নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্ম নিয়ে গবেষনা করি। ধর্মের আবেদন খুজে বের করার চেষ্টা করি।মোঃ আরফীন ইসলাম​[email protected]

আরফীন ইসলাম

ধর্ম নিয়ে গবেষনা করি। ধর্মের আবেদন খুজে বের করার চেষ্টা করি।

আরফীন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূর্য, পৃথিবী, কক্ষপথ, ধর্ম ও কিছু কথা।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

সূর্য ও পৃথিবী উভই ঘুরছে; সূর্য নিজ অক্ষের চারপাশে ঘুরছে – এইসব তথ্য উদঘাটন করতে বিজ্ঞানের অনেক সময় লেগেছে। বিশেষ করে সূর্যের কক্ষপথের ধারণা করা খুবই কঠিন ছিলো।
দ্বিতীয় শতাব্দির প্রখ্যাত গ্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্লডিয়াস টলেমি বলেছিলেন: পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সূর্যসহ অন্যান্য গ্রহ—নক্ষত্রগুলো আবর্তিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীর কপারনিকাসের আমল পর্যন্ত এ বিশ্বাস প্রচলিত ছিল। কোপারনিকাস সম্পূর্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন - সূর্যের চারিদিকে পৃথিবী ঘোরে বলেই ঋতু পরিবর্তন সম্ভব। আর পৃথিবী তাঁর নিজ অক্ষের উপর আবর্তিত হয় বলেই দিন—রাত্রি হয়।

পিথাগোরাসপন্থীগণ খৃষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, পৃথিবী নিজের চারদিকে ঘোরে এবং গ্রহসকল সূর্যের চারদিকে ঘোরে, সূর্য মহাশূন্যে স্থির হয়ে আছে। প্রাচীন কালের দার্শনিকদের রচনায় বিশ্বজগত সম্পর্কে সত্য ও অসত্য ধারণার মিশ্রণ দেখতে পাওয়া যায়।

এক হাজার চারশ বছর আগে পবিত্র কুরআনে সূর্য ও চন্দ্রের ‘কক্ষপথ’ সম্পর্কে অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি সম্পূর্ন নতুন ধারনা এসেছে এবং তাঁর সঠিক তাৎপর্য কয়েক শতাব্দী পরে আধুনিক বিজ্ঞান ও চিন্তাধারার মাধ্যমে উপলব্ধি করা সম্ভব হয়েছে। পবিত্র কুরআনে এসেছে – পৃথীবি, সূর্য, চন্দ্র প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব কক্ষপথে ঘুরছে। কুরআন আরো এগিয়ে বলেছে যে প্রত্যেকে নিজ শক্তিতে এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘুরবে এবং সূর্য তার একটি নিদিষ্ট স্থানের দিকে ঘুরছে। আধুনিক বিজ্ঞার এসবের প্রত্যেকটি তথ্য দৃঢ়তার সাথে সমর্থন এবং প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে। সূর্য, চন্দ্র পৃথিবী সম্পর্কে এরকম নির্ভুল তথ্য পৃথিবীর অন্য কোনো প্রাচীন গ্রন্থে পাওয়া যায়নি।

কুরআনের পাতায় প্রবেশ করা যাক -
“সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে”(উধৃত আয়াতটিতে ‘ইয়াসবাহুন’ শব্দটি যে তাৎপর্য বহন করে তা হচ্ছে স্বকীয় শক্তিতে চলা)। (কুরআন, ৩৮:৪০)

“তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” (কুরআন,২১:৩৩)

“তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন?” (কুরআন, সূরা লুকমান,অধ্যায় ৩১, আয়াত ২৯)

আধুনিক বিজ্ঞানের মতে আমাদের সূর্য়ের বয়স ৫৫ হাজার কোটি বছর, আনুমানিক ৪৫ হাজার কোটি বছর পর সূর্য আলোহীন হয়ে যেতে পারে। “প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে।”(উপরের আয়াতটি)

“সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।”(কুরআন,৩১:৩৮)।

“তিনি রাত্রি দ্বারা দিবসকে আচ্ছাদিত করেন এবং রাত্রিকে আচ্ছাদিত করেন দিবস দ্বারা।”(কুরআন,৩৯:৫)।

এটা তখনই সম্ভব যখন পৃথিবী গোলাকৃতি বা ডিম্বাকৃতি হবে। তা না হলে হঠাৎ করে সকাল বা রাত্রী হয়ে যেত। আর পৃথিবী তাঁর নিজ অক্ষের উপর আবর্তিত হয় বলেই দিন—রাত্রি হয়।

কি চমৎকার, সাবলীল ভাষায় কত গুরুত্বপূর্ন তথ্য দেয়া হয়েছে ! সত্যিই বিষ্ময়কর। বাণীভঙ্গি একদম ব্যতিক্রম। হৃদয় কেড়ে নেয়। কুরআনের কথাগলো স্বচ্ছ ঝর্নার পানির মত যা হৃদয়কে প্লাবিত করে ঠান্ডা করে দেয়।

বিজ্ঞান প্রমান করেছে সূর্যের নিজ অক্ষের চারপাশে একবার ঘুরতে ২৫ দিন সনময় লাগে। নিজ কেন্দ্রের চারদিকে একবার ঘুরতে জ্যোতির্মন্ডল ও সূর্যের প্রায় ২৫ কোটি বছর সময় লেগে যায় এবং এ ভ্রমণে সূর্যের গতি থাকে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৫০ মাইল। চৌদ্দ শতাব্দী আগে কুরআনে সূর্যের কক্ষপথের গতিবিধি সম্পর্কে যা বলা হয়েছে এটা হচ্ছে সেই জিনিস। আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত তথ্যে এ সত্যই সমর্থিত হয়েছে। সপ্তম শতাব্দীর একজন মানুষ, তা তৎকালে তিনি যতই জ্ঞানবান হয়ে থাকুন না কেন, এ ধারণাটি যে কেমন করে পেলেন তা বোধহয় ব্যাখ্যা করার কোনই উপায় নেই।

ঐশী বাণী হওয়ার জন্য যা যা গুন থাকা প্রয়োজন তার সবকটিই এই কুরআনে আছে, এবং যে কেউ খোলা মনে ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গবেষনা করলে মানতে বাধ্য হবে এটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত কিতাব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.