![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম নিয়ে গবেষনা করি। ধর্মের আবেদন খুজে বের করার চেষ্টা করি।
বিবর্তনবাদীদের কথা হলো প্রকৃতিতে উল্লুক জাতীয় প্রাণী থেকে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়ে মানুষ এসেছে এবং অননান্য প্রাণীরাও এরুপ বিবর্তনের ফসল। কিন্তু কথা হলো যদি এরকম কিছুই হতো তাহলে প্রকৃতিতে অসংখ্য MISSING LINK পাওয়া যেত। MISSING LINK মানে হলো ধীরে ধীরে পরিবর্তন হওয়ার সময় মধ্যবর্তী কোন প্রজাতির সৃষ্টি, অর্থাৎ রুপ কথার সেই অর্ধেক মাছ আর অর্ধেক মানুষ প্রাণীটি। একথা সয়ং বিবর্তনবাদের গুরু চার্লস ডারউইন তার THE ORIGIN OF SPECIES বইয়ে লিখেছেন এভাবে - “যদি বিবর্তন সত্য হয় তা হলে প্রকৃতীতে অসংখ্য মিসিং লিংক থাকার কথা; কিন্তু আমরা পাই না কেন?...”
আধুনিক যুগের অনান্য বিজ্ঞানীরা বলেছেন ধীর প্রক্রিয়ায এভাবে জীব সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়, কারন তা হলে প্রকৃতিতে কোটি কোটি MISSING LINK বা জিবাশ্ম(প্রাচীন কোন প্রাণীর দেহ যা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অক্ষত থাকে) পাওয়া যেত। কিনতু বাস্তবে তা নেই। তারা আরও বলেছেন প্রকৃতে জীব সৃষ্টি হয়েছে হঠাৎ করেই আবার বিলুপ্তও হয়েছে হঠাৎ করে।
পবিত্র কুরআন এ বিষয়ে একদম ডিরেক্ট এবং স্বচ্ছ ঝর্নার পানির মত কথা
বলেছে এবং প্রাণ সুষ্টি বিষয়ে আধুনিক বিজ্ঞান যা বোঝাতে চাচ্ছে সেটাই পরিষ্কার করে দিয়েছে -
“হে মানব,
আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি
এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি,
যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও।”(কুরআন, ৪৯:১৩)।
“তারা কি উটের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে?”
(পবিত্র কুরআন,৮৮:১৭)।
সুবহানাল্লাহ, একজন অবিশ্বাসী থেকে স্রস্টায় বিশ্বাসী হওয়ার জন্য যা যা প্রশ্ন মাথায় আসে বা করা হয়েছে তার প্রত্যেকটি ANSWER কুরআনে দেওয়া হয়েছে এবং বিজ্ঞান ঘুরে ফিরে সেই কথাই বলছে।
সুতরাং যারা বিবর্তনবাদ দিয়ে স্রষ্টাকে অস্বীকার করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে তারা যেন ভালোমত জেনে নেই যে বিবর্তনবাদ নিয়ে EXACT বিজ্ঞান কি বলছে।
©somewhere in net ltd.