নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবকিছু .কম

মোঃ আরিফ উদ্দিন

আমি খুব সাধারণ মানের একটি ছেলে। আমার নিজেকে ঘিরেই এখন আমার জীবন। আমার চাওয়া-পাওয়ার হিসাবটা একটু অন্যরকম। জীবনে অনেক চাওয়ার স্বাদ থাকলেও পাওয়ার স্বাদটা তেমন উপভোগ করতে পারলাম না। তবে এখন ভাল আছি, বেচে আছি, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।

মোঃ আরিফ উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মা...

১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:০৯

“মা” শব্দটা খুব মধুর হলেও একজন মা-এর কষ্ট আমরা কখনও বুঝতে পারি না। আসলে আমার পক্ষে কখনও তা বোঝা সম্ভব না। কিন্তু কিছুদিন আগে দেখে আসলাম একজন মা কিভাবে তার সন্তানকে আগলে রাখেন।



আমি গত বুধবার আমার এক ছোট ভাই আবিদ এর অফিস Apex Pharmaceuticals কিছু কাজ দেখতে এবং ওকে কিছু সমস্যা কিভাবে সমাধান করবে তা দেখাতে যাই। কাজ করার এক পর্যায়ে আমি ওদের এইচ আর রুমে যাই। সেখানে কাজ করার সময় আবিদ আমাকে বলে এই রুমে খুব আস্তে কথা বলতে হয়, তা না হলে স্যারের সমস্যা হতে পারে। আমি এই কথা অর্থ জানতে চাইলে ও আমাকে যা বলে তাতে আমি কিছুটা অবাক হয়ে যাই। দেখতে পাই একজন মা কিভাবে তার সন্তানকে আগলে রেখেছেন।











ম্যাডাম ওখানে এ্যাডমিন অফিসার হিসেবে আছেন। তার সন্তানকে তিনি তার সাথে অফিসে নিয়ে যান। সেখানে তার সন্তানকে রাখার তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকায় তার সিটের পাশে ফ্লোরে বিছানা করে সন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছেন। তবুও তার সন্তানকে চোখের আড়াল হতে দেননি। অফিসের কাজের ফাকে ম্যাডাম তার সন্তানকে দেখাশোনা করেন। রুমের মাঝে সবাই খুব আস্তে কথা বলে এবং চেষ্ট করে শব্দ না করার জন্য। মা হওয়া হতেও মার্তৃত্ব অনেক অনেক কঠিন একটা বিষয়।



ম্যাডাম এর সন্তান এর প্রতি রইল অফুরন্ত ভালবাসা, ম্যাডামের কষ্টের প্রতি রইল সমবেদনা, একদিন এই সন্তানের মুখে মা ডাক শুনে তিনি তার সকল কষ্ট ভুলে যাবেন, তার সন্তানের জন্য তার ভালবাসের প্রতি রইল অকৃত্রিম শ্রদ্ধা, তার সকল সহকর্মীদের সহযোগীতার প্রতি রইল অসংখ্য ধন্যবাদ যারা এই রুমে নিরবতা পালন করে ম্যাডামকে তার সন্তানকে দেখাভালের সুযোগ করে দিয়েছেন, হয়তো এই সনযোগীতা না পেলে ম্যাডাম তার সন্তাকে এইভাবে অফিসে আগলে রাখতে পারতেন না।



সবশেষে আমার মায়ের জন্য আল্লাহর কাছে একটাই আবেদন এবং দোয়া যেন আল্লাহ তাকে বেহেস্ত দান করেন । আমার ১৯৯৫ সালের ৬ই মার্চ আমাদেরকে ছেড়ে চিরতরে চলে গেছেন। আমি আমার মায়ের জন্য, মায়ের ভালবাসার জন্য সবসময় শুন্যতা অনুভব করি।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:১৫

জোবায়ের বিন ইসলাম বলেছেন: খুবই সুন্দর একটা পোষ্ট। তবে সেকেন্ড পিকচার টা টপিক পিকচার হিসেবে দিলে বেশী পাঠক পড়বে। তা না হলে সবাই এটা কে সাধারন মা বিষয়ক রচনা বলে মনে করতে পারে।

১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:২২

মোঃ আরিফ উদ্দিন বলেছেন: সুন্দর মতামত দেবার জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:২৪

জোবায়ের বিন ইসলাম বলেছেন: "আমি এক হেরে যাওয়া পথিক, জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে আমি হেরে গেলাম। মার্চ ৯, ২০১০"

এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে
এই দিনেরে নিবে তুমি সেই দিনের কাছে।

১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:৩০

মোঃ আরিফ উদ্দিন বলেছেন: জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে হেরে গিয়ে এখন শুধু ভালভাবে বেচেঁ থাকতে চাই। তবে পারবো কিনা তা জানি না। এখন আর জীবনের কোন চাওয়া নেই। যা পাই তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে চাই। চাই সকলের দোয়া, যাতে করে মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারি।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:৩৯

ফিরোজ-২ বলেছেন: মায়ের ভালবাসার জন্য সবসময় শুন্যতা অনুভব করি।

৪| ১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:৫৮

শয়তান বলেছেন: ম্যাটার্নিটি লিভ কি শেষ হয়ে গেছে ?

১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:২০

মোঃ আরিফ উদ্দিন বলেছেন: ভাই ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না... বুঝাইয়া বলেন।

৫| ১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:০০

কুয়াশা বলেছেন: আমাদের মানারাত ইউনিভর্সিটিতে ফার্মেসীর দুই ম্যাডাম (শিক্ষিকা) তাদের বাচ্চাদের সংঙ্গে করে অফিসে আসেন। বাচ্চারা ছাত্রদের কোলে ঘুরেবেড়ায়। আর ম্যাডামরা ক্লাস নেন। অনেক সময় ম্যাডমরা বাচ্চাদের তাদের রুমেই রেখে ক্লাস নিতে চলে যান।

৬| ১৩ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৩১

সাফির বলেছেন: খুবই সুন্দর একটা পোষ্ট :#)

১৩ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:১৩

মোঃ আরিফ উদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৩ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪৭

ইযাচিন মিযা বলেছেন: আমার মায়ের জন্য আল্লাহর কাছে একটাই আবেদন এবং দোয়া যেন আল্লাহ তাকে বেহেস্ত দান করেন ! আমিও আমার মায়ের জন্য, মায়ের ভালবাসার জন্য সবসময় শুন্যতা অনুভব করি।

৮| ১৩ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:০৫

খেঁজুর বলেছেন: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাও ওয়াকিনা আযাবান্নার।

১৪ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:৪৫

মোঃ আরিফ উদ্দিন বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার এই সুন্দর মতামতের জন্য।

৯| ১৩ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩২

বড় বিলাই বলেছেন: ভালো লাগল যে এই অফিসে একজন মাকে এমন সুযোগ দেয়া হয়েছে। সব জায়গায় তো এই সুবিধা পাওয়াও যাবে না।

১৪ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:৪৭

মোঃ আরিফ উদ্দিন বলেছেন: কিন্তু আধুনিক কোন কোন অফিস এ ডে-কেয়ার বলতে একটা সেন্টার থাকে যেখানে মায়েরা তাদের সন্তানকে রেখে কাজ করে... এই অফিস এ তা দেখলাম না। থাকলে আরও খুশি হতাম।

১০| ১৩ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:৩০

ইসতিয়াক আহমদ আদনান বলেছেন: আপনার মায়ের আত্না শান্তিতে থাকুক।

১৪ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:৪৮

মোঃ আরিফ উদ্দিন বলেছেন: দোয়া করবেন।

১১| ১৪ ই জুন, ২০১০ ভোর ৬:৫০

পুরাতন বলেছেন: ভালো লাগলো +++

১২| ২৪ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪৫

প্রিন্স_হাইয়ান বলেছেন: doa roilo apnar mayer proti...suvokamona

১৩| ২৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ৯:৫৩

১৪ বলেছেন: খুবই সুন্দর একটা পোষ্ট।

১৪| ২৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ৯:৫৩

১৪ বলেছেন: খুবই সুন্দর একটা পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.