জন্য তার প্রতিপালকের নিকট পুণ্যফল রয়েছে, তাদের কোন ভয় নেই, তাদের কোন দুঃখ নেই”। (কুরআন, সূরা বাকারাহ, ২:১১২)
“কিন্তু যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য আছে জান্নাত যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তারা তাতে চিরকাল থাকবে, এ হল আল্লাহর নিকট হতে আতিথ্য আর আল্লাহর নিকট যা আছে, তা সৎকর্মপরায়ণদের জন্য অতি উত্তম”।(কুরআন, সূরা আল-ইমরান, ৩:১৯৮)
এগুলো হলো সৎকমের জন্য সেই ইচ্ছা শক্তি যে ইচ্ছা শক্তি না থাকলে নিঃস্বার্থভাবে কোনো সৎকাজ বা মানুষের উপকারার্থে কোনো মঙ্গলজনক কাজ কার সম্ভব হয় না। পবিত্র কুরআন কত চমৎকারভাবে শক্তি যোগায় দেখুন, মহান আল্লাহ বললেন সৎকর্মশীল হলে তার কোন ভয়, চিন্তা নেই। তার জন্য সবচেয়ে উত্তম পুরষ্কার রয়েছে। অতি উত্তম পুরষ্কার। কুরআন যেভাবে উপদেশ দেই তাতে করে বিশ্বাসী ব্যক্তি সেচ্ছায় সৎকর্মের জন্য উদ্বুদ্ধ হয়।
©somewhere in net ltd.