নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের জন্য একজন নেতা চাই

মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন

সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন

মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিল্লীর কায়দায় ধর্ষণ : বাংলাদেশ কি আরেকবার গর্জে উঠবে ? লিঙ্গ কেটে দেয়া হোক

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৫

এবারে দিল্লীর কায়দায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জে ধর্ষণ ঘটনা ঘটেছে। মানিকগঞ্জের মানরা এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে চলন্ত বাসে এক যাত্রীকে ওই বাসের চালক ও হেলপার ধর্ষণ করে সড়কের পাশে ফেলে দিয়েছে। ধর্ষিতা ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সেখান থেকে তিনি গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে বাসে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হন।

এ ধর্ষিতা মেয়েটি দিল্লীর মেয়েটি মতো মেডিকেল ছাত্রী বা হয়বা সুন্দরীও নই। এটা নিশ্চিত কোন গরীব ঘরের মেয়ে।

এখন প্রশ্ন হচ্চে- বাংলাদেশে কি ইনডিয়ার মতো ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে ? হবে বলে মনে হচ্ছে না।

দিল্লীতে তরুণী ধষর্ণের ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশেও একটার পর একটা ঘটনা ঘটে চলেছে। এ নিয়ে কিছু আন্দোলন হলেও তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। কারণ বাংলাদেশের মানুষের কোমরের জোর কমে গেছে। সরকার-বিরোধী দল, মানবাধিকার সংগঠন থেকে শুরু করে সব শ্রেণী সুবিধাবাধী। সবাই পুজিবাদী। সাধারণ মানুষকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নেই।

আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, ধষর্ণের ঘটনা একটার সঙ্গে আরেকটার অনেক মিল রয়েছে। যেমন দিল্লীর সঙ্গে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের মিল। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের ঘটনাগুলোর বিশ্লেষণ করলে একটির সঙ্গে আরেকটি মিল খুজেঁ পাওয়া যাবে।

এ প্রসংঙ্গে মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক মেহতাব খানমের একটি কথা মনে পড়ে যায়, রাজধানীতে শিশু সামিউল মা ও প্রেমেকের হাতে খুন হওয়ার ঘটনার পর বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। পরে মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশের জন্য আমি মেহতাব খানমের মন্তব্য জানতে চেয়েছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, এ গুলো লিখে কি আপনারা সামাজিক ব্যাধী বন্ধ করতে পারবেন? মিডিয়ার প্রকাশের কারণে একটি ঘটনা ঘটলে একই কায়দা আরো বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। এটা একধরণের সামাজিক ফোবিয়া। এটা বন্ধ করতে হলে জনসাধারণের মধ্যে জাগরণ ঘটাতে হবে। সেটা নিয়ে আমরা বা মিডিয়া কথা বলতে পারে। এরপর থেকে সমাজের অনেক ঘটনা মেহতাব খানমের বক্তব্যের সঙ্গে মিল পেয়েছি।



এখন ফিরে আসি, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের ধর্ষণের ঘটনা প্রসংগে- সাংবাদিকদের দেয়া তথ্যমতে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল এএসপি কামরুল ইসলাম জানান, ওই গার্মেন্টস কর্মী গ্রামের বাড়ি যেতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাভারের নবীনগর থেকে মানিকগঞ্জগামী শুভযাত্রা পরিবহনের একটি লোকাল বাসে উঠে। বাসটি মানিকগঞ্জের কাছাকাছি এসে বিকল হয়ে পড়লে সকল যাত্রী নেমে যায়। ওই নারী হেলপারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে খুচরা টাকা নেই বলে হেলপার তাকে অপেক্ষায় রাখে। কিছুক্ষণ পর বাসটি সচল হয়েছে বলে ওই নারী যাত্রীকে বাসে উঠতে বলে। সে সিটে গিয়ে বসলে বাসটি ধীর গতিতে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

কিছুদুর এসে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই স্থানে পৌঁছে হেলপার বাসটি চালাতে থাকে আর চালক দিপু মিয়া ওই নারীকে বাসের পিছনের সিটে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

বাসের জানালা দিয়ে রাস্তার পাশ থেকে হান্নান মিয়া নামে এক হকার (বাদাম বিক্রেতা) এ দৃশ্য দেখে অন্য একটি বাসে উঠে পিছু নেয়।

বাসটি মানরা এলাকায় পৌঁছলে চলন্ত বাস থেকে ওই নারীকে ফেলে দেয়া হয়। এরপর ওই হকার তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এনে পুলিশে খবর দেয়।

পরে ধর্ষণের অভিযোগে চালক মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গুড়কী গ্রামের আতরাফ হোসেনের ছেলে দিপু মিয়া (৩০) ও হেলপার ধোলাপাড়া গ্রামের দিদু মিয়ার পুত্র আবুল কাশেমকে (২৮) গ্রেফতার করে পুলিশ।

ধর্ষিতা ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সেখান থেকে তিনি গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে বাসে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হন।

বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ফলে সব মহল থেকে ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাসিঁর দাবী উঠেছে। আমি এ দাবীর পক্ষে না। কারণ মানুষ মরে কে কয়দিন মনে রাখে। আমার দাবী ধর্ষকদের পুরুষ লিঙ্গ কেটে দেয়া হোক। যাতে বাকী জীবন সবাই জানে ধর্ষণ করার ফলে তার লিঙ্গ কেটে দেয়া হয়েছে। এতে ধর্ষক মৃত্যদন্ড থেকে বেশি শাস্তি পাবে। কারণ সে জীবিত থেকেও মৃত।





মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৫

এরশাদ শিকদার বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধর্ষকের পুরুষ অঙ্গ কেটে দেয়া হোক।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫৭

মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন বলেছেন: ধর্ষকের আসল অস্ত্রতো তার কয়েক ইঞ্চি লম্বা চামড়ার জিনিসটা। এটার জ্বালায় সে পশুর মতো একটা নারীর উপর হামলে পড়ে।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৭

কালো চশমা বলেছেন: দিল্লীতে তরুণী ধষর্ণের ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশেও একটার পর একটা ঘটনা ঘটে চলেছে। এ নিয়ে কিছু আন্দোলন হলেও তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। কারণ বাংলাদেশের মানুষের কোমরের জোর কমে গেছে। সরকার-বিরোধী দল, মানবাধিকার সংগঠন থেকে শুরু করে সব শ্রেণী সুবিধাবাধী। সবাই পুজিবাদী। সাধারণ মানুষকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নেই।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫৯

মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন বলেছেন: বাংলাদেশ আর ইনডিয়ার তরুনীর মধ্যে পার্থক্য শুধু ইনডিয়ার তরুণীটি ডাক্তার ছিল, বাংলাদেশের তরুণীটি গার্মেন্টস কর্মী।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৯

নতুন বলেছেন: কারণ মানুষ মরে কে কয়দিন মনে রাখে। আমার দাবী ধর্ষকদের পুরুষ লিঙ্গ কেটে দেয়া হোক। যাতে বাকী জীবন সবাই জানে ধর্ষণ করার ফলে তার লিঙ্গ কেটে দেয়া হয়েছে। এতে ধর্ষক মৃত্যদন্ড থেকে বেশি শাস্তি পাবে। কারণ সে জীবিত থেকেও মৃত।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০৮

মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন বলেছেন: একজন ধর্ষক যখন ধর্ষণ করে তখন তার ভিতর স্বাভাবিক অবস্থা কাজ করেনা। ধর্ষণের পরেই ধর্ষকের ভিতরে অপরাধবোধ জন্ম নেয়। অধিকাংশ সে নিজেই তার নিজের দোষের জন্য অনুতপ্ত থাকে। এ অবস্থায় তার মৃত্যদন্ডকে স্বাভাবিক শাস্তি হিসেবে মেনে নিতে আপত্বি থাকেনা। তাই আমি মনে তাকে জীবিত রেখে তার কয়েক ইঞ্চি পরিমান চামড়ার জিনিসটি সার্জারি করে দিয়ে আজীবন শাস্তি দেয়া উচিত, যাতে মানুষ দেখলে বলতে পারে এই সে, যে একটা নারীকে ধর্ষণ করার অপরাধে তার মেশিন কেটে দেয়া হয়েছে।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৭

অপু ওপি বলেছেন: ফাঁসি হক

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১০

মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন বলেছেন: ফাসিঁ দিয়ে লাভ কি। ধর্ষকতো নিজেই তার ফাঁসি কামনা করে। ধর্ষক আজীবন শাস্তি দিতে হবে।

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১১

আমি নষ্ট কবি বলেছেন: penis kete deya hok

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১০

মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন বলেছেন: সমর্থ করার জন্য ধন্যবাদ

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্ষকের আসল অস্ত্রতো তার কয়েক ইঞ্চি লম্বা চামড়ার জিনিসটা। এটার জ্বালায় সে পশুর মতো একটা নারীর উপর হামলে পড়ে।
:-P :-P :-P =p~ =p~
শহমত

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন বলেছেন: এটা মৃত্যুদন্ডের চেয়ে বেশী কার্যকরী হবে আমি মনে করি।

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

দানবিক রাক্ষস বলেছেন: ভাই আপনি যে শাস্তির কথা বলেছে সেটা ইসলামিক আইনের শাস্তি, তাই তো আমি বলেছি " দেশে ইসলামিক বা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এবং ধর্মভিত্তিক আইন বাস্তবায়নের পক্ষে আমি কখনই ছিলাম না তবে আজ মনে হচ্ছে এবং গভির ভাবে মনে হচ্ছে দেশে ইসলামিক আইন জারি হোক, দেশে সবাই ঈমান নিয়ে চলুক এবং প্রতিটি অপরাধীকে দেয়াহক সর্বচ্চো শাস্তি, দেশে থাকবে না কোনো ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্রদল অথবা শিবির, দেশে থাকবে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা। "

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন বলেছেন: ইসলাম ধর্মে কি আছে আমি স্পষ্ট নই। তবে ধর্ষকের অস্ত্রটা কেটে দিলে সব ল্যাটা চুকে গা।

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: খুবই দঃখজনক একটা ঘটনা, এসব ঘটনা কবে যে বন্ধ হবে!!!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন বলেছেন: এজন্য কঠিন শাস্তি কার্যকর করা দরকার।

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

প্রদীপ্ত প্রদীপ বলেছেন: আপনার প্রস্থাবে পূর্নসমর্থন জ্ঞাপন করছি...

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

মুহাম্মদ আরীফ হোসাইন বলেছেন: আসুন আমরা সবাই এ দাবীতে সোচ্চার হই।

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

র্িমশন বলেছেন: কেটে দেয়া হোক

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০০

শাহেদ সাইদ বলেছেন: বাংলাদেশের পড়ালেখা জানা মানুষ কম বেশি স্বার্থপর। লেখা পড়া না জান অন্ত্যজ মানুষ গুরুত্ব হীন। আইন শৃংখলার লোকেরা চাকরীবাজ আর সরকার মতপ্লববাজ মন্ত্রকদের কব্জায়। তবে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে। জনতা ভীত হয়ে পড়ছে। আত্ম বিশ্বাস হীনু ভীতু মানুষের চেয়ে ভয়ংকর ক্কিছু নেই। বাঁচার জন্যে তাঁরা সব কিছু করতে পারে।

১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭

মদন বলেছেন: বাংলাদেশে আন্দোলন হয় ব্লগে আর ফেসবুকে। বিশাল আন্দোলন করা যায়। কোনো কষ্ট নাই। খালি একটু কষ্ট করে টাইপ করা। যেমন আমি করলাম।

১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৭

ত্রিভুবন বলেছেন: পেনিস কেতে দিলে জান নিয়ে টান পড়ব..তাকে রজম করানোই উত্তম।পরেরদিন পত্রিকায় তার রক্তাত্ত-পিষে যাওয়া দেহ দেখে অন্তত ১০ জন ধর্ষণে ইচ্ছুক নিজেকে সাবধান করে নেবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.