নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্ম নিয়ে গবেষনা করি। ধর্মের আবেদন খুজে বের করার চেষ্টা করি।মোঃ আরফীন ইসলাম​[email protected]

আরফীন ইসলাম

ধর্ম নিয়ে গবেষনা করি। ধর্মের আবেদন খুজে বের করার চেষ্টা করি।

আরফীন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে...

২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

কুরআন মানুষের মধ্যে এমন নৈতিক মূল্যবোধ তৈরি করে যা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত কল্যানকর। কুরআনে বিশ্বাসী ব্যক্তি ও অবিশ্বাসী ব্যক্তির মধ্যে কত পার্থক্য একটু লক্ষ্য করুন, বিশ্বাসী ব্যক্তিকে অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতির মাধ্যমে উত্তেজিত করা হলেও সে রাগ নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমা করে দেয় এবং সে মনে একটা আনন্দ অনুভব করে, সুবহানআল্লাহ্। সে ভাবে এর জন্য আল্লাহ্ আমাকে ভালোবাসছেন, এর জন্য আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করবেন এবং বিশাল এক পুরষ্কার দিবেন। আর অবিশ্বাসী, তার মনে ক্ষোভ, ঘৃনা বদমেজাজ ভাব ছাড়া কিছুই থাকে না কারন তার মন গঠনে ব্যপক গলদ রয়েছে। কুরআন দ্বারা তার মন গঠন হয়নি আর কুরআন ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো মতাদর্শ নেই যে একজন মানুষকে এভাবে উপদেশ দিয়ে উত্তম আচরনের অধিকারী করে। কুরআন মানুষকে আচরনের একটা মাপকাঠি ঠিক করে দেয় -

..“এবং যারা স্বীয় পালনকর্তার সন্তুষ্টির জন্যে সবর করে, নামায প্রতিষ্টা করে আর আমি তাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্য ব্যয় করে এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে, তাদের জন্যে রয়েছে পরকালের গৃহ।”
(পবিত্র কুরআন, সূরা রা’দ, অধ্যায় ১৩, আয়াত ২২)

মহান আল্লাহ বললেন আমার সন্তুষ্টির জন্য ধৈর্য্য ধরো, নামায প্রতিষ্ঠা করো, দান করো আর মন্দের বিপরীতে ভালো করে। দেখুন, আয়াতটিতে আল্লাহর প্রতি জাগ্রত বোধ তৈরির পাশাপশি নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। “যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে”। কেউ খারাপ আচরন করেছে তারা তার জবাব মন্দভাবে না দিয়ে উত্তম আচরন করে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে। কুরআনের দাবি হচ্ছে মন্দকে ভালো দ্বারা প্রতিহত করতে হবে আর তা করতে হবে রবের সন্তুষ্টির জন্য বিনিময়ে পাওয়া যাবে পরকালে মহাপুরষ্কার। এভাবে পবিত্র কোরআন আল্লাহর প্রতি বোধ এবং নৈতিক মূল্যবোধকে এক এক সুতোয় গাঁথে। কুরআন দ্বারা গঠিত মনের ব্যক্তি মন্দ বিষয়ের সম্মুখিন হলেও হতাশ না হয়ে ধৈর্যশীল হয় এবং ভালো আচরন দ্বারা মন্দের মোকাবেলা করে আর সে মনে আনন্দ অনূভব করে কারন ঐ যে কুরআন তাকে বলেছে এ কাজের জন্য তার জন্য মহাপুরষ্কার রয়েছে। কি চমৎকার ব্যাপার, দেখুন, অপ্রীতিকর পরিস্থিতির এবং মন্দ বিষয়ের সম্মুখিন হয়েও কুরআন দ্বারা গঠিত মনের ব্যক্তি অন্যরকম আনন্দ অনুভব করে। এজন্যই বোধহয় উস্তাদ নোমান আলি খান একটা লেকচারে বলেছিলো কুরআন হচ্ছে একটা চশমার মত, চশমা পরলে যেমন চারিদিকের রং বদলে যায় ঠিক কুরআনও মানুষের জীবন বদলে দেয়, কোরআনের চোখ দিয়ে দেখলে সব কিছু বদলে যায় জীবন হয়ে ওঠে সুন্দর ও শান্তিময়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.