![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম নিয়ে গবেষনা করি। ধর্মের আবেদন খুজে বের করার চেষ্টা করি।
স্টিফেন হকিংকে CNN এর সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলো – আপনি কি ঈশ্বরে(সৃষ্টিকর্তা) বিশ্বাস করেন? তিনি উত্তর দিয়েছি্লেন – ঈশ্বর থাকলেও থাকতে পারে তবে বিশ্বজগৎ সৃষ্টিতে ঈশ্বরের কোন অবদান নেই।
“ঈশ্বর থাকলেও থাকতে পারে” - একথা তিনি কেন বললেন ?
স্টিফেন হকিং। বর্তমান শ্রদ্ধেয় নাস্তিকদের ঈশ্বর বলা চলে।
তিনি তার বই THE GRAND DESIGN এ বোঝাতে চেয়েছেন – শূন্য থেকে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে কোয়ন্টাম ফ্যাকচুয়েশনের মাধ্যমে। বিজ্ঞান মহলে এটি জাস্ট একটি থিওরি(অনুমান) এবং বিতর্কিত থিওরি। এটি কোনো ফ্যাক্ট বা প্রতিষ্ঠিত সত্য নয়। মজার ব্যাপার হলো আমাদের দেশের মুক্তমনারা এই থিওরির উপর(জাস্ট অনুমান, প্রমাণিত সত্য নয়) বিশ্বাস স্থাপন করে সৃষ্টিকর্তকে অস্বিকার করে থাকে। বিজ্ঞানের থিওরি বদলায় কিন্তু ফ্যাক্ট বদলায় না। তারা বলে কোয়ান্টাম ফ্যাকচুয়েশনের মাধ্যমে এবং পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র অনুসারে শূন্য থেকে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে তাই এখানে সৃস্টিকর্তার কোনো ভূমিকা নেই। আসলে কি তাই ??
স্টিফেন হকিং এর যে থিওরি তা বিতর্কিত এই কারনে যে তিনি বলেছেন শূন্য থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি কোয়ান্টাম ফ্যাকচুয়েশনের মাধ্যমে, তো এই কোয়ান্টাম ফ্যাকচুয়েশনের জন্য প্রয়োজন ছিলো বল, শক্তি(POWER), এই বল, শক্তি(POWER) কোথা থেকে আসলো সেই ব্যাখ্যা স্টিফেন হকিং দিতে পারেনি। আর শূন্য বলতে সেটা কি NOTHING ছিলো, না বস্তুর অনুপস্থিতি ছিলো সেই ব্যাখ্যাও সে দিতে পারে নি। যদি শূন্য বলতে NOTHING হয় তবে সেখানে কিভাবে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র কাজ করবে যখন স্থান, সময় কিছুই ছিলা না ? সেই ব্যাখ্যাও স্টিফেন হকিং দিতে পারেনি।
পবিত্র কুরআন এর সমাধান দিয়েছেন, -
“তিনি গগণ এবং ভূবনকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী । যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদন করতে ইচ্ছা করেন, তখন তার জন্য শুধু ‘হও’ বলেন, আর তাতেই তা হয়ে যায়।”(কুরআন, অধ্যায় ২:১১৭, অনুবাদ- কুরআনুল কারীম, দারুস সালাম)।
কি চমৎকার ! কোনো মানুষ এভাবে বলতে পারে না। অসাধারন।
কুরআনও সেটাই বলছে যে শূন্য থেকেই মহাবিশ্ব সৃষ্টি কিন্তু বিজ্ঞান যেই ব্যাখ্যা দিতে পারে নি(কোয়ান্টাম ফ্যাকচুয়েশনের জন্য প্রয়োজনীয় বল, শক্তি ইত্যাদি) কুরআন সেই ব্যাখ্যা দিয়েছে – “তখন তার জন্য শুধু ‘হও’ বলেন, আর তাতেই তা হয়ে যায়।”
এজন্যই বোধ হয় হকিং বলেছিলেন – “ঈশ্বর থাকলেও থাকতে পারে”।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী যাকে বলা হয় তিনি হচ্ছেন নিউটন, তিনি বলেছেন –“ঈশ্বর সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যা কিছু ঘটছে বা যা কিছু ঘটা সম্ভব তার সবই তিনি জানেন।” (সূত্র- উইকিপিডিয়া এবং তার রচিত বই)
সে আরও বলেছে - ‘‘This most beautiful system of the sun, planets, and comets, could only proceed from the counsel and dominion of an intelligent Being.”
©somewhere in net ltd.