![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা এবং লোভীও....
জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের হিংস্র ও আগ্রাসী। পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চাওয়া এবং স্বাধীন থাকতে চাওয়া কিছু অঞ্চল যেমন হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাংকুর, ভূপাল, যোধপুর, জুম্ম-কাশ্মীর, জুনাগড়, ইত্যাদি ভারত কিভাবে দখল করে নেয় সেসব কথা সবাই জানেন। সবশেষে নানা ফন্দি-ফিকির কাহিনী করে ১৯৭৫ সালে দখল করে নেয় স্বাধীন সিকিম। এবার এক ঝলক দেখে নিন ভারতের লুটেরা চেহারা। আমরা অনেকেই জানি না বাংলাদেশে ভারতের এই লুটপাট কি পরিমাণ ছিল।
(১) আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ শেষে প্রায় দুইশো ওয়াগন রেলগাড়ী ভর্তি করে ২৭০০ কোটি টাকার অস্ত্রসস্ত্র লুটের অভিযোগ ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার।
(সূত্রঃ দৈনিক অমৃতবাজার, ১২ মে,১৯৭৪)
(২) শস্য লুটঃ
★ধান-চাল-গম (৭০-৮০ লাখ টন, গড়ে ১০০ টাকা ধরে): ২১৬০ কোটি টাকা। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।
★পাট(৫০ লাখ বেলের উপরে): ৪০০ কোটি টাকা। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার।
★ত্রাণ-সামগ্রী পাচার: ১৫০০ কোটি টাকা। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার।
★যুদ্ধাস্ত্র, ঔষধ, মাছ, গরু, বনজ সম্পদ: ১০০০ কোটি টাকা। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার।
সর্বমোট: ৫০০০ কোটি টাকা যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার।
(সূত্র: জনতার মুখপাত্র, ১ নভেম্বর ১৯৭৫)
(৩) বাংলাদেশের শিল্প কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করে আগরতলায় পাঁচটি নতুন পাটকল স্থাপন! (সূত্রঃ আখতারুল আলম, দু:শাসনের ১৩৩৮ রজনী, পৃষ্ঠা: ১১৫-১১৬)
(৪) যুদ্ধের পর সীমান্তের ১০ মাইল এলাকা ট্রেডের জন্য উম্মুক্ত ঘোষনা। এর ফলে চোরাচালানের মুক্ত এলাকা গড়ে উঠে। পাচার হয়ে যায় দেশের সম্পদ।
( সূত্রঃ আবুল মনসুর আহমদ: আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর, পৃষ্ঠা: ৪৯৮)
(৫) ভারতে বাংলাদেশী জাল টাকা ছেপে এদেশে ছেড়ে দেয়া হত। অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ সে সময় বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, ‘জালনোট আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস করিয়া দিয়াছে’।
(সূত্রঃ আব্দুর রহিম আজাদ: ৭১ এর গণহত্যার নায়ক কে: পৃষ্ঠা: ৫২)
(৬) আমাদের চোখের সামনে চাল-পাট পাচার হয়ে গেছে সীমান্তের ওপারে, আর বাংলার অসহায় মানুষ ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বিশ্বের দ্বারে দ্বারে। (মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম: :দুঃশাসনের ১৩৩৮ রজনী, পৃষ্ঠা: ১১৯-১২৬)
(৭) ১৯৭১ এর অবাঙ্গালীদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তির হরিলুট (সূত্রঃ এম এ মোহায়মেন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগ, পৃষ্ঠা ১৪, ৪৪)
(৮) ফারাক্কা বাধের নামে মরুভূমি করার চক্রান্ত, টাকা বিনিময়ের নামে জাল টাকা ছড়ানো, বর্ডার বানিজ্যের নামে ভারতের বস্তাপঁচা মালের বাজার সৃষ্টি।
(সূত্রঃ আখতারুল আলম, দু:শাসনের ১৩৩৮ রজনী, পৃষ্ঠা: ১১৫-১১৬)
(৯) জয়দেবপুর অর্ডিনেন্স ফ্যাক্টরী থেকে অস্ত্র নির্মানের কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ভারতে স্থানান্তরিত হয়। (অলি আহাদ: জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ‘৭৫, পৃ:৫২৮-৫৩১)
(১০) “ঢাকায় এতসব বিদেশী জিনিস পাওয়া যায়! এসব তো আগে দেখেনি ভারতীয়রা। রেফ্রিজারেটর, টিভি, টু-ইন-ওয়ান, কার্পেট, টিনের খাবার-এইসব ভর্তি হতে লাগলো ভারতীয় সৈন্যদের ট্রাকে।”— সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, পূর্ব-পশ্চিম, পৃ: ৯২৩
৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ভারত দ্বারা লুট করে নিয়ে যাওয়া এই সম্পদ রক্ষা করতে যেয়েই, অস্ত্র জমা না দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ বিদ্রোহ করেছিল, তার ফলাফল বলা হয় প্রায় ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা নিহত বা গুম হয়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের এই অবদান ওই অবদানের জবাবে তাঁদের লুটপাটের এই সকল তথ্য সাথে রাখুন। তাঁদের অবদান আমরা অস্বীকার করি না কিন্তু এর অর্থ আজীবন দাসত্ব বা চিরকৃতজ্ঞতা নয়। চিরন্তন কৃতজ্ঞতাবোধ বলে কোথাও কিছু নেই।
এখানে অপ্রাসঙ্গিক হলেও উল্লেখ করছি, অখন্ড ভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা জওহরলাল নেহেরু তার ইন্ডিয়া ডকট্রিনে বলেছেন- ভারত অবশ্যই এ এলাকায় তার প্রভুত্বের বিস্তার ঘটাবে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক আধিপত্য সৃষ্টি করবে। ছোট রাষ্ট্রগুলির বিলোপ অথবা সর্বনাশ ঘটানো হবে। এগুলো রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন থাকবে না, তবে সাংস্কৃতিকভাবে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে থাকতে পারে। ভারতীয় শাসকদের আদর্শের সাথে হুবুহু মিল আছে -ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের।
ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন, ভারতের কাশ্মির, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবংগ যা ঘটছে একদিন প্রমাণিত হবে এইসব গভর্নমেন্ট এর ফুল নলেজেই হয়েছিলো। ইজরায়েলে তাই প্রমাণও হয়ে গেছে অলরেডি। ভারতে বহুদিন থেকে চলমান মুসলিম নির্যাতন ও নিধন তরান্বিত করতে পহেলগাম ঘটনার চাইতে সুবিজনক এক্সকিউজ হয়না। কেউ যদি মনে করেন মোদি নেতানিয়াহুর চাইতে কোন অংশে কম করবে, ভুল করছেন। গ্রাউন্ড লেভেলে সে বহুদিন ধরেই খেলছে। মুসলিমদের ওপর নীরব নির্যাতন ও খুন খারাপি চলছে বহুদিন যাবত। ইজরায়েল অনলি ইহুদি রাষ্ট্র চায় এবং পলিটিক্যালি মধ্যপ্রাচ্যোর পুরো নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে চায়। ভারত এই উপমহাদেশে নিয়ন্ত্রণ চায় এবং অনলি হিন্দু রাষ্ট্র চায়। মুসলিম নিধন তাদের জনণের (এট লার্জ) সমর্থন ও মতামতেই হয়। গুটিকয়েক মানুষ হিন্দু বা জিউস সেখানে ম্যাটার করেনা। তাদের মাস পপুলেশনের স্বপ্নই জন্ম দিয়েছে মোদি আর নেতানিয়াহুর। নেতানিয়াহুবাহিনী বোমায় ধ্বংস করছে, ভারত দেশের অভ্যন্তরে সেটা সহজে করতে পারছেনা, মোদিবাহিনী গ্রাউন্ডে মুসলিম নিধন চালাচ্ছে।
পার্থক্য এটাই।
এবার গাজার মুসলিমদের ধর্মের নামে সবচে ভয়াবহ জেনোসাইডের মধ্য দিয়ে একপ্রকার মুছে ফেলেছে ইসরায়েল, কিছু করেনি কেউ। এতোদিন আরো আগ্রহ নিয়ে প্রত্যক্ষ করেছে ভারত (এবং এতে তারা সাহায্যও করেছে)। এখন একই সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে। এদের চিরদিনের ইচ্ছা ভারতবর্ষ শাসন করার। মোদি বুচার ক্ষমতায় আসার পর- দে আর ডুয়িং এভরিথিং ইন দেয়ার পাওয়ার টু এচিভ দ্য গোল, বহুদিনের গোল। আরো আগেই হতো, রেশিয়ালি পশ্চিমারা এদের লো প্রোফাইলে রাখায় এরা ফুল স্কেল জেনোসাইডে যেতে পারেনি। কিন্তু এখন এরা জানে যে কেউ কিছুই বলবেনা। হিন্দুস্তানে নির্দ্বিধায় আবারো রক্তবন্যা শুরু হবার দ্বারপ্রান্তে। ভারত মুসলিম জেনোসাইড। জানিনা ঠিক কতদূর বিস্তৃত হবে হত্যাযজ্ঞ, বাট দে’ল ট্রাই দেয়ার বেস্ট ফর শিওর।
যার সর্বশেষ উদাহরণঃ
ভারতে বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, মুম্বাইয়ে জৈন মন্দির ভাঙার বিরুদ্ধে আন্দোলন, চরম বেকারত্ব, দারিদ্র্যতা, ব্যর্থ বিদেশনীতি, ওষুধ পেট্রল ডিজেলসহ সব নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি এসব সামলানোর জন্য সবচেয়ে বড় কূটবুদ্ধি হলো হিন্দু মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গা ফ্যাসাদ লাগিয়ে দেওয়া! এতে সহজেই মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরে যাবে, সবাই দাঙ্গা ফ্যাসাদ নিয়ে ব্যাস্ত থাকবে! আর উপমহাদেশের একশ্রেণির মানুষরা বুঝে হোক আর না বুঝে হোক ধর্মীয় দাঙ্গা ফ্যাসাদে জড়িয়ে যেতে একমুহূর্তেও দেরি করেনা। মোদি, অমিত শাহ'র মত সাক্ষাৎ শয়তানরা এই সুযোগটাই খুব ভালোভাবে কাজে লাগায়! সেজন্যই মনে হয় কাশ্মীরে জঙ্গি নাটক সাজানো হয়েছে। সেখানে টুরিস্ট ও স্থানীয় মানুষসহ প্রায় ২৬ জনকে এই নাটকে বলি দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টানও ছিলো।
মোদি সরকার কাশ্মিরের পেহেলগাম ইস্যুতে ভারত পাকিস্তানের সাথে ১৯৬০ সালের 'সিন্ধু নদীর পানিবন্টন চুক্তি' স্থগিত করেছে। ভারত পাকিস্তানের সাথে ওয়াঘা-আটারি এবং অমৃতসর-লাহোর সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারত ইসলামাবাদ থেকে সমস্ত কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে এবং সমস্ত পাকিস্তানি কূটনীতিকদের নয়াদিল্লি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ, যেকোনো মুহূর্তে দুদেশের যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।
ফিরে আসি স্বদেশ ভূমে। বাংলাদেশ ভারতের আগ্রাসনে ক্ষতবিক্ষত একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হলেও এমন কোনো দিক নেই, যেদিকে ভারত বাংলাদেশের উপর আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ না করেছে। এ জন্য আমাদের নষ্ট ভ্রষ্ট রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতালিপ্সু মনোভাবও দায়ি। দেশে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক সরকার না থাকায় ভারত বিভিন্ন ইস্যুতে জোর ধাক্কার উপর আছে।
প্রেডিকশনঃ -
★ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশকে আবারও জংগী রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে।
★ বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত সংঘাত বেড়ে যাবে।
★ মোদি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বৃদ্ধি করবে।
★ ফ্যাসিবাদের দোসরদের মাধ্যমে দেশজুড়ে গুপ্তহত্যা, নাশকতা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।
★ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যার্থ করতে সর্বস্তরে প্রশাসনিক অসহযোগিতা এবং আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আরও ভয়াবহ হবে।
★ আরাকানে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া প্রক্সি যুদ্ধ হবে।
★ পুর্ব তিমুর এর মত স্বাধীন খ্রিস্টান রাষ্ট্র সৃষ্টি করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে।
★ পাকিস্তানকে যুদ্ধের দিকে নিতে চাইবে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: এইটুকু বুঝ অন্তত আপনার কাছে আশা করেছিলাম- বাংলাদেশের মাথা ব্যাথার কারণগুলোই তো তুলে ধরেছি। এর মধ্যে কোনটা প্রকারান্তরে প্রত্যক্ষ কিম্বা পরোক্ষভাবে চলমান নাই। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সমস্যা ছাড়াও গোটা বাংলাদেশের বিপক্ষে যত অপকর্ম সবকিছুর পেছনেই আছে প্রতিবেশী দেশ ভারত।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
ভারত শুধু হিংস্র ও আগ্রাসী নয়, লোভী ও সাম্রাজ্যবাদীও! - যথার্থ বলেছেন।
স্বাধীনতার সময় থেকেই যে ‘বন্ধু’র মুখোশ পরা প্রতিবেশী আমাদের সম্পদ, স্বার্বভৌমত্ব ও সংস্কৃতির উপর হঠাৎ নয়, পরিকল্পিত আগ্রাসন চালিয়ে আসছে—তার কিছু ভয়ঙ্কর দলিল এখানে তুলে ধরা হয়েছে যা পড়লে পরিষ্কার হয়ে ওঠে, কেন কৃতজ্ঞতা চিরন্তন নয়, আর কেন ভারতের সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনা এখনই চিহ্নিত করা দরকার।
বাংলাদেশে ভারতের লুটপাটের হিসাব, ৭১-এর পরের ইতিহাস, কাশ্মীর-গাজা-আরাকান—সব মিলিয়ে এক স্পষ্ট চিত্র। সাম্রাজ্যবাদী এই প্রতিবেশীর বিষয়ে ভাববার এবং চোখ খুলে সতর্ক হওয়ার এখনই সময়।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: চিটাগাং সমস্যা কেন কাশ্মীরের সাথে রিলেটেড তাই বুঝতে পারছি না। একটা সমস্যা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে। অন্য সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। ভারত কেবল জংগীবাদের ধুয়ো তুলতে পারে । আর কোন ট্রিকস কাজে লাগবে না।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার দূরদৃষ্টি ক্ষীণতর, আপনি বুঝবেন না। আপনি যেখানে যা পাবেন তাই কপি পেস্ট করতে থাকেন।
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫০
Sulaiman hossain বলেছেন: আপনার দূরদৃষ্টি পূর্ণ গবেষনার সঙ্গে আমি একমত।বড় ধরনেে যুদ্ধের দার প্রান্তে রয়েছে ভারত,পাকিস্তান,বাংলাদেশ।যুদ্ধ লাগলে নারীশিশুদেরকে নিয়ে আমি বেশি চিন্তিত, কারন মুসলিমরা যুদ্ধ লাগলে ইচ্ছা করে কখোনো নারীশিশুদেরকে হত্যা করবেনা শরীয়তের নিষেধাজ্ঞার কারনে।কিন্তু অমুসলিম ইহুদির বাচ্চারাতো নারীশিশুদেরকেো ছাড়েনা,যেন ওদের যুদ্ধ নারীশিশুদের সাথেই।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: বড়ো ধরনের যুদ্ধ বাঁধার সম্ভাবনা নাই। মনে রাখতে হবে, যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের চাইতেও স্নায়ু যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি সুদূর প্রসারি।
"মুসলিমরা যুদ্ধ লাগলে ইচ্ছা করে কখোনো নারীশিশুদেরকে হত্যা করবেনা শরীয়তের নিষেধাজ্ঞার কারনে।কিন্তু অমুসলিম ইহুদির বাচ্চারাতো নারীশিশুদেরকেো ছাড়েনা, যেন ওদের যুদ্ধ নারীশিশুদের সাথেই"- আপনার এই বক্তব্যের সাথে একমত।
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: @sulaiman hossain, কোথাও যুদ্ধ হবে না। ভারত-পাকিস্তান দুইটার পারমাণবিক আছে। এরকম দুইটা দেশ কোনোদিন লাগবে না। বাংলাদেশ একটা নির্ভেজাল দেশ। বর্ডারের সমস্যা বাদে আর কোনো সমস্যা নেই। এসব বিষয় নিয়ে যুদ্ধ হয় না।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: ভারত পাকিস্তান হয়তো ব্যাপকভাবে যুদ্ধ হবে না, তবে সংঘাত হবে- সার্জিক্যাল স্ট্রাইক টাইপের। আর বাংলাদেশ নির্ভেজাল দেশ বলেই ইন্ডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে খেলছে।
৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৯
Sulaiman hossain বলেছেন: কোনোকালেই মুসলমানরা কাফেরদের থেকে বেশি ছিলনা, সংখ্যায়, অস্ত্রে শস্ত্রে,এবং গোলাবারুদে।তারপরেও মুসলমানরা বিজয়ী হয়েছিলো, তাদের রুহানি শক্তি এবং মৃত্যুকে সাদরে আলিঙ্গন করার মাধ্যমে। কিন্তু একালে অদিকাংশ মুসলমানরাই হারামখোর,যেকারনে তাদের রুহানি কোনো শক্তি নেই,আবার মৃত্যু কেও আলিঙ্গন করতে রাজি নয়।মুসলমান আছে সুধু আজকাল নামে,কামের মুসলমান সংখ্যায় খুবই কম। মুসলমানরাযদি বিজয়ী হতে চায় তাহলে তাদের নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে হবে-
১।।যতপ্রকারের হারাম আছে সব ছেড়ে দিতে হবে (মুফতি তাকি উসমানী দা.বা. এই শর্তটিই দিয়েছেন)
আজকে কিকি জিনিস হারাম তাও আমরা মুসলমানরা জানিনা।বেগানা নারীদের দিকে তাকানো সম্পূর্ণ হারাম,তারপরও আমরা নারীদের দিকে তাকাই এবং অবৈধ মজানেই।আবার মুসলমানরা পরাজিত হলে চিল্লাতে থাকি কেন পরাজিত হল!!!
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির পেছনে যত টাকা, সময়, শ্রম, প্রযুক্তি ইহুদী খৃষ্টান হিন্দু চক্র ব্যয় করে তার কিয়দাংশ যদি শিক্ষার পেছনে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ব্যয় করতো তাহলে এমন দুরাবস্থার সম্মুখীন হতে হতো না।
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মেনে নিলাম কপি পোস্ট দেই, ক্ষীণদৃষ্টি আমার কিন্তু পোস্ট সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করলে উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়া কি উচিত? কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশের কিছুই হবে না। আপনারা জোর করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেও না।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি পোস্ট সংক্রান্ত মন্তব্য বা প্রশ্ন করেননি। আপনি মন্তব্য করেছেন আপনার অসুস্থ মানসিক দৃষ্টিতে....
কাশ্মির ইস্যুতে আমাদের দেশে কোন অরাজকতা সৃষ্টি না হোক সেটা আমারও প্রত্যাশা। আমি স্পষ্টতই 'আমার প্রেডিকশন' বলেছি।
৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২১
Sulaiman hossain বলেছেন: সৈয়দ কুতুব ভাই,আপনি শান্তি প্রিয় মানুষ,অমুসলিমরা কখোনো চায়না মুসলমানরা শান্তিতে থাকুক,তারা মুসলমানদের কে গোলাম বানিয়ে রাখতে চায়।আমিও যুদ্ধ বিগ্রহ চাইনা,আমিও শান্তিপ্রিয় মানুষ
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: সৈয়দ কুতুব সাহেবকে বলে কোনো লাভ নাই, উনি ওনার মাইন্ডসেট দৃষ্টির বাইরে কিছু ভাবতে পারবেন না।
৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি বেশ কয়েকদিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিল view this link । অনেক কিছুই এখন মিলে যাচ্ছে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা, পদাতিক সাহেবের লেখাটি পড়লাম। ওনার দৃষ্টি স্বচ্ছ। খোদ ইন্ডিয়ান অনেক বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং ঘটনার আহত প্রত্যক্ষদর্শীরা ইতোমধ্যে সত্য প্রকাশ করে মোদি সরকারের বিরাগভাজন হয়েছেন।
১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: রাষ্ট্র আর কি জংগী হবে,মানুষগুলো জংগী হবে।সেই পথে আমরা অনেক দুর অগ্রসর হয়েছে।উন্নত বিশ্ব তাই মনে করছে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: উন্নত বিশ্ব হয়েছে আর্থিক কারণে, সভ্যতায় নয়। যার প্রমাণ খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: ভারতের সাম্রাজ্যবাদী হবার সুযোগ নাই।সেই পরিমান শক্তি ভারতের নাই।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: মালদ্বীপ, মরিশাস, শৃলংকা, ভুটান, নেপাল ইতোমধ্যে করায়ত্ত করেছে। ওরা উপমহাদেশে মোড়ল হতে চায়।
১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:০৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আশা করছি সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা ইন্ডিয়ার চোখে চোখ রেখে কথা বলবো।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া তেমনটা সকল দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীর চাওয়া।
১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৭
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: পাকিস্তানের সাথে ফুল স্কেলে ভারত যুদ্ধ করুক, তাতে আমাদের কি?
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ওই দুটো দেশ ধ্বংস হয়ে গেলেও আমাদের কিছু যায় আসবে না। কিন্তু "রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়া ধ্বংস হয়ে যায়"- প্রবাদটা ভুলে যাবেননা।
১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৩০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ভারত সাম্রাজ্যবাদী এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারত বাংলাদেশে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে আর কিছুদিন আগ পর্যন্তও তা করেছে অত্যন্ত সুচতুরভাবে। বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত একটু বেশীই স্পর্শকাতর মূলত ভৌগোলিক কারণে। অন্যভাবে বলতে গেলে বাংলাদেশে ভারতপন্থী প্রশাসন না থাকা মানেই ভারতের মাথা ব্যাথার শুরু। তদুপরি অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশী নেটিজেনরা কেন "পাকিস্তান জিন্দাবাদ" বলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করছে তা আমার বোধগম্য নয়। একটা বিষয়ে আমাদের পরিষ্কার ধারনা থাকা প্রয়োজন, যেমন ভারত বিরোধী হওয়া মানেই যেন পাকিস্তানপন্থী হওয়া না হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সাথে অতি মাত্রার দহরম-মহরম-কেও আমি ইতিবাচক কিছু বলে মনে করি না। সবার সাথেই সম্পর্ক থাকুক তাতে সমস্যা নেই কিন্তু বেশী মাখামাখি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক কিছু বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি না। লিখার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মানুষ মারা গেল ভারতের। ধরে নিলাম মোদি সরকার সবার দৃষ্টি সরাতে এমন কাজ করিয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের । বাংলাদেশের এইটা নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন? এই দুই দেশ মারামারি করে ধ্বংস হয়ে যাক আমাদের কি আসে যায়? আরাকানে কেন বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়াবে ভারতের সাথে? উলটো দেখলাম আরাকান আর্মি ইন্টেরিম সরকারের আমলে বাংলাদেশের দশ কি:মি ভিতরে প্রবেশ করে জলকেলি খেলে গেছে। আরাকান আর্মির কিছু বক্তব্য নিয়ে স্থানীয়রা নাখোশ। এই ঘটনা এমন এক সময় ঘটলো যখন জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশ কে রাখাইন রাজ্যের জন্য করিডোর দিতে বলছেন। ভারত আমাদের রাজনীতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছে ঠিক আছে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাধলে বা কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের দিক থেকে কোন চাপ নেই শুধুমাত্র চরমপন্থী সমস্যা ছাড়া।