নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্তির অনুশীলন করি.....

আরিফ সিদ্দিকি

নিউইয়র্কে থাকি, পড়া লেখা করছি। এখানের বাংলা কমিউনিটি সংবাদ পত্রে কাজ করি।

আরিফ সিদ্দিকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘড়িয়াল সংরণ প্রকল্প

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৮





বাংলাদেশে তিন প্রজাতির কুমির পাওয়া যেত। এর মধ্যে ছিলো ক্রোকোডাইল গণের দু’টি আর ঘড়িয়াল গণের একটি। ইতিমধ্যে মিঠাপানির কুমির বিলুপ্ত হয়ে গেছে। শুধুমাত্র বাগের হাটের খান জাহান আলী মাজারের পুকুরে এর কয়েকটি বেঁচে আছে। ২০০৪ সালে মাদ্রাসের ক্রোকোডাইল ব্যাংক থেকে এই প্রজাতির ৪০টি কুমির আনা হয়েছিল যা দেশের বিভিন্ন চিড়িয়াখানা ও সাফারী পার্কে আছে। দ্বিতীয় প্রজাতিটি লোনা পানির কুমির যা এখন শুধুমাত্র সুন্দরবনে পাওয়া যায়। আবাস্থল ধ্বংস ও মানুষের অত্যাচারের কারণে এদের সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। আর কুমিরের তৃতীয় প্রজাতিটি হল ঘড়িয়াল যা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। ধারনা করা হচ্ছে বাংলাদেশে প্রজননম কোন ঘড়িয়াল প্রকৃতিতে নেই। বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় পদ্মা, যমুনা থেকে ঘড়িয়াল আটকা পড়ার খবর পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রজননম ঘড়িয়াল ও আবাস্থল টিকে আছে কিনা তা জানার জন্য সেন্টার ফর এ্যাডভান্স রিসার্স ইন ন্যাচারাল রিসোর্সেস এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (কারিনাম) ডক্টর এস এম এ রশীদের তত্ত্বাবধানে একটি ঘড়িয়াল সার্ভে প্রকল্প শুরু করেছে। এর অর্থায়ন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিস্থ মোহাম্মাদ বিন জায়েদ প্রজাতি সংরণ ফান্ড (এমবিজেড)।



কারিনাম ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্পিসিস কনজারভেশন, ইকোসিস্টেম ম্যানেজমেন্ট, ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ইমপ্যাক্ট অফ কাইমেট চেঞ্জ অন বায়োডাইভারসিটি এবং রিনেউয়েবল ইনার্জি নিয়ে গবেষণা এই সংস্থার প্রধান কাজ।



বন মন্ত্রালয়ের অনুমতিক্রমে ইতিমধ্যেই কারিনাম পদ্মা ও যমুনাতে ঘড়িয়াল জরিপ শুরু করেছে। স¤প্রতি তারা পদ্মা নদীর চারঘাট থেকে হাকিমপুর, গোদাগাড়ি (ভারতীয় সীমানার কাছাকাছি মহানন্দা নদীর মুখ) এবং যমুনা নদী ফুলছড়ি/গাইবান্ধা থেকে ফাইসার চর (চিলমারী-র উত্তর) জরিপ করেছে। কারিনাম এখন মাঠপর্যায়ে প্রজননম ঘড়িয়াল ও তাদের আবাস্থলের দিকে নজর রাখছে এবং সাধারণ মানুষকে বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় ঘড়িয়াল সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে তা জানানোর জন্য অনুরোধ করছে।



উল্লেখ্য গত ১৩ই নভেম্বর মানিকগঞ্জে একটি ঘড়িয়াল জালে আটকা পড়লে তা স্থানীয় জনগনের সহায়তায় ঢাকা চিড়িয়াখানায় আনা হয়। কারিনামের গবেষকরা ঘড়িয়ালটি পরীা করে। তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪ ইঞ্চি, বয়স প্রায় দেড় বছর, এবং এটি মেয়ে ঘড়িয়াল বলে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা হয়।



ঘড়িয়াল একসময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জলাশয়ে ছিল। এখন ঘড়িয়াল বিলুপ্ত প্রায় জলচরি সরীসৃপ। নদীতে ঘড়িয়াল থাকলেই নদী ভাল আছে এটা বলা যায়। তাই ঘড়িয়ালকে সংরণ আমাদের সকলের দায়িত্ব।



ঘড়িয়াল সম্পর্কিত যে কোন তথ্য আদান প্রদানের জন্য নিচের ঠিকানায় যোগাযোগের অনুরোধ করা হল:



ডক্টর এস,এম,এ, রশীদ,

চীফ ইকজিকিউটিভ, কারিনাম

মোবাইল-০১৭১৭৩১৮৯০৬

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.